২৪ এপ্রিল
২০২৩ বাংলার রাজনীতি ও রাষ্ট্রব্যবস্থার এক ঐতিহাসিক দিন। এই দিন টানা ১০ বছর ১১
দিন সকলের সমর্থন নিয়ে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব শেষ করেছেন জনাব আব্দুল হামিদ। আর একই সময়ে আগামী পাঁচ বছরে জন্য দায়িত্ব
পেয়েছেন সাবেক বিচারক, বাংলাদেশ
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জনাব মোঃ সাহাবুদ্দিন। মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে
বাংলার ইনসাইডার লেখকদের পক্ষ থেকে
এবং আমার পক্ষ থেকে স্বাগতম। যতই জানছি ততই মুগ্ধ হয়েছি মহান এই নেতার অবদান ও
কৃতিত্ব সম্পর্কে জেনে।
দীর্ঘ
দিনের স্বপ্ন ছিল - পদ্মা সেতু হয়ে বাড়ি যাবো।
আমি খুলনায় পড়াশোনা করেছি - খুলনার বন্ধুরা যখন সেখানে বেড়াতে যেতে বলতো
তখন বন্ধুদের বলতাম - আমি পদ্মা সেতু ছাড়া খুলনা যাবো না। সেই প্রাণের সেতু নিয়ে যখন দেশি -আন্তর্জাতিক
রাজনীতি শুরু হয়ে গেলো তখন অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে জাতি ও সরকারকে একটি
অপবাদের হাত থেকে রক্ষা করেছেন সাবেক বিচারক ও তৎকালীন দুর্নীতি দমন
কমিশনের সদস্য জনাব মোঃ সাহাবুদ্দিন।
জনাব মোঃ
সাহাবুদ্দিন একজন পরীক্ষিত দেশ প্রেমিক।
১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হলে কোথাও কারও
মাঝে প্রতিবাদ করবার সাহস দেখিনি। সেই
কঠিন সময়ে একটি প্রতিবাদ করে জনাব মোঃ সাহাবুদ্দিন এক ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন
করেছেন। ওই প্রতিবাদের জন্য তাকে তিন বছর
জেলে থাকতে হয়েছে ডাণ্ডাবেড়ি পরে।
নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তার পরিবার পরিজন।আমাদের সমবেদনা আপনার ও আপনার পরিবারের প্রতি-সেই কষ্টের দিনগুলো অতিক্রম করে আপনি আজ আমাদের
আচার্য ও রাষ্ট্রপতি।
২০০৯ সালে
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ২৫ ফেব্রুয়ারী ওই ‘৭৫ এর হত্যাকারীরা সরকার উৎখাতের কদাকার আকাংখায় ৫৭ জন সামরিক অফিসারকে
নির্মমভাবে হত্যা করে। মাত্র ৫০ দিনের
ব্যাবধানে একটি সরকারকে উৎখাতের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে উত পেতে থাকে হায়েনারা। আর অমনি তারা ঝাঁপিয়ে পড়ে একটি মিথ্যা
প্ররোচনায় যখন পদ্মা সেতুর স্বপ্ন বাস্তবতায় রূপ লাভ করেছে।আন্তর্জাতিক মহলে
বিষয়টি এতটা সাড়া পড়ে যে সকলেই মুখ ফিরিয়ে নেয় অর্থায়ন করা থেকে।
সেই
ক্রান্তিকালে আমাদের আপা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাল ধরেন শক্ত করে। আর তার সঙ্গে ছিলেন আজকের রাষ্ট্রপতি মোঃ
সাহাবুদ্দিন। জনাব সাহাবুদ্দিন দায়িত্ব
নেন দুর্নীতি অভিযোগ মিথ্যা প্রমানে এবং মাননীয় প্ৰধানমন্ত্ৰী দায়িত্ব নেন নিজের
অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণে টাকা সংস্থানে।
সেই পদ্মাসেতুর টাকা জোগাড় করতে বিশেষ অবদান রেখেছেন রাখাল থেকে বাংলাদেশ
ব্যাংক এর গভর্নর অধ্যাপক আতিউর রহমান।আমাদের
কৃতজ্ঞতা মাননীয় প্ৰধানমন্ত্ৰী, মহামান্য রাষ্ট্রপতি জনাব মোঃ সাহাবুদ্দিন ও অধ্যাপক আতিউর রহমানের প্রতি। কারণ পদ্মা সেতু এখন আর স্বপ্ন নয় বাস্তব।
পদ্মা
সেতুর দুর্নীতির অভিযোগ মিথ্যা প্রমান কেবল জনাব মোঃ সাহাবুদ্দিন করেননি। সেটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে কানাডার
আদালতে। এটি একটি আন্তর্জাতিক ঐতিহাসিক
ঘটনা। বিশ্বব্যাংককে ভয়ে ভয়ে মোকাবেলা করে
সারা পৃথিবীর দরিদ্র দেশ গুলো। সাবাশ
বাংলাদেশ - সাহসের প্ৰতীক - ঘোল খায়িয়ে দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংককে। যতবার পদ্মা সেতু অতিক্রম করি আর ততবার ভাবি
জনাব মোঃ সাহাবুদ্দিন ও অধ্যাপক আতিউর রহমান এবং জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা শেখ
হাসিনার কথা। সাহসের প্ৰতীক মোঃ
সাহাবুদ্দিন ও দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতে বাংলাদেশ। যতই আসুক তুফান , দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাবে
বাংলাদেশ। উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশকে
এগিয়ে নিয়ে যেতে বিশ্বব্যাংক তাদের ভুল বুঝতে পেরে আজ বিশ্ব ব্যাংক পালন করছে
বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি। সেখানে প্রধান
অতিথি হয়ে ওয়াশিংটনে আছেন বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করছেন
- সাবধান - আম ও ছালা উভয় হারাতে হবে।
মহামান্য
কেবল রাষ্ট্রপতি নন তিনি এক মহাকাব্যের মহানায়ক । তিনি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর
অভিভাবক- আচার্য । তার অভিভাববকত্বে আমাদের শিক্ষার মান উন্নত হবে। আমরা সফল হবো প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে
র্যাংকিংয়ে নিয়ে যেতে। সেজন্য আচার্য
হিসেবে তিনি আমাদের সমস্যা , অভিযোগ ,
সম্ভাবনা সম্পর্কে
শুনবেন।
অতীতের
সকল আচার্য থেকে তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ আচার্য হিসেবে তিনি তার কর্মের মাধ্যমে
প্রতিষ্ঠা করতে সমর্থ হবেন সেই দোআ আমাদের সকলের পক্ষ থেকে।
অন্যায়ের
বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবার সাহস মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আমাদের বর্তমান
ও আগামী প্রজন্মর মহাপুরুষ।আমার মতে, তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা- কারণ কোনো ভয়ভীতি বা অজ্ঞতা তাকে দমাতে
পারেনি বলেই তিনি ১৯৭৫ সালে প্রতিবাদ করেছেন, শক্তভাবে দুর্জনের মোকাবেলা করেছেন
২০১১-২০১৭ সাল পর্যন্ত দুদুক কমিশনার হিসেবে।এবং ১৯৭১ সালে তরুণ বয়সে মুক্তিযুদ্ধ
করে আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে বিশেষ ভুমিকা রেখেছেন।আমরা তার পরিবার পরিজনের সুখ ,
সমৃদ্ধি ও মঙ্গল
কামনা করি।
মহামান্য
রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় , জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় , রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় , চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, শাজালাল বিশ্ববিদ্যালয় , খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট,
কৃষি
বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য , মুক্তিযোদ্ধা
মোঃ শাহাবুদ্দিনকে অভিবাদন , স্বাগতম।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
দেশে একটি সুষ্ঠু
নির্বাচন করা এবং সেটাকে দেশে-বিদেশি সবার কাছে যোগ্য করে তোলার আসল কাজটি করতে হয়েছে
রাষ্ট্রপতিকে। এই কাজটি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শেষ পর্যন্ত খুব ভালো ভাবে এবং
সফল ভাবে করতে সক্ষম হয়েছেন। গত এক বছরে এটিই এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির সেরা অর্জন বা
সেরা সাফল্য বলে আমি মনে করি। রাষ্ট্রপতি যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ
ভাবে না করতে পারতেন তাহলে দেশের গণতন্ত্র এক বড় ঝুঁকির মধ্যে পড়ত। কিন্তু রাষ্ট্রপতি
সেটি ভালো ভাবে সামাল দিতে পেরেছেন। আমাদের গণতন্ত্র রক্ষা পেয়েছে, গণতন্ত্রের জয় হয়েছে।
আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে এ কথা না বললেই নয় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিনকে নিয়ে আমি ব্যক্তিগত ভাবে গর্বিত। কারণ দেশের এক নম্বর নাগরিক বা
রাষ্ট্রপতি হওয়া সত্বেও তিনি যেভাবে সবার সাথে মিশেন সেটা অতুলনীয়। একজন মানুষ প্রকৃত
অর্থেই মাটির মানুষ না হলে তার পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। এখনও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের
গায়ে গ্রামের সেই ধুলোবালির গন্ধ পাওয়া যায়। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার যে ধ্যান
ধারণা থাকার কথা সেটাও তার মধ্যে অত্যন্ত প্রখর এবং সেই চেতনা তিনি সকলের মাঝে ছড়িয়ে
দেয়ার চেষ্টা করেন বলেই আমার কাছে দৃশ্যমান হয়। সেজন্য আমি ব্যক্তিগত ভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগ ধন্যবাদ দিতে চাই যে, তারা এ রকম একজন রাষ্ট্রপতিকে
এই পদে মনোনয়ন দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের মনোনয়ন শুরুতে সবাইকে অবাক
করলেও সেটা ছিল আমাদের অগত্যা। কারণ অনেকে তার সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানতেন না। অথচ তিনি
একজন স্থানীয় নেতা হয়েও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছিলেন। এমনকি
পাবনার মত একটি জেলা শহরে থেকে তিনি এটি করেছেন। আমরা সেটার মাহাত্ম্য বুঝতে না পারলেও
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকরী ষড়যন্ত্রকারীরা ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন আর সেজন্য রাষ্ট্রপতিকে গ্রেপ্তার
করেছিলেন। আমি প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফের কাছে শুনেছি যে রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন এবং তার (প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফ হাত পা খাটের
সাথে বেঁধে রাখা হয়েছিল। এভাবে অনেক দিন তিনি জেল খেটেছেন। এরপর তিনি জেলে থেকেই আইন
পাশ করেন। তিনি পরীক্ষা দিয়ে চাকরি নেন এবং জেলা জজ পর্যন্ত হয়ে তিনি তার চাকরির জীবন
শেষ করেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত হন। তিনি আওয়ামী
লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হিসেবে এবং আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের নির্বাচন কমিশনের
প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন
করছেন। রাষ্ট্রপতি হলেও এখনও তিনি আগের মতই সহজ-সরল রয়ে গেছেন। তার এই সরলতা ইতিমধ্যে
সাধারণ মানুষের মন জয় করেছে।
গত এক বছরে রাষ্ট্রপতির আরেকটি উল্লেখ্য করার মত সাফল্য হল যে,
তিনি এমন ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন বা এখন পর্যন্ত তার কাজকর্ম কিংবা সিদ্ধান্তগুলো
দেখে বুঝার উপায় নেই যে তিনি আগে কখনও কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। রাষ্ট্রের
অভিভাবক হিসেবে তিনি তার নিরপেক্ষতা ধরে রাখতে পেরেছেন। রাষ্ট্রের সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা
পেয়েছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন সহ সর্বশেষ তিনজন রাষ্ট্রপতি গণ মানুষের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিজেকে
প্রমাণ দিতে পেরেছেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, এরপর অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ
এবং মো. সাহাবুদ্দিন তারা প্রত্যেকই অতি সাধারণ জীবন যাপন করে আপামর জনগণের মন জয় করে
নিতে পেরেছেন। রাষ্ট্রপতি হবার আগে যে সাধারণ জীবন যাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি হবার পরও
একই ভাবে থেকেছেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকায় এমন রাষ্ট্রপতিও আছেন যারা রাষ্ট্রপতি
হবার আগে এক রকম ছিলেন পরে আবার অন্যরকম ভাবে আবির্ভূত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি হবার আগে
যে আদর্শ ধারণ করতেন রাষ্ট্রপতির চেয়ার বসলে তাদের সেই আদর্শের বিচ্যুক্তি ঘটে। কিন্তু
এক্ষেত্রে এই তিনজন ব্যক্তি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। তারা আগে যা ছিলেন রাষ্ট্রপতি হবার
পর একই রকম থেকেছেন, আদর্শচ্যুত হননি। মো. সাহাবুদ্দিন যে আদর্শ ধারণ করেন সেই আদর্শে
তিনি তার কাজকর্ম সফলতা সাথে করে যাচ্ছেন। আমরা তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৯:২৬ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দেশের শীর্ষ স্থানীয় গণমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ বিক্রির বিষয়টি এখন ‘টক অব দ্য টাউন’। বাংলাদেশের বিভিন্নি গ্রুপ কোম্পানি এই প্রতিষ্ঠানটি কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছে বলেও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যদিও প্রতিষ্ঠানটির সম্পাদক মতিউর রহমানের এতে শেয়ার রয়েছে। তিনিও প্রতিষ্ঠানটির মালিক। মালিকানা থাকলেও এখন মতিউর রহমান তার সম্পাদক পদটা নিশ্চিত করতে চান। সেজন্য তিনি কর্ণফুলী গ্রুপের কাছে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি করার জন্য খুব আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন বাস্তব কারণে কর্ণফুলীগ্রুপের কাছে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রির বিষয়টিতে রাজি হয়নি বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
প্রথম দফায় উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন শেষ হয়েছে গতকাল। কিন্তু অবাক করার বিষয় যে, একমাত্র পলকের শ্যালক ছাড়া আর কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। অথচ আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনা আছে যে, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা কেউ নির্বাচন করতে পারবেন। দলের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা ইতোমধ্যে সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাদেরকে প্রত্যাহারের জন্য তিনি নির্দেশও দিয়েছেন। তিনি শেষ পর্যন্ত কেউই তা মানেননি। এতে করে সুস্পষ্ট ভাবে তারা আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনাকে অমান্য করেছে। যা দলীয় সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন এবং গুরুতর অপরাধও বলে আমি মনে করি।
দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি যে নতুন সরকার গঠন করেন আজ তার ১০০ তম দিন। এক কঠিনতম সময়ে তিনি এই সরকার গঠন করেছেন। কিছু বুদ্ধিজীবী নির্বাচনের আগে আগে নানান রকম কথাবার্তা বললেও সাধারণ মানুষ ঠিকই জানত যে, শেখ হাসিনাই আবার সরকার গঠন করবেন। কারণ তারা জানেন যে, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। সরকার গঠনের পরও কিন্তু তাকে কঠিনতম সময় পার করতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি সফলতা পাচ্ছেন। এজন্য একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমিও মনে করি যে, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই।
বারো বছর আগের কথা। ডেভিড ক্যামেরুন তখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সে সময় একদিন তিনি একটি হাসপাতালের ওয়ার্ডে ঢুকে পড়লেন। রোগীর অনুমতি সাপেক্ষে রোগীর সাথে ছবি তুলতে গেলেন। বাঁধ সাধলেন ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা একজন চিকিৎসক। জীবাণু প্রতিরোধের কোন পদক্ষেপ না নিয়ে এবং চিকিৎসকের অনুমতি ব্যতিরেকে তিনি ওই কাজটি করছিলেন। ডেভিড ক্যামেরুন তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছিলেন সাথে সাথে। ক্ষমা চাইলেন এবং ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে গেলেন।