প্রকাশ: ০৬:৪৪ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
মার্চ মাস শুরু
হতে যাচ্ছে। মার্চ মাস আমাদের স্বাধীনতার মাস। এই মার্চ মাসের ১৭ তারিখে জন্মগ্রহণ
করেন সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৭ই মার্চ
এবং ২৬শে মার্চ, এই দুটি তারিখের জন্যই মার্চ মাস অত্যান্ত ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে।
১৯৭১ সালের
২৬শে মার্চ সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন।
একজন ক্ষুদ্র মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সেই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। মুক্তিযুদ্ধে
অংশগ্রহণ করেছেন এমন অনেকে এখনও জীবিত আছেন। তবে আমাদের নতুন প্রজন্ম, তারা শুধু মুক্তিযুদ্ধের
গল্পই শুনেছে। তারা চাইলেও এখন আর মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। তরুণ তরুণীদের
অনেককেই আমি এ নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করতে দেখেছি।
দেশকে স্বাধীন
করতে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় যেমন অনেক সাহসী মুক্তিযোদ্ধা তৈরি হয়েছে, তেমনি
মুক্তিযুদ্ধকে শেষ করে দেয়ার জন্য বাঙালি জাতির চিন্তা চেতনাকে শেষ করে দেয়ার জন্য
রাজাকার আলবদরও তৈরি হয়েছে। পাকিস্তানিরা আমাদের দেশ দখল করে রেখেছিল সেটা আলাদা জিনিস।
কিন্তু তারচেয়ে বেশি গুরুত্ব বহন করে মুক্তিযোদ্ধারা এবং এই রাজাকার আলবদররা। একজন
মুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে টিকে থাকতে হলে তাকে প্রতিনিয়ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে
বুকে ধারণ করতে হয় এবং মুক্তিযুদ্ধের চর্চা করতে হয়। কিন্তু একজন রাজাকার বা আলবদর
একবার রাজাকার বা আলবদর হলে মৃত্যু পর্জন্ত তার বা তার বংশধরদের আর কোন কিছু করতে হয়
না।
আমাদের এবারের
মুক্তিযুদ্ধের মাসটি একটি কারণে আরও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই সময় দেখা যাচ্ছে যে, এই
রাজাকার আলবদরের সন্তানেরা যেমন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরির সন্তানেরা, গোলাম আযমের সন্তানেরা,
এরকম যারা যারা মুক্তিযুদ্ধের সন্তানেরা আছে তারা অধিকাংশই দেশের বাইরে যেয়ে মুক্তিযুদ্ধের
চেতনাকে বুলন্ঠিত করার জন্য, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করার জন্য তাদের প্রচেষ্টা
চালিয়ে যাচ্ছে এবং এই প্রচেষ্টা খুব সংগঠিতভাবেই চলছে। তারা বিদেশে টিভি চ্যানেল খুলেছে,
ইউটিউব চ্যানেল খুলেছে। এখন যে ডিজিটাল যুগ, এই ডিজিটাল যুগের সম্পূর্ণ সুবিধা আমরা
মুক্তিযোদ্ধারা কিংবা আমাদের সন্তানেরাও অতটা কাজে লাগাচ্ছে না, যতটা কাজে লাগাচ্ছে
এই রাজাকার আলবদরের সন্তানেরা। এ কারণেই জীবন সায়ান্যে এসে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে
আমি নতুন প্রজন্মকে আহ্বান জানাবো মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধরে রাখার জন্য, মুক্তিযুদ্ধের
চেতনার আসল মূল্যবোধকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য, সমস্ত দেশে এবং বিদেশে সত্যকে প্রতিষ্ঠিত
করতে তাদেরকে অনেক উৎসাহ নিয়ে ডিজিটাল সুযোগ সুবিধার পূর্ণ ব্যবহার করতে। প্রয়োজনে
দেশের ভেতর স্টাডি সার্কেল তৈরি করতে হবে। যাতে তারা মুক্তিযুদ্ধ কেন হয়েছিল কখন হয়েছিল
সে সম্পর্কে জানতে পারে। এখনও অনেক রাজাকার আলবদরের সন্তানেরা বলে ওটাতো গণ্ডগোলের
বছর। ১৯৭১ বছরটিকে তারা ভুলিয়ে দিতে চায়।
সোশ্যাল মিডিয়ার
মাধ্যমে এখন খুব সহজেই নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করা যায়, সহজেই অনুপ্রাণিত করা যায়।
এই জায়গাটায় আমাদের নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপারে আরও সজাগ হতে হবে। যেমন
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বলতে হবে, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চ নিয়ে বলতে হবে, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের
গুরুত্ব বোঝাতে হবে, পুরো মার্চ মাসে যে সকল ঘটনা সম্পর্কে তাদের জানাতে হবে। শুধুমাত্র
বঙ্গবন্ধুকে কেন্দ্র করেই যদি ইতিহাস সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রকাশ পায় তাহলেও নতুন প্রজন্ম
উদ্বুদ্ধ হবে। মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ বাজিয়েও মুক্তিযোদ্ধাদের
উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। সেখানে বঙ্গবন্ধুই ছিলেন কেন্দ্রীয় চরিত্র এবং একমাত্র চরিত্র
যাকে ঘিরে সমস্ত মুক্তিযুদ্ধটি পরিচালিত হয়েছে এবং যার ফলে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি।
এই কারণেই মার্চ মাসটি আমাদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে আমাদের
মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তারা মুক্তিযুদ্ধে আংশগ্রহন করতে পারেনি ঠিকই তবে
তাদের কাজের মাধ্যমে তারা হয়ে উঠবে নতুন প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা। আমি এই নতুন প্রজন্মের
মুক্তিযোদ্ধাদের আগাম সালাম জানাচ্ছি। তাদের কাজের মাধ্যমেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের
ইতিহাস প্রজন্মের পর প্রজন্ম টিকে থাকবে এবং আমরা আশাবাদী আমাদের নতুন প্রজন্ম কিছুতেই
বিফল হতে পারে না।
২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস মুক্তিযুদ্ধ বঙ্গবন্ধু
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
দেশে একটি সুষ্ঠু
নির্বাচন করা এবং সেটাকে দেশে-বিদেশি সবার কাছে যোগ্য করে তোলার আসল কাজটি করতে হয়েছে
রাষ্ট্রপতিকে। এই কাজটি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শেষ পর্যন্ত খুব ভালো ভাবে এবং
সফল ভাবে করতে সক্ষম হয়েছেন। গত এক বছরে এটিই এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির সেরা অর্জন বা
সেরা সাফল্য বলে আমি মনে করি। রাষ্ট্রপতি যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ
ভাবে না করতে পারতেন তাহলে দেশের গণতন্ত্র এক বড় ঝুঁকির মধ্যে পড়ত। কিন্তু রাষ্ট্রপতি
সেটি ভালো ভাবে সামাল দিতে পেরেছেন। আমাদের গণতন্ত্র রক্ষা পেয়েছে, গণতন্ত্রের জয় হয়েছে।
আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে এ কথা না বললেই নয় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিনকে নিয়ে আমি ব্যক্তিগত ভাবে গর্বিত। কারণ দেশের এক নম্বর নাগরিক বা
রাষ্ট্রপতি হওয়া সত্বেও তিনি যেভাবে সবার সাথে মিশেন সেটা অতুলনীয়। একজন মানুষ প্রকৃত
অর্থেই মাটির মানুষ না হলে তার পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। এখনও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের
গায়ে গ্রামের সেই ধুলোবালির গন্ধ পাওয়া যায়। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার যে ধ্যান
ধারণা থাকার কথা সেটাও তার মধ্যে অত্যন্ত প্রখর এবং সেই চেতনা তিনি সকলের মাঝে ছড়িয়ে
দেয়ার চেষ্টা করেন বলেই আমার কাছে দৃশ্যমান হয়। সেজন্য আমি ব্যক্তিগত ভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগ ধন্যবাদ দিতে চাই যে, তারা এ রকম একজন রাষ্ট্রপতিকে
এই পদে মনোনয়ন দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের মনোনয়ন শুরুতে সবাইকে অবাক
করলেও সেটা ছিল আমাদের অগত্যা। কারণ অনেকে তার সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানতেন না। অথচ তিনি
একজন স্থানীয় নেতা হয়েও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছিলেন। এমনকি
পাবনার মত একটি জেলা শহরে থেকে তিনি এটি করেছেন। আমরা সেটার মাহাত্ম্য বুঝতে না পারলেও
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকরী ষড়যন্ত্রকারীরা ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন আর সেজন্য রাষ্ট্রপতিকে গ্রেপ্তার
করেছিলেন। আমি প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফের কাছে শুনেছি যে রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন এবং তার (প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফ হাত পা খাটের
সাথে বেঁধে রাখা হয়েছিল। এভাবে অনেক দিন তিনি জেল খেটেছেন। এরপর তিনি জেলে থেকেই আইন
পাশ করেন। তিনি পরীক্ষা দিয়ে চাকরি নেন এবং জেলা জজ পর্যন্ত হয়ে তিনি তার চাকরির জীবন
শেষ করেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত হন। তিনি আওয়ামী
লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হিসেবে এবং আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের নির্বাচন কমিশনের
প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন
করছেন। রাষ্ট্রপতি হলেও এখনও তিনি আগের মতই সহজ-সরল রয়ে গেছেন। তার এই সরলতা ইতিমধ্যে
সাধারণ মানুষের মন জয় করেছে।
গত এক বছরে রাষ্ট্রপতির আরেকটি উল্লেখ্য করার মত সাফল্য হল যে,
তিনি এমন ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন বা এখন পর্যন্ত তার কাজকর্ম কিংবা সিদ্ধান্তগুলো
দেখে বুঝার উপায় নেই যে তিনি আগে কখনও কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। রাষ্ট্রের
অভিভাবক হিসেবে তিনি তার নিরপেক্ষতা ধরে রাখতে পেরেছেন। রাষ্ট্রের সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা
পেয়েছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন সহ সর্বশেষ তিনজন রাষ্ট্রপতি গণ মানুষের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিজেকে
প্রমাণ দিতে পেরেছেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, এরপর অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ
এবং মো. সাহাবুদ্দিন তারা প্রত্যেকই অতি সাধারণ জীবন যাপন করে আপামর জনগণের মন জয় করে
নিতে পেরেছেন। রাষ্ট্রপতি হবার আগে যে সাধারণ জীবন যাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি হবার পরও
একই ভাবে থেকেছেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকায় এমন রাষ্ট্রপতিও আছেন যারা রাষ্ট্রপতি
হবার আগে এক রকম ছিলেন পরে আবার অন্যরকম ভাবে আবির্ভূত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি হবার আগে
যে আদর্শ ধারণ করতেন রাষ্ট্রপতির চেয়ার বসলে তাদের সেই আদর্শের বিচ্যুক্তি ঘটে। কিন্তু
এক্ষেত্রে এই তিনজন ব্যক্তি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। তারা আগে যা ছিলেন রাষ্ট্রপতি হবার
পর একই রকম থেকেছেন, আদর্শচ্যুত হননি। মো. সাহাবুদ্দিন যে আদর্শ ধারণ করেন সেই আদর্শে
তিনি তার কাজকর্ম সফলতা সাথে করে যাচ্ছেন। আমরা তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৯:২৬ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দেশের শীর্ষ স্থানীয় গণমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ বিক্রির বিষয়টি এখন ‘টক অব দ্য টাউন’। বাংলাদেশের বিভিন্নি গ্রুপ কোম্পানি এই প্রতিষ্ঠানটি কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছে বলেও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যদিও প্রতিষ্ঠানটির সম্পাদক মতিউর রহমানের এতে শেয়ার রয়েছে। তিনিও প্রতিষ্ঠানটির মালিক। মালিকানা থাকলেও এখন মতিউর রহমান তার সম্পাদক পদটা নিশ্চিত করতে চান। সেজন্য তিনি কর্ণফুলী গ্রুপের কাছে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি করার জন্য খুব আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন বাস্তব কারণে কর্ণফুলীগ্রুপের কাছে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রির বিষয়টিতে রাজি হয়নি বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
প্রথম দফায় উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন শেষ হয়েছে গতকাল। কিন্তু অবাক করার বিষয় যে, একমাত্র পলকের শ্যালক ছাড়া আর কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। অথচ আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনা আছে যে, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা কেউ নির্বাচন করতে পারবেন। দলের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা ইতোমধ্যে সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাদেরকে প্রত্যাহারের জন্য তিনি নির্দেশও দিয়েছেন। তিনি শেষ পর্যন্ত কেউই তা মানেননি। এতে করে সুস্পষ্ট ভাবে তারা আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনাকে অমান্য করেছে। যা দলীয় সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন এবং গুরুতর অপরাধও বলে আমি মনে করি।
দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি যে নতুন সরকার গঠন করেন আজ তার ১০০ তম দিন। এক কঠিনতম সময়ে তিনি এই সরকার গঠন করেছেন। কিছু বুদ্ধিজীবী নির্বাচনের আগে আগে নানান রকম কথাবার্তা বললেও সাধারণ মানুষ ঠিকই জানত যে, শেখ হাসিনাই আবার সরকার গঠন করবেন। কারণ তারা জানেন যে, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। সরকার গঠনের পরও কিন্তু তাকে কঠিনতম সময় পার করতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি সফলতা পাচ্ছেন। এজন্য একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমিও মনে করি যে, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই।
বারো বছর আগের কথা। ডেভিড ক্যামেরুন তখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সে সময় একদিন তিনি একটি হাসপাতালের ওয়ার্ডে ঢুকে পড়লেন। রোগীর অনুমতি সাপেক্ষে রোগীর সাথে ছবি তুলতে গেলেন। বাঁধ সাধলেন ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা একজন চিকিৎসক। জীবাণু প্রতিরোধের কোন পদক্ষেপ না নিয়ে এবং চিকিৎসকের অনুমতি ব্যতিরেকে তিনি ওই কাজটি করছিলেন। ডেভিড ক্যামেরুন তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছিলেন সাথে সাথে। ক্ষমা চাইলেন এবং ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে গেলেন।