ইনসাইড ওয়েদার

এ সপ্তাহেই শুরু হতে পারে বর্ষা

প্রকাশ: ০৯:০৬ এএম, ২৮ মে, ২০২২


Thumbnail এ সপ্তাহেই শুরু হতে পারে বর্ষা

মেঘের ঘনঘটা, অঝোরে টানা বৃষ্টিধারা এই হলো আমাদের বর্ষা। সাধারণ বাংলাদেশে বর্ষা শুরু হয় জুনের প্রথম থেকে দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে। তবে এবার জুনের প্রথম থেকেই চট্টগ্রাম দিয়ে অঝোরে বৃষ্টি নামিয়ে বর্ষা বাংলাদেশে শুরু হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

এমনেতেই পুরো মে মাসটা বাংলাদেশের উপর দিয়ে বয়ে গেছে তীব্র দাবদাহ। দাবদাহের প্রচণ্ড উত্তাপে যখন দেশবাসী ক্লান্ত তখনই শুরু হতে যাচ্ছে বৃষ্টির হানা। 

সাধারণত বাংলাদেশ বর্ষার পূর্ব লক্ষণ হিসেবে বঙ্গোপসাগরের মৌসুমি বায়ু প্রবাহ দক্ষিণ ভারত হয়ে মিয়ানমারকে স্পর্শ করে বাংলাদেশের টেকনাফ দিয়ে প্রবেশ করলে বর্ষাকাল শুরু হয়। সেই হিসেবে মৌসুমি বায়ুপ্রবাহ ইতিমধ্যে দক্ষিণ ভারত উপকূল ও মিয়ানমারে চলে এসেছে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের মৌসুমি বায়ু হালনাগাদ প্রতিবেদন। 

সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সঙ্গে আবহাওয়া অধিদপ্তরের মৌসুমি বায়ুর গতিপ্রকৃতি নিয়ে একটি সভাও গত সপ্তাহে শেষ হয়েছে। এবার যথাসময়ে, অর্থাৎ জুনের শুরু থেকে মাঝারি মাত্রার শক্তিশালী মৌসুমি বায়ু দেশে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বলে মতামত দেওয়া হয়েছে সেখানে। ফলে আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে চট্টগ্রাম দিয়ে অঝোরে বৃষ্টি নামিয়ে বর্ষা বাংলাদেশে শুরু হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আরও তিন থেকে চার দিন পর রাজধানীসহ সারা দেশে বৃষ্টি শুরু হতে পারে।

বাংলাদেশের আবহাওয়া নিয়ে গবেষণা করেন, এমন একাধিক বিজ্ঞানী গণমাধ্যমকে বলেন, এবার মৌসুমি বায়ু হতে পারে বেশ শক্তিশালী। এর সঙ্গে আসা বিশাল মেঘমালার কারণে বৃষ্টি বেশি হবে। ফলে এবার বন্যা স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি মাত্রায় হতে পারে। স্বাভাবিক বন্যায় দেশের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হয়। আর মাঝারি মাত্রার বন্যায় তা ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ হয়ে থাকে।

এ বিষয়ে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, মৌসুমি বায়ু এবার একটু আগেভাগে বাংলাদেশের দিকে আসতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে এর অগ্রভাগ মিয়ানমারের আরাকান উপকূল ও ভারতের দক্ষিণ উপকূল স্পর্শ করেছে। তিনি বলেন, মৌসুমি বায়ুর কারণে বৃষ্টি বেড়ে এবার জুনের মাঝামাঝি সময় থেকে গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ওপরে চলে যেতে পারে। ফলে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে ওই সময় থেকে বন্যা শুরু হতে পারে।

মৌসুমি বায়ুর গতিপ্রকৃতি নিয়ে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ বলছে, এ বছর পশ্চিমা লঘুচাপের কারণে বর্ষা আসার আগের সময়টায় মেঘ-বৃষ্টি ও বজ্রপাত বেশি থাকবে। অর্থাৎ আগামী তিন-চার দিন বাংলাদেশের উজানে ভারতের মেঘালয়, আসাম ও পশ্চিমবঙ্গে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ওই পানি ঢল হয়ে বাংলাদেশের ব্রহ্মপুত্র ও গঙ্গা দিয়ে প্রবেশ করবে।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, চলতি মে মাসজুড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যে বৃষ্টি হয়েছে, তা মূলত পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে। লঘুচাপের প্রভাবে সৃষ্ট বৃষ্টির সঙ্গে থাকে বজ্রপাত আর দমকা হাওয়া। ফলে টানা মুষলধারে বৃষ্টি হয় না। অল্প সময়ের জন্য বৃষ্টি এসে আবার চলে যায়। কিন্তু মৌসুমি বায়ুর সঙ্গে বিশাল মেঘমালা ভেসে আসে। ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে একযোগে টানা বৃষ্টি শুরু হয়।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষণ বলছে, সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থানে ১০-১২ দিন ধরে যে বন্যা হয়, তা নিয়ে আপাতত ভয় পাওয়ার কিছু নেই। মৌলভীবাজার, সিলেট, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনার সব এলাকা থেকে বন্যার পানি নেমে গেছে। জেলাগুলোতে আপাতত বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, আজ শনিবার ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের বেশির ভাগ স্থানে এবং রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু স্থানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টিহীন থাকায় পাবনা, চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, পটুয়াখালী ও বাগেরহাটের বেশির ভাগ জায়গায় মৃদু দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। তা আজও অব্যাহত থাকতে পারে। গতকাল সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে রাঙামাটিতে, ৫৪ মিলিমিটার। আর বেশি তাপমাত্রা ছিল বাগেরহাটের মোংলায় ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বৃষ্টি   বর্ষা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ওয়েদার

দেশের ৪ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

প্রকাশ: ১০:৩০ এএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকাসহ দেশের চারটি অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, ঢাকা, কুমিল্লা এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে খুলনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গায়। আগের দিন রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার ঢাকার তাপমাত্রাও আগের দিনের তুলনায় কমেছে। তবে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে জনজীবনের অস্বস্তি বাড়ছে।


আবহাওয়া অধিদপ্তর   ঝড়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ওয়েদার

তীব্র গরমে ফের হিট অ্যালার্ট জারি

প্রকাশ: ১১:০৩ এএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের বেশকিছু জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় আজ থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সোমবার (২২ এপ্রিল) অধিদপ্তরের তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তায় আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ (২২ এপ্রিল, ২০২৪) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

 এ ছাড়া আজ সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পৃথক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশে তিন বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। আজ সারা দেশে তাপমাত্রা হ্রাস সামান্য পেতে পারে। তবে আগামী বুধবার তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। 

আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।  

পাবনা ও চুয়াডাঙ্গা জেলাগুলোর ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাজশাহী, টাঙ্গাইল, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলাগুলোর ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শ্রীমঙ্গল ও চাঁদপুর জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপ প্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপ প্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।


আবহাওয়া অধিদপ্তর   হিট অ্যালার্ট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ওয়েদার

দুর্যোগপূর্ণ ও বিপজ্জনক তাপমাত্রার দিকে দেশ!

প্রকাশ: ০১:০১ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি উঠলে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ঘোষণা করা হয়। তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর আর্দ্রতা ৩০–এর ওপরে গেলে একে বিপজ্জনক আবহাওয়া হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এপ্রিলের এ সময়ে বাংলাদেশের গড় তাপমাত্রা থাকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু এক সপ্তাহ ধরে তা ৩৫ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকছে।

গতকাল শনিবার (২০ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করেছে। গড়ে সারাদেশের তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি ছিল।

আজ রোববার (২১ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, আগামী ২৪ থেকে ২৫ এপ্রিল তাপমাত্রা কিছুটা কমে যেতে পারে। তবে ২৭, ২৮ তারিখে আবার বেড়ে যাবে তাপমাত্রা। মে মাসের প্রথম সপ্তাহ ধরে সারাদেশে থেমে থেমে তাপপ্রবাহ বয়ে যাবে। আর অতি উষ্ণ ও আর্দ্রতার বিপদ থাকতে পারে জুলাই-আগস্ট পর্যন্ত।

তাপমাত্রাবিষয়ক গবেষক ও ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি মালয়েশিয়ার অধ্যাপক শামসুদ্দিন শহিদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালে শুধু তাপমাত্রার তীব্রতা দিয়ে মানুষের কষ্ট ও বিপদ বোঝা যাবে না। কোথাও তাপপ্রবাহ অর্থাৎ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে না গেলেও বিপজ্জনক আবহাওয়া তৈরি হতে পারে। কোথাও যদি তাপমাত্রা ৩০ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে এবং আর্দ্রতা ৪০ শতাংশের বেশি হয় এবং বাতাসের প্রবাহ কম থাকে, তাহলে সেখানে অতি উষ্ণতার বিপদ তৈরি হতে পারে। এপ্রিল মাসজুড়ে বাংলাদেশে এই অতি উষ্ণতার বিপদই তৈরি হচ্ছে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে ‘বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। গবেষণায় বলা হয়, গত ৬০ বছরে এপ্রিলের উষ্ণতা দ্রুত বেড়ে বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। চলতি মাসের বেশির ভাগ সময়জুড়ে দেশের অর্ধেকের বেশি এলাকায় তাপপ্রবাহ বইছে। অন্য বছরগুলোতে এই সময়ে কয়েক দিন পরপর একাধিক কালবৈশাখী, ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হয়। এতে তাপমাত্রা কিছুটা হলেও কমে আসে।

এবার বৃষ্টি ও বাতাস নেই বললেই চলে। চার দিন ধরে দেশের ৭০ শতাংশ এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করে গেছে। আর গতকাল দেশের অন্তত ১২টি জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি ছিল।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের অনুযায়ী, এপ্রিল মাসে আর্দ্রতা বা বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৭৫ শতাংশ; কিন্তু এ মাসের বেশির ভাগ সময়জুড়ে তা ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশের মধ্যে ছিল। গতকাল ঢাকার বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশ করা ২০২২ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, এপ্রিল মাসে তাপপ্রবাহ সবচেয়ে বেশি হচ্ছে। ‘বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালীন তাপপ্রবাহের একটি বিশ্লেষণ’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে অনুযায়ী, রাজশাহী, খুলনা, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা থাকছে।

গবেষণা বলছে, ওই উচ্চ গরমের সঙ্গে মানুষের শরীর খাপ খাওয়াতে পারছে না। এতে নানা ধরনের রোগবালাই বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ছে। ওই উচ্চ তাপমাত্রা শহরে খাওয়ার পানি ও বিদ্যুতের সংকট তৈরি করছে। এছাড়া ফসলের উৎপাদন কমিয়ে দেয়া এবং খরা পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। মানুষের মেজাজ খিটখিটে হওয়া এবং সামাজিক অশান্তি তৈরির ক্ষেত্রেও ওই অতি উষ্ণতা ভূমিকা রাখছে।


দুর্যোগপূর্ণ   তাপমাত্রা   আবহাওয়া অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ওয়েদার

রংপুর বিভাগের বাড়বে তাপমাত্রা

প্রকাশ: ১২:২৫ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। যা অপরিবর্তিত অবস্থায় থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রোববার (২১ এপ্রিল) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক এর দেওয়া পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। 


তাপমাত্রা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ওয়েদার

হিট অ্যালার্টের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়-বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস

প্রকাশ: ১০:৫৬ এএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার (২১ এপ্রিল) ভোর ৫টায় নদীবন্দরের জন্য দেওয়া এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুর একটার মধ্যে সিলেটের বিভিন্ন এলাকার ওপর দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি এবং বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আগামী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস বলছে, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি তাপমাত্রা আরও বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।

এরই প্রেক্ষিতে সারা দেশে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। তবে সারাদেশে হিট অ্যাল্যার্ট জারি থাকলেও কিছু স্থানে বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া গেছে।


আবহাওয়া অধিদপ্তর   হিট অ্যালার্ট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন