আন্তর্জাতিক
স্বর্ণের দামের বড় ধরনের ধরপতন হয়েছে। গত এক সপ্তাহে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম কমেছে
৩৪ ডলার। এতে দেশের বাজারে সর্বশেষ স্বর্ণের দাম সমন্বয়ের পর আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি
আউন্স স্বর্ণের দাম প্রায় ১০০ ডলার কমে গেছে।
চলতি মাসের
প্রথম সপ্তাহ থেকেই আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম অনেকটা নিম্নমুখী হতে দেখা যায়।
ফলে মে মাসেই প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম প্রায় ৮০ ডলার কমে গেছে।
তবে আন্তর্জাতিক
বাজারে স্বর্ণের দাম কমলেও দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম নতুন করে সমন্বয় করা হয়নি।
দেশের বাজারে
স্বর্ণের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৫০ ডলারের
কাছাকাছি চলে আসে। তার পরিপ্রেক্ষিতে ১৬ এপ্রিল দেশের বাজারে সবধরনের স্বর্ণের দাম
বাড়ায় বাজুস।
সেসময় সব থেকে
ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ১ হাজার ১৮৩
টাকা বাড়িয়ে ৯৮ হাজার ৪৪৪ টাকা করা হয়। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম
১ হাজার ২২৫ টাকা বাড়িয়ে ৯৩ হাজার ৯৫৪ টাকা করা হয়। ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের
দাম ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে ৮০ হাজার ৫৪০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ভরিতে ৮৭৪
টাকা বাড়িয়ে ৬৭ হাজার ১২৬ টাকা করা হয়েছে।
বর্তমানে দেশের
বাজারে এ দামেই সোনা বিক্রি হচ্ছে। আর ক্রেতাদের স্বর্ণের গহনা কিনতে এ দামের সঙ্গে
৫ শতাংশ ভ্যাট ও ভরি প্রতি ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা মজুরি গুনতে হচ্ছে। ফলে এক ভরি স্বর্ণের
গহনা কিনতে লাখ টাকার ওপরে খরচ হচ্ছে।
দেশের বাজারে
স্বর্ণের দাম বাড়ার কয়েকদিন পরেই আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম কমে দুই হাজার ডলারের
নিচে চলে আসে। তবে, চলতি মাসের শুরুতে দাম বাড়ায় ৪ মে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ২ হাজার
৫৪ ডলার পর্যন্ত ওঠে। অবশ্য এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে স্বর্ণের দাম কমতে দেখা যাচ্ছে।
গত সপ্তাহে
লেনদেন শুরু হওয়ার আগে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ২ হাজার ১১ ডলার। সপ্তাহ শেষ তা
কমে ১ হাজার ৯৭৭ ডলারে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম
কমেছে ৩৩ দশমিক ৭৮ ডলার। সপ্তাহের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম বড় অঙ্কে কমলেও শেষ কার্যদিবসে
বড় উত্থান হয়েছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়েছে ১৯ দশমিক
২৪ ডলার বা দশমিক ৯৮ শতাংশ।
মন্তব্য করুন
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার হ্যালো পিওর গোল্ড
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পবিত্র মাহে রমজানের আগে আবারও বাড়লো চিনির দাম। কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজি সরকারি মিলের চিনির সর্বোচ্চ খুচরা দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে চিনি ও খাদ্য শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, চিনির এ দাম অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে রোজা উপলক্ষ্যে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এখন থেকে করপোরেশনের ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা (এক কেজি) ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য ১৫৭ টাকা (এক কেজি) নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজারে সরকারি চিনির নামে মোড়কজাত করে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। সবশেষ কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা চিনির মূল্য নির্ধারণ করে সংস্থাটি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের জন্য ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। এই খবরে দেশের বাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়েছে। সরবরাহ বাড়তে থাকায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা কমেছে। অথচ রোজা শুরুর আগেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার তখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছিল।