দেশের
বাজারে ভোজ্যতেলের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সয়াবিন ও পাম তেলের
ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) প্রত্যাহারের
মেয়াদ আরও চার মাস
(৩০ এপ্রিল পর্যন্ত) বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার
(৩ জানুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো.
রহমাতুল মুনিম সাক্ষরিত এক আদেশে এ
তথ্য জানা যায়।
এই সুবিধার আওতায় সয়াবিন ও পাম তেলের
উৎপাদন ও ব্যবসায়িক পর্যায়ে
সব ভ্যাট ছাড় পাবেন ব্যবসায়ীরা।
তবে আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট
দিতে হবে তাঁদের।
এর আগে, গত ১৪
ডিসেম্বর ভোজ্যতেলের উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে
ভ্যাট প্রত্যাহারের মেয়াদ আরও ছয় মাস
বাড়ানোর সুপারিশ করে এনবিআরকে চিঠি
দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সেই প্রস্তাবে সাড়া
দিয়ে ভ্যাট ছাড়ের মেয়াদ বাড়াল কর আদায়ে নিয়োজিত
প্রতিষ্ঠানটি।
উল্লেখ্য,
গত বছর বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের
দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের বাজারেও অস্থিরতা তৈরি হয়। এরপর
ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধির লাগাম টানতে বেশ কিছু উদ্যোগ
নেয় সরকার। ওই সময় অপরিশোধিত
সয়াবিন ও পরিশোধিত-অপরিশোধিত
পাম অয়েলের আমদানিতে শুধু ৫ শতাংশ
বহাল রেখে ৩০ জুন
পর্যন্ত সমুদয় অন্যান্য ভ্যাট প্রত্যাহার করে এনবিআর। এর
সেই মেয়াদ কয়েক দফা বাড়িয়ে
৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়।
আগে
অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম অয়েলের
আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট
ছাড়াও ৫ শতাংশ অগ্রিম
কর দিতে হতো। এ
ছাড়া উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়েও
মূল্য সংযোজনের ওপর ১৫ শতাংশ
ভ্যাট ছিল।
ভোজ্যতেল ভ্যাট ভ্যাট ছাড় বনিজ্য বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার হ্যালো পিওর গোল্ড
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পবিত্র মাহে রমজানের আগে আবারও বাড়লো চিনির দাম। কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজি সরকারি মিলের চিনির সর্বোচ্চ খুচরা দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে চিনি ও খাদ্য শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, চিনির এ দাম অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে রোজা উপলক্ষ্যে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এখন থেকে করপোরেশনের ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা (এক কেজি) ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য ১৫৭ টাকা (এক কেজি) নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজারে সরকারি চিনির নামে মোড়কজাত করে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। সবশেষ কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা চিনির মূল্য নির্ধারণ করে সংস্থাটি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের জন্য ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। এই খবরে দেশের বাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়েছে। সরবরাহ বাড়তে থাকায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা কমেছে। অথচ রোজা শুরুর আগেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার তখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছিল।