প্রকাশ: ০৮:২৭ এএম, ২৪ মার্চ, ২০২৩
আজ ২৪ মার্চ। দিনটিকে অন্য কোন দিনের মত সাধারণ মনে হলেও বাংলাদেশের ইতহাসে দিনটি মোটেও সাধারণ নয়। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ প্রত্যুষে বাংলাদেশে সামরিক আইন জারি করে সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ লে. জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ একটি রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে সরিয়ে দেশের কর্তৃত্ব নেন। ‘জনগণের ডাকে সাড়া দিতে হইয়াছে, ইহা ছাড়া জাতির সামনে আর কোনো বিকল্প ছিল না।’ এই ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশে সামরিক শাসন জারি করে নিজেকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ঘোষণা করেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ১৯৮২ সালের এই দিন শুরু হয় স্বাধীন বাংলার ইতিহাসে নতুন এক কালো অধ্যায়।
বাংলাদেশের সামরিক আইন জারি করা কিংবা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের দৃষ্টান্ত এটিই প্রথম নয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর সামরিক বাহিনী ষড়যন্ত্রের অন্যতম অংশীদার খন্দকার মোশতাক আহমদ নিজেকে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট বলে ঘোষণা করে। তার ভাষায়, ‘আমি খন্দকার মোশতাক আহমেদ, আমাকে অর্পিত সর্বময় ক্ষমতাবলে এই মর্মে ঘোষণা করছি যে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের প্রভাত হতে আমি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হলাম ও রাষ্ট্রপতির অফিস অধিগ্রহণ করলাম।’ নিজেই নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করার এক নোংরা ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল খন্দকার মোশতাক।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর হত্যার পেছনে অনেকের হাত থাকলেও তাদের সবার একজন গুরু ছিল। তিনি হচ্ছেন জিয়াউর রহমান। কুমিল্লাতে বসে তারা এ সকল ষড়যন্ত্র করত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ থেকেই তাদের এ ষড়যন্ত্র চলতে থাকে। সেই ষড়যন্ত্রের চুড়ান্ত ফলাফল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে বাঙালির ইতিহাসের আরেকটি লজ্জাজনক অধ্যায়ের সূচনা করেছিল খুনি জিয়াউর রহমান। ১৯৭৭ সালের ৩০মে সেনাপ্রধানের পদে থেকে লাশের মিছিলের উপর দাঁড়িয়ে এককভাবে নির্বাচনের আয়োজন করেন তিনি। রাজনৈতিক দলগুলোকে কোণঠাসা করে নিজেই ‘জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল’ নামের একটি দল গঠন করে। এরপর ‘হ্যাঁ-না’ ভোটের নামে প্রহসনের নির্বাচন করে নিজেই নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। জিয়া নিজেই এক সামরিক ফরমান জারি করে নিজেকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক তো ঘোষণা করেছিলেনই, আবার নিজেই আরেক ফরমান জারি করে ঘোষণা দেন তিনি দেশের ‘প্রেসিডেন্ট’। কে তাকে প্রস্তাব দিল? কে তাকে ভোট দিল? কোনো কিছুরই প্রয়োজন পড়ল না! শুধু সামরিক ফরমান জারি করে বলেছিলেন, ‘এখন থেকে তিনিই দেশের প্রেসিডেন্ট’। জিয়াউর রহমান এ দেশ থেকে গণতন্ত্রকে চিরকালে শেষ করে দিয়ে বাংলাদেশকে পেছনে নিয়ে গিয়েছিলেন যাতে বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তানে পরিণত করা যায়।
শুধু বিংশ শতাব্দীর বাংলাদেশে নয়, একবিংশ শতাব্দীতেও অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলের ইতিহাস রয়েছে এই দেশে। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি একটি রাজনৈতিক যুগ সন্ধিক্ষণের সময় এক-এগার সরকার ক্ষমতায় আসে। সেনা সমর্থিত সুশীল নিয়ন্ত্রিত ওই সরকার ক্ষমতায় এসে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সংস্কারের কথা বলেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিয়ম ছিল যে, ৯০ দিনের মধ্যে তারা একটি নির্বাচন সম্পন্ন করবে। রুটিন কাজের বাইরে তারা অন্য কোনো কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একমাত্র দায়িত্ব ছিল একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করা। কিন্তু ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাষ্ট্র কাঠামো পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়। এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিভিন্ন অভিযোগ দায়ে দেশের প্রধান দুই দলের দুই নেত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াসহ শীর্ষ নেতাদের প্রায় সবাইকেই গ্রেপ্তার করা হয়। যার ফলে বিরাজনীতিকরনের পথ সুগম হয় এবং সুশীল সমাজের ক্ষমতায় থাকার পথ প্রশস্ত হয়। সংবিধানে ৯০ দিনের কথা থাকলেও সেনা সমর্থিত এই অবৈধ সরকার প্রায় ২ বছর দেশের ক্ষমতা দখল করে রাখে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫২ বছরের ইতিহাসে সাংবিধানিকভাবে গ্রহণযোগ্য সরকার ক্ষমতায় এসেছে কেবল দুইজনের হাত ধরে। তাদের একজন হলেন সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং আরেকজন হলেন বঙ্গবন্ধুরই কন্যা দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। এর মাঝে যারা এসেছে সবাই অবৈধ এবং অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতায় এসেছে। যতবার এ দেশে অসাংবিধানিক সরকার ক্ষমতায় এসেছে ততবার দেশ পিছিয়েছে। ততবার দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের দিকে এগিয়েছে। বিএনপি’র এক সময়ের অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান বলেছিলেন, গরীব দেশ থাকাইতো ভালো, তাতে সাহায্য পাওয়া যায়। এই ছিল তাদের মানসিকতা। জিয়াউর রহমানের সময় এবং খালেদা জিয়ার সময়ও দেশে দারিদ্রের হার, শিক্ষা, মাথাপিছু আয় সকল মাপকাঠিই একদম তলানিতে ছিল। এবং এরশাদ সাহেবের আমলে এই দেশটি লুটের রাজত্ব ছিল। এই লুটের রাজনীতির সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান এবং এটাকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন এরশাদ সাহেব।
বিগত ১৪ বছর যাবৎ দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার দেশে গণতন্ত্রের ভিত্তিকে শক্তিশালী করতে এবং প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অসাংবিধানিকভাবে যাতে কেউ রাষ্ট্রের ক্ষমতা দখল করতে না পারে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সেটি নিশ্চিত করেছেন দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। শুধু তাই নয়। দেশকে তিনি আজ অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছেন। যে বাংলাদেশকে আগে বলা হত তলাবিহীন ঝুড়ি, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই বাংলাদেশ আজ সাড়া বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। এটি প্রমাণিত যে, একমাত্র সাংবিধানিক পথে যদি ক্ষমতায় আসা যায় তাহলেই দেশের উন্নতি হয়, অর্থনীতির উন্নতি হয়, রাজনৈতিক উন্নতি হয়, গণতন্ত্রের উন্নতি হয়। সে জন্যই গণতন্ত্রকে নিশ্চিত করতে অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতায় আসার পথ বন্ধ করে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। অসাংবিধানিক পথে বাংলাদেশে আর কেউ ক্ষমতায় আসতে পারবে না। আগত নির্বাচনে যারা ক্ষমতায় আসার আশা রাখেন তাদেরকেও সংবিধানের মাধ্যমেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। দ্বিতীয় কোন পথ তাদের জন্য খোলা নেই।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বিদেশ থেকে ফিরে এসে খুব কম বয়সে এ দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। ২১ বছর পর নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে তিনি কারফিউ বন্ধ করলেন এবং একের পর এক দীর্ঘ পথ অতিক্রম করলেন। তার ২১ বছরের পথচলা মোটেও সহজ ছিল না। তাকে হত্যা করার চেষ্টা থেকে শুরু করে সব ষড়যন্ত্রই করা হয়েছে এবং ষড়যন্ত্র এখনও চলছে। কিন্তু আল্লাহর রহমতে তিনি তার বিবেক, বুদ্ধি, মেধা এবং তার দীর্ঘদিনের রাজনীতিক অভিজ্ঞতা দিয়ে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আসছেন। এরশাদের মত রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করা কিংবা ফখরুদ্দিনের মত পেছন থেকে বেআইনিভাবে ক্ষমতা দখলের দিন এখন আর নেই। ক্ষমতায় আসতে হলে এখন সাংবিধানিক পথেই আসতে হবে। কে ক্ষমতায় আসবে সেই সিদ্ধান্ত জনগণই নেবে।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৯:২৬ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
এখন টক অফ দ্য কান্ট্রি হচ্ছে প্রথম আলো বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। যদি
প্রথম আলো কে বা কারা কিনবে সেটা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত না। তবে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর
রহমান চাইবেন কোথায় গেলে তার চাকরির নিশ্চয়তা থাকবে। সেভাবেই তিনি বিক্রি করার চেষ্টা
করবেন।
প্রথম আলো বিক্রির বিষয়টির পাশাপাশি একই রকম আরেকটি প্রশ্ন সামনে
আসছে। আর সেটা হলো প্রথম আলোর পরে কে? তাহলে কি প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টার? তবে এটা
নির্ভর করবে প্রথম আলোর কি ভাগ্য হয় তার ওপর। আমার ধারণা যারাই প্রথম আলো কিনেন না
কেন তারা প্রথম দিকে মতিউর রহমান সাহেবকে রাখলেও পরবর্তীতে ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে
সম্পাদক পরিবর্তন করবে। আর প্রথম আলো যদি কোন যুক্তিপূর্ণ লোকের কাছে দেয় তাহলে আমার
মতে এখানে সম্ভবত আনিসুল হক সাহেব সম্পাদক হবেন। কারণ তার প্রতি লোকের অনেক শ্রদ্ধাবোধ
আছে এবং তিনি সবসময় একটা রেড লাইন রক্ষা করে চলেন। এটা আমরা সকলেই জানি। তার সাথে
অনেকেরই ভালো সম্পর্ক এবং তিনি খুবই জ্ঞানী
লোক।
এর আগে মতিউর রহমান যখন একতা থেকে আজকের কাগজে যান, তখন তার উদ্দেশ্যই
ছিল যে, একটি পত্রিকা কীভাবে চলে সেটা শেখা এবং এখান থেকে একসাথে সাংবাদিক নিয়ে বেরিয়ে
যাওয়া। তিনি সেটা করেছিলেন। তারপর ভোরের কাগজ থেকে একই কাজ করেছেন। সুতরাং তার সত্যিকারের
নীতিবোধ বলতে যেটা বোঝায় সেটা দুর্ভাগ্যবশত তিনি প্রমাণ করতে পারেননি।
তিনি এক সময় কমিউনিস্টদের সাথে থাকলেও এখন তার চেয়ে বড় দক্ষিণপন্থী
পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়াই কঠিন। এ কারণে প্রথম আলো যে বিক্রি হবে এই ব্যাপারে সাধারণ লোকের
ভিতরে এখন আর কোন সন্দেহ নেই।
এখন প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টারের কী হবে এই নিয়ে আলাপ আলোচনা হচ্ছে
এবং এই আলাপ আলোচনা খুব দীর্ঘদিন যে চলবে তা না। আমার মনে হয় জুন-জুলাই মাসের ভিতরেই
এর একটা ফয়সালা হয়ে যাবে। কারণ স্বাভাবিক ভাবেই বুঝি যে, একটি পত্রিকা পাঠকপ্রিয়তা
পেতে বেশ সময় লাগে। এটা একদিন দুইদিনের ব্যাপার না। আবার ঠিক তেমনিভাবে যখন পাঠকপ্রিয়তা
কমতে থাকে সেটাও একদিন দুইদিনে হয় না। ধীরে ধীরে হয়। এই মিডিয়া জগতের নিয়মই তাই।
আমি ১৯৬১ সালে পত্রিকা বলতে শুধুমাত্র ইত্তেফাক এর কথাই জানতাম।
সেই ধারণা থেকে বলতে পারি এখন প্রথম আলোর যদি কিছু কর্মী এর চেয়ে ভালো কোন সুযোগ সুবিধা
দেখেন তাহলে তারা বিক্রি হওয়ার আগেই চলে যাবেন। কারণ স্বাভাবিকভাবেই একজন সাংবাদিকের
একটা ক্যারিয়ার আছে এবং প্রথম আলোর মতো পত্রিকাতে কাজ করে তিনি তো যে কোন পত্রিকায়
যেতেও পারবেন না। তার কারণ গেলে তার ওই লেখার যে মান সেটা মূল্যায়ন নাও হতে পারে। তবে
আমার ধারণা প্রথম আলোতে কাজ করেছেন এমন যে কাউকে টেকনিক্যাল গ্রাউন্ডে অনেক গুরুত্ব
দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে আমি অবাক হব না যদি দু এক মাসের ভিতরে দেখা যায় যে আস্তে আস্তে
প্রথম আলো বিভিন্ন কর্মী অন্য পত্রিকায় যাওয়া শুরু করে দিয়েছেন।
ব্যাংক মার্জারের যেমন একটি ঘটনা বর্তমানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ঠিক
তেমনি পত্রিকা জগতেও শিল্প গোষ্ঠীর যে গন্ডগোলের ঘটনা ঘটেছে এটিও ব্যাংক মার্জারের
ঘটনার পর্যায়ে চলে যাবে। ব্যাংকিং ক্ষেত্রে দেখা যায়, দুটি ব্যাংক একীভূত হচ্ছে। আর
এদিকে দেখা যাবে, সংবাদকর্মীরা অন্য পত্রিকায় চলে যাচ্ছে।
তবে আমার মনে হয় না, এখন যে অবস্থা চলছে এতে প্রথম আলো আর আগের
মতো প্রথম আলো থাকতে পারবে। এটা কিছুতেই সম্ভব না এটি মোটামুটিভাবে নিশ্চিত। তাই আমার
মনে হয় প্রথম আলো সেই ব্যাংক মার্জারের পর্যায়ে চলে এসেছে। এখন অন্য পত্রিকা যাদের
আছে, তারাও প্রথম আলো কিনে নিতে পারেন। এটি সম্ভব। এরকম শিল্পগোষ্ঠীর কোন কমতি বর্তমানে
বাংলাদেশে নেই। যে কোন শিল্প গোষ্ঠীই এটা কিনবে।
তবে আমি আশা রাখব, যারাই প্রথম আলো কিনবে, তারা যেন অন্তত পক্ষে
এটা খেয়াল রাখে যাতে সাংবাদিকদের কোন ক্ষতি না হয়। সুতরাং এদেশের একজন সাধারণ নাগরিক
হিসেবে আমার দাবী হচ্ছে সাংবাদিকরা যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৯:০৬ পিএম, ১৫ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রথম দফায় উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন শেষ হয়েছে গতকাল। কিন্তু অবাক করার বিষয় যে, একমাত্র পলকের শ্যালক ছাড়া আর কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। অথচ আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনা আছে যে, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা কেউ নির্বাচন করতে পারবেন। দলের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা ইতোমধ্যে সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাদেরকে প্রত্যাহারের জন্য তিনি নির্দেশও দিয়েছেন। তিনি শেষ পর্যন্ত কেউই তা মানেননি। এতে করে সুস্পষ্ট ভাবে তারা আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনাকে অমান্য করেছে। যা দলীয় সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন এবং গুরুতর অপরাধও বলে আমি মনে করি।
দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি যে নতুন সরকার গঠন করেন আজ তার ১০০ তম দিন। এক কঠিনতম সময়ে তিনি এই সরকার গঠন করেছেন। কিছু বুদ্ধিজীবী নির্বাচনের আগে আগে নানান রকম কথাবার্তা বললেও সাধারণ মানুষ ঠিকই জানত যে, শেখ হাসিনাই আবার সরকার গঠন করবেন। কারণ তারা জানেন যে, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। সরকার গঠনের পরও কিন্তু তাকে কঠিনতম সময় পার করতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি সফলতা পাচ্ছেন। এজন্য একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমিও মনে করি যে, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই।
বারো বছর আগের কথা। ডেভিড ক্যামেরুন তখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সে সময় একদিন তিনি একটি হাসপাতালের ওয়ার্ডে ঢুকে পড়লেন। রোগীর অনুমতি সাপেক্ষে রোগীর সাথে ছবি তুলতে গেলেন। বাঁধ সাধলেন ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা একজন চিকিৎসক। জীবাণু প্রতিরোধের কোন পদক্ষেপ না নিয়ে এবং চিকিৎসকের অনুমতি ব্যতিরেকে তিনি ওই কাজটি করছিলেন। ডেভিড ক্যামেরুন তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছিলেন সাথে সাথে। ক্ষমা চাইলেন এবং ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে গেলেন।
এখন টক অফ দ্য কান্ট্রি হচ্ছে প্রথম আলো বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। যদি প্রথম আলো কে বা কারা কিনবে সেটা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত না। তবে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান চাইবেন কোথায় গেলে তার চাকরির নিশ্চয়তা থাকবে। সেভাবেই তিনি বিক্রি করার চেষ্টা করবেন। প্রথম আলো বিক্রির বিষয়টির পাশাপাশি একই রকম আরেকটি প্রশ্ন সামনে আসছে। আর সেটা হলো প্রথম আলোর পরে কে? তাহলে কি প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টার? তবে এটা নির্ভর করবে প্রথম আলোর কি ভাগ্য হয় তার ওপর