আমার ডিপার্টমেন্টের একজন বড় ভাই। সদাহাস্য, সদালাপী, চলাফেরা, পোষাকে-আশাকে অত্যন্ত স্মার্ট একজন মানুষ। ছাত্র হিসাবে কেমন, জানা নেই। তবে তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের সুযোগ্য নেতা ছিলেন। নাম ডাঃ এস এম বি এফ এ সবুর। আমরা ছোটরা ‘সবুর ভাই‘ বলে সম্বোধন করতাম। উনার বন্ধুরা দুষ্টুমি করে ডাকতো ‘A-Z সবুর'। মূল নাম লিখতে capital ও small letter মিলে ৫ টি বর্ণ ব্যবহৃত হলেও নামের টাইটেল হিসাবে ৬ টি capital letter ব্যবহার করা হচ্ছে। যদিও এই ৬ টি বর্ণে কি বুঝায় বা অর্থ কি, আমার জানা নেই বা জানতে চেষ্টাও করিনি। এমনি আরও একটি উদাহরণ আরেকজন সাবেক ছাত্রনেতা, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ছিলেন, বর্তমানে খুবই সম্মানিত ব্যক্তি। ময়মনসিংহ শহরে অবস্থিত, সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের সফল অধ্যক্ষ এ কে এম আব্দুর রফিক। ৯০ এর দশকে যখন রাজনৈতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত নাজুক, সেসময়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদে (বাকসু ৮৮-৮৯) বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মনোনীত ‘রফিক-আওলাদ‘ পরিষদ পূর্ণ প্যানেলে জয়ী হয়েছিল। আমরা দুজন একই হলের একই ফ্লরে পাশাপাশি রুমে অবস্থান করলেও, আমি কখনই জানতে পারিনি ‘এ কে এম‘ বর্ণ তিনটির অর্থ কি।
এই বর্ণগুলো নামের টাইটেল বা সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য ব্যবহার করা হলেও, এই বর্ণগুলোর সাথে মূল নামের শুধুমাত্র আদ্যক্ষর ব্যবহার করে সম্বোধন করা হলে ভিন্ন অর্থ দাঁড়ায় যাহা লঙ্কাকান্ড ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে। তাই কোথায়ও কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামের শুধুমাত্র আদ্যক্ষরগুলি ব্যবহার করা উচিত নয়।
এই কথাগুলো অবতারণা করার উদ্দেশ্যে ভিন্ন। আলোচনা দীর্ঘ না করে সরাসরি বলছি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দেশবরেণ্য ব্যক্তিদের দেশ ও সমাজের জন্য বিভিন্ন ধরনের অবদান রয়েছে। রাজনীতি, শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষি, গবেষণা, সমাজসেবা, ইত্যাদি বিষয়ে ঐ সকল গুনীজনদের নিজ নিজ অবদানের জন্য সম্মানিত করা বা তাদের অবদানকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে ঐ সকল গুনিজনের নামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ভবন বা রাস্তাঘাটের নামকরন করা হয়ে থাকে। তেমনিভাবে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাধারণ মানুষের চিকিৎসার সুবিধার্থে রাজধানী ঢাকার শাহবাগ এলাকায় অবস্থিত হোটেল শাহবাগ এর ভবনগুলো ব্যবহার করে পোষ্ট গ্রাজুয়েট হসপিটাল স্থাপন করেছিলেন, যাহা সংক্ষেপে ‘পি জি হসপিটাল‘ হিসেবে পরিচিত ছিল। ১৯৯৬ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে চিকিৎসা বিজ্ঞানকে আরও উন্নত করার লক্ষ্যে পিজি হসপিটাল কে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়‘ নামকরন করে। ইংরেজিতে Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman Medical University (BSMMU).
কয়েকদিন পূর্বে কোন এক সামাজিক অনুষ্ঠানেএকজন সিনিয়র চিকিৎসক নিজ পরিচয় দিতে গিয়ে বললেন, আমি ডাঃ ‘.....', প্রফেসর বিএসএমএমইউ। এই পরিচয় শুনে আমার মনে প্রশ্ন জাগলো, তিনি এখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নামটি ব্যবহার করলেন না কেন। উনার সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত জানতে পারলাম। তিনি আওয়ামীলীগ ঘরানার একজন সিনিয়র চিকিৎসক। ছাত্র জীবনেও ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ধরে নেওয়া যাক, এটা উনার ইচ্ছাকৃত ভুল নয়। সংক্ষেপে বলার সুবিধার্থে ‘বিএসএমএমইউ‘ ব্যবহার করেছেন। অথচ তিনি পরিচয়ে বঙ্গবন্ধুর নামটা পুরো ব্যবহার না করে আদ্যক্ষরগুলি ব্যবহার করলেন। যাহা আমার মনে প্রশ্ন জাগতে সহায়তা করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংসংক্ষিপ্ত রূপ হওয়া উচিত নয়। বঙ্গবন্ধুর পুরো নাম উচ্চারণ না করে শুধুমাত্র আদ্যক্ষরগুলি ব্যবহার করলে সকল মুজিব প্রেমিক, স্বাধীনতার পক্ষের সাধারণ মানুষের মনে একই প্রশ্ন জাগতে পারে। শুধুমাত্র এই আদ্যক্ষরগুলি থেকে পরবর্তী প্রজন্ম জানতে পারবেনা বা জানার চেষ্টাও করবেনা যে এই অক্ষরগুলোর মধ্যে বাঙালি জাতির পিতার নাম লুকায়িত রয়েছে। এই অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি করার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষেরও কিছু ভুল রয়েছে বলে মনে করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুউচ্চ ভবনের চূড়ায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশদ্বারে নান্দনিক তোরণ নির্মাণ করে সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নামের পাশে ‘বিএসএমএমইউ‘ লেখা রয়েছে, যাহা সাধারণ মানুষকেও বলার সুবিধার্থে এই প্রতিষ্ঠানের নাম ‘বিএসএমএমইউ‘ বলে অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি করতে উৎসাহিত করছে।
দেশের অশিক্ষিত বা অর্ধশিক্ষিত সাধারণ মানুষ অনেকেই অজ্ঞতাবশতঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে এখনও ‘পিজি হাসপাতাল‘ বললে এই অনিচ্ছাকৃত ত্রুটিকে ক্ষমা করা যায়। কিন্তু প্রায়ই লক্ষ্য করা যায় শিক্ষিত, উচ্চ শিক্ষিত অনেকে এবং আওয়ামীলীগ এর অনেক নেতাকর্মীরাই শুধু নয় ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তারাও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম সংক্ষিপ্তভাবে ‘বিএসএমএমইউ‘ ব্যবহার করে থাকেন। অশিক্ষিতদের অজ্ঞতাজনিত ভুলত্রুটি ক্ষমার যোগ্য হলেও শিক্ষিতদের অনিচ্ছাকৃত ত্রুটিকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা প্রয়োজন। কারন তাদের এই অবহেলার কারণে পিজি হাসপাতালের ন্যায় পরবর্তী প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এর নাম বিএসএমএমইউ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। ফলে যে উদ্দেশ্যে চিকিৎসা বিজ্ঞানে উচ্চ শিক্ষা প্রদান করার জন্য স্থাপিত দেশের প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়টির নামকরনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম আনা হয়েছে, সেই উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে।
তাই প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নামটি যথাযথ ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রতিষ্ঠানের ভবন, প্রবেশদ্বার সহ সকল ক্ষেত্রে ‘বিএসএমএমইউ‘ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা উচিত। পরবর্তী প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নাম যথাযথভাবে উপস্থাপন করতে প্রয়োজনে আইন প্রণয়ন করা যেতে পারে।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৯:২৬ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
এখন টক অফ দ্য কান্ট্রি হচ্ছে প্রথম আলো বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। যদি
প্রথম আলো কে বা কারা কিনবে সেটা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত না। তবে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর
রহমান চাইবেন কোথায় গেলে তার চাকরির নিশ্চয়তা থাকবে। সেভাবেই তিনি বিক্রি করার চেষ্টা
করবেন।
প্রথম আলো বিক্রির বিষয়টির পাশাপাশি একই রকম আরেকটি প্রশ্ন সামনে
আসছে। আর সেটা হলো প্রথম আলোর পরে কে? তাহলে কি প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টার? তবে এটা
নির্ভর করবে প্রথম আলোর কি ভাগ্য হয় তার ওপর। আমার ধারণা যারাই প্রথম আলো কিনেন না
কেন তারা প্রথম দিকে মতিউর রহমান সাহেবকে রাখলেও পরবর্তীতে ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে
সম্পাদক পরিবর্তন করবে। আর প্রথম আলো যদি কোন যুক্তিপূর্ণ লোকের কাছে দেয় তাহলে আমার
মতে এখানে সম্ভবত আনিসুল হক সাহেব সম্পাদক হবেন। কারণ তার প্রতি লোকের অনেক শ্রদ্ধাবোধ
আছে এবং তিনি সবসময় একটা রেড লাইন রক্ষা করে চলেন। এটা আমরা সকলেই জানি। তার সাথে
অনেকেরই ভালো সম্পর্ক এবং তিনি খুবই জ্ঞানী
লোক।
এর আগে মতিউর রহমান যখন একতা থেকে আজকের কাগজে যান, তখন তার উদ্দেশ্যই
ছিল যে, একটি পত্রিকা কীভাবে চলে সেটা শেখা এবং এখান থেকে একসাথে সাংবাদিক নিয়ে বেরিয়ে
যাওয়া। তিনি সেটা করেছিলেন। তারপর ভোরের কাগজ থেকে একই কাজ করেছেন। সুতরাং তার সত্যিকারের
নীতিবোধ বলতে যেটা বোঝায় সেটা দুর্ভাগ্যবশত তিনি প্রমাণ করতে পারেননি।
তিনি এক সময় কমিউনিস্টদের সাথে থাকলেও এখন তার চেয়ে বড় দক্ষিণপন্থী
পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়াই কঠিন। এ কারণে প্রথম আলো যে বিক্রি হবে এই ব্যাপারে সাধারণ লোকের
ভিতরে এখন আর কোন সন্দেহ নেই।
এখন প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টারের কী হবে এই নিয়ে আলাপ আলোচনা হচ্ছে
এবং এই আলাপ আলোচনা খুব দীর্ঘদিন যে চলবে তা না। আমার মনে হয় জুন-জুলাই মাসের ভিতরেই
এর একটা ফয়সালা হয়ে যাবে। কারণ স্বাভাবিক ভাবেই বুঝি যে, একটি পত্রিকা পাঠকপ্রিয়তা
পেতে বেশ সময় লাগে। এটা একদিন দুইদিনের ব্যাপার না। আবার ঠিক তেমনিভাবে যখন পাঠকপ্রিয়তা
কমতে থাকে সেটাও একদিন দুইদিনে হয় না। ধীরে ধীরে হয়। এই মিডিয়া জগতের নিয়মই তাই।
আমি ১৯৬১ সালে পত্রিকা বলতে শুধুমাত্র ইত্তেফাক এর কথাই জানতাম।
সেই ধারণা থেকে বলতে পারি এখন প্রথম আলোর যদি কিছু কর্মী এর চেয়ে ভালো কোন সুযোগ সুবিধা
দেখেন তাহলে তারা বিক্রি হওয়ার আগেই চলে যাবেন। কারণ স্বাভাবিকভাবেই একজন সাংবাদিকের
একটা ক্যারিয়ার আছে এবং প্রথম আলোর মতো পত্রিকাতে কাজ করে তিনি তো যে কোন পত্রিকায়
যেতেও পারবেন না। তার কারণ গেলে তার ওই লেখার যে মান সেটা মূল্যায়ন নাও হতে পারে। তবে
আমার ধারণা প্রথম আলোতে কাজ করেছেন এমন যে কাউকে টেকনিক্যাল গ্রাউন্ডে অনেক গুরুত্ব
দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে আমি অবাক হব না যদি দু এক মাসের ভিতরে দেখা যায় যে আস্তে আস্তে
প্রথম আলো বিভিন্ন কর্মী অন্য পত্রিকায় যাওয়া শুরু করে দিয়েছেন।
ব্যাংক মার্জারের যেমন একটি ঘটনা বর্তমানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ঠিক
তেমনি পত্রিকা জগতেও শিল্প গোষ্ঠীর যে গন্ডগোলের ঘটনা ঘটেছে এটিও ব্যাংক মার্জারের
ঘটনার পর্যায়ে চলে যাবে। ব্যাংকিং ক্ষেত্রে দেখা যায়, দুটি ব্যাংক একীভূত হচ্ছে। আর
এদিকে দেখা যাবে, সংবাদকর্মীরা অন্য পত্রিকায় চলে যাচ্ছে।
তবে আমার মনে হয় না, এখন যে অবস্থা চলছে এতে প্রথম আলো আর আগের
মতো প্রথম আলো থাকতে পারবে। এটা কিছুতেই সম্ভব না এটি মোটামুটিভাবে নিশ্চিত। তাই আমার
মনে হয় প্রথম আলো সেই ব্যাংক মার্জারের পর্যায়ে চলে এসেছে। এখন অন্য পত্রিকা যাদের
আছে, তারাও প্রথম আলো কিনে নিতে পারেন। এটি সম্ভব। এরকম শিল্পগোষ্ঠীর কোন কমতি বর্তমানে
বাংলাদেশে নেই। যে কোন শিল্প গোষ্ঠীই এটা কিনবে।
তবে আমি আশা রাখব, যারাই প্রথম আলো কিনবে, তারা যেন অন্তত পক্ষে
এটা খেয়াল রাখে যাতে সাংবাদিকদের কোন ক্ষতি না হয়। সুতরাং এদেশের একজন সাধারণ নাগরিক
হিসেবে আমার দাবী হচ্ছে সাংবাদিকরা যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৯:০৬ পিএম, ১৫ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রথম দফায় উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন শেষ হয়েছে গতকাল। কিন্তু অবাক করার বিষয় যে, একমাত্র পলকের শ্যালক ছাড়া আর কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। অথচ আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনা আছে যে, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা কেউ নির্বাচন করতে পারবেন। দলের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা ইতোমধ্যে সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাদেরকে প্রত্যাহারের জন্য তিনি নির্দেশও দিয়েছেন। তিনি শেষ পর্যন্ত কেউই তা মানেননি। এতে করে সুস্পষ্ট ভাবে তারা আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনাকে অমান্য করেছে। যা দলীয় সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন এবং গুরুতর অপরাধও বলে আমি মনে করি।
দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি যে নতুন সরকার গঠন করেন আজ তার ১০০ তম দিন। এক কঠিনতম সময়ে তিনি এই সরকার গঠন করেছেন। কিছু বুদ্ধিজীবী নির্বাচনের আগে আগে নানান রকম কথাবার্তা বললেও সাধারণ মানুষ ঠিকই জানত যে, শেখ হাসিনাই আবার সরকার গঠন করবেন। কারণ তারা জানেন যে, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। সরকার গঠনের পরও কিন্তু তাকে কঠিনতম সময় পার করতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি সফলতা পাচ্ছেন। এজন্য একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমিও মনে করি যে, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই।
বারো বছর আগের কথা। ডেভিড ক্যামেরুন তখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সে সময় একদিন তিনি একটি হাসপাতালের ওয়ার্ডে ঢুকে পড়লেন। রোগীর অনুমতি সাপেক্ষে রোগীর সাথে ছবি তুলতে গেলেন। বাঁধ সাধলেন ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা একজন চিকিৎসক। জীবাণু প্রতিরোধের কোন পদক্ষেপ না নিয়ে এবং চিকিৎসকের অনুমতি ব্যতিরেকে তিনি ওই কাজটি করছিলেন। ডেভিড ক্যামেরুন তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছিলেন সাথে সাথে। ক্ষমা চাইলেন এবং ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে গেলেন।
এখন টক অফ দ্য কান্ট্রি হচ্ছে প্রথম আলো বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। যদি প্রথম আলো কে বা কারা কিনবে সেটা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত না। তবে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান চাইবেন কোথায় গেলে তার চাকরির নিশ্চয়তা থাকবে। সেভাবেই তিনি বিক্রি করার চেষ্টা করবেন। প্রথম আলো বিক্রির বিষয়টির পাশাপাশি একই রকম আরেকটি প্রশ্ন সামনে আসছে। আর সেটা হলো প্রথম আলোর পরে কে? তাহলে কি প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টার? তবে এটা নির্ভর করবে প্রথম আলোর কি ভাগ্য হয় তার ওপর