ইনসাইডার এক্সক্লুসিভ

জিয়া: একজন সফল গুপ্তচরের রোমাঞ্চকর কাহিনী

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৫ মার্চ, ২০২২


Thumbnail জিয়া: একজন সফল গুপ্তচরের রোমাঞ্চকর কাহিনী

জিয়াউর রহমানকে বলা হয় মুক্তিযোদ্ধা। তিনি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খেতাব এবং জীবিতদের মধ্যে সর্বোচ্চ খেতাব বীর উত্তম পেয়েছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের জেড ফোর্সের অধিনায়ক হিসেবেও পরিচিত। তাকে অনেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা বলে এবং আওয়ামী লীগ সরকার যখন নতুন অনুসন্ধানে জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করে তখন বিভিন্ন মহল তার প্রতিবাদ করতেও এতটুকু কার্পণ্য করেন না। কিন্তু জিয়াউর রহমান কে ছিলেন, কি ছিলেন এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে তার ভূমিকা কি ছিল -এই নিয়ে এখন নতুন করে বিতর্ক উঠেছে। আর এই বিতর্কের প্রেক্ষিতে বাংলা ইনসাইডারের অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমান একজন মেজর ছিলেন এবং তার পোস্টিং ছিলো চট্টগ্রামে। এই সময় ২৫ মার্চে পাকিস্তান বাহিনী অপারেশন সার্চ লাইটের নামে বাংলাদেশের ওপর এক গণহত্যা চাপিয়ে দেয় এবং এই নৃশংসতম গণহত্যা এবং নারকীয় তাণ্ডবের প্রেক্ষিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা দেন গ্রেফতার হওয়ার আগে। আর বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত এই স্বাধীনতা পুনঃপাঠ করেন চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের একজন নেতা। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমানকে দিয়েও ঐ ঘোষণা পাঠ করানো হয় ২৬শে মার্চ। জিয়াউর রহমান তার জীবিতকালে কখনোই নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবী করেননি। তিনি তার ‘একটি জাতির জন্ম’ শীর্ষক লেখাতেও বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাই তিনি পাঠ করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। কিন্তু পঁচাত্তরের পরবর্তীতে ইতিহাস বিকৃতির ধারায় জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং স্বাধীনতার ঘোষক বলার এক ন্যক্কারজনক ইতিহাস বিকৃতির ধারা আমরা লক্ষ্য করি।

আসুন দেখি জিয়াউর রহমান কে ছিলেন:

জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর একজন সদস্য ছিলেন এবং পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই তাকে তাদের এজেন্ট বানিয়েছিল ১৯৬৮ সালে। কৌশলগত কারণে তাকে চট্টগ্রামে রাখা হয়েছিল। ৭০ -এর নির্বাচনের পর যখন বাংলাদেশের রাজনীতির টালমাটাল অবস্থা  সেই সময় বাংলাদেশের ওপর সশস্ত্র হামলা করার জন্য চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী বিপুল অস্ত্র উদ্ধার করেছিল। আইএসআই এর এজেন্ট হওয়ার কারণে এবং আইএসআই এর একজন কর্মকর্তা হওয়ার কারণে সেই অস্ত্র উদ্ধারের দায়িত্ব পড়েছিল জিয়াউর রহমানের ওপর। কিন্তু জনগণের বাঁধার মুখে জিয়াউর রহমান সেই অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি বরং অস্ত্রগুলোকে আটক করা হয়। ওই সময় যে বাঙ্গালিদের ওপর গুলি করা হয়েছিল, সেই গুলি চালানোর ক্ষেত্রেও জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে আইএসআই এর নির্দেশে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান করেন এবং স্বাধীনতা যুদ্ধকে নিয়ন্ত্রণ করা এবং যুদ্ধের খবরাখবর পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থাকে সরবরাহ করার দায়িত্ব পড়ে তার ওপর। আর এই কারণে আইএসআই এর ব্লু-প্রিন্ট অনুযায়ী জিয়াউর রহমান একজন মুক্তিযোদ্ধা বনে যান। আসলে তিনি পাকিস্তানের গুপ্তচর হিসেবেই একাত্তরে ৯ মাস কাজ করেছেন। আর এ কারণেই দেখা গেছে যে, এই ৯ মাসের যুদ্ধে একটি সেক্টরের অধিনায়ক হওয়ার পরও তিনি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি বরং যুদ্ধের বিভিন্ন খোঁজ খবর নিয়েছেন। এই সময় কর্নেল বেগের একটি চিঠি জিয়াউর রহমানের কাছে দেওয়া হয়েছিল যে চিঠিটি জিয়াউর রহমানের আসল পরিচয় উদঘাটনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ওই চিঠিটিতে জেনারেল বেগ জিয়াউর রহমানের কাজের প্রশংসা করেছিলেন এবং তার পরিবার ভালো আছে বলেও তাকে আশ্বস্ত করেছিলেন।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা সমর বিজ্ঞানের দিক থেকে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, একজন গুপ্তচর ভেতরে থেকে যা যা করতে পারেন জিয়াউর রহমান তাই করেছেন। আর এই কারণে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে শেষ দিকে জিয়াউর রহমানের কাছ থেকে কমান্ড কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পর জিয়াউর রহমান আইএসআই এর নিদেশেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হন এবং উপ-সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু তার মূল লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে আস্তে আস্তে পাকিস্তান বানানো এবং সেই আইএসআই এর মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী জিয়াউর রহমানকে প্যারোলে রেখেছিল পাকিস্তান সরকার।

১৯৭৫ সালের ১৫ সালের আগস্টের ঘটনাকে যদি আমরা বিশ্লেষণ করি তাহলে দেখবো যে, সেখানে যে সমস্ত সামরিক অফিসাররা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা কিন্তু তারা পাকিস্তান থেকে ভারতে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। কেউ কেউ মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রান্তে এসে অংশগ্রহণ করেছিল। কেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজলেই জিয়াউর রহমানের রোমাঞ্চকর গুপ্তচরবৃত্তির চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যাবে। খুনি ফারুক, খুনি রশিদ কিংবা খুনি ডালিম -এরা সবাই পাকিস্তানে ছিল। বিভিন্ন দেশে গুপ্তচরবৃত্তির একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হলো, যখন তারা দেখে যে যুদ্ধে তাদের পরাজয় অনিবার্য তখন তারা কিছু কিছু লোককে প্রতিপক্ষের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়। জার্মানরা এটি করেছিল, সোভিয়েত ইউনিয়ন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে এটা করেছিল। বিশ্বে দেশে দেশে এটি হয়ে থাকে।

সাম্প্রতিক সময়ে ‘র’ এর ওপর প্রকাশিত গ্রন্থে দেখা যায় ‘র’ পাকিস্তানে এরকম বহু গোয়েন্দাকে নিযুক্ত করেছিল যারা আসলে ‘র’ এর এজেন্ট কিন্তু কাজ করে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে বা পাকিস্তান সরকারে। এই প্রক্রিয়াতেই জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে ছিলেন এবং তার প্রধান কাজ ছিল আইএসআই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা। খুনি মোশতাক যেমন পাকিস্তানের দোসর ছিলেন, যেভাবে গুপ্তচরদেরকে মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে ভারতে পাঠানো হয়েছিল একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের নীলনকশা হিসেবে, ঠিক তেমনিভাবে জিয়াউর রহমানও পাকিস্তানি গুপ্তচর হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে একটা গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করেছিলেন। আর এই পাকিস্তানি গুপ্তচররাই পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সরাসরি হত্যা চক্রের সাথে জড়িত ছিল এবং যেটির মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান তার দীর্ঘ জীবনে কোনদিনই বাংলাদেশের আনুগত্য প্রকাশ করেননি। বরং পাকিস্তানের একজন পেইড এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন এবং পাকিস্তানের নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন করাই ছিল তার কর্মজীবনের প্রধান লক্ষ্য। সেদিক থেকে জিয়াউর রহমান একজন সফল গুপ্তচর। তার গুপ্তচরবৃত্তি রোমাঞ্চকর গোয়ন্দা থ্রিলারকেও হার মানায়।

জিয়াউর রহমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইডার এক্সক্লুসিভ

ফখরুলের রাজনীতি ছাড়ার বার্তা

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ০৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাজনীতি ছেড়ে দিচ্ছেন—এমন বার্তা তিনি দিয়েছেন দলের একাধিক শীর্ষ নেতাকে। লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াকেও তার অভিপ্রায়ের কথা জানিয়েছেন বলে একটি সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছে। তবে তারেক জিয়া তাকে এখনই রাজনীতি না ছাড়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন বলেও সেই সূত্রটি বাংলা ইনসাইডারকে জানিয়েছে। 

উল্লেখ্য যে, এখন সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপির মহাসচিব। তার শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো না। ২৮ অক্টোবরের বিএনপির তাণ্ডবের পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই সময়ে তিনি সাড়ে তিন মাসেরও বেশি জেলে ছিলেন। জেলে থাকাকালীন সময় তার বিভিন্ন বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা আরও জটিল আকার ধারণ করেছে বলে তার পারিবারিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। বিশেষ করে তার হার্টের যে পুরনো সমস্যা তা আগের চেয়ে আরও বেড়েছে। সিঙ্গাপুরে যে চিকিৎসককে মির্জা ফখরুল দেখিয়েছেন বা যাকে তিনি নিয়মিত দেখান, তিনি তাকে এখন বেশি করে বিশ্রাম নেওয়া, চিন্তামুক্ত জীবন যাপন করা এবং কোন রকম স্ট্রেস না নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। এই প্রেক্ষিতে পারিবারিকভাবে তার ওপর চাপ এসেছে যে রাজনীতির চাপ কমিয়ে ফেলার জন্য।

বিএনপির মহাসচিব হিসেবে শুধু নয়, বিএনপির এখন তিনিই প্রধান সার্বক্ষণিক নেতা। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া জামিনে মুক্তি পেয়ে ফিরোজা অবস্থান করছেন। তিনি কোন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে না। অন্যদিকে তারেক জিয়া লন্ডনে পলাতক। তিনিও একুশে অগাস্টের গ্রেনেড হামলা সহ একাধিক মামলায় দণ্ডিত। এরকম বাস্তবতায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ওপর দল পরিচালনার দায়িত্ব এসেছে এবং তিনি সার্বক্ষণিকভাবে দলের জন্য কাজ করছেন। তাই তার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে খারাপ হয়েছে বলে তার বিভিন্ন ঘনিষ্ঠ মহল জানিয়েছে। বিশেষ করে সাড়ে তিন মাস কারা জীবনের সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের শরীরে নতুন নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে বলেও তার পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে। এই সমস্ত শারীরিক সমস্যাগুলো ক্রমশ জটিল আকার ধারণ করেছে। আর এ কারণে তার দীর্ঘমেয়াদি বিশ্রাম প্রয়োজন বলেও চিকিৎসকরা তাকে পরামর্শ দিচ্ছেন। সবকিছু মিলিয়ে রাজনীতির মাঠে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে ভাবে সক্রিয় ছিল, তেমনটি তার পক্ষে সক্রিয় থাকা আর সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। 

চিকিৎসকের সাথে পরামর্শের পর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকায় বিএনপির অন্তত দু জন নেতাকে জানিয়েছেন যে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। ডাক্তার তাকে দীর্ঘ বিশ্রামের কথা বলেছেন। এই অবস্থায় মহাসচিবের দায়িত্ব তার পক্ষে পালন করা কতটুকু সম্ভব, সেই নিয়ে তিনি নিজেই সন্দিহান। তবে বিএনপি রাজনীতি থেকে তিনি দূরে যাবেন না। বিএনপির সঙ্গেই তার রাজনৈতিক সম্পর্ক থাকবে। 

একজন স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে টেলি আলাপকালে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন। এই দলের জন্য তিনি জীবন উত্সর্গ করতে প্রস্তুত এমন বার্তা দিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবতা হল যে তিনি দলের পূর্ণকালীন দায়িত্ব পালনের মতো শারীরিক অবস্থায় নেই। 

উল্লেখ্য যে, বিএনপির একাধিক নেতা এখন শারীরিক ভাবে অসুস্থ এবং দায়িত্ব পালনে অক্ষম। ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে রোগ শোকের সঙ্গে লড়াই করছেন। তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল হলেও তিনি কোন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করছেন না। বিএনপির আরেক নেতা জমির উদ্দিন সরকার বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছেন। তাকেও দলের কর্মকাণ্ডে খুব একটা দেখা যায় না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াও দীর্ঘদিন ধরে শয্যাশায়ী। এই অবস্থায় ফখরুলও যদি অসুস্থ হয়ে রাজনীতির থেকে দূরে যান তাহলে কিএনপির হাল ধরবে কে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর   বিএনপি   তারেক জিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইডার এক্সক্লুসিভ

গ্রামীণ কল্যাণ নিয়ে ইউনূসের ভয়ঙ্কর জালিয়াতি

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

জালিয়াতি করে অবশেষে গ্রামীণ কল্যাণেও ফেঁসে যাচ্ছেন ড. ইউনূস। রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাৎ করার ক্ষেত্রে ড. ইউনূস প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন, আইন লঙ্ঘন করেছেন এবং জাল জালিয়াতির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পদ নিজের কুক্ষিগত করেছেন। বাংলা ইনসাইডার এর অনুসন্ধানে এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে। 

সম্প্রতি গ্রামীণ ব্যাংক তার নিজস্ব সম্পত্তি হিসেবে গ্রামীণ কল্যাণ দখলে নিয়েছে। আর এটিকে জবরদখল হিসেবে অভিহিত করেছেন ড. ইউনূস। ১২ ফেব্রুয়ারি গ্রামীণ ব্যাংক তাদের বোর্ড সভার সিদ্ধান্তের আলোকে গ্রামীণ কল্যাণ এবং তার প্রতিষ্ঠানগুলোতে তাদের নিজস্ব চেয়ারম্যান পদে নিয়োগদান করেন। আর ড. ইউনূস দাবি করেছেন যে গ্রামীণ কল্যাণের সঙ্গে গ্রামীণ ব্যাংকের কোন সম্পর্ক নেই। 

আসলে কে সত্য? 

বাংলা ইনসাইডার এ বিষয়ে অনুসন্ধান করছে। বিশেষত গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ড. ইউনূস ডয়েচ ভেলে-তে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন যে, এখন গ্রামীণ কল্যাণের সঙ্গে গ্রামীণ ব্যাংকের কোন সম্পর্ক নেই। একই ভাবে ড. ইউনূসের পক্ষে ৩৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি গত রোববার এক বিবৃতি পাঠিয়েছেন। তাতে তারা অভিযোগ করেছেন যে ড. ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত কয়েকটি প্রতিষ্ঠান জবরদখল করার প্রচেষ্টা সংক্রান্ত বিভিন্ন সংবাদ এর প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। গ্রামীণ টেলিকম ভবনে অবস্থিত গ্রামীণ কল্যাণ এবং গ্রামীণ টেলিকম সহ এ সব প্রতিষ্ঠান জবর দখলের প্রচেষ্টা হিসাবে এতে অনধিকার এবং জোরপূর্বক প্রবেশ, ভবনটির সামনে রাজনৈতিক সমাবেশ করা হচ্ছে বলেও তারা অভিযোগ করছেন। 

এই ৩৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ড. ইউনূসের পক্ষে সাফাই গাইতে গিয়ে বলেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এসব অলাভজনক প্রতিষ্ঠান প্রান্তিক পর্যায়ে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের সংশোধিত আর্টিকেল অফ অ্যাসোসিয়েশন অনুসারে প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ারম্যান পদে পরিবর্তন আনার এখতিয়ার গ্রামীণ ব্যাংকের নেই বলে ড. ইউনূসের পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কোন আইনগত দাবি থাকলে তা আদালতের কাছে উপস্থাপন করার উদ্যোগ গ্রামীণ ব্যাংক গ্রহণ করতে পারত বলে তারা উল্লেখ করেছেন। একই বক্তব্য ড. ইউনূস দিয়েছেন। অর্থাৎ ড. ইউনূস গ্রামীণ কল্যাণের আর্টিকেল অফ অ্যাসোসিয়েশন পরিবর্তন করেছেন। 

আমরা অনুসন্ধান করার চেষ্টা করি গ্রামীণ কল্যাণ কীভাবে গঠিত হয়েছিল

১৯.১২.১৯৯৩ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের ৩৪ তম বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দাতাগোষ্ঠীর প্রাপ্ত অনুদান ও ঋণের অর্থ দিয়ে সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাডভান্সমেন্ট ফান্ড এর অর্থ দিয়ে ২৫.০৪.১৯৯৬ তারিখে গ্রামীণ ব্যাংকের ৪২ তম বোর্ড সভায় গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্য ও কর্মীদের কল্যাণের কোম্পানি আইন ১৯৯৪ এর আওতায় গ্রামীণ কল্যাণ নামক একটি প্রতিষ্ঠান তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়। অনুমোদনটি দেয় গ্রামীণ ব্যাংক। তাহলে ওই গ্রামীণ কল্যাণ কার প্রতিষ্ঠান? উত্তর, আইনগত দিক থেকে যদি উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হয়, খুব সহজ সোজা সাপ্টা উত্তর গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠান। 

গ্রামীণ ব্যাংকের বোর্ড সভায় গ্রামীণ কল্যাণ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং গ্রামীণ কল্যাণে গ্রামীণ ব্যাংকের সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাডভান্সমেন্ট ফান্ড হতে মোট ৬৯ কোটি টাকা প্রদান করা হয়। অর্থাৎ যে প্রতিষ্ঠানটিকে টাকা দিয়ে তৈরি করা হল সেই গ্রামীণ কল্যাণ আসলে গ্রামীণ ব্যাংকের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ছাড়া আর কিছু নয়। 

শুধু তাই নয়, পাঠক লক্ষ করুন, মেমোরেন্ডাম এবং আর্টিকেল অনুযায়ী গ্রামীণ কল্যাণের নয় সদস্যের পরিচালনা পরিষদের দুইজন সদস্য গ্রামীণ ব্যাংক হতে মনোনয়ন দেওয়ার বিধান ছিল। এছাড়াও উল্লেখ ছিল যে, গ্রামীণ কল্যাণের চেয়ারম্যান হবেন গ্রামীণ ব্যাংক থেকে মনোনীত প্রতিনিধি। 

এখন প্রশ্ন হল যে, এটি গ্রামীণ কল্যাণের আর্টিকল অফ অ্যাসোসিয়েশন। ড. ইউনূস দাবি করেছেন যে, এই আর্টিকল অফ অ্যাসোসিয়েশন তিনি পরিবর্তন করেছেন। গ্রামীণ ব্যাংকের বোর্ড সভায় যে আর্টিকল অফ অ্যাসোসিয়েশন তৈরি করা হচ্ছে সেই আর্টিকেল অফ অ্যাসোসিয়েশন গ্রামীণ ব্যাংকের অগোচরে রাতের অন্ধকারে ড. ইউনূস পরিবর্তন করেছেন কীভাবে? 

এবার আসুন আসল তথ্য অনুসন্ধান করে দেখি। যখন ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি থেকে বয়সজনিত কারণে অপসারিত হন, তখনই তিনি জানতেন যে, গ্রামীণ কল্যাণ এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ ডিস্ট্রিবিউশন লি:, গ্রামীণ শিক্ষা ইত্যাদি তার কর্তৃত্বে আর থাকবে না এই সময় তিনি প্রতারণামূলকভাবে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ভুল প্রলোভন দেখিয়ে এই কোম্পানির সদস্যদের দিয়ে একটি বোর্ড সভা করেন। এই বোর্ড সভা করে আর্টিকল অফ অ্যাসোসিয়েশন পরিবর্তন করেন। অথচ এই আর্টিকল অফ অ্যাসোসিয়েশন পরিবর্তন করতে গেছে গ্রামীণ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে। কারণ গ্রামীণ ব্যাংকের ৪২ তম বোর্ড সভায় এই আর্টিকল অফ অ্যাসোসিয়েশন অনুমোদিত হয়েছিল। গ্রামীণ ব্যাংক একমাত্র সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা রাখে আইন অনুযায়ী যে গ্রামীণ ব্যাংক তার প্রতিনিধি গ্রামীণ কল্যাণে থাকবে কিনা। গ্রামীণ কল্যাণকে যদি ছেড়ে দিতে হয় তাহলে গ্রামীণ ব্যাংকের বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ড. ইউনূস এই সিদ্ধান্ত নেয়ার কোন এখতিয়ার রাখে না। এটি হল এক অদ্ভুত জালিয়াতি এবং প্রতারণা। এটি রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাতের এক ভয়ঙ্কর ঘটনা। ড. ইউনূসের নিয়ন্ত্রণে থাকা গ্রামীণ কল্যাণ কেবল অবৈধ ভাবেই ছিল না বরং ড. ইউনূস রাষ্ট্রীয় সম্পদ কুক্ষিগত করেছিলেন, প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছিলেন এবং এজন্য তার বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে প্রতারণার মামলা হওয়া উচিত বলে মনে করেন আইনজ্ঞ বিশেষজ্ঞ।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইডার এক্সক্লুসিভ

কোকোর সম্পত্তি তারেকের কুক্ষিগত: মামলা করবেন সিঁথি

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুবার্ষিকী যখন পালিত হচ্ছে, ঠিক সেই সময় জিয়া পরিবারের সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিয়ে চলছে তুমুল গণ্ডগোল। বিশেষ করে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর সব সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছেন লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। এই অভিযোগে সিঁথি তার আইনজীবীর মাধ্যমে একটি আইনগত নোটিশ পাঠিয়েছেন তারেক জিয়ার কাছে। 

এর আগে সিঁথি ঢাকায় এসেছিলেন। বেগম খালেদা জিয়ার কাছে এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। কিন্তু খালেদা জিয়া সেই সময় ছিলেন অসুস্থ। সে কারণে তিনি এ ব্যাপারে কোন সুরাহা দিতে পারেননি। তাছাড়া এই সম্পত্তির বিষয় সম্পর্কে বেগম খালেদা জিয়াও ততটা অবহিত নন।

একাধিক সূত্র বলছে, বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় যান আরাফাত রহমান কোকো এবং মালয়েশিয়া তার বিপুল পরিমাণ অর্থ সম্পদ ছিল। দেশে বিভিন্ন দুর্নীতি এবং অনিয়মের মাধ্যমে যে সম্পদ করেছিলেন তার একটি বড় অংশই প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকো পাঠিয়েছিলেন মালয়েশিয়ায়। সেখানে মালয়েশিয়া বিএনপির সভাপতির মাধ্যমে তিনি বিভিন্ন ব্যবসায় সেই টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। মালয়েশিয়া ছাড়াও সিঙ্গাপুরে আরাফাত রহমান কোকোর বেশ কিছু বিনিয়োগ ছিল। এই বিনিয়োগের পরিমাণ বাংলাদেশি টাকায় এক হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি বলে জানা গেছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, মালয়েশিয়ায় আরাফাতের একটি ট্র্যাভেল এজেন্সি, দুটি অ্যাপার্টমেন্ট, পাঁচটি দোকান এবং আরও কিছু সম্পদ রয়েছে। এই সম্পদগুলো কোকো মারা যাওয়ার পর কিছুদিন বিএনপির মালয়েশিয়ায় থাকা ওই নেতার হেফাজতে ছিল। এই সময় কোকোর স্ত্রী শর্মিলা সিঁথি সম্পত্তিগুলো নিজের নামে নেওয়ার জন্য চেষ্টা তদবির করেন। কিন্তু এসময় তারেক জিয়া কোকোর সন্তানদের উচ্চশিক্ষার কথা বলে তাকে লন্ডনে নিয়ে আসেন এবং সিঁথি লন্ডনে আসার পর তারেক মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত বিএনপি নেতাদের মাধ্যমে ঐ সম্পদগুলো গ্রহণ করেন। এর বিনিময়ে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বিএনপির ওই নেতাকে ২০১৮ নির্বাচনে মনোনয়নও দিয়েছিলেন তারেক। এরপর সিঁথি যখন সম্পত্তিগুলোর অধিকার চান এবং সম্পত্তিগুলোর হালহকিকত জানতে চান তখন তারেক জিয়া বলেন, এগুলো সব বিক্রি করার প্রক্রিয়া চলছে। বিক্রি হলে সম্পত্তি বিক্রির টাকা সিঁথিকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে এবং সিঁথি যেন বাকি জীবন সন্তানদের ভরণপোষণ এই টাকা দিয়ে করতে পারেন সেজন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। সিঁথি প্রথম এই বিষয়টি মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু বছরের পর বছর চলে গেলেও সিঁথিকে কোন টাকা দেওয়া হয়নি। বরং একটা পর্যায়ে তারেক সিঁথির জন্য যে ভরণপোষণের খরচ দিতেন সেই খরচও বন্ধ করে দেন।

লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়ার এই সিদ্ধান্তের পর বেগম খালেদা জিয়ার অনুরোধে ২০১৬ সাল থেকে সিঁথির যাবতীয় ভরণপোষণের ব্যবস্থা করছেন সৌদি আরবে পলাতক মোসাদ্দেক আলী ফালু। ফালু কোকোর ব্যবসায়িক পার্টনার ছিলেন। সেই সূত্রে বিভিন্ন ব্যবসা থেকে যে লভ্যাংশের টাকা সিঁথিকে পাঠানো হয় এবং সেটি দিয়ে সিঁথি চলেন।

সাম্প্রতিক সময়ে গত সিঁথি তার প্রয়াত স্বামীর সম্পত্তি পাওয়ার জন্য দেন দরবার করেন। এরপর তিনি লন্ডনে অবস্থানরত একজন আইনজীবীর মাধ্যমে তারেক জিয়াকে একটি উকিল নোটিশ পাঠান। কিন্তু তারেক জিয়া এই উকিল নোটিশের কোন জবাব দেননি। এরপর সিঁথি ঢাকায় আসেন, বিষয়টি বেগম খালেদা জিয়াকে জানানোর। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়াও বিষয়টির কোন সুরাহা করতে পারেনি।

জানা গেছে, সিঁথি এই বিষয়টি নিয়ে খুব শিগিগির আইনের আশ্রয় নিবেন এবং এই মালয়েশিয়া আদালতে তিনি আইনী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হবেন। এজন্য একজন আইনজীবীরও শরণাপন্ন হয়েছে সিঁথি এমন তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

শর্মিলা রহমান সিঁথি   বিএনপি   খালেদা জিয়া   তারেক জিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইডার এক্সক্লুসিভ

দলের নেতৃত্ব ছেড়ে উপদেষ্টা পদ নিতে পারেন তারেক

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর তারেক জিয়ার কর্তৃত্ব এখন চ্যালেঞ্জের মুখে। দেশে বিদেশে তারেক জিয়ার নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একই ভাবে প্রশ্ন উঠেছে কিভাবে বিএনপিকে পুনর্গঠন করা যায়? বিশেষ করে আন্তর্জাতিক মহলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা অর্জনের জন্য বিএনপির খোলনলচে পাল্টে ফেলার দাবি উঠেছে দলের ভিতর থেকেই। 

নির্বাচনের আগ পর্যন্ত তারেক জিয়ার প্রশংসায় যারা পঞ্চমুখ ছিলেন তারাই এখন তারেক জিয়ার নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। বিশেষ করে বিদেশে থেকে দল পরিচালনা করা যায় কিনা এই প্রসঙ্গটি উঠেছে। একই ভাবে বিদেশি কূটনীতিকরা বলছেন, একজন দণ্ডিত ব্যক্তি এবং যিনি দেশে অবস্থান করছেন না, তিনি যদি দলের নির্বাহী প্রধান হন তাহলে সেই দল পরিচালনা করা কতটুকু গণতান্ত্রিক এবং কতটুকু শোভন। আর এই সমস্ত প্রেক্ষাপটে তারেক জিয়ার বিএনপিতে অবস্থান নড়বড়ে হয়ে গেছে। তিনি এখন বিএনপির জন্য একটি দায়ে পরিণত হয়েছে। এ নিয়ে বিএনপির নীতি নির্ধারক মহলে কথাবার্তা হচ্ছে এবং আলাপ আলোচনা হচ্ছে। তারেক জিয়া নিজেও গতকাল বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে দলের স্বার্থে প্রয়োজনে সরে যাওয়ার কথা বলেছেন। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

গতকাল রাতে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মিলিত হয়েছিলেন লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। তিনি সেখানে তার নিজের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেছেন। বিদেশ থেকে তিনি বাংলাদেশের অনেক বাস্তবতা বোঝেননি। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো নির্বাচনের পরে যে আচরণ করছেন তাতেও তারেক জিয়া হতাশা প্রকাশ করেছেন বলে একাধিক বিএনপি নেতা জানিয়েছেন। আর এরকম বাস্তবতার সাময়িক সময়ের জন্য হলেও বা দেশে না ফেরা পর্যন্ত সময়ে তিনি নেতৃত্ব যিনি বাংলাদেশে আছেন এ রকম কারও হাতে তুলে দিতে চান।

উল্লেখ্য, এই বৈঠকে বিএনপি নেতারা বলেছেন, যেহেতু এখনও দলের শীর্ষ তিনজন নেতা কারা অন্তরীণ আছেন, কাজেই এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তাদের মুক্তি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস এবং আমীর খসরু মাহমুদের জামিনের আবেদন গুলো এখন প্রক্রিয়াধীন আছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং আমীর খসরু মাহমুদের একটি মামলায় জামিন শুনানি বাকি আছে। সেখানেও তারা জামিন পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। আর এই জামিন পেলে স্থায়ী কমিটির সকল সদস্যকে নিয়ে তারেক জিয়া এ ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্ত নেবেন। 

তারেক জিয়ার ঘনিষ্ঠ একজন তরুণ নেতা বলেছেন, তিনি আপাতত দায়িত্ব ছাড়তে চাচ্ছেন। বিএনপির তিনি কোন আলঙ্কারিক পদ উপদেষ্টা বা প্রধান উপদেষ্টা এ রকম কোন দায়িত্ব গ্রহণ করতে চাইছেন। 

মূল বিষয়টা হচ্ছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার গ্রহণযোগ্যতা সংকট রয়েছে। বিশেষ করে বিদেশি কূটনীতিকরা তার সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন। নির্বাচনের পর তারেক জিয়া একাধিক কূটনীতিকের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ নিয়ে আলাপ করতে চাইলেও তারা এড়িয়ে গেছেন। তাছাড়া লন্ডনে অবস্থানরত এই দণ্ডিত নেতা এখন বুঝতে পেরেছেন তিনি যে কৌশলগুলো প্রয়োগ করছেন সেই কৌশলগুলো কার্যত ব্যথ। এই সমস্ত কৌশল দিয়ে আন্দোলন করা যাবে না। আর বাস্তবতা হলো ভারত সহ প্রভাবশালী দেশগুলো বিএনপিকে গণতান্ত্রিক ধারায় সম্পৃক্ত হতে তারেক জিয়ার নেতৃত্বকে বাদ দেওয়া পরামর্শ দিচ্ছেন। এই প্রেক্ষিতে বিএনপিতে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে নাটকীয় ঘটনা ঘটেতে পারে। বিএনপির নেতৃত্বে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে এবং সেক্ষেত্রে তারেক জিয়া হয়তো ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পদ থেকে বিএনপির উপদেষ্টা হবেন। আর আনুষ্ঠানিক ভাবে দলের জন্য একজন কার্যকর নেতা নির্বাচন করা হবে। আর এটি যদি করা হয় তাহলে হবে বিএনপির জন্য একটি বড় চমক।

বিএনপি   তারেক জিয়া   রাজনীতির খবর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইডার এক্সক্লুসিভ

পদত্যাগ করলেন কায়কাউস: মন্ত্রী হওয়ার গুঞ্জন

প্রকাশ: ০৫:৫১ পিএম, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বব্যাংকের ওয়াশিংটনের প্রধান কার্যালয়ে বিকল্প নির্বাহী পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ড. আহমদ কায়কাউস। গত ৮ জানুয়ারি তিনি এই পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর তাকে তিন বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হলেও এক বছর পর তিনি পদত্যাগ করলেন।

সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, আজ তার পদত্যাগ পত্রের সার সংক্ষেপ অনুমোদিত হয়েছে। এখন এটি প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের অপেক্ষায়। প্রধানমন্ত্রী অনুমতি দিলে বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক পদ থেকে তার এই পদত্যাগ পত্র গৃহীত হবে বলে জানা গেছে।

ড. আহমদ কায়কাউস টেকনোক্রেট কোটায় মন্ত্রী হতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। 

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, নির্বাচনের আগে ড. আহমদ কায়কাউস ঢাকায় এসেছিলেন এবং সে সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। এরপরই তিনি বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করলেন।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, ড. আহমদ কায়কাউস টেকনোক্রেট কোটায় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী হতে পারেন।

উল্লেখ্য যে, বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক হিসেবে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম অথবা বর্তমান  মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেনকে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে বলে বিভিন্ন মহলে আলোচনা রয়েছে।


ড. আহমদ কায়কাউস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন