ইনসাইড বাংলাদেশ

রমজানে দেশে দেশে কমে নিত্যপণ্যের দাম, বাংলাদেশে বাড়ে!


Thumbnail রমজানে দেশে দেশে কমে নিত্যপণ্যের দাম, বাংলাদেশে বাড়ে!

সিয়াম সাধনার মাস রমজান। এরই মধ্যে দেশের বাজারে বাড়তে শুরু করেছে নিত্যপণ্যের দাম। কিন্তু দেশে দেশে এর বিপরীত চিত্রও দেখা গেছে। রমজানে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে, আবার অনেক দেশে ব্যবসায়ী সমিতি কিংবা ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে দাম কমানো হয় পণ্যের, দাম কমানো নিয়ে চলে তুমুল প্রতিযোগিতা। অন্যদিকে বাংলাদেশের অসাধু ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় সিন্ডিকেট করে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। সরকার এবং ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন দপ্তর, পরিদপ্তর, অধিদপ্তর নিয়মিত বাজার পরিদর্শন করেও এই মূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। এর পেছনে রয়েছে নৈতিকার স্খলন।    

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা প্রায় ১৮০ কোটি মুসলমানের জন্য পবিত্র রমজান বয়ে আনে রহমত, বরকত ও মাগফেরাতের বার্তা। আত্মশুদ্ধি ও মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় এই একমাস ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। রমজান মুসলমানদের ত্যাগ ও আত্মশুদ্ধির মাস হলেও দেখা যায়, অনৈতিকভাবে প্রতিবছর রমজান মাসে বাংলাদেশে প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়ে যায়, বিষয়টি যেন একটি স্বাভাবিক রীতিতে পরিণত হয়েছে।

কিন্তু এর বিপরীত চিত্রের দেখা মেলে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এসব দেশ রমজান উপলক্ষে বড় বড় চেইনশপ থেকে শুরু করে ছোট দোকানে দেয় বিশাল বিশাল ছাড়। ক্রেতাদের কে কত বেশি মূল্য ছাড় দিতে পারে সেটা নিয়ে চলে রীতিমতো প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতায় ছাড়ের মাত্রা কখনো কখনো ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত গিয়ে দাঁড়ায়। মূলত রোজাদারের অর্থকষ্ট লাঘবের পাশাপাশি অধিক সওয়াবের আশায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসে এমন ছাড় দেন বিক্রেতারা। ক্রয়ক্ষমতা সাধারণ মানুষের নাগালে রাখতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানোর ঘোষণা এবং সেগুলোর মূল্য তালিকা দোকানের সামনে ঝুলিয়ে রাখা হয়।

৮ শতাধিক পণ্যের দাম কমানো দেশ কাতার

রোজার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে- মুত্তাকির গুণাবলি অর্জন করা। আর মুত্তাকির সার কথা হচ্ছে, সর্বাবস্থায় আল্লাহর ভয় অন্তরে জাগ্রত রাখা। বিষয়টি কঠোরভাবে মেনে চলা হয় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ কাতারে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২ এপ্রিল থেকে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশে রমজান শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার আগেই রমজান মাসে রোজাদারদের সেবায় ৮০০টিরও বেশি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। গত ২৪ মার্চ থেকে এ মূল্যছাড় কার্যকর হয়েছে। ২৩ মার্চ এক বিবৃতিতে দেশটির বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় এ খবর জানিয়েছে। রমজান মাস শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত দেশের সবাই এই সুবিধা ভোগ করবেন। কাতারের সব বাজার ও সুপারশপে সরকারের আদেশ কার্যকর থাকবে। নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের টুইটার ও ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে অভিযোগ করতে বলা হয়েছে। এছাড়া ১৬০০১ নম্বরে কল করেও অভিযোগ করা যেতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

দেশটির সংবাদমাধ্যম কাতার ট্রিবিউন জানিয়েছে, রমজান উপলক্ষে মূল্য কমানো পণ্যসমূহের মধ্যে ময়দা, মধু, সিরিয়ল, কর্নফ্লেক্স, ইয়োগার্ট, দুধ ও ডেইরি সামগ্রী, গুঁড়োদুধ, কন্ডেন্সড মিল্ক, পনির, ফলের রস, চিনি, কফি ও কফিজাত দ্রব্য, খেজুর, মিনারেল ও বোতলজাত পানি, অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল, পেপার ন্যাপকিন, ওয়াশিং পাউডার, ট্র্যাশ ব্যাগ, পেস্ট্রি, পাস্তা, চাল, শিম, হিমায়িত শাক-সবজি, মুরগির মাংস ও পোলট্রিজাত দ্রব্য, মাংস, ডিম, টমেটো পেস্ট, চা, ঘি, ইস্ট, লবণ, ভোজ্য তেল, ব্যক্তিগত ও গৃহস্থালী পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

সৌদি আরবে মূল্যছাড়ের হিড়িক

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে সৌদি আরবে ব্যবসায়ীদের মধ্যে মূল্যছাড়ের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সৌদি আরবের বিভিন্ন সুপার মার্কেট মূল্যছাড় দেওয়া শুরু করেছে সৌদির বড় বড় চেইন শপিংমল যেমন লুলু হাইপার মার্কেট, পান্ডা, ওথাইম, নেস্টু, আল মদিনা, সেন্টার পয়েন্ট, তামিমি, ক্যারিফোর শপিংমলগুলো শুধু ছাড় ঘোষণা করেই বসে নেই। তাদের এই মূল্যছাড়ের খবর ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিতে পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকেও নানা রকমের মূল্যছাড়ের বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে। লিফলেট ও হ্যান্ডবিলের মাধ্যমে কোন পণ্যে কত ছাড় এ ব্যাপারে ক্রেতাদের জানানো হচ্ছে। ৫০% থেকে ৭০% ছাড় দিয়েছে অনেক শপিংমলে। রমজানকে সামনে রেখে মূল্যছাড়ের ঘোষণায় খুশি ক্রেতারাও।

রমজানে শুধু পণ্যের মূল্যছাড়ই নয়, সৌদি সরকার এবং বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও দেওয়া হয় বিশেষ সুবিধা। রাতে কাজ এবং অন্যান্য সময়ের তুলনায় কর্মঘণ্টা কমানো হলেও বেতন-বোনাসে কোনো হেরফের হয় না। করোনাকাল শেষে এবারের রমজানকে কেন্দ্র করে সৌদি আরবের রাস্তাঘাট আর শপিংমলগুলোতে করা হয়েছে আলোকসজ্জা। মার্কেটগুলোতে শোভা পাচ্ছে ‘রামাদান কারিম’ লেখা সংবলিত রং-বেরঙের প্ল্যাকার্ড।

কয়েক বছর ধরে সৌদি আরব রমজান উপলক্ষে বিভিন্ন সুপারশপে বিশেষ ছাড় দিয়ে প্যাকেজভিত্তিক আলাদা আলাদা কার্ড বাজারে ছাড়ে। এর মাধ্যমে রমজানে ক্রেতারা কেনাকাটায় বৈচিত্র্যময় সুবিধা পান। এসব প্যাকেজে মাংস, মাছ, খেজুর, বাদাম ও মিষ্টিসহ ইফতার এবং সাহরির জন্য আলাদা আলাদা খাবারসামগ্রী থাকে। রমজান বক্স, ইফতারসামগ্রী, সাহরির খাবার নামে এসব কার্ড পরস্পরে উপহার দেওয়ারও রীতি রয়েছে। অনেকে আবার দরিদ্রদের মধ্যে এসব কার্ড বিতরণ করেন, যেন তারা তাদের প্রয়োজনীয় মুহূর্তে খাবার সংগ্রহ করতে পারেন।

আরব আমিরাত নিত্যপণ্যের মূল্যছাড়

গত ২৩ মার্চ থেকে বিভিন্ন কোম্পানি ঘোষণা করেছে, রমজান উপলক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাত ৭০% ছাড়ে ভোগ্য এবং অ-ভোগ্য পণ্য বিক্রি করবে। দেশটিতে রমজান শুরুর অন্তত দশদিন আগে থেকে এভাবে পণ্যের মূল্যছাড়ের রীতি চলে আসছে। কিন্তু করোনার কারণে বিগত দুই বছর সেভাবে তা মানা হয়নি। এবার রোজার আগেই বিক্রেতারা হাজার হাজার ভোগ্য এবং অ-ভোগ্য পণ্যের ওপর ব্যাপক ছাড় দেওয়ায় খুশি দেশটির বাসিন্দারা। আরব আমিরাতের কিছু প্রধান খুচরা বিক্রেতা যারা রমজানে বিশেষ ছাড় ৭০ শতাংশ কমানোর ঘোষণা করেছে। তাদের মধ্যে রয়েছে ইউনিয়ন কোপ, শারজাহ কুপ, আল মায়া সুপার মার্কেট, আমাজন, নুন, দানিউব হোমস ও প্যান এমিরেটস। ৭০ শতাংশ কমে বিক্রি হওয়া পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে- মাংস, মুরগি, টিনজাত খাবার, ফল, সবজি, বিশেষ রমজানের পণ্য এবং অন্যান্য পণ্য।

ভোগ্যপণ্যের পাশাপাশি অ-ভোগ্য পণ্যের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়েছে। যা আগে সেভাবে দেওয়া হতো না। পুরো রমজান মাস এ সুযোগ মিলবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রচারণাও চালানো হচ্ছে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান মুদি সামগ্রীর পাশাপাশি ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীতে ৪০ শতাংশ ছাড় ঘোষণা করেছে। ছাড়ের আওতায় রয়েছে- স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, আসবাবপত্র থেকে শুরু করে আনুষঙ্গিক বিভিন্ন জিনিস। এগুলো অনলাইন-অফলাইন দুভাবেই কেনা যাবে।

মিসরের খাদ্যমেলা ও ভ্রাম্যমাণ দোকান

পবিত্র রমজান উপলক্ষে মিসরের রাজধানী কায়রোতে ২৫ মার্চ দেশটির চেম্বার অব কমার্স ফেডারেশনের সহযোগিতায়, সরকারের তত্ত্বাবধানে সপ্তাহব্যাপী এক খাদ্যমেলার আয়োজন করা হয়। মেলা উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী মোস্তাফা মাদবৌলি। রমজান মাস সামনে রেখে ছাড়সহ খাদ্যসামগ্রী কেনার ব্যবস্থা করতে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। আরবি ভাষায় ‘রামাদান কারিম’ লেখা ব্যানার ও মিসরের ঐতিহ্যবাহী রমজান লণ্ঠন দিয়ে মেলা প্রাঙ্গণ সাজানো হয়েছে। এ ছাড়া খাদ্যমেলায় কয়েকশ’ প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্যসামগ্রী নিয়ে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান প্রধানত রান্নার তেল, চাল, পাস্তা, মাংস, মুরগির মাংস, শাক-সবজি, ফল, বাদাম এবং অন্যান্য পণ্য বিক্রি করছে।

মেলায় মিসরের সুপরিচিত খাদ্যসামগ্রী প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো তাদের পণ্যে মূল্য ছাড়ের বৈচিত্র্যময় অফার দিয়ে ক্রেতাদের আকর্ষণ করছে। করোনার প্রভাব কাটিয়ে আসন্ন রমজান যেন সহনীয়ভাবে কাটাতে পারে দেশের মানুষ, এ লক্ষ্যে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলা প্রসঙ্গে চেম্বার অব কমার্স ফেডারেশনের নেতা মোহাম্মদ আবদেশ ফারাহ বলেন, ‘মেলায় উপস্থিতি খুবই ভালো, বিক্রিও আগের বছরগুলোর তুলনায় অনেক বেশি হচ্ছে। মিসরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে গমের দাম বেড়ে গেছে। সংগত কারণেই গমজাত খাবারের মূল্যবৃদ্ধির এই সময়ে সহমর্মিতার মাস রমজানকে সামনে রেখে মানুষকে কিছুটা আনন্দ ও স্বস্তি দিতে এই আয়োজন করেছি।’

‘ওয়েলকাম রমজান ফেয়ার’ নামে পরিচিত এই মেলা গত কয়েক বছর ধরে কায়রোতে অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু গত দুই বছর করোনার জন্য বন্ধ ছিল। মেলা উদ্বোধন করে মিসরের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মেলায় বিভিন্ন দোকান ঘুরে ঘুরে আমি দাম পর্যালোচনা করেছি। এখানে খুব বড় রকমের ছাড় রয়েছে।’ কায়রোর এই মেলা শেষ হলেও রমজান মাস এবং রমজানের পরে একই মূল্যে খাদ্যপণ্য বিক্রির জন্য দেশব্যাপী প্রায় আট হাজার বিশেষ বুথ থাকবে। এ ছাড়া মিসরীয় সেনাবাহিনী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে মূল্যবৃদ্ধির বোঝা কমাতে সাধারণ মানুষকে সাহায্য করার জন্য ভ্রাম্যমাণ দোকান থাকবে।

ওমানে মূল্যছাড় ও গুণমানে সতর্কতা

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে রমজান উপলক্ষে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়। পবিত্র রমজানে ওমানবাসী মাসব্যাপী ঐতিহ্যবাহী খাবারের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান মজুদ করা শুরু করেন রমজানের কয়েক সপ্তাহ আগে থেকেই। এই সময়ে ওমানের অভিজাত শপিং সেন্টারগুলো রমজানের বিশেষ অফার দিয়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। রমজানে প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর মূল্য গড়ে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কমানো হয়েছে ওমানে। ঘোষিত পণ্যের মজদু নিশ্চিত ও তা কোনোভাবেই মূল্যছাড় বাদ দিয়ে বিক্রি করা যাবে না। এছাড়া জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে মাস্কাট মিউনিসিপ্যালিটি খাদ্যসামগ্রীর গুণমান এবং স্টোরেজ সুবিধা নিশ্চিত করতে পরিদর্শন ও সার্বিক নজরদারি জোরদার করেছে।

মালয়েশিয়াতেও কমেছে দাম

পবিত্র রমজান উপলক্ষে মালয়েশিয়ায় ছোট-বড় শপিংমলে মূল্যছাড়ের নানা ঘোষণার ছড়াছড়ি দেখা যায়। দুই বছর বাদে এবারও তেমন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। এবারের রমজান উপলক্ষে দেশটির বেশিরভাগ পণ্যের দাম কমিয়েছে কর্র্তৃপক্ষ। চাল, ডাল, তেল থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব জিনিসের দাম কমেছে। ছাড় চলছে প্রসাধনী, পোশাকসহ অন্যান্য পণ্যতেও। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখার নির্দেশ দিয়ে খাবারের মান যথাযথ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

রমজান উপলক্ষে পুরো মালয়েশিয়ায় পণ্যের মান ও দাম পর্যবেক্ষণ করে প্রশাসন। আর সিটি করপোরেশন বছরের অন্যান্য সময়ের থেকে নজরদারি বাড়ায় এ মাসে। দেশটির সুপারশপ জায়ান্ট, লুলু, মাইডিন, এনএসকে, এয়ন বিগ-এর মতো চেইন শপগুলোতে নিয়মিত অনলাইন ও অফলাইনে চলছে ছাড়ের বিজ্ঞাপন। এমনকি জনপ্রিয় অনলাইন শপ লাজাডা ও শপির মতো সাইটগুলো রমজান উপলক্ষে দিয়েছে বিশেষ ছাড়। রমজান মাস ধর্মীয় রীতিনীতিতে পালন করতে অভ্যস্ত মালয়েশিয়ানরা। এ মাসে নামাজ আদায়, রোজা রাখার পাশাপাশি ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে পছন্দ করে তারা। রমজানের শুরু থেকেই নাইট ক্লাব, বার, মদের দোকানগুলোর ওপর আনা হয় বিধিনিষেধ। এমনকি দিনে কোনো মুসলমান রেস্তোরাঁয় বসে খাবারও খেতে পারে না।

অন্যান্য দেশের চিত্র

বিভিন্ন দেশ তাদের ধর্মীয় উপলক্ষ কিংবা উৎসবের সময় জিনিসপত্রের দাম কমোনার ঘোষণা দেয়। এসব উৎসব ঘিরে ইউরোপ-আমেরিকায় ছাড়ের হিড়িক পড়ে যায়। মাসখানেক আগে থেকেই শুরু হয় উৎসব। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, সাধারণ মানুষ বছরভর এ সময়টার জন্য অপেক্ষা করেন। এ সময় তারা সারা বছরের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনে রাখে। অবাক করার বিষয় হলো, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ নয়; তবুও রমজান উপলক্ষে অনেক দেশে পণ্যসামগ্রীর দাম কমানোর ঘোষণা দেওয়া হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ায় কোনো ধর্মীয় উৎসবের সময় দ্রব্যমূল্যর দাম বাড়ে না, রমজানও এর ব্যতিক্রম নয়। রমজানের শুরুতে পণ্যে ছাড় দেওয়া ইউরোপের দেশগুলোতে রীতিতে পরিণত হয়েছে। রমজানের শুরুতে মুসলমানরা এ সুবিধা পান। বিশেষ করে জার্মানিতে মুসলিম ব্যবসায়ীরা অভাবনীয় মূল্য ছাড় দিয়ে থাকেন। ফ্রান্সের মুসলিম ব্যবসায়ীরাও কম দামে জিনিসপত্র বিক্রি করেন। শুধু মুসলিম দেশ নয়, আমাদের কাছের দেশ থাইল্যান্ডেও রমজান মাস উপলক্ষে মুসলমানসহ সবার জন্য পণ্যে বিশেষ ছাড়ের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। রমজান উপলক্ষে ব্যবসায়ীরা তাদের আগের মুনাফা থেকে ছাড় দিয়ে ব্যবসা করেন। পণ্যের দাম না বাড়িয়ে সেখানে কমিয়ে দেন। আবার অনেক ব্যবসায়ী লাভবিহীন পণ্য বিক্রি করেন মাসজুড়ে। মূলত ধর্মীয় সম্প্রীতি আর সহনশীলতা বাড়াতে তারা এমন উদ্যোগ নেন।

বাংলাদেশের চিত্র

রোজার মাস এলে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী কখন কীভাবে পণ্যের দাম বাড়ানো যায়, সে ভাবনায় যেন ওঁৎ পেতে থাকেন। সরকার সচেষ্ট থাকে পণ্যের দাম যেন সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে থাকে। এ জন্য আগেভাগেই পর্যাপ্ত মজুদ নিশ্চিত করা হয় সরকারের পক্ষ থেকে, এবারও তা হয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি যে সাধারণ ভোক্তাদের অনুকূলে থাকবে- সেটা নিশ্চিত করে বলার সুযোগ নেই। দেশে পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও কৃত্রিম সংকট তৈরির জন্য প্রস্তুত থাকে ওইসব অসাধু ব্যবসায়ী। বাজারে পণ্যের সংকট তৈরি করে কোনো দৃশ্যমান কারণ ছাড়াই দাম বাড়ানো হয়। ব্যবসায়ীরা সুযোগ বুঝে এ সময়টাতেই চাহিদাসম্পন্ন পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। বড় ব্যবসায়ী থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সবার প্রবণতা এই সময় বেশি লাভ তুলে নেওয়ার। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে পবিত্র মাসে এমন অমানবিক কাজটি কেন হচ্ছে তা বোধগম্য নয়। দেশে ব্যবসায়ীদের ৯০ ভাগেরও বেশি মুসলমান, মুসলমান হয়েও পুণ্যের মাসে অপুণ্যের এমন কাজ তারা কীভাবে করেন? এর প্রতিকার দরকার, দরকার রোজায় প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ।


রমজান   বিদেশ   নিত্যপণ্য   দাম   বাংলাদেশ   মূল্যছাড়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ডিএমপির দুই পদে ৪ জনের বদলি

প্রকাশ: ১০:৩৩ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) পদ মর্যাদার দুই জন ও সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পদ মর্যাদার এক কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ডিএমপি জানায়, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ডিএমপি হাবিবুর রহমানের সই করা অফিস আদেশে এ বদলি করা হয়েছে।

আদেশে বলা হয়, নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের নামের পাশে উল্লিখিত স্থানে বদলি অথবা পদায়ন করা হলো। এতে আরও বলা হয়, এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

ডিএমপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত আসছে

প্রকাশ: ০৯:২৭ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খোলেনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গত ২১ এপ্রিল ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। ২৬ ও ২৭ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার হওয়ায় ৭ দিন বন্ধের পর ২৮ এপ্রিল পুনরায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা।

তবে তাপপ্রবাহ না কমায় এ ছুটি বাড়ছে নাকি ২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। অভিভাবকদের একটি অংশ এবং অভিভাবক ঐক্য ফোরাম নামে একটি সংগঠন অনলাইনে ক্লাস চালু রাখার দাবি তুলেছে। অনেকে আবার আরও কিছুদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার পক্ষে মত দিচ্ছেন।

তবে সিলেবাস শেষ না হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি না বাড়িয়ে অনলাইন ক্লাস চালুর চিন্তা করছে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। একই চিন্তা করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

জানা গেছে, দুয়েক দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্তারা বৈঠকে বসে ছুটি না বাড়িয়ে অনলাইন ক্লাস চালুর চিন্তা রয়েছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে আগের মতো ছুটি চান না অভিভাবকদের সংগঠন অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।

ফোরামের সভাপতি মো. জিয়াউল কবির দুলু বলেন, ছুটি বাড়ালে সিলেবাস শেষ করতে সমস্যায় পড়তে হবে। এ অবস্থায় একেবারে ছুটি না দিয়ে অনলাইনে ক্লাস বা বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

ছুটির বাড়ানোর বিষয়ে মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক সৈয়দ জাফর আলী বলেন, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে ক্লাস বন্ধ না রেখে অনলাইন কিংবা অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে কীভাবে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ভেতর রাখা যায়, সেই চিন্তা চলছে। তবে অনলাইন ক্লাসের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, আগামী রোববার থেকে ক্লাস খুলছে নাকি ছুটি বাড়ছে, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। যদি তাপপ্রবাহ না কমে তবে অনলাইন ক্লাস চালুর ভাবনা রয়েছে।

এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এতে আগামী পাঁচ দিনের আবহাওয়ায় উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার কথাও বলা হয়েছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   তীব্র তাপপ্রবাহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি

প্রকাশ: ০৯:১৬ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপপ্রবাহের পরিপ্রেক্ষিতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের জারি করা ‘হিট অ্যালার্ট’ বা তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তার সময় আরও তিন দিন বাড়ল। আগামী ৭২ ঘণ্টার জন্য নতুন সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তরে ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান এ তথ্য জানান।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, আমরা এর আগে তিনদিনের যে হিট অ্যালার্ট জারি করেছিলাম তার মেয়াদ আজ শেষ হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) থেকে আরও তিনদিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হবে। কারণ, আপাতত বড় পরিসরে বৃষ্টি হয়ে তাপপ্রবাহ দূর হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমরা হিট অ্যালার্ট জারি করে সরকারকে জানিয়ে দেই। সরকার সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। সংশ্লিষ্টরা তাদের করণীয় যা সেটা করবে।

তিনি বলেন, সারাদেশের তাপমাত্রা গতকালের থেকে আজ কিছুটা বেড়েছে। চলতি এপ্রিল মাসে তাপপ্রবাহ পুরোপুরি দূর হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমরা দেখছি যে এটা মে মাসের ২ থেকে ৩ তারিখ পর্যন্ত চলবে। এরপর হয়তো বিভিন্ন অঞ্চলে কিছু বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এর আগে পর্যন্ত বড় পরিসরে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। স্থানীয়ভাবে বিচ্ছিন্নভাবে কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে।

মো. আজিজুর রহমান বলেন, আপাতত দিনের তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখছি না। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তাপমাত্রা আর খুব বেশি বাড়ার সম্ভাবনা নেই।

হিট অ্যালার্ট   আবহাওয়া অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহত ৬

প্রকাশ: ০৮:৪০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকের ড্রাম ট্রাক উল্টে খাদে পড়ে গিয়ে ৬ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এতে  আহত হয়েছে আরও ৮ শ্রমিক। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সীমান্ত সড়কের কাজে নিয়োজিত শ্রমিক কাজ শেষে ফেরার পথে উদয়পুর সড়কের ৯০ ডিগ্রি নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরিন আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, ওই গাড়িতে মোট ১৭ জনশ্রমিক ছিলেন। দুর্গম এলাকা হওয়ায় উদ্ধার কাজটি কঠিন। পুলিশ ও সেনাবাহিনী আহতদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে প্রেরণ করছে।

সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতুলাল চাকমা জানান, স্থানীয়ভাবে খবর নিয়ে যেটা জেনেছি যারা গাড়িতে ছিলো সবাই সীমান্ত সড়কের কাজে নিয়োজিত শ্রমিক। এই সড়কে অনেক স্থানে উচু নিচু পাহাড় আছে। উদয়পুর সড়কের ৯০ ডিগ্রি নামক স্থানে গাড়ি নামার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়।

রাঙামাটি   সাজেক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা, প্রতিবাদে কুশপুত্তলিকা দাহ


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাটের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল রায়পুর। 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে ‘আমরা পৌরবাসী’র ব্যানারে নানা প্ল্যাকার্ড, ঝাড়– মিছিলসহ বিক্ষোভ করেন সহস্রাধিক নারী-পুরুষ। বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রায়পুর থানা সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। পরে আঞ্চলিক সড়কের পাশে মামলার বাদী মঞ্জুরুল আলমের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন বিক্ষুব্ধরা। 

মঞ্জুরুল আলম রায়পুর পৌরসভার দক্ষিণ দেনায়েতপুর এলাকার বাসিন্দা ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক সহকারী কমান্ডার।

এসময় মঞ্জুরুল আলমের দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও তার বিচার দাবি করেন বক্তারা।

এর আগে পৌরসভার নিয়ম নীতি না মেনে ঘর নির্মাণে বাধা দেয়ায় শুরু হয় বাকবিতন্ডা। পৌর কর্মচারীকে লাঞ্চিত করার দায়ে মঞ্জুরুল আলমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পৌর কর্তৃপক্ষ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গেলো ২৬ মার্চ মুক্তিযোদ্ধাদের একটি অনুষ্ঠানে মেয়রকে নানা কটাক্ষ করেন মঞ্জুরুল আলম। পরে রোববার (২১ এপ্রিল) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রায়পুর আদালতে মঞ্জুরুল আলম বাদী হয়ে রায়পুর পৌরসভার মেয়রসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। 

মামলার অন্য অভিযুক্তরা হলেন, রায়পুর পৌরসভার কার্যসহকারী মহিন উদ্দিন বিপু, কর্মচারী আলম মিয়া, সবুজ, মাহমুদুন্নবী ও আবু তাহের সাগর।


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন