ইনসাইড ট্রেড

জ্বালানির সাথে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ০৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

ফেব্রুয়ায়রি মাসের প্রথম দিন শুরু হয়েছিল বিদ্যুৎ ও গ্যাসের বাড়তি দাম কার্যকরের মধ্য দিয়ে। দ্বিতীয় দিনে এসে জানা গেল, রান্নার গ্যাস, মুরগি, ডিম, ডাল ও কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধিতে ব্যয়ের চাপ আরও বেড়ে গেছে।

বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সরকার গ্যাস–বিদ্যুতের মতো সেবামূল্য বাড়িয়ে দিচ্ছে। দ্বিমুখী চাপে চ্যাপটা হচ্ছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত। আগে যেসব পণ্যের দাম বেড়েছিল, তা কমারও কোনো লক্ষণ নেই। আরেকটি দিক হলো, সরকার যেসব পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে, তা–ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না।

ঢাকার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ডিমের দাম বেড়েছে ডজনে ১০ টাকা। ফার্মের মুরগির বাদামি ডিম গত সপ্তাহেও প্রতি ডজন ১২৫ টাকায় কেনা যেত, তা এখন কিনতে হচ্ছে ১৩৫ টাকা দরে। এ দর বড় বাজারের ডিমের দোকানের। তবে পাড়া–মহল্লার মুদিদোকানে গেলে দাম আরও বেশি দিতে হয়। বাজারে ডিমের ডজন সাধারণত ৯০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে থাকে। কয়েক মাস ধরে দাম অত্যন্ত চড়া। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এখন ডিমের দাম ২৩ শতাংশ বেশি।

অনেকের জন্য পুষ্টির যোগানে বড় ভরসা ফার্মের ব্রয়লার ও সোনালি মুরগি। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে মুরগির দাম অনেকটা বেশি থাকছে। ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা জানান, দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। সোনালি মুরগি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। গত সপ্তাহে যা ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা ছিল। খাবার ও এক দিন বয়সী মুরগির বাচ্চার দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরায় মুরগির দর বেড়েছে।

ব্রয়লার মুরগি মাংসের মধ্যে সবচেয়ে সস্তা। গরুর মাংস ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়ার বিপরীতে ব্রয়লার মুরগির দাম সাধারণত ১৩০ থেকে ১৪০ টাকার মধ্যে থাকে। শুধু উৎসব এবং পবিত্র শবে বরাতের সময় ১৮০ টাকার আশপাশে বিক্রি হতে দেখা যায়। কিন্তু এখন দাম প্রায়ই দ্বিশতকের কাছাকাছি চলে যাচ্ছে। গত অক্টোবরে ব্রয়লার মুরগির কেজি ২০০ টাকা ছাড়িয়েছিল। টিসিবির হিসাব বলছে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এখন ব্রয়লার মুরগির দাম ২২ শতাংশ বেশি।

মাছের বাজারেও স্বস্তি নেই। যেসব চাষের মাছের দাম বছরজুড়ে স্থিতিশীল থাকে, সেগুলোর দরও বেড়েছে। যেমন তেলাপিয়া মাছ সাধারণত ১৫০ থেকে ১৮০ টাকার মধ্যে পাওয়া যেত। এখন তা ২০০ থেকে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হয়। টিসিবি রুই মাছের দামের হিসাব রাখে। তাদের তালিকায় দেখা যায়, গত বছর একই সময়ে যে রুই মাছের কেজি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা ছিল, সেটা এখন ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়।

ডালের মধ্যে বেড়েছে অ্যাংকরের দাম। অ্যাংকর ডাল আমদানি করা। এটি মূলত নিম্ন আয়ের মানুষ কেনে। গত বছরও এ ডালের দাম কেজিতে ৫০ টাকা বা তার কম ছিল। এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে। এক সপ্তাহে দাম বেড়েছে ৫ টাকা। অন্য ডালের দামও চড়া। মসুর ডাল মানভেদে ৯৫ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।

রান্না করতে কাঁচা মরিচ লাগেই। কাঁচা মরিচের কেজি উঠেছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। গত সপ্তাহে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয় ১০০ টাকা কেজির নিচে। বেশির ভাগ সবজির কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, সবজির দাম স্থিতিশীল আছে। তবে মৌসুমের সময় দাম যতটা কমে, এবার ততটা কমেনি।

চাল, আটা ও তেল

দেশের মানুষের প্রধান খাদ্য চালের দাম উচ্চ মূল্যে স্থিতিশীল রয়েছে। আমদানি ও আমনে ভালো ফলনও দাম কমাতে পারেনি। টিসিবির তালিকায় মোটা চালের দাম ৪৬ থেকে ৫০ টাকা লেখা রয়েছে। তবে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভালো মানের মোটা চাল কিনতে দর পড়ছে কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। মাঝারি চালের দর ৬০ থেকে ৬২ টাকা। আর সরু মিনিকেট চাল কিনতে লাগছে ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা।

জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার গতকাল বলেন, বিএনপির আমলে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় মোটা চাল বিক্রি হতো। তখন একজন নারী শ্রমিক মজুরি পেতেন ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। পুরুষ পেতেন ৬০ থেকে ৭০ টাকা। এক কেজি চাল কিনলে তেল ও লবণ কেনার টাকা থাকত না। এখন মোটা চাল যদি ৪৮ কিংবা ৫০ টাকা ধরি...এখন একজন শ্রমিক মজুরি পান ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। সেই দিকে ধরলে তাঁরা পাঁচ গুণ, ছয় গুণ, সাত গুণ কিংবা আট গুণ বেশি আয় করেন।

চালের দাম কতটা বেড়েছে, তা বোঝা যায় টিসিবির ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসের দর দেখলে। তখন মোটা চালের সর্বনিম্ন দাম কেজিপ্রতি ৩০ টাকা ও সরু চাল ৪৫ টাকা ছিল। চালের দাম কমাতে সরকার আমদানির সুযোগ দিয়েছে। শুল্ক কমিয়েছে। তবে তারপরও দাম কমাতে পারেনি।

২০২০ সালের শুরুতে খোলা আটার কেজি ছিল ২৮ থেকে ৩০ টাকা; তা এখন কেজিপ্রতি ৫৮ থেকে ৬০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে মানুষকে। প্যাকেটজাত আটার দাম আরও বেশি। কেজিপ্রতি ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা। টিসিবির হিসাবে গত বছরের এ সময়ের তুলনায় আটার দাম এখন ৬৬ শতাংশ বেশি।

২০২১ ও ২০২২ সালজুড়ে ভোজ্যতেলের দাম চড়া ছিল। এখনো চড়া। ২০২০ সালের শুরুতে লিটারপ্রতি সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১০০ টাকার আশপাশে। এখন তা ১৮০ টাকার বেশি।

মসলার মধ্যে পেঁয়াজের মৌসুম চলছে। দাম নাগালে আছে। কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা। দেশি রসুনের কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। চীনা রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। বিক্রেতারা বলছেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ট্রাকভাড়া, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ও সারের দাম বাড়ার কারণে পণ্যের উৎপাদন ও আমদানি ব্যয় বেড়েছে। ফলে মৌসুমের সময় দাম ততটা কমছে না, যতটা আগে কমত।

যেমন টিসিবির হিসাবে গত বছর একই সময়ের তুলনায় এখন পেঁয়াজের দাম ৪০ শতাংশ বেশি। এবার আবাদে কোনো সমস্যা হয়নি।

নির্ধারিত দর কেউ মানে না

সরকারি সংস্থাগুলো এখন ভোজ্যতেল, চিনি ও তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম নির্ধারণ করে দেয়। ভোজ্যতেলের দাম মাঝেমধ্যে মানা হয় না। এটা মূলত নির্ভর করে বৈশ্বিক বাজার পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে, সেটির ওপর।

চিনি ও এলপিজির নির্ধারিত দর এখন মানা হচ্ছে না। গত ২৬ জানুয়ারি চিনির খুচরা মূল্য কেজিপ্রতি ৫ টাকা বাড়িয়ে ১০৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দাম আসলে কেজিপ্রতি ১১০ থেকে ১২০ টাকা। টিসিবির তালিকায়ও এ দর উল্লেখ করা হয়েছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘চিনির বাড়তি দাম ঠেকাতে আমরা সক্রিয় আছি। এলপিজির দাম আজই (গতকাল) বাড়ল। বেশি নেওয়া হলে আমরা দেখব।’

অবশ্য গ্রাহকেরা বলছেন, সব সময়ই এলপিজি নির্ধারিত দামের বেশি দরে বিক্রি হয়।

গ্যাস–বিদ্যুৎ দাম ‘আরও বাড়াবে’

সরকার গত ১৮ জানুয়ারি গ্যাসের দাম গড়ে ৮২ শতাংশ বাড়িয়েছে। বাসাবাড়ির গ্যাসের দাম না বাড়লেও তা পরোক্ষভাবে পরিবারের ব্যয় বাড়াবে। কারণ, গ্যাস পণ্যের উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দেবে। বিদ্যুতের দাম গত মাসে দুই দফায় ১০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এতে সরাসরি মানুষের বাসার বিদ্যুৎ বিল বাড়বে। পণ্যের উৎপাদন ব্যয়ে প্রভাব ফেলবে।

গ্যাস–বিদ্যুতের দাম বাড়ানোয় ডিম ও মুরগির দাম আরও বাড়তে পারে। কারণ, গ্যাসের বাড়তি দামে পোলট্রি খাবারের উৎপাদন ব্যয় বাড়বে। আর বিদ্যুৎ সরাসরি খামারের ব্যয় বাড়িয়ে দেবে।

দেশে গত ৫ আগস্ট জ্বালানি তেলের দাম রেকর্ড হারে বাড়ানো হয়েছিল। ওই মাসে মূল্যস্ফীতি দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ, যা আগের ১১ বছর ৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল।

এসব মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের ওপর কী প্রভাব ফেলছে, তা আঁচ করা যায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আবদুল মজিদের কথায়, যিনি নিউমার্কেট কাঁচাবাজারে কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘এখন মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করেও পাঁচজনের সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। মাসের শেষ দিকে ধার করা লাগে।’



মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

সোনার দোকান উদ্বোধন করলেন পিবিআই প্রধান

প্রকাশ: ০৮:৪৫ পিএম, ২২ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

দুবাই এর স্বর্ণ ব্যবসায়ী মোঃ আনোয়ার হোসেন এর ঢাকার নয়াপল্টনের রূপায়ন টাওয়ারে নব-প্রতিষ্ঠিত ‘হ্যালো পিওর গোল্ড’ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার। 

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিকেলে ঢাকার নয়াপল্টনের রূপায়ন টাওয়ারে নবপ্রতিষ্ঠিত এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার। 

এ সময় পিবিআই প্রধান বলেন, ভেজালের ভীড়ে খাঁটী জিনিস পাওয়া খুবই কঠিন। স্বর্ণ ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে কথাটি আরো বেশি প্রযোজ্য। তিনি আরো বলেন, সততাই ব্যবসায়ের মূলধন। প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার  আনোয়ার সাহেব সততা নিয়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করবেন মর্মে পিবিআই প্রধান প্রত্যাশা করেন। 

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পিবিআই এর পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী আখতার উল আলম, পুলিশ সুপার (লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া) মো. আবু ইউসুফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. নাসিম মিয়াসহ অনেকে।


পিবিআই প্রধান   বনজ কুমার মজুমদার   হ্যালো পিওর গোল্ড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

ঢাকায় পেঁয়াজের বড় দরপতন

প্রকাশ: ০৮:২৭ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের জন্য ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। এই খবরে দেশের বাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়েছে। সরবরাহ বাড়তে থাকায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা কমেছে। অথচ রোজা শুরুর আগেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার তখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছিল।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর কাঁচাবাজার ঘুরে এমন তথ্য মিলেছে। ঢাকার নর্দ্দা, নতুনবাজার, কারওয়ানবাজার, মগবাজারে দেখা যায়-এদিন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। গত সপ্তাহে যা ছিল ১০০ থেকে ১১০ টাকা। সেই হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম কমেছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

নতুনবাজারের ব্যবসায়ী বিশারত আলি বলেন, বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ ভালো আছে। পাবনা ও ফরিদপুর থেকে পণ্যটি প্রচুর আসছে। তাই দর হ্রাস পেয়েছে। আগের সপ্তাহে সাধারণ মানের পেঁয়াজের দাম ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা। এই সপ্তাহে সেটা বেচছি ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। মাত্র ২/৩ টাকা লাভে তা বিক্রি করছি আমরা।

নর্দ্দা কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী রহিম মিয়া বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই পেঁয়াজের দাম কমছে। এখন ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি করছি ৬০ টাকায়। সপ্তাহখানেক আগেও যা ছিল ১০০ টাকা। তবে মূল্য কেন কমছে বা বাড়ছে-সেই সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। সাধারণত,  আমরা যেমন দামে কিনি, তেমন দামেই বিক্রি করি।

বাংলাদেশে পাঠাতে কৃষকদের কাছ থেকে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। সোমবার (১৮ মার্চ) দেশটির রপ্তানি সংস্থা ন্যাশনাল কো অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেড (এনসিইএল) এমন তথ্য জানায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতি কেজি এই পেঁয়াজের দাম পড়বে ২৯ রুপি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩৮ টাকা ৪০ পয়সা। এই সংবাদেই রান্নাঘরের মুখ্য পণ্যটির দরপতন ঘটছে।

রাজধানী   পেঁয়াজের দাম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

মাছ-মাংসসহ ২৯টি পণ্যের দাম বেঁধে দিল সরকার

প্রকাশ: ০৬:২৬ পিএম, ১৫ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে ২৯টি পণ্যের মূল্য বেঁধে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাসুদ করিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কৃষি বিপণন আইন ২০১৮-এর ৪(ঝ) ধারার ক্ষমতাবলে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করেছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নির্ধারিত দামে কৃষিপণ্য কেনাবেচার জন্য অনুরোধ করা হলো।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নতুন নির্ধারিত তালিকা অনুযায়ী মুগ ডালের পাইকারি বাজার মূল্য হবে ১৫৮ দশমিক ৫৭ টাকা ও খুচরা ১৬৫ দশমিক ৪১ টাকা।

এছাড়া মাসকলাইয়ের পাইকারি বাজার মূল্য ১৪৫ দশমিক ৩০ টাকা ও খুচরা ১৬৬ দশমিক ৪১, ছোলার (আমদানিকৃত) পাইকারি বাজার মূল্য ৯৩ দশমিক ৫০ টাকা ও খুচরা ৯৮ দশমিক ৩০, মসুরডাল (উন্নত) পাইকারি বাজার মূল্য ১২৫ দশমিক ৩৫ টাকা ও খুচরা ১৩০ দশমিক ৫০, মসুরডাল (মোটা) পাইকারি বাজার মূল্য ১০০ দশমিক ২০ টাকা ও খুচরা ১০৫ দশমিক ৫০, খেসারিডাল পাইকারি বাজার মূল্য ৮৩ দশমিক ৮৩ টাকা ও খুচরা ৯২ দশমিক ৬১।

পাংগাস (চাষের মাছ) পাইকারি বাজার মূল্য ১৫৩ দশমিক ৩৫ টাকা ও খুচরা ১৮০ দশমিক ৮৭, কাতল (চাষের মাছ) পাইকারি বাজার মূল্য ৩০৩ দশমিক শূন্য ৯ টাকা ও খুচরা ৩৫৩ দশমিক ৫৯।

গরুর মাংস কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ৬৩১ দশমিক ৬৯ টাকা ও খুচরা ৬৬৪ দশমিক ৩৯, ছাগলের মাংস পাইকারি বাজার মূল্য ৯৫২ দশমিক ৫৮ টাকা ও খুচরা ১০০৩ দশমিক ৫৬, বয়লার মুরগী পাইকারি বাজার মূল্য ১৬২ দশমিক ৬৯ টাকা ও খুচরা ১৭৫ দশমিক ৩০, সোনালী মুরগী পাইকারি বাজার মূল্য ২৫৬ দশমিক ১০ টাকা ও খুচরা ২৬২।

ডিম (পিস) পাইকারি বাজার মূল্য ৯ দশমিক ৬১ টাকা ও খুচরা ১০ দশমিক ৪৯।

দেশী পেঁয়াজ কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ৫৩ দশমিক ২০ টাকা ও খুচরা ৬৫ দশমিক ৪০, দেশী রসুন কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ৯৪ দশমিক ৬১ টাকা ও খুচরা ১২০ দশমিক ৮১, আদা আমদানিকৃত পাইকারি বাজার মূল্য ১২০ দশমিক ২৫ টাকা ও খুচরা ১৮০ দশমিক ২০, শুকনো মরিচ কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ২৫৩ দশমিক ২৬ টাকা ও খুচরা ৩২৭ দশমিক ৩৪, কাঁচামরিচ কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ৪৫ দশমিক ৪০ টাকা ও খুচরা ৬০ দশমিক ২০।

বাঁধাকপি কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ২৩ দশমিক ৪৫ টাকা ও খুচরা ২৮ দশমিক ৩০, ফুলকপি কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ২৪ দশমিক ৫০ টাকা ও খুচরা ২৯ দশমিক ৬০, বেগুন কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ৩৮ দশমিক ২৫ টাকা ও খুচরা ৪৯ দশমিক ৭৫, সিম কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ৪০ দশমিক ৮২ টাকা ও খুচরা ৪৮, আলু কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ২৩ দশমিক ৩০ টাকা ও খুচরা ২৮ দশমিক ৫৫, টমোটো কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ৩০ দশমিক ২০ টাকা ও খুচরা ৪০ দশমিক ২০, মিষ্টি কুমড়া কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ১৬ দশমিক ৪৫ টাকা ও খুচরা ২৩ দশমিক ৩৮, খেঁজুর জাহিদী পাইকারি বাজার মূল্য ১৫৫ দশমিক ৫৩ টাকা ও খুচরা ১৮৫ দশমিক ০৭, মোটা চিড়া পাইকারি বাজার মূল্য ৫২ দশমিক ৭৫ টাকা ও খুচরা ৬০, সাগর কলা হালি পাইকারি বাজার মূল্য ২২ দশমিক ৬০ টাকা ও খুচরা ২৯ দশমিক ৭৮ ও বেসন পাইকারি বাজার মূল্য ৯৯ দশমিক ০২ টাকা ও খুচরা ১২১ দশমিক ৩০ টাকা।

মূল্য তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তর   দাম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

রমজানের প্রথম দিনেই লেবুর হালি ৮০ টাকা!

প্রকাশ: ০৫:১৮ পিএম, ১২ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

পবিত্র রমজানে ইফতারের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। এক সপ্তাহ আগে প্রতিপিস লেবুর বাজারে বিক্রি হয়েছে পাঁচ টাকায়। ২০ টাকা হালিতে পাওয়া গেছে লেবু। তবে রমজান শুরুর প্রথম দিনেই এক লাফেই লেবুর হালি ৮০ টাকা হয়ে গেছে। এছাড়া শসা বাজারভেদে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। 

সবজির দামও রাতারাতি বেড়েছে। একদিনের ব্যবধানে প্রতিকেজি বেগুনের দাম বেড়েছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা।

এদিকে শসা ও খিরা বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। সবধরনের সবজির দামও বেড়ে গেছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রমজান মাস শুরু না হতেই বাজারে অস্বাভাবিক উত্তাপ ছড়িয়েছে সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম। লেবু, শসা, পেঁয়াজ, আলু, বেগুনসহ সেহরি ও ইফতার সংশ্লিষ্ট সব পণ্যের দাম যেন আকাশছোঁয়া। রমজান শুরুর এক সপ্তাহ আগে থেকেই শসা এবং লেবুর দাম বাড়তে শুরু করে অস্বাভাবিকভাবে। এক হালি লেবুর দাম সাইজ ভেদে ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

রাজধানীর কুড়িল কুড়াতলী বাজারে লেবু কিনতে গিয়ে হতাশ কবিরুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, রাস্তায় ঝাঁকা নিয়ে বসা লেবু বিক্রেতার কাছে দাম জানতে চাইলে বড় সাইজের লেবু ৮০ টাকা হালি চেয়েছেন, আর একটু ছোট সাইজটা ৬০ টাকা। মাত্র কয়েকদিন আগেও একই লেবু কিনেছি ৪০ টাকায়। 

এদিকে রাজধানীর ভাটার নতুনবাজার, বাড্ডা ও রামপুরার বেশকিছু বাজার ঘুরে দেখা গেছে ছোট সাইজের লেবু  ৬০-৭০ টাকা হালি, মাঝাড়ি সাইজ ৭০-৮০ টাকা এবং বড় সাইজ লেবু বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা হালিতে। দামাদামি করে সাধ্যের মধ্যে লেবু কিনছেন কেউ কেউ। 

রমজান   লেবুর দাম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

রমজানের আগে চিনির দাম বাড়লো কেজিতে ২০ টাকা

প্রকাশ: ০৬:৩৩ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

পবিত্র মাহে রমজানের আগে আবারও বাড়লো চিনির দাম। কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজি সরকারি মিলের চিনির সর্বোচ্চ খুচরা দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে চিনি ও খাদ্য শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, চিনির এ দাম অবিলম্বে কার্যকর হবে।   

এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে রোজা উপলক্ষ্যে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।

এখন থেকে করপোরেশনের ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা (এক কেজি) ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য ১৫৭ টাকা (এক কেজি) নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাজারে সরকারি চিনির নামে মোড়কজাত করে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। সবশেষ কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা চিনির মূল্য নির্ধারণ করে সংস্থাটি।


বিএসএফআইসি   মাহে রমজান   চিনি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন