ইনসাইড ওয়েদার

ভারি বৃষ্টির আশঙ্কা, নদীবন্দরে ২ নম্বর সংকেত

প্রকাশ: ০৯:৫৬ পিএম, ১৩ মে, ২০২২


Thumbnail ভারি বৃষ্টির আশঙ্কা, নদীবন্দরে ২ নম্বর সংকেত

দেশের সাত বিভাগে অতিভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া ১৬টি অঞ্চলে কালবৈশাখী বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোতে ২ নম্বর সর্তকতা সংকেত দেখাতে বলেছে সংস্থাটি।

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ সৃষ্টি হওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ৯ তারিখ থেকে দেশে বৃষ্টি শুরু হয়। উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে বৃষ্টির প্রবণতা বেশি ছিল, বৃষ্টি কম ছিল উত্তরাঞ্চলে। এখন উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টির প্রবণতা বেড়ে গেছে, কমে গেছে উপকূলীয় অঞ্চলে। রোববার (১৫ মে) থেকে বৃষ্টির প্রবণতা কমে যেতে পারে। তবে আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে আবার বৃষ্টি বেড়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে দিনাজপুরে, ২০১ মিলিমিটার। এ সময়ে ঢাকায় এক মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা থাকলেও সারাদিন বৃষ্টির দেখা মেলেনি।

শুক্রবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় ভারি বর্ষণের সতর্কবাণীতে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের সঙ্গে বঙ্গোপসাগর থেকে আসা জলীয়বাষ্পের সংমিশ্রণে বাংলাদেশ অঞ্চলে গভীর সঞ্চরণশীল মেঘমালার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তীসময়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি (২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার) থেকে অতিভারি (৮৯ মিলিমিটার বা এর বেশি) বর্ষণ হতে পারে।

অন্যদিকে, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে দিবাগত রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্র বৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, এছাড়া দেশের অন্যত্র পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্র-বৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ওয়েদার

দেশের ১৩ জেলায় ঝড় ও বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস

প্রকাশ: ০৮:১২ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

দেশের ১৩ জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে এসব এলাকার কোথাও কোথাও বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল ৩টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালকের পক্ষে দেওয়া আবহাওয়াবিদ মু. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়, বিকেল ৩টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত ঢাকা, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট এবং ময়মনসিংহ অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকায়র নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর (পুনঃ) ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এর আগে সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

যার কারণে রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

ঝড় ও বজ্রবৃষ্টি   আবহাওয়া অফিস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ওয়েদার

সারাদেশে দুইদিন শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা

প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

দেশের বিভিন্ন স্থানে তিন দিন বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রসহ শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে সারাদেশে তাপমাত্রা কমতে পারে।

তবে, দীর্ঘসময় টানা বৃষ্টি হবে না বলেও বৃহস্পতিবার(২৮ মার্চ) জানিয়েছে সংস্থাটি।  

আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী রোববার থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। দেশের কিছু জায়গায় তাপদাহ হতে পারে উল্লেখ করে অধিদপ্তর বলছে, অসহনীয় অবস্থা এখনই বিরাজ করবে না। দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বেশি থাকলেও বিকালের পর থেকে কমতে শুরু করবে তাপমাত্রা।

পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে জানিয়ে আবহাওয়া অফিস বলছে, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।


সারাদেশ   শিলাবৃষ্টি   আশঙ্কা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ওয়েদার

ঢাকার বাতাসে নেই স্বস্তি

প্রকাশ: ১১:১৫ এএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

প্রতিনিয়ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেড়ে চলেছে বায়ুদূষণের মাত্রা। ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়েও নেই স্বস্তির। নতুন করে আবারও খারাপের দিকে যাচ্ছে ঢাকার বায়ুদূষণ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর অবস্থাতেই রয়েছে বলে জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তবে সবচেয়ে বেশি দূষণ ভারতের শহর দিল্লির বাতাসে।

এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৫১ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা, যা অস্বাস্থ্যকর হিসেবেই বিবেচিত। ১৮১ স্কোর নিয়ে বায়ু দূষণের র্শীষে অবস্থান করছে ভারতের দিল্লি। ১৬১ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে মিশরের কায়রো সিটি। ১৭৪ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে থাইল্যাণ্ডের চিয়াং মাই শহর।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।


ঢাকা   বায়ুদূষণ   আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ওয়েদার

আবহাওয়া অফিসের বার্তা

প্রকাশ: ১০:৪৩ এএম, ২৬ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের আট বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে হতে পারে শিলাবৃষ্টি।

সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় দেওয়া ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এ অবস্থায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

একই সময়ে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
পরের দিন বুধবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা ও রংপুর বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।


আবহাওয়া অধিদপ্তর   আবহাওয়া   বজ্রসহ বৃষ্টি   শিলাবৃষ্টি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ওয়েদার

‘চলতি মাসে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতেই থাকবে’

প্রকাশ: ১০:১০ এএম, ২৫ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গত শনিবার রাতে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে ছিল ঝোড়ো হাওয়া। রাজধানীতে যার গতি ঘণ্টায় ৯২ কিলোমিটার ছিল। সেই ধারাবাহিকতায় গতকাল রোববার বিকেলেও রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে।

চলতি মাসের শুরুতে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে, এ মাসে বৃষ্টি কম হতে পারে- এমনটি বলা হলেও মাসের শেষ দিকে এসে দাপট দেখাতে শুরু করেছে বৃষ্টি। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতেই থাকবে। সঙ্গে হতে পারে কালবৈশাখী। এতে তাপমাত্রা মোটামুটি সহনীয় থাকবে।

এখন বোরো ফসল মাঠে। আবার আমের গাছে মুকুল থেকে গুটি হওয়া শুরু হয়েছে। উভয়ের জন্যই এই বৃষ্টি ইতিবাচক বলে মনে করছেন কৃষিবিদেরা।    

প্রতি মাসের শুরুতে আবহাওয়া অধিদপ্তর পুরো মাসের আবহাওয়া পরিস্থিতি তুলে ধরে। এ মাসের পরিস্থিতি তুলে ধরে বলা হয়েছিল, স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হতে পারে। আবার দেশের মধ্যে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের কয়েকটি তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার কথাও বলা হয়েছিল।

চলতি মাসের শুরুর দিকে অবশ্য বৃষ্টি কম হয়েছে। আবার কয়েকটি জেলায় মৃদু আকারে তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। তবে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের পর থেকেই শুরু হয় বৃষ্টি। শনিবার রাত থেকে গতকাল বিকেল পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয় কিশোরগঞ্জের নিকলীতে, ৬৩ মিলিমিটার। এ সময় রাজধানীতে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ৩৫ মিলিমিটার।

মার্চ মাসে দেশে গড় বৃষ্টির পরিমাণ ৫২ দশমিক ৪ মিলিমিটার। দেশের সার্বিক বৃষ্টিপাত এখনো সেই গড় পার করে গেছে কি না, আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র তা জানাতে পারেনি। তবে রাজধানীতে বৃষ্টিপাতের পরিস্থিতি জানা গেছে। রাজধানীতে ইতিমধ্যে ৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়ে গেছে। এ মাসে রাজধানীর গড় বৃষ্টিপাত হয় ৬৫ দশমিক ৮ মিলিমিটার।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ বলেন, এ সময়টায় বৃষ্টি হয় পশ্চিমা লঘুচাপের কারণে। পশ্চিমা বাতাসের সঙ্গে থাকে শুকনো এবং ঠান্ডা হাওয়া। এর সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া দক্ষিণি গরম হাওয়া মিলে মেঘের সৃষ্টি হয়। বৃষ্টি হয় তখনই।

স্থানীয়ভাবেও অনেক সময় প্রচুর আর্দ্রতা সৃষ্টি হয়ে তা বৃষ্টি ঘটায়। এ বৃষ্টি হয় সাধারণত বিকেল বা রাতের দিকে। যেমন শনিবার রাতের বৃষ্টি। আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, গত রাতে মেঘ সৃষ্টি হয়েছে রাত ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জের দিকে। সেখানে তাপের সঙ্গে যমুনা নদী থেকে বয়ে আসা আর্দ্রতা মিলে মেঘের সৃষ্টি আর তাতেই হয়েছিল বৃষ্টি।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, এ মাসের বাকি কয়েক দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি হবে। কালবৈশাখীও হতে পারে। এতে তাপমাত্রা মোটামুটি সহনীয় থাকবে।

আবহাওয়াবিদ মো. উমর ফারুক দেশের এক গণমাধ্যমকে বলেন, ঢাকায় আজ সোমবার বিকেলের দিকে বৃষ্টি হতে পারে। তবে আগামীকাল মঙ্গলবার বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে। এমন অবস্থা দুই দিন থাকতে পারে। এরপর বৃষ্টি খানিকটা কমতে পারে। তবে চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত তাপপ্রবাহের কোনো সম্ভাবনা নেই।

এ মাসে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা কম থাকলেও আগামী এপ্রিল মাসের শুরুর দিকে তাপপ্রবাহ হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ। তিনি বলেন, এপ্রিলের শুরুর দিকে তাপপ্রবাহ হতে পারে। তবে তা তীব্র না-ও হতে পারে।

এদিকে এখন বোরো ধান ফলনের সময়। এ ধানে ব্যাপক সেচের দরকার হয়। সেই সেচ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভূগর্ভস্থ পানি নির্ভর। তবে এ বৃষ্টি হওয়ার কারণে ধানের জন্য তা খুব উপকারই হবে বলে মনে করেন কৃষিবিদ মৃত্যুঞ্জয় রায়। তিনি বলেন, ধানের পাশাপাশি এখন আম গাছে গুটি এসে গেছে। এখন বৃষ্টি হলে আমের আকার বড় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হলেও অধুনা আমের ‘নতুন রাজ্য’ নওগাঁয় খুব বেশি বৃষ্টি হয়নি। তাই আম এবং ধানের জন্য আরও বৃষ্টি হলে তা উপকারই হবে বলে মনে করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নওগাঁ জেলার প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা একেএম মনজুরে মাওলা। তিনি বলেন, এখন বৃষ্টি শুধু পেঁয়াজের বীজ তৈরির ক্ষেত্রেই সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এ জন্য  পেঁয়াজ উৎপাদনে এগিয়ে থাকা পাবনা, ফরিদপুর ও রাজশাহী অঞ্চলে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।


ঝড়   বজ্রসহ বৃষ্টি   আবহাওয়া  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন