ইনসাইড ট্রেড

বাজারে কমছে শীতের সবজির দাম

প্রকাশ: ১১:৩৯ এএম, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

শীত মৌসুম আসার সঙ্গে সঙ্গে কমতে শুরু করেছে টমেটো, সিম ও বেগুনসহ শীতকালীন সবজির দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা দাম কমে আসায় একদিকে যেমন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন সাধারণ মানুষ, অন্যদিকে বেচাকেনা বাড়ায় খুশি খুচরা বিক্রেতারাও।

শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বাড্ডা এলাকার একাধিক বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজারে লাল টমেটো বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৮০ টাকা করে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা। সবুজ সিম কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ টাকা। লাল সিম (পরিপক্ব) কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ টাকা। এছাড়া বেগুন বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা দরে। 

নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজিতে, যা সপ্তাহখানেক আগেও ছিল প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। পুরোনো আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজিতে। এছাড়া বরবটি কেজিপ্রতি ৪০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে। কাঁচামরিচ ৫০ টাকা, মুলা ২০ টাকা ও গাজর ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গত সপ্তাহের তুলনায় সবজি ভেদে ২০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে। দাম কিছুটা কম হওয়ায় বিক্রিও ভালো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিক্রেতারা।

বিক্রেতারা দাম কমার কথা বললেও ভোক্তাদের অভিযোগ, শীতকালীন সবজি বাজারে আসলেও অন্যান্য বছরের মতো দাম কমছে না। বরং দাম অনেক বেশি।

তবে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, সবজি বেশি দামে কিনে আনায় দাম কম রাখার কোনো সুযোগ নেই।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

বাংলাদেশ-ভুটান ট্রানজিট চুক্তি ও প্রোটোকল স্বাক্ষরিত

প্রকাশ: ০৫:১২ পিএম, ২২ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail বাংলাদেশ-ভুটান ট্রানজিট চুক্তি ও প্রোটোকল স্বাক্ষরিত।

বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সহজতর করার লক্ষ্যে ‘Agreement on the Movement of Traffic-in-Transit and Protocol’ স্বাক্ষরিত হয়েছে। বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং ভুটানের শিল্প, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী কর্মা দর্জি (Karma Dorji) ট্রানজিট চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

বুধবার (২২ মার্চ) ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

চুক্তি স্বাক্ষরের সময় ভুটানের শিল্প বাণিজ্য কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব দাশ তাশি ওমাং এবং শক্তি ও নবায়নযোগ্য সম্পদ বিষয়ক সচিব জনাব দাশ কর্মা শেরিং, ভুটান চেম্বার অব ইন্ডাষ্ট্রিজ এর সভাপতি এবং ভুটানের বিভিন্ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকবৃন্দসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন যুগান্তকারী এই চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও সহজতর হওয়ার পাশাপাশি বাণিজ্য সম্পর্ক নতুন মাত্রা পাবে। স্বাক্ষরিত চুক্তি দেশের জন্য কুটনৈতিক, অর্থনৈতিক, সংযোগ এবং কৌশলগত সুবিধা বয়ে আনবে বলেও জানান তিনি।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ আন্ত:যোগাযোগ বৃদ্ধি ও আঞ্চলিক ভ্যালু চেইন সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে চায়। এর অংশ হিসেবে চারিদিকে স্থলভাগ বেষ্টিত ভুটানকে বাংলাদেশ ট্রানজিট চুক্তির আওতায় বিমান, রেল, স্থল, নৌবন্দর ও সমুদ্র বন্দর ব্যবহারের সুযোগ প্রদান করছে। 

এ চুক্তির ফলে উভয় দেশের কুটনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক যোগাযোগে ব্যাপক প্রসার ঘটবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে ভুটানের পণ্য রপ্তানি ও আমদানি করলে বাংলাদেশ বিভিন্ন ফি এবং চার্জ লাভ করবে। এছাড়া অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটবে। ট্রানজিট এগ্রিমেন্ট বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের সমুন্দ্র বন্দরসমূহ অধিকতর কর্মক্ষম হবে এবং রাজস্ব আয় বাড়বে। অধিকন্ত কর্মসংস্থান বৃদ্ধিসহ বন্দরসমূহের সার্বিক কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়ন করবে। 

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পেরে তিনি গর্বিত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের সমাপ্তির প্রাক্কালে ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে সর্বপ্রথম স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় তিনি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং বাংলাদেশ ভুটানের নিবিড় বন্ধুত্বকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং দ্বিপাক্ষিক এই সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব ভবিষ্যতে আরও সম্প্রসারিত ও শক্তিশালী করতে উভয় রাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। 

টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে গত এক দশকে অর্থ-বাণিজ্য, স্বাস্থ্য-শিক্ষা এবং যোগাযোগ ও অবকাঠামোসহ সকল খাতে অসাধারণ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। যার ফলে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতি দেশে রুপান্তরিত হয়েছে, পরিচিতি পেয়েছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে।

এ সময় বিগত বছরগুলির ন্যায় সমস্ত আঞ্চলিক এবং বহুপাক্ষিক ফোরামে বাংলাদেশকে সমর্থন প্রদান অব্যাহত রাখা ছাড়াও জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে সহযোগীতার মাধ্যমে বাংলাদেশের ট্রিলিয়ন ডলারের যাত্রায় ভুটানকে উন্নয়ন অংশীদার হওয়ার আহবান জানান তিনি ৷

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পর ভুটানের মন্ত্রী, সচিব ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগনের সাথে বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী কৃষিখাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বিশেষ করে মাশরুমসহ কৃষিপণ্যের বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়ের গুরুত্ব আরোপ করেন।

উল্লেখ্য, তিন দফা দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে উক্ত চুক্তি এবং এর আওতায় প্রোটোকল চুড়ান্ত করা হয়। গত ১৩ মার্চ ২০২৩ তা মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়। ইতো:পূর্বে স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ-ভুটান অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (PTA)কে  সম্পাদিত চুক্তি ও প্রোটোকল অধিকতর কার্যকর করবে। স্বাক্ষরিত চুক্তিটি উভয় দেশ কর্তৃক রেটিফিকেশনের পরে কার্যকর হবে।


বাংলাদেশ   ভুটান   ট্রানজিট চুক্তি   প্রোটোকল   স্বাক্ষরিত   বাণিজ্যমন্ত্রী   থিম্পু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেডের আঞ্চলিক সেলস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৭:৫২ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

বগুড়ার মোমো ইন হোটেলে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেডের আঞ্চলিক সেলস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের সেলস এন্ড মার্কেটিং এর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা জনাব এম এম জসীম উদ্দিন। 

তিনি সবাইকে স্বাগত জানিয়ে কোম্পানির গত বছরের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। তিনি ২০২৩ সনের কর্মপরিকল্পনাও ঘোষণা করেন। ২০২২ সালের বাধাবিপত্তিকে অতিক্রম করে ব্যবসায়িক সাফল্যের জন্য তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের পক্ষে আরও বক্তব্য রাখেন, চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার জনাব মাহবুব আলম। তিনি বলেন, প্রতিযোগিতাপূর্ণ বাজারে বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের নেতৃত্ব ধরে রাখতে পরিবেশকদের জন্য আমাদের কৌশলগত নীতি নির্ধারণ অব্যাহত থাকবে। 

সেলস কনফারেন্সে বগুড়া, রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগের পরিবেশক এবং বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মীদের কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সেরা পারফরমার স্বীকৃতি দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের প্রায়  শতাধিক পরিবেশক  এবং আঞ্চলিক কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। 

বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জনাব খান আতাউর রাহমান (এজিএম, সেলস, নর্থ উইং), জনাব সাঈদ ইমাম (এজিএম, প্রজেক্ট এন্ড অপারেশন), জনাব আবুল হাসান (এজিএম, বগুড়া প্ল্যান্ট ইনচার্জ) সহ বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ।

বসুন্ধরা   এলপি গ্যাস   বসুন্ধরা গ্রুপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

লাখ টাকা ছাড়িয়ে রেকর্ড গড়লো রডের দাম

প্রকাশ: ০৯:৩১ পিএম, ১৬ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

আগের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়লো রডের দাম। নির্মাণশিল্পে ব্যবহৃত এই উপকরণটির দাম ছাড়িয়েছে লাখ টাকা। গত পাঁচ মাসের ব্যবধানে প্রতি টন রডের দাম বেড়েছে ১৪-১৫ হাজার টাকা।

গতকাল বুধবার রডের বাজারের শীর্ষ সারির কোম্পানিগুলো প্রতি টন রডের দাম ৫০০ টাকা বাড়িয়েছে। তাতে তিনটি (বিএসআরএম, একেএস, জিপিএইচ) কোম্পানির রডের দাম প্রতি টন এক লাখ টাকায় উন্নীত হয়েছে। এর আগে কখনোই লাখ টাকায় রড বিক্রি হয়নি বলে উৎপাদকেরা জানিয়েছেন। তবে দেশীয় ইস্পাত শিল্পের আরেক ব্র্যান্ড কেএসআরএমের লোহার রড পাওয়া যাচ্ছে লাখ টাকার কমে। সবশেষ বৃহস্পতিবার সকালে এই ব্র্যান্ডের রড টনপ্রতি ৯৮ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় রডের দাম বাড়ানো হয়েছে বলে উৎপাদকেরা জানিয়েছেন। তাঁদের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি–ফেব্রুয়ারিতে গ্যাস–বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, বেশি দামে ডলার কিনে আমদানি মূল্য পরিশোধ, তুরস্কের ভূমিকম্পের পর বিশ্ববাজারে কাঁচামালের দাম আরেক দফা বৃদ্ধির কারণে রডের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তাতে গ্যাস–বিদ্যুৎ ও ডলারের দাম বাড়ার প্রভাব শেষ পর্যন্ত ভোক্তার কাঁধে এসে পড়েছে।

রড-সিমেন্টের খুচরা ব্যবসায়ী, ডিলার, মিল মালিক এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এক মাসের বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এখন প্রতি টন এমএস রড বিক্রি হচ্ছে এক লাখ ৫০০ টাকায়। মাত্র এক মাস আগেও এ রডের দাম ছিল ৯০ হাজার টাকার ঘরে, অর্থাৎ ৯৮ হাজার ৫০০ টাকা। আর পাঁচ মাস আগেও এই রডের দাম ছিল টনপ্রতি ৮৪-৮৫ হাজার টাকা।

বর্তমানে নির্মাণকাজ আগের চেয়ে বেড়েছে। ১০-১৫ দিন আগেও বুকিং দিয়ে পাওয়া যাচ্ছে না রড। সামনে রডের দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দেশের শীর্ষ রড উৎপাদনকারী একটি প্রতিষ্ঠানের বিপণন কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে ডলারের সংকট রয়েছে। চাইলেই স্ক্র্যাপ আমদানির জন্য এলসি খোলা যাচ্ছে না। আবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে স্ক্র্যাপ জাহাজের বুকিং রেট বেড়ে গেছে। পাশাপাশি জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে বেড়েছে জাহাজভাড়াও। এতে স্ক্র্যাপের আমদানি ব্যয় বেড়ে গেছে, যা রড উৎপাদনে প্রভাব ফেলছে। ফলে বাজারে বাড়ছে রডের দাম।


রডের দাম   রড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

দেশে বাড়তে পারে সোনার দাম, ঘোষণা আজই

প্রকাশ: ১২:২১ পিএম, ১৪ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

হঠাৎই বিশ্ববাজারে এক লাফে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ৪০ ডলারের ওপরে বেড়েছে। এতে এক আউন্স স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৯০০ ডলার ছাড়িয়েছে। বিশ্বাজারে স্বর্ণের দামের সঙ্গে তালমিলিয়ে দেশের বাজারেও দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দাম বাড়ার ঘোষণা আসতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, দেশের বাজারে সর্বশেষ সোনার দাম সমন্বয় করার পর ইতোমধ্যে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম একশ ডলারের মতো বেড়েছে। বিশ্ববাজারের পাশাপাশি স্থানীয় বাজারেও পাকা সোনার দাম বেড়েছে। এতে স্বাভাবিকভাবেই দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়াতে হবে।

সূত্র আরও জানায়, আজ মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি সোনার দাম পর্যালোচনা করতে বৈঠকে বসবে। ওই বৈঠক থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে প্রতি গ্রাম সোনার দাম কী পরিমাণ বাড়ানো হবে। কমিটি সোনার দাম বাড়ার সিদ্ধান্ত নিলে, আজ ঘোষণা দিয়ে আগামীকাল থেকে দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানো হবে।

উল্লেখ্য, দেশের বাজারে সর্বশেষ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরি ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমিয়ে ৯১ হাজার ৯৬ টাকা করা হয়েছিল। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৫০ টাকা কমিয়ে ৮৭ হাজার ১৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ৮৭৫ টাকা কমিয়ে ৭৪ হাজার ৫৯১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ভরিতে ৬৯৮ টাকা কমিয়ে ৬২ হাজার ১৬৯ টাকা করা হয়েছে। বর্তমানে দেশের বাজারে এ দামেই সোনা বিক্রি হচ্ছে।


সোনার দাম   আন্তর্জাতিক সোনার বাজার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

রমজানে খাদ্যদ্রব্য মজুত করলে ব্যবস্থা: বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৭:২৩ পিএম, ১০ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

রমজান মাসে কেউ খাদ্যদ্রব্য মজুত করার চেষ্টা করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। শুক্রবার (৯ মার্চ) বিকেলে চাঁদপুর শহরের বাবুরহাট পুলিশ লাইন্সে সেবা প্রকল্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘রমজান মাস আসার আগেই পণ্যসামগ্রী ক্রয়ের জন্য সবাই যেন একসঙ্গে হুমড়ি খেয়ে না পড়ে। কারণ, পণ্য সরবরাহের একটি পর্যায়ক্রম থাকে। কেউ যদি মনে করে একসঙ্গে ক্রয় করে জমা রাখবে, তাহলে এতে পণ্যসামগ্রীর ওপর চাপ পড়ে যাবে। সবকিছু পর্যাপ্ত মজুত আছে, দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। শুধু একসঙ্গে ক্রয় করার বিষয়টি পরিহার করতে হবে।’

ডলারের কারণে দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েছে উল্লেখ করে টিপু মুনশি বলেন, ‘যেসব পণ্য আমাদের আমদানি করতে হয়। সেসব পণ্যের দাম কিন্তু সারা পৃথিবীতে বেড়েছে। এসব কথা বিবেচনা করে আসন্ন রমজানে আমাদের প্রধানমন্ত্রী এক কোটি পরিবারকে তেল, চিনি, ডাল, খেজুর ও ছোলা বুট দিচ্ছেন সাশ্রয়ী দামে। আমরা আশা করছি, রমজান মাসের জন্য আমাদের যে খাদ্যসামগ্রী দরকার, সেটি পুরোপুরি আমাদের হাতে রয়েছে।’

বাজার মনিটরিং বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও তাঁদের লোকজন নিয়ে বাজার মনিটর করছেন এবং করবেন। তাঁদের কাজে সহযোগিতার জন্য কমিশনার, জেলা প্রশাসকদের অনুমতি দেওয়া আছে। র‌্যাব-পুলিশও এতে সহযোগিতা করবে। এ রমজানে কেউ খাদ্যদ্রব্য মজুত করার চেষ্টা করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী কয়েকজন হতদরিদ্র নারীর মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ করেন এবং পুলিশ লাইনসে গাছের চারা রোপণ করেন। সেখানে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, চাঁদপুরের পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী আপসানা শর্মীসহ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


বাণিজ্যমন্ত্রী   টিপু মুনশি   খাদ্যদ্রব্য   রমজান   ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন