আগামী তিন দিন
সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বুধবার সকাল
৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- আগামী তিন দিনে দিন ও রাতের
তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। এছাড়া অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ দেশের আবহাওয়া শুষ্ক
থাকতে পারে।
দেশের সর্বোচ্চ
তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন
তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়ার সিনপটিক
অবস্থায় বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান
করছে।
মৌসুমের স্বাভাবিক
লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬টা ১ মিনিটে
এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৬টা ২০ মিনিটে।
মন্তব্য করুন
দুপুরের মধ্যে সিলেটের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিলেট জেলার ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে বৈশাখের শুরু থেকেই সারা দেশে বইছে তীব্র দাবদাহ। এর ফলে জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা। শুধু তাই নয় মঙ্গলবারই (২৩ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন এলাকায় হিটস্ট্রোকে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় চলমান তাপপ্রবাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও শিগগিরই কোনো সুখবর মিলছে না। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বৃষ্টি ছাড়া এমন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ মিলবে না। আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) থেকে তাপমাত্রার আরও বাড়তে পারে। আগামী পাঁচদিনেও আবহাওয়ার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
গতকাল মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া খুলনা ও যশোরে ৪০ দশমিক ৪, পটুয়াখালীর খেপুপাড়া ও রাজশাহীতে ৪০ দশমিক ২ ও মোংলায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, চলমান তাপপ্রবাহ বৃষ্টিপাত হলে তাপমাত্রা কমে আসবে। বুধবার থেকে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। চলতি মাসে তাপপ্রবাহ খুব কমে যাবে এমন সুখবর নেই। তবে কিছুটা কমবেশি হতে পারে। শক্তিশালী কালবৈশাখী হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
তবে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দেওয়া পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানায় রাজশাহী, পাবনা, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর ও পটুয়াখালী জেলাগুলোর ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগ এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বিস্তার লাভ করতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।
দুপুর ঝড়-বৃষ্টি আভাস নদীবন্দর সতর্কতা
মন্তব্য করুন
বৈশাখের শুরু থেকেই দেশে বইছে তীব্র দাবদাহের কারনে জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা। শুধু তাই নয় মঙ্গলবারই (২৩ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন এলাকায় হিটস্ট্রোকে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় চলমান তাপপ্রবাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও শিগগিরই কোনো সুখবর মিলছে না।
আবহাওয়াবিদ বলছেন, বৃষ্টি ছাড়া এমন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ মিলবে না। আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) থেকে তাপমাত্রার আরও বাড়তে পারে। আগামী পাঁচ দিনেও আবহাওয়ার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
গতকাল মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া খুলনা ও যশোরে ৪০ দশমিক ৪, পটুয়াখালীর খেপুপাড়া ও রাজশাহীতে ৪০ দশমিক ২ ও মোংলায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।
আবহাওয়াবিদ জানান, চলমান তাপপ্রবাহ বৃষ্টিপাত হলে তাপমাত্রা কমে আসবে। বুধবার থেকে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। চলতি মাসে তাপপ্রবাহ খুব কমে যাবে এমন সুখবর নেই। তবে কিছুটা কমবেশি হতে পারে। শক্তিশালী কালবৈশাখী হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
তবে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দেওয়া পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানায় রাজশাহী, পাবনা, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর ও পটুয়াখালী জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগ এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বিস্তার লাভ করতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।
এ ছাড়া বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
আবহাওয়া আবহাওয়া অফিস তাপমাত্রা
মন্তব্য করুন
ঢাকাসহ দেশের চারটি অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, ঢাকা, কুমিল্লা এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে খুলনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গায়। আগের দিন রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার ঢাকার তাপমাত্রাও আগের দিনের তুলনায় কমেছে। তবে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে জনজীবনের অস্বস্তি বাড়ছে।
মন্তব্য করুন
দেশের বেশকিছু জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় আজ থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সোমবার (২২ এপ্রিল) অধিদপ্তরের তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তায় আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ (২২
এপ্রিল, ২০২৪) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে জলীয়বাষ্পের আধিক্যের
কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।
আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম
বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে
পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র
অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
পাবনা ও চুয়াডাঙ্গা জেলাগুলোর ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে
যাচ্ছে। রাজশাহী, টাঙ্গাইল, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলাগুলোর ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ
বয়ে যাচ্ছে। শ্রীমঙ্গল ও চাঁদপুর জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ
এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপ প্রবাহ
বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা
প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগের দু'এক
জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে
কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে
আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপ প্রবাহ অব্যাহত
থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা
প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।
বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা
আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপ প্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।
সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে
অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।
বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
আবহাওয়া অধিদপ্তর হিট অ্যালার্ট
মন্তব্য করুন
বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি উঠলে
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ঘোষণা করা হয়। তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর আর্দ্রতা ৩০–এর
ওপরে গেলে একে বিপজ্জনক আবহাওয়া হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এপ্রিলের এ সময়ে বাংলাদেশের
গড় তাপমাত্রা থাকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু এক সপ্তাহ ধরে তা ৩৫ থেকে ৩৭ ডিগ্রি
সেলসিয়াসের মধ্যে থাকছে।
গতকাল শনিবার (২০ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৪২
দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করেছে। গড়ে
সারাদেশের তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি ছিল।
আজ রোববার (২১ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, আগামী ২৪
থেকে ২৫ এপ্রিল তাপমাত্রা কিছুটা কমে যেতে পারে। তবে ২৭, ২৮ তারিখে আবার বেড়ে যাবে
তাপমাত্রা। মে মাসের প্রথম সপ্তাহ ধরে সারাদেশে থেমে থেমে তাপপ্রবাহ বয়ে যাবে। আর অতি
উষ্ণ ও আর্দ্রতার বিপদ থাকতে পারে জুলাই-আগস্ট পর্যন্ত।
তাপমাত্রাবিষয়ক গবেষক ও ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি মালয়েশিয়ার অধ্যাপক
শামসুদ্দিন শহিদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালে শুধু তাপমাত্রার
তীব্রতা দিয়ে মানুষের কষ্ট ও বিপদ বোঝা যাবে না। কোথাও তাপপ্রবাহ অর্থাৎ তাপমাত্রা
৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে না গেলেও বিপজ্জনক আবহাওয়া তৈরি হতে পারে। কোথাও যদি তাপমাত্রা
৩০ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে এবং আর্দ্রতা ৪০ শতাংশের বেশি হয় এবং বাতাসের
প্রবাহ কম থাকে, তাহলে সেখানে অতি উষ্ণতার বিপদ তৈরি হতে পারে। এপ্রিল মাসজুড়ে বাংলাদেশে
এই অতি উষ্ণতার বিপদই তৈরি হচ্ছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে ‘বাংলাদেশের জলবায়ু
পরিবর্তনের প্রভাব’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। গবেষণায় বলা হয়, গত ৬০
বছরে এপ্রিলের উষ্ণতা দ্রুত বেড়ে বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। চলতি মাসের বেশির ভাগ
সময়জুড়ে দেশের অর্ধেকের বেশি এলাকায় তাপপ্রবাহ বইছে। অন্য বছরগুলোতে এই সময়ে কয়েক দিন
পরপর একাধিক কালবৈশাখী, ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হয়। এতে তাপমাত্রা কিছুটা হলেও কমে আসে।
এবার বৃষ্টি ও বাতাস নেই বললেই চলে। চার দিন ধরে দেশের ৭০ শতাংশ
এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করে গেছে। আর গতকাল দেশের অন্তত
১২টি জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি ছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের অনুযায়ী, এপ্রিল মাসে আর্দ্রতা বা বাতাসে জলীয়
বাষ্পের পরিমাণ ৭৫ শতাংশ; কিন্তু এ মাসের বেশির ভাগ সময়জুড়ে তা ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশের
মধ্যে ছিল। গতকাল ঢাকার বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশ করা ২০২২ সালের এক গবেষণায় দেখা
যায়, এপ্রিল মাসে তাপপ্রবাহ সবচেয়ে বেশি হচ্ছে। ‘বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালীন তাপপ্রবাহের
একটি বিশ্লেষণ’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে অনুযায়ী, রাজশাহী, খুলনা, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগে
সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা থাকছে।
গবেষণা বলছে, ওই উচ্চ গরমের সঙ্গে মানুষের শরীর খাপ খাওয়াতে পারছে না। এতে নানা ধরনের রোগবালাই বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ছে। ওই উচ্চ তাপমাত্রা শহরে খাওয়ার পানি ও বিদ্যুতের সংকট তৈরি করছে। এছাড়া ফসলের উৎপাদন কমিয়ে দেয়া এবং খরা পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। মানুষের মেজাজ খিটখিটে হওয়া এবং সামাজিক অশান্তি তৈরির ক্ষেত্রেও ওই অতি উষ্ণতা ভূমিকা রাখছে।
দুর্যোগপূর্ণ তাপমাত্রা আবহাওয়া অধিদপ্তর
মন্তব্য করুন
বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি উঠলে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ঘোষণা করা হয়। তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর আর্দ্রতা ৩০–এর ওপরে গেলে একে বিপজ্জনক আবহাওয়া হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এপ্রিলের এ সময়ে বাংলাদেশের গড় তাপমাত্রা থাকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু এক সপ্তাহ ধরে তা ৩৫ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকছে।