ডেঙ্গু সংক্রমণের মাত্রা এ বছর গত ২০১৯ সালের ন্যায় সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে এক আতঙ্কের পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং বড় আকারের স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। করোনাভাইরাসের মহাতাণ্ডবকালে ডেঙ্গু হয়েছে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’। সাথে আছে দোসর চিকনগুনিয়া। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৈশি^ক মহামারী হিসেবে সারা পৃথিবীর জনজীবন প্রায় অচল করে দিয়েছে। আর এ আতঙ্ক ও বিপদের মধ্যে মারণঘাতী আপদ হিসেবে দেখা দিয়েছে ডেঙ্গু জ্বর। আর এ আপদ তথা ডেঙ্গু জ¦রের প্রাদুর্ভাবের জন্য আমাদের অসচেতনতা, জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব এবং বর্জ্য বর্জনের খারাপ অভ্যাসই প্রধানত দায়ী।
বাংলাদেশের এ ভূখণ্ডে ডেঙ্গু জ্বরের উপস্থিতি ১৯৬৪ সালে প্রথম শনাক্ত হয়। তবে সংক্রমণের ঘটনা ছিল খুবই নগণ্য। প্রাদুর্ভাব আকারে ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ এ দেশে শুরু হয়েছে বর্তমান শতকের শুরুতেই। এটি প্রধানত আফ্রিকা মহাদেশের রোগ এবং ঐ মহাদেশের অধিকাংশ দেশে এ রোগের প্রাদুর্ভাব আছে। অনেক আগে থেকেই উনবিংশ শতাব্দীর শেষে এটি বিভিন্ন ট্রপিক্যাল ও সাব-ট্রপিক্যাল দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এটি মশাবাহিত রোগ, কাজেই এ রোগ কখনই পোলিও রোগের মতো নির্মূল করা যাবে না। তবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে। ডেঙ্গু, ভাইরাস নামক এক ধরণের সংক্রমণের কারণে সৃষ্ট এ রোগে তীব্র জ¦র ও অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয়। এ ভাইরাসের ৪টি সেরোটাইপ আছে, যেগুলোকে ১,২,৩ ও ৪ নং সেরোটাইপ বলে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। যে সেরোটাইপের ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ডেঙ্গু হবে, পরবর্তীতে অন্য সেরোটাইপের ভাইরাস থেকে ডেঙ্গু রোগ হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। কাজেই, একজন লোক সর্বোচ্চ ৪ বার ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে দ্বিতীয়বার বা পরবর্তীতে পুনরায় আক্রান্ত হলে রোগীর খারাপ অবস্থা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এডিস ইজিপ্টাই নামক মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে। এ মশা আরও ৩টি প্রাণঘাতী ভাইরাসের বাহক এবং সেগুলো হচ্ছে- চিকুনগুনিয়া, জিকা ও ইয়োলো ভাইরাস। ইতোমধ্যে এ দেশে ২০১৭ সাল থেকেই দৃশ্যমান আকারে চিকুনগুনিয়ার সংক্রমণ শুরু হয়েছে। কিন্তু জিকা ও ইয়োলো ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে এক মহাসমস্যার সৃষ্টি হবে। কাজেই, এডিস ইজিপ্টাই মশা ও ডেঙ্গু রোগের প্রতিরোধ কার্যক্রম সফল না হলে অচিরেই জিকা ও ইয়োলো ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হতে পারে। যেহেতু মশাবাহিত রোগ, তাই একবার আস্তানা গাড়লে- সহজে ছেড়ে যাবে না। প্রতি বছর এজন্য রোগ ও মৃত্যুর বিনিময়ে মাশুল দিতে হবে।
জীবন ধারণের জন্য মশা ফুলের মধু, পাতার রস এসবের ওপরই নির্ভরশীল। যেহেতু বংশ বৃদ্ধি যে কোন প্রাণির একটি সহজাত প্রবৃত্তি। সে কারণেই, ডিম পরিস্ফুটনের জন্য রক্তের প্রয়োজন বিধায় স্ত্রী জাতীয় সকল প্রজাতির মশা রক্তের জন্য মানুষ ও প্রাণির দেহে হুল ফুটায় ও রক্ত সংগ্রহের সময় রোগ সংক্রমণ ঘটায়। মশা গড়ে কম-বেশি দেড় মাস বাঁচলেও একটি পূর্ণাঙ্গ মশা উপযুক্ত পরিবেশ পেলে প্রতি তিন দিনে একবার ডিম পাড়ে। সে কারণেই মশার বংশ বৃদ্ধি ও বিস্তার অনেক অনেক বেশি। ডেঙ্গু ছড়ানোর জন্য দায়ী এডিস প্রজাতির এ মশা খুবই অল্প পানিতে (১ চা-চামচ) ডিম পাড়তে পারে। তবে পানি হতে হবে স্বচ্ছ ও পরিষ্কার, বদ্ধ পাত্রে এবং অপেক্ষাকৃত ছায়া ও আর্দ্র পরিবেশে। এজন্য ফুলের টব, ফ্রিজের নিচের জমাকৃত পানি ছাড়াও গাড়ির অব্যবহৃত টায়ার, অব্যবহৃত বা জব্দকৃত গাড়ি, বাড়ির অনাচে-কানাচে পড়ে থাকা দই, আইসক্রিম, কফি, চা ইত্যাদির ছোট পাত্র, ডাবের খোলা এবং এমনকি বোতলের পড়ে থাকা ছিপি, কাচের ভাঙা পাত্র সবকিছুই এ মশার ডিম পাড়ার জন্য উপযুক্ত স্থান। করোনা সংক্রমণের কারণে নির্মাণাধীন ভবনের কাজ শেষ হচ্ছে না। তাই নির্মাণাধীন ভবনসমূহ এখন এডিস মশার লাগসই প্রজনন কেন্দ্র হিসেবে কাজ করছে। প্রজননের জন্য শুধু প্রয়োজন একটু স্বচ্ছ ও পরিষ্কার বদ্ধ পানি। সে পানির জোগান দিতে আমাদের বর্জ্য বর্জনের খারাপ অভ্যাস এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অবদানই বেশি।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব শুরু হয়েছে বেশ আগে। ঝড়, সাইক্লোন, বন্যা, বজ্রপাত ইত্যাদির আধিক্যের পাশাপাশি বৃষ্টিপাতে এসেছে বড় ধরনের পরিবর্তন। একে বলা হয়ে থাকে বৎৎধঃরপ ৎধরহভধষষ বা ভ্রমাত্মক বৃষ্টিপাত। বর্ষাকালে বৃষ্টি নেই। আবার হঠাৎ যখন বৃষ্টি হয়, তখন আর থামে না। কয়েক দিনের বৃষ্টি কয়েক ঘণ্টায় নামে। থেমে থেমে বৃষ্টি হয় কয়েক দিন বা মাস ধরে। এখন শ্রাবণের শেষ, অথচ শ্রাবণের ধারা এখনও চোখে পড়েনি। একদিন একটু বৃষ্টি হচ্ছে, আবার কয়েকদিন নেই। এটাই এডিস প্রজাতির বংশ বিস্তারের মহাসুযোগ। একনাগাড়ে বৃষ্টি হলে পাত্রের জল বদ্ধ থাকে না, উপচিয়ে পড়ে যায়। ফলে এডিস মশার বংশ বৃদ্ধি ঘটে না। কিন্তু একনাগাড়ে বৃষ্টি হচ্ছে না। অপরদিকে, আমরা বৃষ্টির স্বচ্ছ পানি আটকে থাকতে পারে, এমন অনেক বর্জ্য দ্রব্য এখানে-ওখানে ফেলে রাখছি। কাজেই, বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে বৃষ্টিপাতের পরিবর্তন এবং বর্জ্য বর্জনে আমাদের খারাপ অভ্যাস, এ দুটোই এডিস মশার বংশ বিস্তার ও ডেঙ্গুসহ সংশ্লিষ্ট রোগের সংক্রমণে বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে।
করোনার এ বৈশ্বিক মহামারীকালে হাসপাতালে জায়গা নেই। এ সময় ডেঙ্গু রোগে আতঙ্কিত হয়ে হাসপাতালে গেলে বরং করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে। ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট জ¦র অতি উচ্চমাত্রার। এ জ্বর ১০২ থেকে ১০৪ ডিগ্রির মধ্যে থাকে। সাথে থাকে মাথাব্যথা, চোখে ব্যথা বা শরীর ও পেট ব্যথা। চিকনগুনিয়ার লক্ষণও তাই। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে চিকনগুনিয়া মারণঘাতী হয় না। শরীর অনেক দুর্বল হয় এবং সুস্থ হতে সময় লাগে। তীব্র জ¦রের কারণে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়ায় পানিশূন্যতা দেখা দেয়। এজন্য বেশি বেশি তরল জাতীয় খাদ্য, এমনকি খাবার স্যালাইন খাওয়া এবং প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেয়ে জ¦র কমিয়ে রাখা জরুরি। হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ¦রে রক্তরস বা প্লাজমা শরীরের কোষে ছড়িয়ে যায়, তখন লালচে র্যাশ চামড়ার ওপর, চোখের কোণে বা শরীরের বিভিন্ন স্থানে দেখা দেয়। এসব ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী শিরায় স্যালাইন দেয়া বা প্লাটিলেটের মাত্রা খুবই কমে গেলে প্লাটিলেটের দেয়ার প্রয়োজন হয়। না হলে ডেঙ্গু শক্ সিনড্রোমে মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে। সম্পূর্ণ প্রাণ নয় বলে কোন ভাইরাস সরাসরি বংশ বিস্তার করতে পারে না। শরীরের কোন প্রোটিনের সংস্পর্শে এসে নিজের প্রতিলিপি তৈরি করে এবং এভাবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ডেঙ্গু ভাইরাস তেমনি রক্তের প্লেটিলেট নামক প্রোটিন আক্রমণ করে। আক্রান্ত প্লেটিলেট আবার সুস্থ প্লেটিলেট ধ্বংস করে। প্লেটিলেট শরীরে রক্ত জমাট বাঁধা ও রক্তপাত বন্ধে সহায়তা করে। একজন সুস্থ মানুষের শরীরে প্রতি মাইক্রোলিটারে ১.৫ লাখ থেকে ৪.০ লাখ প্লেটিলেট থাকে। শতকরা ৮০ থেকে ৯০ ভাগ ডেঙ্গু রোগীর ক্ষেত্রে প্লেটিলেটের মাত্রা প্রতি মাইক্রোলিটারে এক লাখের নিচে নেমে যায়। অবশিষ্ট ১০ থেকে ২০% শতাংশ রোগীর শরীরে এ মাত্রা ২০ হাজারের নিচে নামে। তখন প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে চিকিৎসক রোগীকে প্লেটিলেট দেয়ার পরামর্শ দেন। ভিটামিন ‘সি’ ভিটামিন ‘কে’ রক্তে প্লেটিলেট বৃদ্ধি করে। এজন্য বেশি বেশি তরল খাবার গ্রহণের পাশাপাশি টক জাতীয় ফল বেশি খাওয়া এবং সবুজ শাক্-সবজি বিশেষ করে পালং শাক, কুমড়া, ব্রোকলি ইত্যাদি খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন। সে প্রেক্ষাপটে আমাদের ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনা জানা খুব জরুরি। কারণ ব্যবস্থাপনা ভলো হলে ডেঙ্গু হেমোরেজিক বা শক সিনড্রোমে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা কমে যায়। সব থেকে বেশি জরুরি হচ্ছে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। এ বিষয়ে সতর্ক ও সচেষ্ট হলে এডিস মশার বংশ বৃদ্ধি হয় না এবং ডেঙ্গু সংক্রমণের ঘটনাও ঘটে না।
বর্তমানে আমরা যেমন দ্রুতগতিতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মহাসড়কে অগ্রসর হচ্ছি, তেমনি এর সাথে পাল্লা দিয়ে আমাদের ভোগ্যপণ্য ব্যবহারের মাত্রা বাড়ছে। ছোট কাপে দই, কফি, আইসক্রিম, বিভিন্ন ধরনের পানীয় ও ফলের রসের বোতল ইত্যাদি ছোট শহরে ও গ্রামে পৌঁছে গেছে। কিন্তু এসব ব্যবহারের ফলে সৃষ্ট বর্জ্য বর্জনের অভ্যাসে মোটেই পরিবর্তন আসেনি। বর্জ্য ছুড়ে ফেলার মানসিকতা ও অভ্যাস আমাদের অনেক পুরোনো। বলতে গেলে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া। উন্নয়নের সাথে বর্জ্য উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় একই মাত্রায়। ছেলেবেলায় লঞ্চে যাতায়াত করার সময় দেখেছি- লঞ্চ কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞপ্তি: ‘ময়লা আবর্জনা নদীতে ফেলুন, লঞ্চের ডেকে ফেলে নোংরা করবে না’ ইত্যাদি। এ মানসিকতার খুব একটা উন্নতি হয়নি। গাড়ির কাঁচ নামিয়ে বর্জ্য এমনকি কলার ছোলা বাইরে রাস্তায় ছুড়ে ফেলতে দেখেছি এই সাম্প্রতিককালেও। আমাদের উন্নয়নের সাথে বর্জ্য বৃদ্ধি পাবে, আর আমরা সব বর্জ্য বাইরে ফেলবো এবং সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভার মেয়রগণ তা পরিষ্কার করার ব্যবস্থা করবেন- এ অসুস্থ মানসিকতার পরিবর্তন না হলে ডেঙ্গু রোগ কমবে না, বরং জিকা ও ইয়োলো ভাইরাসের সংক্রমণের রাস্তা সুগম করবে। এসব বর্জ্যরে মধ্যে ছোট ছোট কোন পাত্র বা এমনকি পানির বোতলের ছিপি বা মুখ বাইরে থাকলে এবং তাতে একটু বৃষ্টির পানি জমলেই এডিস মশার জন্য যথেষ্টু। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কয়েক দিন বিরতি দিয়ে বৃষ্টি হচ্ছে, তাই এসব ছোট পাত্রে এবং এমনিক বোতলের ছিপিতে জমা পাত্রে ডেঙ্গু মশার বিস্তার ঘটছে। ভোগ্যপণ্য ব্যবহারের মাত্রা যেহেতু শহরাঞ্চলে বৃদ্ধি পেয়েছে, কাজেই ঢাকা শহরসহ সকল বড় শহরে এডিস মশার বংশ বৃদ্ধি ও ডেঙ্গু সংক্রমণ বেশি। ক্রমে ক্রমে এভাবে ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ সব জেলা শহরে পৌঁছে যাবে, আর আমরা সচেতন না হলে এবং সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ করা না গেলে- তা গ্রামপর্যায়ে ছড়াতে খুব বেশি সময় লাগবে না।
এডিস মশা ময়লা পানিতে ডিম পাড়ে না। কাজেই, সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভা কর্তৃক ড্রেনে শুধু ওষুধ ছিটালেই এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। ঘরের মধ্যে এবং আশপাশের এসব ছোট পাত্রে পানি জমার উৎস বন্ধ করতে হবে। এ মশা দিনে বা রাতে কামড়ায় না। এর আক্রমণ প্রধানত খুব সকালে ও সন্ধ্যার আলো আঁধারে। দিনে ও রাতের বেলায় এরা ঘরের মধ্যেই থাকে। থাকার স্থান হচ্ছে পর্দা, কাপড়, দড়ি বা এরূপ কোন ঝুলন্ত বস্তু। কাজেই, ছোট পাত্র ছুড়ে ফেলার অভ্যাস পাল্টানো, ঘরে ও আশপাশে এরূপ পাত্রে পানি জমার উৎস বন্ধ করা এবং দিনে ও রাতে ঘরের পর্দা, কাপড়, দড়ি এবং অন্যান্য ঝুলন্ত বস্তুর ওপর মশা মারার ব্যাট চালনা করে বসে থাকা মশা নিধন করাই হবে বর্তমানে প্রধান কাজ। ডেঙ্গু রোগ হলে আতঙ্কিত হওয়ার পরিবর্তে ডেঙ্গু রোগ ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি জেনে পদক্ষেপ নেয়া উচিত। এডিস মশা যখন আছে এবং থাকবে, কাজেই ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার পাশাপাশি জিকা ও ইয়োলো ভাইরাস আসার রাস্তা তৈরি আছে। এ রাস্তা বন্ধ করার জন্য আমাদের ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে যেমন সচেতন হতে হবে, তেমনি আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বর্তমান খারাপ অভ্যাস পরিবর্তনের জন্য সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। এর বিকল্প নেই।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
দেশে একটি সুষ্ঠু
নির্বাচন করা এবং সেটাকে দেশে-বিদেশি সবার কাছে যোগ্য করে তোলার আসল কাজটি করতে হয়েছে
রাষ্ট্রপতিকে। এই কাজটি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শেষ পর্যন্ত খুব ভালো ভাবে এবং
সফল ভাবে করতে সক্ষম হয়েছেন। গত এক বছরে এটিই এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির সেরা অর্জন বা
সেরা সাফল্য বলে আমি মনে করি। রাষ্ট্রপতি যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ
ভাবে না করতে পারতেন তাহলে দেশের গণতন্ত্র এক বড় ঝুঁকির মধ্যে পড়ত। কিন্তু রাষ্ট্রপতি
সেটি ভালো ভাবে সামাল দিতে পেরেছেন। আমাদের গণতন্ত্র রক্ষা পেয়েছে, গণতন্ত্রের জয় হয়েছে।
আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে এ কথা না বললেই নয় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিনকে নিয়ে আমি ব্যক্তিগত ভাবে গর্বিত। কারণ দেশের এক নম্বর নাগরিক বা
রাষ্ট্রপতি হওয়া সত্বেও তিনি যেভাবে সবার সাথে মিশেন সেটা অতুলনীয়। একজন মানুষ প্রকৃত
অর্থেই মাটির মানুষ না হলে তার পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। এখনও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের
গায়ে গ্রামের সেই ধুলোবালির গন্ধ পাওয়া যায়। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার যে ধ্যান
ধারণা থাকার কথা সেটাও তার মধ্যে অত্যন্ত প্রখর এবং সেই চেতনা তিনি সকলের মাঝে ছড়িয়ে
দেয়ার চেষ্টা করেন বলেই আমার কাছে দৃশ্যমান হয়। সেজন্য আমি ব্যক্তিগত ভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগ ধন্যবাদ দিতে চাই যে, তারা এ রকম একজন রাষ্ট্রপতিকে
এই পদে মনোনয়ন দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের মনোনয়ন শুরুতে সবাইকে অবাক
করলেও সেটা ছিল আমাদের অগত্যা। কারণ অনেকে তার সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানতেন না। অথচ তিনি
একজন স্থানীয় নেতা হয়েও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছিলেন। এমনকি
পাবনার মত একটি জেলা শহরে থেকে তিনি এটি করেছেন। আমরা সেটার মাহাত্ম্য বুঝতে না পারলেও
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকরী ষড়যন্ত্রকারীরা ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন আর সেজন্য রাষ্ট্রপতিকে গ্রেপ্তার
করেছিলেন। আমি প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফের কাছে শুনেছি যে রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন এবং তার (প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফ হাত পা খাটের
সাথে বেঁধে রাখা হয়েছিল। এভাবে অনেক দিন তিনি জেল খেটেছেন। এরপর তিনি জেলে থেকেই আইন
পাশ করেন। তিনি পরীক্ষা দিয়ে চাকরি নেন এবং জেলা জজ পর্যন্ত হয়ে তিনি তার চাকরির জীবন
শেষ করেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত হন। তিনি আওয়ামী
লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হিসেবে এবং আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের নির্বাচন কমিশনের
প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন
করছেন। রাষ্ট্রপতি হলেও এখনও তিনি আগের মতই সহজ-সরল রয়ে গেছেন। তার এই সরলতা ইতিমধ্যে
সাধারণ মানুষের মন জয় করেছে।
গত এক বছরে রাষ্ট্রপতির আরেকটি উল্লেখ্য করার মত সাফল্য হল যে,
তিনি এমন ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন বা এখন পর্যন্ত তার কাজকর্ম কিংবা সিদ্ধান্তগুলো
দেখে বুঝার উপায় নেই যে তিনি আগে কখনও কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। রাষ্ট্রের
অভিভাবক হিসেবে তিনি তার নিরপেক্ষতা ধরে রাখতে পেরেছেন। রাষ্ট্রের সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা
পেয়েছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন সহ সর্বশেষ তিনজন রাষ্ট্রপতি গণ মানুষের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিজেকে
প্রমাণ দিতে পেরেছেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, এরপর অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ
এবং মো. সাহাবুদ্দিন তারা প্রত্যেকই অতি সাধারণ জীবন যাপন করে আপামর জনগণের মন জয় করে
নিতে পেরেছেন। রাষ্ট্রপতি হবার আগে যে সাধারণ জীবন যাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি হবার পরও
একই ভাবে থেকেছেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকায় এমন রাষ্ট্রপতিও আছেন যারা রাষ্ট্রপতি
হবার আগে এক রকম ছিলেন পরে আবার অন্যরকম ভাবে আবির্ভূত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি হবার আগে
যে আদর্শ ধারণ করতেন রাষ্ট্রপতির চেয়ার বসলে তাদের সেই আদর্শের বিচ্যুক্তি ঘটে। কিন্তু
এক্ষেত্রে এই তিনজন ব্যক্তি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। তারা আগে যা ছিলেন রাষ্ট্রপতি হবার
পর একই রকম থেকেছেন, আদর্শচ্যুত হননি। মো. সাহাবুদ্দিন যে আদর্শ ধারণ করেন সেই আদর্শে
তিনি তার কাজকর্ম সফলতা সাথে করে যাচ্ছেন। আমরা তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৯:২৬ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
এখন টক অফ দ্য কান্ট্রি হচ্ছে প্রথম আলো বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। যদি
প্রথম আলো কে বা কারা কিনবে সেটা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত না। তবে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর
রহমান চাইবেন কোথায় গেলে তার চাকরির নিশ্চয়তা থাকবে। সেভাবেই তিনি বিক্রি করার চেষ্টা
করবেন।
প্রথম আলো বিক্রির বিষয়টির পাশাপাশি একই রকম আরেকটি প্রশ্ন সামনে
আসছে। আর সেটা হলো প্রথম আলোর পরে কে? তাহলে কি প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টার? তবে এটা
নির্ভর করবে প্রথম আলোর কি ভাগ্য হয় তার ওপর। আমার ধারণা যারাই প্রথম আলো কিনেন না
কেন তারা প্রথম দিকে মতিউর রহমান সাহেবকে রাখলেও পরবর্তীতে ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে
সম্পাদক পরিবর্তন করবে। আর প্রথম আলো যদি কোন যুক্তিপূর্ণ লোকের কাছে দেয় তাহলে আমার
মতে এখানে সম্ভবত আনিসুল হক সাহেব সম্পাদক হবেন। কারণ তার প্রতি লোকের অনেক শ্রদ্ধাবোধ
আছে এবং তিনি সবসময় একটা রেড লাইন রক্ষা করে চলেন। এটা আমরা সকলেই জানি। তার সাথে
অনেকেরই ভালো সম্পর্ক এবং তিনি খুবই জ্ঞানী
লোক।
এর আগে মতিউর রহমান যখন একতা থেকে আজকের কাগজে যান, তখন তার উদ্দেশ্যই
ছিল যে, একটি পত্রিকা কীভাবে চলে সেটা শেখা এবং এখান থেকে একসাথে সাংবাদিক নিয়ে বেরিয়ে
যাওয়া। তিনি সেটা করেছিলেন। তারপর ভোরের কাগজ থেকে একই কাজ করেছেন। সুতরাং তার সত্যিকারের
নীতিবোধ বলতে যেটা বোঝায় সেটা দুর্ভাগ্যবশত তিনি প্রমাণ করতে পারেননি।
তিনি এক সময় কমিউনিস্টদের সাথে থাকলেও এখন তার চেয়ে বড় দক্ষিণপন্থী
পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়াই কঠিন। এ কারণে প্রথম আলো যে বিক্রি হবে এই ব্যাপারে সাধারণ লোকের
ভিতরে এখন আর কোন সন্দেহ নেই।
এখন প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টারের কী হবে এই নিয়ে আলাপ আলোচনা হচ্ছে
এবং এই আলাপ আলোচনা খুব দীর্ঘদিন যে চলবে তা না। আমার মনে হয় জুন-জুলাই মাসের ভিতরেই
এর একটা ফয়সালা হয়ে যাবে। কারণ স্বাভাবিক ভাবেই বুঝি যে, একটি পত্রিকা পাঠকপ্রিয়তা
পেতে বেশ সময় লাগে। এটা একদিন দুইদিনের ব্যাপার না। আবার ঠিক তেমনিভাবে যখন পাঠকপ্রিয়তা
কমতে থাকে সেটাও একদিন দুইদিনে হয় না। ধীরে ধীরে হয়। এই মিডিয়া জগতের নিয়মই তাই।
আমি ১৯৬১ সালে পত্রিকা বলতে শুধুমাত্র ইত্তেফাক এর কথাই জানতাম।
সেই ধারণা থেকে বলতে পারি এখন প্রথম আলোর যদি কিছু কর্মী এর চেয়ে ভালো কোন সুযোগ সুবিধা
দেখেন তাহলে তারা বিক্রি হওয়ার আগেই চলে যাবেন। কারণ স্বাভাবিকভাবেই একজন সাংবাদিকের
একটা ক্যারিয়ার আছে এবং প্রথম আলোর মতো পত্রিকাতে কাজ করে তিনি তো যে কোন পত্রিকায়
যেতেও পারবেন না। তার কারণ গেলে তার ওই লেখার যে মান সেটা মূল্যায়ন নাও হতে পারে। তবে
আমার ধারণা প্রথম আলোতে কাজ করেছেন এমন যে কাউকে টেকনিক্যাল গ্রাউন্ডে অনেক গুরুত্ব
দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে আমি অবাক হব না যদি দু এক মাসের ভিতরে দেখা যায় যে আস্তে আস্তে
প্রথম আলো বিভিন্ন কর্মী অন্য পত্রিকায় যাওয়া শুরু করে দিয়েছেন।
ব্যাংক মার্জারের যেমন একটি ঘটনা বর্তমানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ঠিক
তেমনি পত্রিকা জগতেও শিল্প গোষ্ঠীর যে গন্ডগোলের ঘটনা ঘটেছে এটিও ব্যাংক মার্জারের
ঘটনার পর্যায়ে চলে যাবে। ব্যাংকিং ক্ষেত্রে দেখা যায়, দুটি ব্যাংক একীভূত হচ্ছে। আর
এদিকে দেখা যাবে, সংবাদকর্মীরা অন্য পত্রিকায় চলে যাচ্ছে।
তবে আমার মনে হয় না, এখন যে অবস্থা চলছে এতে প্রথম আলো আর আগের
মতো প্রথম আলো থাকতে পারবে। এটা কিছুতেই সম্ভব না এটি মোটামুটিভাবে নিশ্চিত। তাই আমার
মনে হয় প্রথম আলো সেই ব্যাংক মার্জারের পর্যায়ে চলে এসেছে। এখন অন্য পত্রিকা যাদের
আছে, তারাও প্রথম আলো কিনে নিতে পারেন। এটি সম্ভব। এরকম শিল্পগোষ্ঠীর কোন কমতি বর্তমানে
বাংলাদেশে নেই। যে কোন শিল্প গোষ্ঠীই এটা কিনবে।
তবে আমি আশা রাখব, যারাই প্রথম আলো কিনবে, তারা যেন অন্তত পক্ষে
এটা খেয়াল রাখে যাতে সাংবাদিকদের কোন ক্ষতি না হয়। সুতরাং এদেশের একজন সাধারণ নাগরিক
হিসেবে আমার দাবী হচ্ছে সাংবাদিকরা যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।
মন্তব্য করুন
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
প্রথম দফায় উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন শেষ হয়েছে গতকাল। কিন্তু অবাক করার বিষয় যে, একমাত্র পলকের শ্যালক ছাড়া আর কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। অথচ আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনা আছে যে, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা কেউ নির্বাচন করতে পারবেন। দলের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা ইতোমধ্যে সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাদেরকে প্রত্যাহারের জন্য তিনি নির্দেশও দিয়েছেন। তিনি শেষ পর্যন্ত কেউই তা মানেননি। এতে করে সুস্পষ্ট ভাবে তারা আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনাকে অমান্য করেছে। যা দলীয় সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন এবং গুরুতর অপরাধও বলে আমি মনে করি।
দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি যে নতুন সরকার গঠন করেন আজ তার ১০০ তম দিন। এক কঠিনতম সময়ে তিনি এই সরকার গঠন করেছেন। কিছু বুদ্ধিজীবী নির্বাচনের আগে আগে নানান রকম কথাবার্তা বললেও সাধারণ মানুষ ঠিকই জানত যে, শেখ হাসিনাই আবার সরকার গঠন করবেন। কারণ তারা জানেন যে, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। সরকার গঠনের পরও কিন্তু তাকে কঠিনতম সময় পার করতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি সফলতা পাচ্ছেন। এজন্য একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমিও মনে করি যে, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই।
বারো বছর আগের কথা। ডেভিড ক্যামেরুন তখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সে সময় একদিন তিনি একটি হাসপাতালের ওয়ার্ডে ঢুকে পড়লেন। রোগীর অনুমতি সাপেক্ষে রোগীর সাথে ছবি তুলতে গেলেন। বাঁধ সাধলেন ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা একজন চিকিৎসক। জীবাণু প্রতিরোধের কোন পদক্ষেপ না নিয়ে এবং চিকিৎসকের অনুমতি ব্যতিরেকে তিনি ওই কাজটি করছিলেন। ডেভিড ক্যামেরুন তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছিলেন সাথে সাথে। ক্ষমা চাইলেন এবং ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে গেলেন।
এখন টক অফ দ্য কান্ট্রি হচ্ছে প্রথম আলো বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। যদি প্রথম আলো কে বা কারা কিনবে সেটা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত না। তবে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান চাইবেন কোথায় গেলে তার চাকরির নিশ্চয়তা থাকবে। সেভাবেই তিনি বিক্রি করার চেষ্টা করবেন। প্রথম আলো বিক্রির বিষয়টির পাশাপাশি একই রকম আরেকটি প্রশ্ন সামনে আসছে। আর সেটা হলো প্রথম আলোর পরে কে? তাহলে কি প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টার? তবে এটা নির্ভর করবে প্রথম আলোর কি ভাগ্য হয় তার ওপর