মন্তব্য করুন
তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়ে দেশের চার জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। একই সঙ্গে দেশের কয়েকটি জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বইছে। যা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাপপ্রবাহের সঙ্গে আবহাওয়া অফিস ছয় বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির আভাস দিয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বাগেরহাট, চুয়াডাঙ্গা, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। অর্থাৎ এসব জেলার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি বা তার ওপরে। এ ছাড়া খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল, দিনাজপুর, চাঁদপুর ও পটুয়াখালী জেলায় বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ। যা অব্যাহত থাকতে পারে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে,আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা নেই। বৃহস্পতিবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সংস্থাটি বলছে, সারাদেশে শুক্রবার দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে। রাত থেকে আগামী রোববার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যা পর্যন্ত তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।
এ ছাড়া বর্ধিত ৫ (পাঁচ) দিনের আবহাওয়ার অবস্থা পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।
মন্তব্য করুন
সারা দেশের উপর দিয়ে বয়ে
তীব্র হিট ওয়েভ বা তাপদাহ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও তাপমাত্র
বেড়েই চলেছে। তীব্র এই তাপদাহের প্রভাব পড়েছে জন জীবনেও। এতে অস্বস্তিতে পড়েছে সাধারণ
মানুষ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকেও
চলমান এমন তাপপ্রবাহ নিয়ে কোন সুখবরই নেই। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে সামনের দিনগুলোতে
তাপমাত্র আরও বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের এক কর্মকর্তা
জানান, পুরো এপ্রিল মাস জুড়েই থাকবে এমন তাপপ্রবাহ। তবে বৃষ্টি হলে অঞ্চলভেদে
তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, দু’
একদিনের ঢাকা বিভাগ ও কয়েকটি জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকলেও এ বৃষ্টিতে গরমের
অস্বস্তি কমার কোন সম্ভাবনা নেই।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ৯ টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিরও সম্ভাবনা
রয়েছে।
এ ছাড়াও রাজশাহী, পাবনা, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ এবং মৌলভীবাজার জেলা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ ও ঢাকা, রংপুর ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সিলেট বিভাগের দু’এক
জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া, দেশের অন্যান্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
হিট ওয়েভ তাপদাহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা গরমের অস্বস্তি
মন্তব্য করুন
ক্রমাগত বেড়েই চলেছে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা। পরপর দুই দিন জেলায়
তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় সাধারণ মানুষের
হাঁসফাঁস অবস্থা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ তেমন ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। ধান, আম,
লিচু ও সবজির ফলন এবং হাঁস–মুরগি ও গরু-ছাগল নিয়ে কৃষকেরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) বেলা তিনটায় পৌর এলাকার হাটকালুগঞ্জ প্রথম
শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৪০ দশমিক ৭
ডিগ্রি সেলসিয়াস। পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, সন্ধ্যা
৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমে সারা
দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি
সেলসিয়াস।
জামিনুর আরও বলেন, ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে তাপমাত্রা হলে তাকে
তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে। চলতি মৌসুমে এ নিয়ে তিন দিন জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ
বইছে। সামনের দিনে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।
আবদুস সামাদ নামের এক নির্মাণশ্রমিক বলেন, ‘আমরা কি আর শক কইরে
রোদি পুড়তি আইচি। বাড়ি বইসে থাকলি তো প্যাট চলে না ভাই।’
এদিকে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ফল ও ফসল রক্ষায় কৃষকেরা চিন্তিত
হয়ে পড়েছেন। ধান ও সবজিখেত এবং আম ও লিচুর পরিচর্যায় বাড়তি পরিশ্রমসহ অতিরিক্ত খরচ
জোগাতে গিয়ে হিমশিম অবস্থা তাদের।
সদর উপজেলার টেংরামারী-খেজুরতলা গ্রামের কৃষক কাসেদ আলী জানান,
ধানের খেতে বাড়তি সেচ দিয়েও পানি ধরে রাখা যাচ্ছে না। এই গরমে ঘর থেকে বের হতে মন চায়
না। কিন্তু বের না হলে তো ধান পুড়ে যাবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গার উপপরিচালকের কার্যালয় সূত্রে
জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ৩৫ হাজার ৫২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান, ২ হাজার ৫০০ হেক্টর
জমিতে আম এবং ৬ হাজার হেক্টর জমিতে সবজির আবাদ করা হয়েছে। ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি
তাপমাত্রা হলে ধানের পরাগায়ন ঝুঁকিতে পড়ে, আম ও লিচু ঝরে পড়ে এবং সবজি পুড়ে ক্ষতি হয়।
এ জন্য ধানখেতে ৫–৭ সেন্টিমিটার পানি রাখা এবং আম, লিচু ও সবজিখেতে পানি স্প্রে করতে
হবে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোস্তাফিজুর রহমান জানান,
তাপপ্রবাহ চলাকালে গরুকে গোয়াল থেকে বাইরে বের করতে কৃষকদের বারণ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে
অতিরিক্ত খাবার দেওয়া বন্ধ ও ভিটামিন সি খাওয়াতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক কিসিঞ্জার চাকমা জানান, চলমান তাপপ্রবাহে করণীয় বিষয়ে জেলার সিভিল সার্জনের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ সময় স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে করণীয় বিষয়ে স্বাস্থ্যবার্তা ছাপিয়ে বিলি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য খাবার স্যালাইন দেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।
মন্তব্য করুন
দেশের দুই জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৬০
থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর ১টা
পর্যন্ত দেশের নদীবন্দর সমূহের জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দুপুরের মধ্যে
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায়
৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি
হতে পারে।
এজন্য এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ২
নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়াও আগামী তিনদিনের জন্য দেওয়া
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী তিন দিন দেশের বেশকিছু অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা
বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে এই সময়ে দেশের কোথাও
কোথাও শিলাবৃষ্টি হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা
৬টা পর্যন্ত ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে
দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও
বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা
আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
বর্তমানে রাজশাহী, পাবনা, বাগেরহাট,
যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ঢাকা, রংপুর,
বরিশাল, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ
বয়ে যাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তা কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে।
মন্তব্য করুন
তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। আবহাওয়ার এক পূর্বাভাসে বলা
হয়েছে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) পর্যন্ত যেই তাপদাহ থাকবে শুক্রবার থেকে পর্যায়ক্রমে
এই গরম আরও বাড়বে। তখন তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রিও ছাড়িয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আপাতত স্থায়ী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
দেশের কোথাও কোথাও হতে পারে কালবৈশাখী। বৃষ্টি হলেও বাতাসে জলীয় বাষ্পের বাড়তি উপস্থিতির
কারণে গরম অনুভূত হবে বেশি। এতে মূল তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকলেও অনুভূত তাপমাত্রার
পরিমাণ হবে ৪৪ থেকে ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এক পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, আজ বুধবার ও
আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিশেষ করে তাপপ্রবাহের আওতাধীন এলাকা একটু কমে গেলেও বিদ্যমান
তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। বিচ্ছিন্নভাবে বজ্রঝড় বিদ্যমান তাপপ্রবাহে তেমন একটা প্রভাব
ফেলতে পারবে না। শুধু কিছু এলাকার তাপপ্রবাহ কমে যেতে পারে।
আবুল কালাম মল্লিক বলেন, আগামী শুক্রবারের পর এই তাপমাত্রা আবার
বাড়তে শুরু করবে। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি পর্যন্ত ওঠা-নামা করতে পারে।
মন্তব্য করুন
ক্রমাগত বেড়েই চলেছে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা। পরপর দুই দিন জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় সাধারণ মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ তেমন ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। ধান, আম, লিচু ও সবজির ফলন এবং হাঁস–মুরগি ও গরু-ছাগল নিয়ে কৃষকেরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।