সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বিপুল পরিমাণ ভোজ্যতেলের মজুতের সন্ধান পেয়েছেজাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও পুলিশের অভিযানে এসব গুদাম থেকে বেরিয়ে আসছে ব্যবসায়ীদের মজুত করা হাজার হাজার লিটার তেল।
গত দুই দিনে সাত জেলায় অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৬৬ লিটার ভোজ্যতেল জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া কুষ্টিয়ায় এক ব্যবসায়ীর গুদামে মজুত করা ৪০ হাজার লিটার সয়াবিন তেল পাওয়া গেছে। অবৈধভাবে তেল মজুতের দায়ে গতকাল আট জেলার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৩ লাখ ৮৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
মজুত করা তেল উদ্ধারে সবচেয়ে বড় অভিযানটি চালানো হয় রাজশাহীর বানেশ্বরে। গতকাল বিকেলে পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর বাজারের চারটি গুদাম ও একটি ট্রাক থেকে ৯২ হাজার ৬১৬ লিটার ভোজ্যতেল জব্দ করা হয়। এর মধ্যে ২৪ হাজার ৬৮৪ লিটার সয়াবিন ও ৬৭ হাজার ৯৩২ লিটার পাম তেল রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বানেশ্বরে বাজারের সরকার অ্যান্ড সন্স, ইন্তাজ স্টোর, মেসার্স পাল অ্যান্ড ব্রাদার্স ও রিয়া স্টোর থেকে তেল জব্দ করা হয়। সরকার অ্যান্ড সন্সের মালিক বিকাশ কৃষ্ণ সরকার দাবি করেন, তাঁরা কখনো তেল মজুতের ব্যবসা করেন না। তাঁর সয়াবিন সরকারিভাবে দাম বাড়ানোর পরে কে না। আর পাম তেল ঈদের এক দিন আগে তাঁর গুদামে এসেছে। রাজশাহীর পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন জানান, দ্রুত আদালতের অনুমতি নিয়ে জব্দ করা তেল টিসিবির মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করা হবে। গতকাল রাতে জেলার গোদাগাড়ীতে অভিযান চালিয়ে ২০ হাজার ৪০০ লিটার ভোজ্যতেল জব্দ করা হয়।
গত সোমবার রাতে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় এক ব্যবসায়ীর গুদামে অভিযান চালিয়ে আরও ৬ হাজার লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করে পুলিশ। এর আগে সোমবার অপর এক ব্যবসায়ীর গুদামে অভিযান চালিয়ে ২০ হাজার লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করা হয়।
আরেকটি বড় অভিযান চালানো হয় কুষ্টিয়ায়। গতকাল সকালে শহরের বড়বাজার এলাকায় মেসার্স মা ফুড প্রোডাক্টসের গুদামে পাওয়া গেছে ৪০ হাজার লিটার সয়াবিন তেল। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা অভিযান চালিয়ে তেল মজুতের দায়ে গুদামমালিককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অধিদপ্তরের কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুচন্দন মণ্ডল বলেন, তিন দিনের মধ্যে এসব তেল খোলাবাজারে বিক্রি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিন দিন পর আবার গুদামে খোঁজ নেওয়া হবে।
গতকাল পাবনার ঈশ্বরদীতে শ্যামল স্টোর নামে একটি মুদিদোকানের গুদামে অভিযান চালিয়ে ১৮ হাজার ২৪৪ লিটার ভোজ্যতেল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই দোকানের মালিক শ্যামল দত্তকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
তেল মজুত, নির্ধারিত মূল্যের বেশি দামে তেল বিক্রি ও তেলের সঙ্গে অন্য পণ্য কিনতে বাধ্য করার দায়ে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার তিনটি প্রতিষ্ঠানকে। ওই তিন প্রতিষ্ঠান থেকে ৬ হাজার লিটার ভোজ্যতেল জব্দ করা হয়।
৭ হাজার লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করা হয়েছে গাজীপুর থেকে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, গাজীপুরের কর্মকর্তারা দুটি গুদামে অভিযান চালিয়ে ওই তেল জব্দ করেন। পরে এসব তেল সরকার–নির্ধারিত দামে স্থানীয় ব্যক্তিদের কাছে বিক্রি করা হয়। আর ওই দুই গুদাম মালিককে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
সিলেটের কালীঘাট এলাকার মাহের ব্রাদার্স নামের একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে মজুত করা ৫ হাজার লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করা হয়। পরে সেই তেল নির্ধারিত মূল্যে সাধারণ ভোক্তাদের মধ্যে বিক্রি করা হয়।
পটুয়াখালীর দুমকিতে মুরাদিয়া বোর্ড অফিস বাজারে তিন ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ৩ হাজার ১০৬ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করা হয়েছে। তেল মজুত রাখার দায়ে এক ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বরিশাল নগরের সাগরদী বাজার ও বাবুগঞ্জের রহমতপুর বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেল বাড়তি দামে বিক্রির দায়ে দুটি প্রতিষ্ঠানকে ১৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করায় আরও তিনটি প্রতিষ্ঠানকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় রহমতপুর বাজারের একটি পাইকারি দোকান থেকে ৭০০ লিটার মজুত করা সয়াবিন তেলও উদ্ধার করা হয়।
মন্তব্য করুন
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার হ্যালো পিওর গোল্ড
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পবিত্র মাহে রমজানের আগে আবারও বাড়লো চিনির দাম। কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজি সরকারি মিলের চিনির সর্বোচ্চ খুচরা দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে চিনি ও খাদ্য শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, চিনির এ দাম অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে রোজা উপলক্ষ্যে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এখন থেকে করপোরেশনের ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা (এক কেজি) ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য ১৫৭ টাকা (এক কেজি) নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজারে সরকারি চিনির নামে মোড়কজাত করে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। সবশেষ কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা চিনির মূল্য নির্ধারণ করে সংস্থাটি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের জন্য ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। এই খবরে দেশের বাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়েছে। সরবরাহ বাড়তে থাকায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা কমেছে। অথচ রোজা শুরুর আগেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার তখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছিল।