মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি অ্যাসেনচ্যুয়েট টেকনোলজির কাছ থেকে প্রতি লিটার ১৪০ টাকা দরে এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনছে সরকার। এছাড়া দেশীয় কোম্পানি সিটি এডিবল অয়েলের কাছ থেকে ১৮২ টাকা ৬৫ পয়সা লিটার দরে আরও ৭০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনা হবে।
বুধবার (২৪ মে) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য সয়াবিন তেল কেনার প্রস্তাব দুটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
এছাড়াও সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে প্রতি কেজি ১০৫ টাকা দরে ১২ হাজার ৫০০ টন চিনি কেনার একটি প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয় মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে। এতে মোট ব্যয় হবে ১৩১ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান এসব তথ্য জানান। তিনি আরও জানান, বৈঠকে বিএডিসির জন্য মরক্কোর ওসিপি এসএর কাছ থেকে ১২০ কোটি ৩ লাখ ৭৯ হাজার ২০০ টাকায় ৩০ হাজার টন টিএসপি সার কেনার প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে প্রতি টনের দাম পড়ে ৩৬৮ ডলার।
সাঈদ মাহবুব খান জানান, বিএডিসির আরেক প্রস্তাবে রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশনের কাছ থেকে ২২৬ কোটি ৬৮ লাখ ১৪ হাজার টাকায় ৫০ হাজার টন এমওপি সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সয়াবিন তেল সরকার
মন্তব্য করুন
নির্ধারিত
দরের চেয়ে বেশি দামে
ডলার কেনা-বেচা করায়
১০ ব্যাংককে শাস্তির আওতায় আনছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ব্যাংকগুলোকে
এই বিষয়ক চিঠি দেওয়া হয়েছে
বলেও জানা গেছে।
বাংলাদেশ
ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল
হক এ বিষয়ে বলেন,
বেশকিছু ব্যাংকের বিরুদ্ধে বেশি দামে ডলার
কেনা-বেচার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে বাংলাদেশ ব্যাংক
ঘটনার সত্যতা পেয়েছে। ফলে সেই অনুযায়ী
ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এই তালিকায় দেশি-বিদেশি ও
রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের ব্যাংক রয়েছে। এর আগে গত
জুলাই মাসে ১৩টি ব্যাংকের
বিরুদ্ধে ডলার দর নিয়ে
কারসাজির অভিযোগ পেয়ে অধিকতর তদন্ত
করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই ১৩টি ব্যাংকের
মধ্যে ১০টির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শাস্তি দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করলো বাংলাদেশ
ব্যাংক।
গত জুলাই মাসে অধিকতর তদন্ত
শুরু করার সময়ে মেজবাউল
হক বলেছিলেন, আমরা অভিযোগ পেয়ে
তদন্ত শুরু করেছি। তদন্ত
শেষে বলা যাবে তারা
বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা ভেঙেছে কিনা। তদন্তে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তখন
বিস্তারিত বলা যাবে।
ডলারের
দর বেশি রাখা হচ্ছে
এমন অভিযোগের পরপরই তা রোধ করতে
শক্ত অবস্থানে গিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। গভর্নরের
কড়া নির্দেশ পেয়েই কর্মকর্তারা তদন্তে নামছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ
ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা।
একই
অভিযোগে গত বছরের আগস্টে
অতিরিক্ত দরে ডলার কেনা-বেচায় দেশি বিদেশি ছয়
ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধানকে অপসরাণ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই তালিকায় ব্র্যাক
ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, প্রাইম
ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক,
সাউথ ইস্ট ব্যাংক এবং
স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের নাম ছিল।
ডলার কেনা-বেচা বাংলাদেশ ব্যাংক
মন্তব্য করুন
ডিমের
বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে ভারত থেকে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। চার
প্রতিষ্ঠানকে এ অনুমতি দেওয়া হয়।
সোমবার
(১৮ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি
জানান, ডিমের বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে আপাতত চার কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
চার প্রতিষ্ঠানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি করে ডিম আমদানির
অনুমোদন দেওয়া হয়। বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমদানি
করা ডিম খুচরাপর্যায়ে সরকার নির্ধারিত দাম প্রতি পিস ১২ টাকায় বিক্রি হবে।
মেসার্স
মীম এন্টারপ্রাইজ, প্রাইম এনার্জি ইম্পোর্টার্স এন্ড সাপ্লাইয়ার্স, টাইগার ট্রেডিং,
অর্ণব ট্রেডিং লিমিটেডকে ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এর
আগে ১৪ সেপ্টেম্বর খুচরাপর্যায়ে প্রতিটি ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করে দেয় সরকার।
তারপরও বাজারে কমেনি দাম। শেষপর্যন্ত ডিম আমদানির অনুমতি দিলো সরকার।
এদিকে
ডিম আমদানির জন্য পাঁচটি শর্ত নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এগুলো হলো, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা
বা বার্ড ফ্লু মুক্ত ডিম আমদানি করতে হবে। আমদানিকৃত ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রপ্তানিকারক
দেশের সরকারের মাধ্যমে নির্ধারিত কিংবা ক্ষমতাপ্রাপ্ত উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত এভিয়েন
ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লুর ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ামুক্ত সনদ দাখিল করতে হবে। সরকার নির্ধারিত
শুল্ক বা কর পরিশোধ করতে হবে। নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি করা যাবে না। সরকারের অন্য বিধিবিধান
মেনে চলতে হবে।
মন্তব্য করুন
গত বৃহস্পতিবার
প্রতি পিস ডিমের দাম ১২ টাকা, আলুর কেজি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা, দেশি পেঁয়াজের কেজি ৬৫ টাকা
নির্ধারণ করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না হলে এবার ভোক্তা অধিদপ্তর
কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তবে সরকারের
এই দাম নির্ধারণের এক দিন পর গতকাল বাজারে এর কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। রাজধানীর বিভিন্ন
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কোনো দোকানেই নির্ধারিত দামে এসব পণ্য বিক্রি হচ্ছে না। প্রতি
পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ১২ থেকে ১৩ টাকায়। দেশি পেঁয়াজের কেজি ৮৫ থেকে ৯০, আলুর
কেজি ৫০ টাকা। এ নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে চলছে বাগবিতণ্ডা। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন,
সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক না হলে নির্ধারিত দাম বাস্তবায়ন করা কঠিন।
আলুর দাম প্রসঙ্গে
ব্যবসায়ী শরীফ মাহমুদ বলেন, আলু ৪২ থেকে ৪৫ টাকা পাইকারি দরেই কিনে আনতে হয়েছে। তাহলে
সরকার নির্ধারিত ৩৫ টাকা করে বিক্রি কীভাবে করব।
আবদুল্লাহ নামে
এক বিক্রেতা বলেন, ‘আলুর যে সিন্ডিকেট, ভোক্তা পর্যায়ে আসার আগেই দামের পাঁচটি স্তর
রয়েছে। ৩০ টাকার আলু যদি এই পাঁচটি স্তরে ২ টাকা করেও লাভ করা হয়, তারপরও ১০ টাকা বেশি
দামে আমাদের বিক্রি করতে হবে।’
শনির আখড়ার
ডিম বিক্রেতা মনির হোসেন বলেন, খুচরা বাজারে তদারকি করার আগে পাইকারি বাজার এবং আড়তগুলোতে
কী দামে বিক্রি হচ্ছে, সেটি মনিটরিং করা প্রয়োজন।
চট্টগ্রাম
: চলতি সপ্তাহে
৪৫ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি আলু। যদিও কৃষকের প্রতি কেজি আলু উৎপাদনে
খরচ হয়েছে মাত্র ১০ টাকা। প্রতি কেজি ৮ টাকা লাভে কৃষক আলু সর্বোচ্চ ১৮ টাকায় বিক্রি
করেছে। কয়েক হাত ঘুরে সে আলু খুচরা বাজারে আসতে আসতে হয়ে যাচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা। নিম্ন
আয়ের মানুষের জন্য এখন আলু কেনা যেন এক ধরনের বিলাসিতা।
বহদ্দারহাট-বাদুরতলা
ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, পাইকারি বাজারে
দাম বেশি, যার কারণে খুচরা বাজারে তার প্রভাব পড়ছে। ২ টাকা, ৫ টাকা করে আলুর দাম বেড়ে
এখন ৪৫ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। কেনা দামের চেয়ে দুই থেকে তিন টাকা লাভে
আমরা বিক্রি করছি। পাইকারি পর্যায়ে দাম কমলে খুচরা বাজারেও দাম কমে যাবে। প্রথমে পাইকারি
বাজারে নজর দিতে হবে। তাহলে খুচরা বাজারে অটোমেটিক দাম কমে যাবে।
কনজ্যুমারস
অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কেন্দ্রীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন,
এখন প্রয়োজন কীভাবে সরকার নির্ধারিত দামে ভোক্তার হাতে আলু পৌঁছানো যায় সে ব্যবস্থা
করা। এজন্য প্রশাসনের তৎপরতা ও কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।
মন্তব্য করুন
সপ্তাহের ব্যবধানে ফের আলুর দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। নতুন করে দাম না বাড়লেও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ডিম চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতার ৮০-৮৫ টাকা খরচ হচ্ছে।
এছাড়া বড় দানার মসুর ডাল সাত দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি আকাশছোঁয়া দামে মসলাজাতীয় সব ধরনের পণ্য বিক্রি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাওরান বাজার, নয়াবাজার ও মালিবাগ কাঁচাবাজার ঘুরে ক্রেতা ও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।
বিক্রেতারা জানান, প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ৪৫ টাকা ছিল। প্রতি হালি ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫৪-৫৫ টাকা। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে একই দামে বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম ১০ টাকা বেড়েছে। বড় দানার মসুর ডাল কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকা, যা সাত দিন আগেও ১০০ টাকা ছিল।
এছাড়া বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা যায়, বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি দেশি ও আমদানি করা রসুন ২৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি দেশি আদা ৪৫০ এবং আমদানি করা আদা ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি দেশি হলুদ ৪০০ ও আমদানি করা হলুদ ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি শুকনা মরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪২০ টাকা। আর আমদানি করা শুকনা মরিচ সর্বোচ্চ ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর নয়াবাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা মো. ইকরামুল হোসেন বলেন, বাজারে নির্দিষ্ট কয়েকটি পণ্যের দাম ইচ্ছাকৃতভাবে বাড়ানো হচ্ছে। এর মধ্যে আলু, পেঁয়াজ ও ডিম অন্যতম। এছাড়া সব ধরনের মসলাজাতীয় পণ্যের দাম অনেক বেশি। আর অন্যান্য পণ্য কিনতেও বাড়তি টাকা খরচ করতে হচ্ছে। বাজারে এমন পরিস্থিতিতে আমাদের মতো ক্রেতার হিমশিম খেতে হচ্ছে। জানতে চাইলে কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান যুগান্তরকে বলেন, পণ্যের বাজারে অস্থিরতা চলছে। কিছু পণ্য অযথা দাম বাড়িয়ে ক্রেতাসাধারণকে নাজেহাল করে তুলছে অসাধু সিন্ডিকেট। সরকারের কাছে সব তথ্য আছে; কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তাই ক্রেতাদের স্বস্তি নেই। ক্রেতার স্বার্থরক্ষায় অসাধুদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের উৎপাদন, চাহিদা ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভা শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ডিম, আলু, পেঁয়াজের দাম সরকারিভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) বাজার মনিটরিং করবেন। জেলা-উপজেলাসহ বড় বড় শহরে এই মনিটরিং চলবে। আজকের এই মূল্য ঘোষণার পর সর্বাত্মক শক্তি নিয়ে বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করা হবে।
বেঁধে দেওয়া দাম চড়া মূল্য বিক্রি ডিম পেঁয়াজ আলু
মন্তব্য করুন
বিশ্ববাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের বর্তমান দামের সঙ্গে দেশের বাজারে একই পণ্যের দামে বড় রকমের পার্থক্য দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশের তুলনায় বিশ্ববাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় কয়েকটি পণ্য অনেক কম দামে বিক্রি হচ্ছে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা নথিতে দেখা গেছে। সামগ্রিকভাবে দামের পার্থক্য অনেক বেশি। বিশেষ করে দেশের বাজারে ডিমের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। যদিও বাংলাদেশে ডিম আমদানি হয় না।
গত বুধবার কৃষিপণ্যের মূল্য পর্যালোচনাসংক্রান্ত সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যে উপস্থাপনা দেওয়া হয়েছে, সেখানে এই চিত্র উঠে এসেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে গত এক মাসে পেঁয়াজ, আদা, কাঁচা মরিচ ও ডিমের দাম কমেছে। এই সময়ে পেঁয়াজের দাম প্রতি মেট্রিক টনে কমেছে ১২ শতাংশ, আদার দাম কমেছে ১৭ দশমিক ৮০ শতাংশ, কাঁচা মরিচের দাম ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং ডিমের দাম প্রতিটিতে ৪ দশমিক ৯০ শতাংশ কমেছে। নিত্যব্যবহার্য পণ্যের মধ্যে শুধু রসুনের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
অন্যদিকে গত এক মাসে দেশের বাজারে প্রতি কেজিতে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ, আমদানি করা রসুনের দাম বেড়েছে ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ, আমদানি করা আদার দাম বেড়েছে ১৩ দশমিক ১৬ শতাংশ। তবে কাঁচা মরিচ ও ডিমের দাম কিছুটা কমেছে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপস্থাপনায় দেখানো হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববাজারে পেঁয়াজের দাম ছিল প্রতি কেজি ২৬ দশমিক ৭০ টাকা (প্রতি ডলার ১০৯.৫০ টাকা হিসাবে)। ওই দিন রসুনের দাম ছিল প্রতি কেজি ১৯৩ দশমিক ৫৯ টাকা, আদার দাম ছিল ১২৩ দশমিক ৫২ টাকা, কাঁচা মরিচের কেজি ছিল ১২০ দশমিক ১৮ টাকা। ডিমের দাম প্রতি পিস ছিল ৫ দশমিক ৬১ টাকা। উপস্থাপনায় অন্য পণ্যের দাম ডলারে উল্লেখ করা হলেও ডিমের দাম টাকায় দেওয়া হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপস্থাপনায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাব উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, দেশে চলতি বছর ডিমের চাহিদাতিরিক্ত সরবরাহের পরিমাণ ১৩৪ দশমিক ৫৮ কোটি পিস। উপস্থাপনার পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত সরবরাহ বিবেচনায় দেশে ডিমের মূল্যবৃদ্ধির যৌক্তিক কারণ নেই। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে প্রতিটি লাল ডিম বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ দশমিক ৫০ টাকা এবং প্রতিটি সাদা ডিম পাঁচ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আরও বলছে, দেশের পাইকারি বাজারে গত ২২ আগস্ট প্রতি কেজি আলুর বিক্রয়মূল্য ছিল ৩৩ দশমিক ৮৪ টাকা এবং ১১ সেপ্টেম্বর তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪২ টাকায়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫ দিনে পাইকারি বাজারে আলুর দাম বেড়েছে ২০ শতাংশ, যার সঙ্গে অতিরিক্ত ব্যয়ের সম্পৃক্ততা নেই।
কৃষিপণ্যের মূল্য পর্যালোচনাসংক্রান্ত সভায় জানানো হয়েছে, দেশে এ বছর আলুর উৎপাদন ছিল ১ দশমিক ১২ কোটি মেট্রিক টন, যা গত বছরের চেয়ে ২ দশমিক ৮৩ শতাংশ বেশি। তবে আলু মজুতের পরিমাণ কমেছে বলে তথ্য দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
বিশ্ববাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের বর্তমান দামের সঙ্গে দেশের বাজারে একই পণ্যের দামে বড় রকমের পার্থক্য দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশের তুলনায় বিশ্ববাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় কয়েকটি পণ্য অনেক কম দামে বিক্রি হচ্ছে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা নথিতে দেখা গেছে। সামগ্রিকভাবে দামের পার্থক্য অনেক বেশি। বিশেষ করে দেশের বাজারে ডিমের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। যদিও বাংলাদেশে ডিম আমদানি হয় না।