ইনসাইড ট্রেড

বাংলাদেশ-ভুটান ট্রানজিট চুক্তি ও প্রোটোকল স্বাক্ষরিত

প্রকাশ: ০৫:১২ পিএম, ২২ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail বাংলাদেশ-ভুটান ট্রানজিট চুক্তি ও প্রোটোকল স্বাক্ষরিত।

বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সহজতর করার লক্ষ্যে ‘Agreement on the Movement of Traffic-in-Transit and Protocol’ স্বাক্ষরিত হয়েছে। বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং ভুটানের শিল্প, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী কর্মা দর্জি (Karma Dorji) ট্রানজিট চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

বুধবার (২২ মার্চ) ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

চুক্তি স্বাক্ষরের সময় ভুটানের শিল্প বাণিজ্য কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব দাশ তাশি ওমাং এবং শক্তি ও নবায়নযোগ্য সম্পদ বিষয়ক সচিব জনাব দাশ কর্মা শেরিং, ভুটান চেম্বার অব ইন্ডাষ্ট্রিজ এর সভাপতি এবং ভুটানের বিভিন্ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকবৃন্দসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন যুগান্তকারী এই চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও সহজতর হওয়ার পাশাপাশি বাণিজ্য সম্পর্ক নতুন মাত্রা পাবে। স্বাক্ষরিত চুক্তি দেশের জন্য কুটনৈতিক, অর্থনৈতিক, সংযোগ এবং কৌশলগত সুবিধা বয়ে আনবে বলেও জানান তিনি।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ আন্ত:যোগাযোগ বৃদ্ধি ও আঞ্চলিক ভ্যালু চেইন সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে চায়। এর অংশ হিসেবে চারিদিকে স্থলভাগ বেষ্টিত ভুটানকে বাংলাদেশ ট্রানজিট চুক্তির আওতায় বিমান, রেল, স্থল, নৌবন্দর ও সমুদ্র বন্দর ব্যবহারের সুযোগ প্রদান করছে। 

এ চুক্তির ফলে উভয় দেশের কুটনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক যোগাযোগে ব্যাপক প্রসার ঘটবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে ভুটানের পণ্য রপ্তানি ও আমদানি করলে বাংলাদেশ বিভিন্ন ফি এবং চার্জ লাভ করবে। এছাড়া অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটবে। ট্রানজিট এগ্রিমেন্ট বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের সমুন্দ্র বন্দরসমূহ অধিকতর কর্মক্ষম হবে এবং রাজস্ব আয় বাড়বে। অধিকন্ত কর্মসংস্থান বৃদ্ধিসহ বন্দরসমূহের সার্বিক কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়ন করবে। 

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পেরে তিনি গর্বিত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের সমাপ্তির প্রাক্কালে ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে সর্বপ্রথম স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় তিনি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং বাংলাদেশ ভুটানের নিবিড় বন্ধুত্বকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং দ্বিপাক্ষিক এই সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব ভবিষ্যতে আরও সম্প্রসারিত ও শক্তিশালী করতে উভয় রাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। 

টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে গত এক দশকে অর্থ-বাণিজ্য, স্বাস্থ্য-শিক্ষা এবং যোগাযোগ ও অবকাঠামোসহ সকল খাতে অসাধারণ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। যার ফলে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতি দেশে রুপান্তরিত হয়েছে, পরিচিতি পেয়েছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে।

এ সময় বিগত বছরগুলির ন্যায় সমস্ত আঞ্চলিক এবং বহুপাক্ষিক ফোরামে বাংলাদেশকে সমর্থন প্রদান অব্যাহত রাখা ছাড়াও জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে সহযোগীতার মাধ্যমে বাংলাদেশের ট্রিলিয়ন ডলারের যাত্রায় ভুটানকে উন্নয়ন অংশীদার হওয়ার আহবান জানান তিনি ৷

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পর ভুটানের মন্ত্রী, সচিব ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগনের সাথে বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী কৃষিখাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বিশেষ করে মাশরুমসহ কৃষিপণ্যের বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়ের গুরুত্ব আরোপ করেন।

উল্লেখ্য, তিন দফা দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে উক্ত চুক্তি এবং এর আওতায় প্রোটোকল চুড়ান্ত করা হয়। গত ১৩ মার্চ ২০২৩ তা মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়। ইতো:পূর্বে স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ-ভুটান অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (PTA)কে  সম্পাদিত চুক্তি ও প্রোটোকল অধিকতর কার্যকর করবে। স্বাক্ষরিত চুক্তিটি উভয় দেশ কর্তৃক রেটিফিকেশনের পরে কার্যকর হবে।


বাংলাদেশ   ভুটান   ট্রানজিট চুক্তি   প্রোটোকল   স্বাক্ষরিত   বাণিজ্যমন্ত্রী   থিম্পু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনছে সরকার

প্রকাশ: ০৫:৪৯ পিএম, ২৪ মে, ২০২৩


Thumbnail মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনছে সরকার।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি অ্যাসেনচ্যুয়েট টেকনোলজির কাছ থেকে প্রতি লিটার ১৪০ টাকা দরে এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনছে সরকার। এছাড়া দেশীয় কোম্পানি সিটি এডিবল অয়েলের কাছ থেকে ১৮২ টাকা ৬৫ পয়সা লিটার দরে আরও ৭০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনা হবে।

বুধবার (২৪ মে) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য সয়াবিন তেল কেনার প্রস্তাব দুটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

এছাড়াও সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে প্রতি কেজি ১০৫ টাকা দরে ১২ হাজার ৫০০ টন চিনি কেনার একটি প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয় মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে। এতে মোট ব্যয় হবে ১৩১ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান এসব তথ্য জানান। তিনি আরও জানান, বৈঠকে বিএডিসির জন্য মরক্কোর ওসিপি এসএর কাছ থেকে ১২০ কোটি ৩ লাখ ৭৯ হাজার ২০০ টাকায় ৩০ হাজার টন টিএসপি সার কেনার প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে প্রতি টনের দাম পড়ে ৩৬৮ ডলার।

সাঈদ মাহবুব খান জানান, বিএডিসির আরেক প্রস্তাবে রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশনের কাছ থেকে ২২৬ কোটি ৬৮ লাখ ১৪ হাজার টাকায় ৫০ হাজার টন এমওপি সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়।


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   সয়াবিন তেল   সরকার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

১০৫ টাকা দরে সাড়ে ১২ হাজার টন চিনি কিনছে সরকার

প্রকাশ: ০৪:০৯ পিএম, ২৪ মে, ২০২৩


Thumbnail ১০৫ টাকা দরে সাড়ে ১২ হাজার টন চিনি কিনছে সরকার।

জরুরি ভিত্তিতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য দেশীয় একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ১০৫ টাকা কেজি দরে আরও ১২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চিনি কিনছে সরকার। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩১ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

বুধবার (২৪ মে) দুপুরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলো নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।

তিনি জানান, জরুরি প্রয়োজনে টিসিবির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ১২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চিনি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৩১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। প্রতি কেজি চিনির দাম পড়বে ১০৫ টাকা। ব্রান্ড শেয়ার ট্রেডিং লিমিটেড মাইডস থেকে এই চিনি কেনা হবে।

এর আগে গত ১৭ মে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের এক্সেনচুয়াল টেকনোলজি ইনকোরপোরেশন থেকে সাড়ে ১২ হাজার মেট্রিক টন চিনি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে খরচ ধরা হয় ৬৬ কোটি ২৭ লাখ ৩১ হাজার ২৫০ টাকা। প্রতি কেজি চিনির দাম ধরা হয় ৮২ টাকা ৮৫ পয়সা।

তার আগে গত ৯ মে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে সিঙ্গাপুরের স্মার্ট মেট্রিক্স প্রাইভেট লিমিটেড (স্থানীয় এজেন্ট মার্ক লাইন এন্টারপ্রাইজ) থেকে সাড়ে ১২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চিনি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। সে সময় খরচ ধরা হয় ৬৬ কোটি ৭৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা। প্রতি কেজি চিনির দাম ধরা হয় ৮২ টাকা ৯৪ পয়সা।


১০৫ টাকা   চিনি   সরকার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সেলস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৭:২২ পিএম, ২১ মে, ২০২৩


Thumbnail

কক্সবাজারে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেডের চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সেলস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (২১ মে) বিকেলে শহরের কলাতলীর ওশান প্যারাডাইজ হোটেলে এ কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের সেলস অ্যান্ড মার্কেটিংয়ের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এম এম জসীম উদ্দিন, চিফ হিউমান রিসোর্স অফিসার, সেক্টর-এ, বসুন্ধরা গ্ৰুপ, জনাব ক্যাপ্টেন শেখ এহসান রেজা, হেড অফ স্ট্র্যাটেজি এন্ড পাবলিক রিলেশনস, সেক্টর এ, বসুন্ধরা গ্ৰুপ, জনাব জাকারিয়া জালাল, ডিজিএম, অডিট, সেক্টর এ, বসুন্ধরা গ্ৰুপ, জনাব মাকসুদুল আলম। উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগন সবাইকে স্বাগত জানিয়ে পরিবেশকবৃন্দের সাথে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।   

সম্মিলিত আলোচনায় ২০২২ এর বাজার অভিজ্ঞতার আলোকে ২০২৩ সালের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়। বসুন্ধরার কর্মকর্তাগণ বলেন, প্রতিযোগিতাপূর্ণ বাজারে বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের নেতৃত্ব ধরে রাখতে পরিবেশকদের জন্য আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।   

সেলস কনফারেন্সে নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম নর্থ এবং চট্টগ্রাম সাউথ সেলস ডিভিশনের পরিবেশক এবং বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মীদের কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সেরা পারফরমার স্বীকৃতি দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের প্রায় শতাধিক পরিবেশক এবং আঞ্চলিক কর্মকর্তা অংশ নেন।   

বসুন্ধরা গ্ৰুপের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন  কাজী রোকন উদ্দিন (এজিএম, ব্র্যান্ড, বসুন্ধরা এলপি গ্যাস),  এবিএম জাহিদুর রহমান (উইং ইনচার্জ, সেলস, চট্টগ্রাম), মোঃ আরিফুল ইসলাম (ডি.এস.এম, সেলস, চট্টগ্রাম) সহ বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের কর্মকর্তারা।

বসুন্ধরা এলপি গ্যাস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

পেঁয়াজ আমদানির জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৩:৪৭ পিএম, ২১ মে, ২০২৩


Thumbnail বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

বাজারে ভোক্তা পর্যায়ে পিঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানি করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে কৃষি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

রোববার (২১ মে) রাজধানীর বাড্ডা আলাতুন্নেছা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও মেধা পুরস্কার এবং গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন পর্যাপ্ত হয়েছে। কিন্তু বেশি মুনাফা লাভের আশায় অনেকে পেঁয়াজ মজুদ রেখে সংকট তৈরি করে বাজারকে অস্থিতিশীল করা হয়েছে। ভোক্তা পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম কয়েক দিনের ব্যবধানে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান বাজার বিবেচনায় আমরা পেঁয়াজ আমদানির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে কৃষি মন্ত্রণালয় অবহিত করেছি। ইমপোর্ট পারমিট বা আইপি যেহেতু কৃষি মন্ত্রণালয় দিয়ে থাকে তাই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। বাজার পর্যবেক্ষণ করে তারা এ ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিবে বলে আমাদের জানিয়েছেন।’

টিপু মুনশি বলেন, ‘দেশের কৃষকরা যাতে পেঁয়াজের ন্যায্য মূল্য পান সেজন্য মূলত ইমপোর্ট পারমিট বন্ধ রাখা হয়েছে। এখন যেহেতু ভোক্তাদের বাজারে পেঁয়াজ কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে- তাই আমদানি করা ছাড়া উপায় নেই। আমদানির পর বাজারে স্থিতিশীলতা আসবে।’

বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের দিয়ে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। নির্ধারিত দামে বাজারে চিনি বিক্রয় করছে কি-না তা পর্যবেক্ষণে মনিটরিং করা হচ্ছে।

এর আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে রূপান্তরিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী নেতৃত্বের ফলে এতো অল্প সময়ের মধ্যে দেশের সকল খাতে যে উন্নয়ন সাধিত হয়েছে সেজন্য বিশ্ববাসী অবাক চিত্তে তাকিয়ে রয়। শিক্ষার উন্নয়নেও অনেক সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়ে বাস্তবায়ন করছে সরকার।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বল্প-উন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে শেখ হাসিনা পথ নকশা তৈরি করেছেন। এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার জন্য সবাইকে ঐকবদ্ধ্য হয়ে কাজ করতে হবে। 

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে টিপু মুনশি বলেন, এ দেশের স্বাধীনতা অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে। অনেক জীবনের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার রক্ষার দাযিত্ব নতুন প্রজন্মকে নিতে হবে। সন্তানদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যোগ্য এবং মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন করে গড়ে তুলতে অভিভাকদের প্রতি আহবান জানান তিনি।

বিদ্যালয়ের সভাপতি ও বাড্ডা ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাসুম গণি তাপসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক সিনিয়র সচিব মফিজুল ইসলাম।


বাণিজ্যমন্ত্রী   টিপু মুনশি   পেঁয়াজ   আমদানি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

আগামী দু-একদিনের মধ্যে পেঁয়াজ আমদানি নিয়ে সিদ্ধান্ত

প্রকাশ: ১২:৫৯ পিএম, ২১ মে, ২০২৩


Thumbnail

পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে আগামী দু-একদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। 

রবিবার (২১ মে) সচিবালয়ে তার অফিসকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক। এক্ষেত্রে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ আমদানি হবে কী না, সেটা আগামী দু-একদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

গতকাল পেঁয়াজের দাম মণপ্রতি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা দাম কমেছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, স্থানীয়ভাবে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে দ্রুত ভারত থেকে আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ৪৫ টাকার বেশি পেঁয়াজের দাম হওয়া উচিত না। পেঁয়াজ আমদানি করা হলে ৪৫ টাকার নিচে চলে আসবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, সবকিছুর একটা ধারাবাহিকতা থাকে, কিন্তু গত এক সপ্তাহে পেঁয়াজের দামে সে ধারাবাহিকতা রাখা যায়নি। সাধারণত বাজার সাপ্লাই এবং ডিমান্ডের ওপর নির্ভর করে। গত বছর পর্যাপ্ত পেঁয়াজ থাকা সত্ত্বেও কিছু অসাধু আড়ৎদারের কারণে গুদামে অনেক পেঁয়াজ পঁচে গেছে।

তিনি বলেন, আমাদের মোট ভূখণ্ডের মোট ৬০ ভাগ জমি আবাদ করা হয়। আবার একই জমিতে একাধিক ফসল হচ্ছে। আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার সঙ্গে প্রতিবছর প্রায় ২০ থেকে ২৪ লাখ মানুষ নতুন করে যোগ হচ্ছে। আমরা দানাদার খাদ্যতে স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকলেও প্রতিবছর ক্রমবর্ধমান এই জনসংখ্যার কারণেই বাজারে নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা বেশি।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজের দাম ২৫ থেকে ৩০ টাকা হওয়া কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা বিষয়টা মনিটরিং করছি। আমাদের অফিসারদের মাঠ পর্যায়ে পাঠিয়েছি। তারা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে, কৃষকদের ঘরে পেঁয়াজ থাকলেও দাম বাড়াবে- এমন আশায় তারা অনেকেই মজুদ করে রেখে দিচ্ছেন। এতে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।


পেঁয়াজ   পেঁয়াজ আমদানি   কৃষিমন্ত্রী   ড. আব্দুর রাজ্জাক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন