ইনসাইডার এক্সক্লুসিভ

কেস স্টাডি: প্রথম আলো কিভাবে, কেন তথ্য বিকৃতি করে

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২


Thumbnail কেস স্টাডি: প্রথম আলো কিভাবে, কেন তথ্য বিকৃতি করে

তথ্য বিকৃতি করে চরিত্র হনন মিশনে 'প্রথম আলো'র জুড়ি মেলা ভার। যে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অসত্য তথ্য পরিবেশন করে বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থ উদ্ধার প্রথম আলোর অন্যতম সম্পাদকীয় নীতি। তার সর্বশেষ উদাহরণ হলো চট্রগ্রামের জেলা প্রশাসককে নিয়ে অপপ্রচার। আসলে কি হয়েছিলো সেদিন? কি বলেছিলেন চট্রগ্রামের ডিসি?

আসন্ন দুর্গা পূজাকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে গত বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এক সম্প্রীতি সভা চলছিল। দুর্গা পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি জোরদার করার লক্ষেই চলমান এই সভাটিতে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মমিনুর রহমানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। ডিসি মোহাম্মদ মমিনুর রহমান আবার একজন রিটার্নিং কর্মকর্তাও। ওই দিন ছিল জেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। তাই চলমান সম্প্রীতি সভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এটিএম পেয়ারুল ইসলাম শ'খানেক নেতাকর্মী নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান। তখন নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, দক্ষিণ জেলার সভাপতি সাংসদ মোছলেম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান এবং নগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনসহ আওয়ামী লীগের নেতারা।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর নগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য শফর আলী মোনাজাত পরিচালনা করেন। হঠাৎ করে মোনাজাত ধরায় সেখানে উপস্থিত সকলেই সেই মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন। সেই প্রেক্ষাপটে উপস্থিত চট্টগ্রামের ডিসি এবং রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ মমিনুর রহমানও মোনাজাতে কেবলমাত্র অংশগ্রহণ করেন। সেখানে ডিসি মমিনুরের আর কোনো ভূমিকাই ছিল না। আওয়ামী লীগ নেতা শফর আলী ওই মোনাজাতে নির্বাচন প্রসঙ্গে কোনো কথাও বলেননি। ওই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই ডিসি মমিনুরের মোনাজাতে অংশগ্রহণ করার বিষয়টি প্রথম আলোর কিছু  স্বার্থন্বেষী মহলের পক্ষে চট্রগ্রামের জেলা প্রশাসককে বিতর্কিত করার মিশনে নামে। প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাতে আবারও ক্ষমতায় আসেন, সে জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। প্রশ্ন উঠেছে, কেন দেশের একটি প্রধান গণমাধ্যম উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই বিকৃত করে সংবাদটি উপস্থাপন করলো? কাদের স্বার্থে কাজ করলো প্রথম আলো?

এর কারণ অনুসন্ধান করলে দেখা যায়, মোহাম্মদ মমিনুর রহমান চট্টগ্রামের ডিসি হিসেবে ২০২১ সালের ৩ জানুয়ারি যোগদান করেন। একজন সৎ, সাহসী এবং মেধাবী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত এই কর্মকর্তা এর আগে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। চট্টগ্রামের ডিসি হিসেবে যোগদানের পর তিনি বেশ কিছু সাহসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন।

প্রথমত, বিএনপি-জামায়াতের মদদপুষ্ট ভূমিখেকো ও সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গল সলিমপুর। প্রায় তিন দশক ধরে জঙ্গল সলিমপুরের পাহাড়ে হাজারো অবৈধ স্থাপনা এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে ওঠে। সম্প্রতি সেখানে ডিসি মমিনুরের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। অভিযানে উদ্ধার হয়েছে প্রায় তিন হাজার ১০০ একর খাস জমি। এছাড়াও বেশকিছু আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করা হয়। সলিমপুরকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে মুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যোগাযোগ করেন ডিসি মমিনুর রহমান। এ নিয়ে ১২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বৈঠক হয়। জঙ্গল সলিমপুরে অভিযানের কারণেই বিএনপি-জামায়াতের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের প্রধান চক্ষুশূলে পরিণত হন ডিসি মমিনুর রহমান। ডিসি মমিনুর একজন সৎ এবং মেধাবী কর্মকর্তা হওয়ার কারণে তাঁকে কোনোভাবেই কাবু করতে পারছিলো না বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীগোষ্ঠী। তখন ওই সন্ত্রাসী এবং ভূমিদস্যুরা বিভিন্নভাবে ডিসি মমিনুরকে হয়রানি করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় এবং ওঁত পেতে থাকে। বিএনপি-জামায়াতের ওই সন্ত্রাসী এবং ভূমিদস্যুরা স্থানীয় সাংবাদিকসহ বিভিন্ন ব্যক্তি এবং মাধ্যম ব্যবহার করে এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে।

দ্বিতীয়ত, চট্টগ্রামের আদালত ভবন যেখানে নির্মিত সেই ‘কোর্ট হিল’ বা ‘পরীর পাহাড়ে’ নতুন ভবন নির্মাণ নিয়ে ডিসি মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সঙ্গে আইনজীবীদের বিরোধ শুরু হয়। দেখা যায় যে, আইনজীবীরা সরকারের খাস জমিতে নতুন নতুন ভবন নির্মাণ করে চলেছে। একইসাথে, আদালত ভবন এলাকায় অর্থাৎ ‘পরীর পাহাড়ের’ ১৩০ বছরের পুরনো দ্বিতল আদালত ভবনটিকে ‘হেরিটেজ’ ঘোষণার প্রস্তাব দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এই বিষয়েও ডিসি মমিনুর রহমান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যোগাযোগ করেন। ফলে পাহাড়ে নতুন স্থাপনা নির্মাণ না করতে এবং অবৈধ স্থাপনা অপসারণে ইতোমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হলে তাতে সায় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ফলে ডিসি মমিনুর রহমান আইনজীবীদের একাংশের চক্ষুশূলে পরিণত হন এবং আইনজীবীরা ডিসি পদত্যাগ দাবী করেন।

তৃতীয়ত, ডিসি মমিনুর রহমান চট্টগ্রামের বেশকিছু দুর্নীতিবাজ এবং বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এসিল্যান্ডসহ বিভিন্ন কর্মকর্তাকে বদলী করার জন্য সুপারিশ করেন। ফলে এক সঙ্গে ৬ জন এসিল্যান্ড বদলি করা হয়। দূর্নীতি মুক্ত হয় ভূমি অফিস।

ডিসি মমিনুর রহমানের এই সাহসী কর্মকাণ্ডের ফলে তিনি স্বার্থান্বেষী মহলের বিরাগভাজনে পরিণত হন এবং তারা সংঘবদ্ধ হয়ে ষড়যন্ত্রে তৈরি করে। অবশেষে সেই ষড়যন্ত্রেরই একটি প্রকাশ্য রূপ দেখা যায় দেশের একটি প্রধান গণমাধ্যমে। এই ষড়যন্ত্রের একটি আভাস অবশ্য এর আগেই বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে পাওয়া গিয়েছিল। জঙ্গল সলিমপুরে সন্ত্রাসীরা সবসময় নাশকতার প্রস্তুতি এবং ষড়যন্ত্র করছে, ডিসি মমিনুর রহমানের কর্মকাণ্ডকে ঘিরে রাজনৈতিক ইস্যু তৈরির চেষ্টা চলছে এমনসব খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। সেই ষড়যন্ত্রেরই বাস্তবায়ন করে দেশের একটি প্রধান গণমাধ্যম।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক   ডিসি   মোহাম্মদ মমিনুর রহমান   প্রথম আলো  


মন্তব্য করুন


ইনসাইডার এক্সক্লুসিভ

একজন সাদা মানুষের কালো অধ্যায়

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ৩১ মে, ২০২৩


Thumbnail ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

(ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দানের বিপরীতে ধার্য করা প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা আয়কর চেয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পাঠানো নোটিশ বৈধ বলে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। বুধবার (৩১ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন। এই রায়ের ফলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পাঠানো নোটিশের আলোকে তাকে (নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস) দানের বিপরীতে প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা আয়কর দিতে হবে। 

বুধবার (৩১ মে) আয়কর চেয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পাঠানো নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের করা পৃথক তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলার বিষয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ-এ শুনানি হয়। শুনানি শেষে ড. ইউনূসের দায়ের করা তিনিটি আয়কর রেফারেন্স মামলা খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের এই রায়ের মাধ্যমেই প্রমাণিত হলো ড. মুহাম্মদ ইউনূস কর ফাঁকি দিতেন। ড. ইউনূসের শুধু কর ফাঁকি নয়, তার আর্থিক অনিয়ম এবং অস্বচ্ছতার অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য বাংলা ইনসাইডারের হাতে এসেছে। সম্প্রতি বাংলা ইনসাইডারের এক অনুসন্ধানে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কর ফাঁকি, রাষ্ট্রীয় অর্থ-সম্পদ আত্মসাৎ এবং জাল-জালিয়াতির চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে।)  

মাছের তেলে মাছ ভাজা

দেশের সমস্যা নিয়ে তিনি নীরব। দেশের কোন সংকটে, উৎসবে তিনি থাকেন না। ব্যক্তি স্বার্থে বিদেশে তিনি সরব। ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে দরিদ্রকে জাদুঘরে পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন। দারিদ্র জাদুঘরে যায়নি বটে, তবে তিনি অর্থ, বিত্ত-বৈভবের জাদু দেখিয়েছেন। এখন ‘সামাজিক ব্যবস্থা’ আওয়াজ তুলে বিশ্বে বক্তৃতা দিচ্ছেন। সামাজিক ব্যবস্থার প্রবর্তন হোক না হোক তার বিত্তের প্রসার ঘটেছে। এখন শিক্ষক থেকে তিনি হয়ে উঠেছেন বিলিয়নিয়ার। কিন্তু তার এই বিত্ত যেভাবে বেড়ে ওঠা গরীবের সম্পদ লুটে। সরকারকে ঠকিয়ে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাৎ করে। তার নাম ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পেশাগত জীবনে অর্থনীতিবিদ হলেও নোবেল বানিয়ে নিয়েছেন শান্তিতে। অর্থনীতিবিদ কিভাবে শান্তিতে নোবেল পেলেন সেটাও ভাবার বিষয়। নোবেল বিজয়ী হিসেবে বিদেশে বক্তৃতা করে পান কোটি কোটি টাকা। কিন্তু প্রশ্ন ওঠেছে, দেশ এবং জাতির জন্য তিনি কি করেছেন? জোবরা গ্রামে গবেষণা শুরু করেছিলেন ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম নিয়ে। এক সময় এই দরিদ্র, হতদরিদ্র মানুষদের সাবলম্বী করে তোলার কথা বলে দারস্থ হয়েছিলেন বাংলাদেশ সরকারের কাছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রস্তাবেই এরশাদ সরকার গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে। ড. ইউনূস সেখানে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের চাকরি নেন, ১৯৮৩ সালে এটি একটি বৈধ এবং স্বতন্ত্র ব্যাংক হিসেবে যাত্রা শুরু করে। সরকার গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে একটি আইনের মাধ্যমে এবং সেখানে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় ড.  ‍মুহাম্মদ ইউনূসকে। 

১৯৮৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর সরকার গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ নামে একটি অধ্যাদেশ (অধ্যাদেশ নম্বর-৪৬) জারি করে। সে সময়ে গ্রামীণ ব্যাংক শুরু হয় মাত্র তিন কোটি টাকা মূলধন দিয়ে। এর মধ্যে বেশিরভাগ টাকা অর্থাৎ ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা ছিল সরকারের এবং ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ছিল ঋণ গ্রহীতাদের। অর্থাৎ গ্রামীণ ব্যাংকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ব্যক্তিগত কোনো টাকা ছিল না। অথচ গ্রামীণ ব্যাংককে ব্যবহার করেই ড. ইউনূস পেয়েছেন সবকিছু। কাগজে কলমে গ্রামীণ ব্যাংকের মালিক সরকার এবং ঋণ গ্রহীতা জনগণ। কিন্তু ‘অসাধারণ’ মেধায় রাষ্ট্র ও জনগণের অর্থ ড. ইউনূস পুরে ফেলেন তার পকেটে। গ্রামীণ ব্যাংকের টাকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস গড়ে তুলেছেন নিয়ন্ত্রণাধীর ২৮টি প্রতিষ্ঠান এবং গ্রামীণ ব্যাংক তথা সরকারের টাকা আত্মসাৎ করে তিনি এখন হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। 

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দাতা গোষ্ঠী অনুদান এবং ঋণ দেয় গ্রামীণ ব্যাংককে। অনুদানের সব অর্থ যদি রাষ্ট্র এবং জনগণের কাছে যায় তাহলে ড. ইউনূসের লাভ কি? তাই দাতাদের অনুদানের অর্থ দিয়ে গঠন করলেন সোশাল ভেনচার ক্যাপিটাল ফান্ড (এসভিসিএফ)। ১৯৯২ সালের ৭ অক্টোরব ঐ ফান্ড দিয়ে আলাদা একটি প্রতিষ্ঠান গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ১৯৯৪ সালে ‘গ্রামীণ ফান্ড’ নামের একটি লিমিটেড কোম্পানী গঠন করা হয়। তাতে ঐ ফান্ডের ৪৯ দশমিক ১০ কোটি টাকা স্থানান্তর করা হয়। গ্রামীণ ব্যাংক দেখিয়ে বিদেশ থেকে টাকা এনে তা সরিয়ে ফেলার চেষ্টা ছিলো শুরু থেকেই। গ্রামীণ ব্যাংক সরকারী প্রতিষ্ঠান হলেও ড. ইউনূস- এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে সব সিদ্ধান্ত একাই নিতেন। পরিচালনা পর্ষদ এমনভাবে গঠন করা হয়েছিল, যাতে কেউ ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে কথা না বলেন। ড. ইউনূস এই সুযোগটি কাজে লাগান। ১৯৯৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর গ্রামীণ ব্যাংকের ৩৪ তম বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঐ সভায় সিদ্ধান্ত হয় দাতা গোষ্ঠীর অনুদানের অর্থ এবং ঋণ দিয়ে সোশাল এডভান্সমেন্ট ফান্ড (এসএএফ) গঠন করা হবে। কিন্তু দাতারা গ্রামীণ ব্যাংক থেকে এভাবে অর্থ সরিয়ে ফেলার আপত্তি জানায়। দাতারা সাফ সাজিয়ে দেন, এভাবে অর্থ স্থানান্তর জালিয়াতি। এবার ভিন্ন কৌশল গ্রহণ করেন ড. ইউনূস। ২৫ এপ্রিল ১৯৯৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের বোর্ড সভায় ‘গ্রামীণ কল্যাণ’ গঠনের প্রস্তাব আনেন। 

প্রস্তাবে বলা হয়, গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্য ও কর্মীদের কল্যাণে ‘কোম্পানী আইন ১৯৯৪’ এর আওতায় গ্রামীণ কল্যাণ নামের একটি প্রতিষ্ঠান গঠন করা। গ্রামীণ ব্যাংকের বোর্ড সভা এই প্রস্তাব অনুমোদন করে। এটি গ্রামীণ ব্যাংকেরই অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। গ্রামীণ কল্যাণ যে গ্রামীণ ব্যাংকেরই শাখা প্রতিষ্ঠান, তা আরো স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় এর মূলধন গঠন প্রক্রিয়ায়। গ্রামীণ কল্যাণ-এ গ্রামীণ ব্যাংকের সোশাল এডভ্যান্সমেন্ট ফান্ড (এসএএফ) থেকে ৬৯ কোটি টাকা প্রদান করা হয়। গ্রামীণ কল্যাণের মেমোরেন্ডাম অব আর্টিকেলেও গ্রামীণ ব্যাংকের সাথে এর সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মেলে। মেমোরেন্ডাম আব আর্টিকেল অনুযায়ী গ্রামীণ কল্যাণের এ সদস্যের পরিচালনা পরিষদের ২ জন সদস্য গ্রামীণ ব্যাংকের মনোনীত প্রতিনিধি। এছাড়াও গ্রামীণ কল্যাণের চেয়ারম্যান হবেন গ্রামীণ ব্যাংকের মনোনীত প্রতিনিধি। গ্রামীণ ব্যাংকের মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে ড. ইউনূস গ্রামীণ কল্যাণের চেয়ারম্যান হন। এরপরে গ্রামীণ কল্যাণ হয়ে ওঠে ড. ইউনূসের ‘সোনার ডিম পাঁড়া রাঁজহাস’। গ্রামীণ কল্যাণের মাধ্যমে তিনি গড়ে তোলেন একাধিক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানগুলো হলো:-

১.গ্রামীণ টেলিকম লি: ২. গ্রামীণ ডিস্ট্রিবিউশন লি: ৩. গ্রামীণ শিক্ষা ৪. গ্রামীণ নিটওয়্যার লি: ৫. গ্রামীণ ব্যবস্থা বিকাশ ৬. গ্রামীণ আইটি পার্ক ৭. গ্রামীণ ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট ৮. গ্রামীণ সলিউশন লি: ৯. গ্রামীণ ডানোন ফুডস: লি: ১০. গ্রামীণ হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস লি: ১১. গ্রামীণ স্টার এডুকেশন লি: ১২. গ্রামীণ ফেব্রিক্স এ্যান্ড ফ্যাশন লি: ১৩. গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশন। 

অন্যদিকে, গ্রামীণ কল্যাণের আদলে প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ফান্ডের মাধ্যমে গঠন করা হয় আরো কিছু প্রতিষ্ঠন। এগুলো হল:-

১.গ্রামীণ ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লি: ২. গ্রামীণ সল্যুশন লি: ৩. গ্রামীণ উদ্যোগ ৪. গ্রামীণ আইটেক লি: ৫. গ্রামীণ সাইবারনেট লি: ৬. গ্রামীণ নিটওয়্যার লি: ৭. গ্রামীণ আইটি পার্ক ৮. টিউলিপ ডেইরী এ্যান্ড প্রোডাক্ট লি: ৯. গ্লোব কিডস ডিজিটাল লি: ১০. গ্রামীণ বাইটেক লি: ১১. গ্রামীণ সাইবার নেট লি: ১২. গ্রামীণ স্টার এডুকেশন লি: ১২. রফিক আটোভ্যান মানুফ্যাকটার লি: ১৩. গ্রামীণ ইনফরমেশন হাইওয়ে লি: ১৪. গ্রামীণ ব্যবস্থা সেবা লি: ১৫. গ্রামীণ সামগ্রী।

মজার ব্যাপার হলো গ্রামীণ ব্যাংকের অর্থে এবং বোর্ড সভার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে গ্রামীণ কল্যাণ এবং গ্রামীণ ফান্ড গঠিত হয়। এই দুটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যে প্রতিষ্ঠানগুলো গঠিত হয়েছে তা সবই আইনত গ্রামীণ ব্যাংকের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ২০২০ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ ফান্ড এবং গ্রামীণ কল্যাণের পরিচালনা পর্ষদে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিনিধি থাকলেও ২০২১ সাল থেকে এই প্রতিষ্ঠান দুটিতে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিনিধি নেই। গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ দু’টি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হবেন গ্রামীণ ব্যাংকের মনোনীত ব্যক্তি। কিন্তু ড. মুহাম্মদ ইউনূস এখনও গ্রামীণ কল্যাণ এবং গ্রামীণ ফান্ডের চেয়ারম্যান পদে বহাল আছেন। প্রশ্ন হলো; কোন কর্তৃত্ব বলে তিনি এখনও চেয়ারম্যান? এক্ষেত্রে গ্রামীণ ব্যাংকের নীরবতাও এক রহস্য। ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব থেকে অবসরে গেলেও ব্যাংকটি নিয়ন্ত্রণ করছে তার অনুগতরাই। একারণেই তাদের নীরবতা। গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের রহস্যময় আচরণের কারণেই গ্রামীণ ব্যাংকের অর্থে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকানা বঞ্চিত রাষ্ট্র ও জনগণ। রাষ্ট্রের অর্থ দিয়ে ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার এ এক অদ্ভুদ জালিয়াতি। রাষ্ট্রীয় সম্পদের টাকা দিয়ে ব্যক্তিগত কোম্পানী গঠন রাষ্ট্রের সাথে ভয়ংকর প্রতারণা।

গ্রামীণ টেলিকম এবং লোকসানী প্রতিষ্ঠানের রহস্য

গ্রামীণ কল্যাণ এবং গ্রামীণ ফান্ডের মাধ্যমে গঠিত ২৮ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একমাত্র গ্রামীণ টেলিকম ছাড়া আর সব প্রতিষ্ঠানই লোকসানী। গ্রামীণ টেলিকম দেশের সর্ববৃহৎ মোবাইল নেটওয়ার্ক। গ্রামীণ ফোনের ৩৪ দশমিক দুই শতাংশ শেয়ারের মালিক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ২০২২ সালে গ্রামীণ ফোন ট্যাক্স, ভ্যাট দেয়ার পর নীট মুনাফা করেছে তিন হাজার নয় কোটি ষোল লাখ টাকা। অর্থাৎ গ্রামীণ ফোন থেকে গ্রামীণ টেলিকম প্রতিবছর নীট মুনাফা পায় এক হাজার কোটি টাকার বেশি। গ্রামীণ ফোনের লভ্যাংশ নয়-ছয় করা ছাড়া গ্রামীণ টেলিকমের আর কোন কাজ নেই। এই টাকা দিয়ে ড. ইউনূসের ২৮টি হায় হায় কোম্পানী প্রতিপালন করা হয়। গ্রামীণ টেলিকমের লাভের টাকার একটি অংশ যায় গ্রামীণ কল্যাণে। গ্রামীণ কল্যাণের মাধ্যমে বাকি নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাঁচিয়ে রাখা হয়। এই সব প্রতিষ্ঠানই লোকসানী প্রতিষ্ঠান। প্রশ্ন হলো; লোকসান দিয়ে বছরের পর বছর এই প্রতিষ্ঠানগুলো চলবে কেন? একটু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, গ্রামীণ ব্যাংক থেকে টাকা সরিয়ে গ্রামীণ কল্যাণের মাধ্যমে যে প্রতিষ্ঠানগুলো গঠন করা হয়েছে; তার সবগুলোর চেয়ারম্যান ড. ইউনূস। আর এই প্রতিষ্ঠানগুলোর এমডি পদে নিয়োগ দেয়া হয় ড. ইউনূসের একান্ত অনুগত এবং বিশ্বস্তদের। এরা গাড়ী পান, মোটা অংকের বেতন পান এবং ড. ইউনূসের কথা অনুযায়ী কাজ করেন। এটা এক ধরনের উৎকোচ। এই প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিষ্ঠার এক বড় কার্যক্রম হলো গ্রামীণ টেলিকমের লাভের টাকা আত্মসাৎ করা এবং আয়কর ফাঁকি। 

এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমেই ড. ইউনূস আসলে অর্থপাচার করেন। গ্রামীণ টেলিকমের টাকাকে হাতবদল করে করে অর্থ পাচারের পথ তৈরী করা হয়। গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানি আইন ১৯৯৪- এর ধারা ২৮ এবং ২৯ এর বিধান লঙ্ঘন করে গ্রামীণ ফোন লিমিটেড থেকে গ্রামীণ কল্যাণকে তার লভ্যাংশ আয়ের ৪২.৬% বিতরণ করে আসছে। যদিও গ্রামীণ কল্যাণ গ্রামীণ ফোন লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডার নয়। আইন অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের সমগ্র লভ্যাংশ আয়কে এর আয় হিসেবে ভোগ করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট আর্থিক বছরের জন্য প্রযোজ্য করপোরেট হারে কর দিতে হবে। কিন্তু তাদের নিরীক্ষিত হিসাব পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, তারা গ্রামীণ টেলিকম থেকে গ্রামীণ কল্যাণকে তাদের লভ্যাংশ আয়ের প্রায় অর্ধেক প্রদান করেছে শুধুমাত্র অগ্রিম আয়কর (এআইটি) ১০-২০% হারে। অথচ আইন অনুযায়ী তাদের জন্য প্রযোজ্য করপোরেট করের হার ছিল ৩৫% থেকে ৩৭.৫% পর্যন্ত।

এই করপোরেট রেট এবং ডিভিডেন্ট ট্যাক্সের পার্থক্য কর ফাঁকি। কারণ গ্রামীণ কল্যাণ প্রচলিত আইন অনুযায়ী কোনভাবেই গ্রামীণ টেলিকমের লভ্যাংশ আয়ের অধিকারী নয়। গ্রামীণ টেলিকম শুরু থেকে যে সকল কর ফাঁকি দিয়েছে সেগুলো যোগ করলে- এর পরিমান দাঁড়ায় প্রায় এক হাজার কোটি টাকা। এই কর ফাঁকির হিসাব শুধুমাত্র গ্রামীণ টেলিকমের। ড. ইউনূসের নিয়ন্ত্রিত অন্যান্য কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠান এবং তার ব্যক্তিগত আয়করের ক্ষেত্রেও ব্যাপকভাবে কর ফাাঁকির ঘটনা অনেকটা স্বাভাবিক নিয়মের মতোই বহু বছর ধরে ঘটেছে। ড.ইউনূস নিয়ন্ত্রিত অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর কর ফাঁকির ঘটনাগুলো হিসাব করলে এই পরিমাণ দাঁড়াবে বিশাল অংকের।

গ্রামীণ টেলিকমের ২৬ বছরের কার্যক্রম চলাকালীন প্রায় এক হাজার কোটি টাকার কর ফাঁকি দেওয়া হয়। এই দীর্ঘ সময়ে ড. ইউনূস প্রতিবছর শতকরা ১৫ থেকে ২৫ ভাগ পর্যন্ত কর ফাঁকি দিয়ে আসছেন। ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর গ্রামীণ টেলিকমে ড. ইউনূস ২৫% কর ফাঁকি দিয়েছেন। ওই সময়ে কর ছিল ৩৫%, প্রদান করেছিলেন মাত্র ১০%। ২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানে ড. ইউনূস কর ফাঁকি দিয়েছেন বছরে ২০%। ওই সময়ে কর ছিল ৩৫%, প্রদান করেছিলেন মাত্র ১৫%। ২০০৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ড. ইউনূস নিয়ন্ত্রিত গ্রামীণ টেলিকমে প্রতিবছর ১৫% কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে কর ছিল ৩৫%, আর প্রদান করেছিলেন মাত্র ২০%। 

এটি লক্ষণীয়, ড. ইউনূস তার কর ফাঁকির বিষয়গুলো ধামাচাপা দিতে দেশের আদালতে বেশ কিছু মামলা ও রিট পিটিশন দায়ের করে রেখেছেন। এ সকল মামলা ও রিটের উদ্দেশ্য হচ্ছে কর ফাঁকি সংক্রান্ত বিষয়ে ড. ইউনূসকে যেন আইনের মুখোমুখি হতে না হয়। ড. ইউনূসের কর সংক্রান্ত প্রতিটি ক্ষেত্রেই তার কর ফাঁকির বিষয়গুলো দালিলিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। ড. ইউনূসের কর ফাঁকির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের দ্বারা পরিচালিত তদন্তে এটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, ড. ইউনূস নিজে এবং তার নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানগুলো তার নির্দেশনাতেই কর ফাঁকির অপরাধে জড়িত। 

অস্বচ্ছ ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট, জালিয়াতি এবং অর্থপাচার

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে তিনটি। এই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তিনটি হলো যথাক্রমে:- ১. সাউথ ইস্ট ব্যাংক, (অ্যাকাউন্ট নাম্বার-০২১২১০০০২০০৬১), ২. স্ট্যান্ডার্ট চার্টড ব্যাংক, (অ্যাকাউন্ট নাম্বার- ১৮১২১২৭৪৭০১) এবং ৩. রুপালি ব্যাংক, (অ্যাকাউন্ট নাম্বার-০৪৮৯০১০০০৮০৯৬)। এই তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মধ্যে ২০০০ সালে খোলা সাউথ ইস্ট ব্যাংকের অ্যাকাউন্টটি (অ্যাকাউন্ট নাম্বার-০২১২১০০০২০০৬১) তার মূল ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হিসেবেই প্রতীয়মান হয়েছে। এই অ্যাকাউন্টে ২০০০ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১শ’ ১৮ কোটি ২৭ লক্ষ ৭৬ হাজার ৩শ’ ৬৮ টাকা রেমিটেন্স এসেছে। এই রেমিটেন্সের বেশিরভাগ ৪৭ কোটি ৮৯ লাখ ৯৬ হাজার ৬শ’ ৫২ টাকা এসেছে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে। সেই সময়েই একটি রাজনৈতিক দল গঠনেরও প্রয়াস করেছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাহলে কি রাজনৈতিক দল গঠনের জন্য বিদেশি বন্ধুরা ড. ইউনূসকে টাকা দিয়েছিল? বিদেশ থেকে টাকা এনে রাজনৈতিক দল করতে চেয়েছিলেন ইউনূস?  

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ট্যাক্স ফাইল বিশ্লেষণে ওঠে এসেছে, ২০০৩ সালের পরে নোবেল বিজয়ীর তকমাধারী ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার ট্যাক্স ফাইলে ২০০৫-০৬ কর বছরে তিনি সর্বমোট ৯৭ কোটি ৪ লাখ ৬১ হাজার ১৯১ টাকা রেমিটেন্স প্রাপ্তির কথা উল্লেখ করেছেন। কিন্তু ওই সময়ে তার ব্যক্তিগত সাউথ ইস্ট ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে রেমিটেন্স প্রাপ্তির পরিমাণ ১১৫ কোটি ৯৮ লাখ ৯৬ হাজার ২৪ টাকা। অর্থাৎ ওই সময়ে তিনি ১৮ কোটি ৯৪ লাখ ৩৪ হাজার ৮শ’ ৩৫ টাকার রেমিটেন্স প্রাপ্তির তথ্য সরকারকে কর ফাঁকি দেওয়ার লক্ষ্যে তার ব্যক্তিগত ট্যাক্স ফাইলে গোপন করেছেন। এটি স্পষ্ট অর্থপাচারের দোষে দুষ্ট। 

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টের ডেবিট অ্যানালাইসিসে ওঠে এসেছে, অপ্রদর্শিত অর্থ সমূহের মূল অংশ তিনি সাউথ ইস্ট ব্যাংকের অন্য দু’টি অ্যাকাউন্ট, সাউথ ইস্ট ব্যাংকের ১৫ নম্বর ব্রাঞ্চের ট্র্যাভেল ইন্টারন্যাশনাল লিঃ নামের (অ্যাকাউন্ট নম্বর- ৭৩৩০০০০০৩৩৩৯) ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১১ কোটি ১৪ লাখ ৩১ হাজার ৭শ’ ৬৭ টাকা এবং ০০৩৫ নম্বর ব্রাঞ্চের (অ্যাকাউন্ট নম্বর-৯০৩০৩১৬০৯১০) ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২ কোটি ৫২ লাখ টাকা স্থানান্তর করেছেন। অর্থপাচারের জন্যই এভাবে টাকা এক ব্যাংক থেকে আরেক ব্যাংকে স্থানান্তর করা হয়। 

সরকারকে কর ফাঁকি দেওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর বছরে তিনি তার ব্যক্তিগত ট্যাক্স ফাইলে নিজস্ব সাউথ ইস্ট ব্যাংকে প্রাপ্ত বিপুল পরিমাণ রেমিটেন্সের তথ্য গোপন করেছেন। ২০০৭-০৮ অর্থবছরে তিনি রেমিটেন্স প্রাপ্ত হয়েছেন ১৫ কেটি ১১ লাখ ৩১ হাজার ৪৭ টাকা। কিন্তু তিনি তার ট্যাক্স ফাইলে প্রদর্শন করেছেন ৯ কোটি ১৪ লাখ ৫৮ হাজার ৪শ’ ৮৯ টাকা। ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট এবং ট্যাক্স বা কর ফাইলের সাথে এখানে পার্থক্য রয়েছে ৫ কোটি ৯৬ লাখ ৭২ হাজার ৫শ’ ৫৯ টাকা। ২০০৮-০৯ কর বছরে তিনি রেমিটেন্স প্রাপ্ত হয়েছেন ১১ কোটি ৮৩ লাখ ১৪ হাজার ৪শ’ ১০ টাকা। অথচ তিনি তার ট্যাক্স ফাইলে উল্লেখ করেছেন ১০ কোটি ৪০ লাখ ২৪ হাজার ৮শ’ ৩২ টাকা। এখানে তিনি ১ কোটি ৪২ লাখ ৮৯ হাজার ৫শ’ ৭৮ টাকার তথ্য গোপন করেছেন। ২০০৯-১০ কর বছরে তিনি রেমিটেন্স প্রাপ্ত হয়েছেন ২০ কোটি ৯৫ লাখ ৫১ হাজার ১শ’ ৯৫ টাকা। তিনি তার ট্যাক্স ফাইলে উল্লেখ করেছেন ১৮ কোটি ৯৯ লাখ ২৮ হাজার ৭শ’ ৩১ টাকা। এখানে তিনি ১ কোটি ৯৬ লাখ ২২ হাজার ৪শ’ ৬৫ টাকার তথ্য গোপন করেছেন। ২০১০-১১ কর বছরে তিনি রেমিটেন্স প্রাপ্ত হয়েছেন ৮ কোটি ১৮ লাখ ৬৫ হাজার ২শ’ ৪ টাকা। অথচ তার ট্যাক্স ফাইলে উল্লেখ করেছেন ৬ কোটি ৬০ লাখ ৪৪ হাজার ৯২ টাকা। এখানে তিনি ১ কোটি ৫৮ লাখ ২১ হাজার ১শ’ ১২ টাকার তথ্য গোপন করেছেন। ২০১১-১২ কর বছরে তিনি রেমিটেন্স প্রাপ্ত হয়েছেন ৫ কোটি ৯১ লাখ ৫ হাজার ৫শ’ ৮৬ টাকা। আর ট্যাক্স ফাইলে উল্লেখ করেছেন ৪ কোটি ৬৫ লাখ ৩৬ হাজার ৫শ’ ৭২ টাকা। এখানে তিনি ১ কোটি ২৫ লাখ ৬৯ হাজার ১৪ টাকার তথ্য গোপন করেছেন। ২০১২-১৩ কর বছরে তিনি রেমিটেন্স প্রাপ্ত হয়েছেন ৮ কোটি ৩৭ লাখ ২ হাজার ৭৭ টাকা। তিনি তার ট্যাক্স ফাইলে উল্লেখ করেছেন ৬ কোটি ৫০ লাখ ৬৬ হাজার ৬শ’ ৬৫ টাকা। এখানে তিনি ১ কোটি ৮৬ লাখ ৩৫ হাজার ৪শ’ ১২ টাকার তথ্য গোপন করেছেন। ২০১৩-১৪ কর বছরে তিনি রেমিটেন্স প্রাপ্ত হয়েছেন ১০ কোটি ৫৫ লাখ ৪২ হাজার ৩শ’ ৩৬ টাকা। তিনি তার ট্যাক্স ফাইলে উল্লেখ করেছেন ৭ কোটি ৯৮ লাখ ৫৯ হাজার ৫শ’ ৪৪ টাকা। এখানে তিনি ২ কোটি ৫৬ লাখ ৮২ হাজার ৭শ’ ৯৩ টাকার তথ্য গোপন করেছেন। ২০১৪-১৫ কর বছরে তিনি রেমিটেন্স প্রাপ্ত হয়েছেন ৭ কোটি ১৪ লাখ ৫৭ হাজার ২শ’ ৭ টাকা। অথচ ট্যাক্স ফাইলে উল্লেখ করেছেন ৫ কোটি ১৬ লাখ ৬১ হাজার ৫শ’ ৯৮ টাকা। এখানেও তিনি ১ কোটি ৯৭ লাখ ৯৫ হাজার ৬শ’ ৯ টাকার তথ্য গোপন করেছেন। 

২০০০ সালের পর থেকে এমন প্রতিটি কর বছরে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিদেশ থেকে রেমিটেন্স প্রাপ্ত হয়ে কোটি কোটি টাকার তথ্য গোপন করে সরকারের কর ফাঁকি দিয়েছেন। ২০০৫-০৬ কর বছর থেকে শুরু করে ২০২২-২৩ কর বছর পর্যন্ত সরকারকে কর ফাঁকি দেওয়ার লক্ষ্যে তিনি ১৮ কোটি ৯৪ লাখ ৩৪ হাজার ৮শ’ ৩৫ টাকা রেমিটেন্সের তথ্য গোপন করেছেন। 

মজার ব্যাপার হলো ২০২০-২১ অর্থবছরে ড. ইউনূস এর ব্যক্তিগত একাউন্ট থেকে প্রায় সব টাকা তুলে ‘ইউনূস ট্রাস্ট’ গঠন করেন। ট্রাস্টের টাকা আয়কর মুক্ত। সে হিসেব থেকেই এমন কান্ড করেন তিনি। কিন্তু এরকম ফান্ডের জন্য ১৫ শতাংশ কর দিতে হয়, এটি তিনি দেননি। এই ট্যাক্স ফাঁকির কারণেই তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। এই মামলায় তিন হেরে যান। এখন মামলাটি আপিল বিভাগে বিচারাধীন। 

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলো বিশ্লেষণে ওঠে এসেছে, তার সব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন সময়ে বিদেশ থেকে কোটি কোটি টাকা রেমিটেন্স এসেছে। নির্বাচন মৌসুমগুলোতে তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে এই রেমিটেন্সের টাকার প্রবাহ সবচেয়ে বেশি। কিন্তু প্রশ্ন ওঠেছে, ড.মুহাম্মদ ইউনূসের ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলোতে নির্বাচনী মৌসুমে বিদেশ থেকে বেশি অর্থ আসার উদ্দেশ্য কি? কোন বিশেষ রাজনৈতিক দলের জন্য কি তিনি টাকা এনেছেন?

ড. ইউনূস ট্যাক্স ফাঁকি দেয়ার জন্য যে ট্রাস্ট গঠন করেন- তার একটি মাত্র কার্যক্রম দেখা যায়। তা হলো ড. ইউনূস এবং তার পরিবারের সব ব্যয় বহন করা হয় এই ট্রাস্টের টাকায়। এটাও এক ধরনের জালিয়াতি। এই ট্রাস্ট যে ধরনের সমাজ সেবামূলক কার্যক্রম করবে বলে আঙ্গীকার করা হয়েছে তার কিছুই করে না। তাহলে কি কর ফাঁকি দিয়ে বিলাসী জীবন যাপনের জন্যই এই ট্রাস্ট? একজন নোবেল জয়ী ব্যক্তি, কিভাবে রাষ্ট্র এবং জনগণের সংঙ্গে এ রকম প্রতারণা করতে পারেন? রাষ্ট্রের সম্পদ দিয়ে বানাতে পারেন একের পর এক ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান। আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ব্যক্তি কিভাবে আয়কর ফাঁকি দেয়ার জন্য করতে পারেন নানা ছল-চাতুরী ও প্রতারণা? এই প্রশ্নের কি উত্তর দেবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস?


ড. মুহাম্মদ ইউনূস   কর ফাঁকি   অর্থ আত্মসাৎ   জাল জালিয়াতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইডার এক্সক্লুসিভ

তারেকের সঙ্গে আওয়ামী লীগকে সমঝোতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ৩০ মে, ২০২৩


Thumbnail

সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন এক নৈশভোজের আমন্ত্রণ আওয়ামী লীগের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে তারেক জিয়ার সঙ্গে সমঝোতা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে আওয়ামী লীগের ওই নেতা প্রস্তাব গ্রহণ করেননি এবং পরবর্তীতে এই প্রক্রিয়াটি আর এগোয়নি। এর মধ্যেই ব্রিটিশ হাইকমিশনারের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। তিনি বিদায় নেন। নতুন হাইকমিশনার সারাহ কুক এখন দায়িত্ব নিয়েছেন। তবে এই প্রক্রিয়া আর বেশী দুর এগোয়নি। ঘটনাটা ছিল চাঞ্চল্যকর এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ স্পর্শকাতর কূটনৈতিক অধ্যায়।

একাধিক সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছে যে ডিকসন আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতাকে তার বাসভবনে নৈশভোজের জন্য আমন্ত্রণ জানান। নৈশভোজের আমন্ত্রণের ব্যাপারটি আওয়ামী লীগ সভাপতিকে অবহিত করেন ওই নেতা। এরপর তিনি নৈশভোজে যান। সেখানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনার মধ্যেই ব্রিটিশ হাইকমিশনার প্রস্তাব দেন তারেক জিয়ার সঙ্গে আওয়ামী লীগের বসা উচিত। রাজনৈতিক সংকট সমাধানে তারেক জিয়া আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠকে বসতে আগ্রহী। 

আচমকা এই রকম একটি প্রস্তাবে হতভম্ব হয়ে যান আওয়ামী লীগের ওই নেতা। তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন যে এই জন্যই কি তাকে ডাকা হয়েছে? ব্রিটিশ হাইকমিশনার তাকে অভয় দেন এবং বলেন যে আমরা রাজনীতির সমাধান চাই। তারেক জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করতে গেলে অসুবিধা কি? ওই নেতা জিজ্ঞেস করেন যে তারেক জিয়ার সাথে কিভাবে বৈঠক সম্ভব? তিনি তো ফেরারি ফিউজিটিভ এবং পলাতক। এর জবাবে ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, তারেক জিয়ার পক্ষ থেকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এই বৈঠক করবেন। 

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী কেন? কেন মির্জা ফখরুল ইসলাম নয়-এ প্রস্তাব করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা। তবে এর উত্তরে বলেন যে তারেক জিয়া আমীর খসরু মাহমুদকে বিশ্বাস করেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বিশ্বাস করেন না। এ কারণেই তিনি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে নয় আমীর খসরু মাহমুদের সঙ্গে বসতে আগ্রহী। আওয়ামী লীগের ওই নেতা অত্যন্ত মেধাবী এবং চতুর। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে জানিয়ে দেন যে এই বিষয়টি নীতি নির্ধারণীর সিদ্ধান্তের বিষয়। এটি তার পক্ষে এই মুহূর্তে সিদ্ধান্ত দেয়া সম্ভব নয়। আর এ ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়গুলোর ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে তার পক্ষে মতামত দেয়া সম্ভব নয়। এ রকম অবস্থা প্রেক্ষিতে বিট্রিশ হাইকমিশনার তাকে সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলেন। তবে আওয়ামী লীগের ওই নেতা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন এবং আলোচনা প্রেক্ষিতে তিনি এটিকে নাকচ করে দেন। 

আওয়ামী লীগের দায়িত্ব সূত্র বলছে যে, তারেক জিয়ার সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি তাদের কানেও এসেছে। বিশেষ করে বিট্রিশ হাইকমিশনার একজন ফেরারি পলাতক দন্ডিত আসামীকে কিভাবে আওয়ামী লীগের মতো একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করার প্রস্তাব দেন এটি তাদের বিস্মিত এবং হতবাক করেছে। কিন্তু যেহেতু আওয়ামী লীগ তাদের একটি অবস্থানে অটল রয়েছে যে কোনো অবস্থাতে ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার দন্ডিত আসামী তারেক জিয়ার সঙ্গে কোনো বৈঠক করবে না। সেজন্য তারা এটিকে খুব একটা আমলে নেয়নি। কিন্তু এই ঘটনা থেকে একটি বিষয় সুস্পষ্ট হয়ে যে পশ্চিমা বিশ্বগুলো যারা এক সময় তারেককে সবচেয়ে দুনীর্তিবাজ, ঘৃণিত এবং রাজনীতিতে একটা দুর্বৃত্ত মনে করতো তারাই এখন নানা লবিং এবং নানা স্বার্থের মেরুকরণে তারেক জিয়ার পক্ষে উকালতি শুরু করেছে। এটি বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য এক ধরনের অশনিসংকেত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

তারেক জিয়া   সমঝোতা প্রস্তাব   ব্রিটিশ হাইকমিশনার   রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইডার এক্সক্লুসিভ

নাটকীয় সিদ্ধান্ত আসতে পারে বিএনপিতে

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১৯ মে, ২০২৩


Thumbnail

নির্বাচন নিয়ে তৃণমূলের সাথে কথা বলছেন তারেক জিয়া। বিএনপি যখন নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে এবং এই দাবি আদায়ের লক্ষ্যে তারা বিভিন্ন রকম কর্মসূচি নতুন করে ঘোষণা করছে, ঠিক সেইসময় নির্বাচন নিয়ে তৃণমূলের মতামত নিচ্ছেন লন্ডনে পলাতক বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া।

একাধিক সূত্র বলছে পালাক্রমে প্রতি রাতে তিনি বিভিন্ন উপজেলার স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে খোলামেলা মতবিনিময় করছেন। আগামী নির্বাচন কিভাবে হওয়া উচিত, নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে বিএনপি'র কি হবে এবং নির্বাচনে যদি অংশগ্রহণ করা হয় তাহলে বিএনপি’র সম্ভাবনা কতটুকু ইত্যাদি বিষয় নিয়েই তিনি কথা বলছেন।

মজার ব্যাপার হল এখন পর্যন্ত তিনি সিলেট, নোয়াখালী, ফেনীর একাধিক উপজেলার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলেছেন, যেখানে বেশিরভাগ তৃণমূলের কর্মীরা আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে অংশগ্রহণ করার কথা বলেছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলেছে যদি বিএনপি শেষ পর্যন্ত আগামী নির্বাচন ঠেকাতে না পারে তাহলে দল অস্তিত্বের সংকটে পড়বে। তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ এটাও বলেছে যে নির্বাচন ঠেকানোর মত যে নেতৃত্ব এবং আন্দোলনের শক্তি দরকার সে নেতৃত্ব এবং আন্দোলনের শক্তি বিএনপির নেই। সুতরাং বিএনপিকে সবার আগে শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তুলতে হবে। আর শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তোলার জন্য বিএনপিকে নির্বাচনে যেতে হবে। তারেক জিয়া অবশ্য এসব কোনো বৈঠকেই কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি শুধু শুনেছেন এবং নোট নিয়েছেন।

এই বৈঠকে সিলেটের একজন স্থানীয় বিএনপি নেতা বলেছেন যে, এটাই আওয়ামী লীগের শেষ নির্বাচন। এর পর শেখ হাসিনা আর নির্বাচন করবেন না। তাদের সামনে সুযোগ রয়েছে। এবার যদি বিএনপি নির্বাচন করে তাহলে আন্তর্জাতিক মহল এই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে এবং অন্যান্যবারের মতো নির্বাচনে কারচুপিও আওয়ামী লীগ করতে পারবে না। কাজেই এই নির্বাচনে একটি নীরব ভোট বিপ্লব হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ওই নেতা এটিও দাবি করেন যে, বিএনপি’র জনপ্রিয়তা আগের চেয়ে বেড়েছে, অন্যদিকে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা কমেছে। কাজেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা উচিত।

ওই উপজেলার একজন নেতা তারেক জিয়াকে বলেছেন যে, আন্দোলন করার বাস্তব পরিস্থিতি এখন আর নেই এরকম আন্দোলন করে সরকারকে ফেলে দেওয়া যাবে না। কাজেই আন্দোলনের চাপ রেখে নির্বাচনে যাওয়াটাই উত্তম।

ফেনীর নেতারাও সরকার বিরোধী আন্দোলনের পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতির কথা বলেছেন। তারা বলেছেন যে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় করা আমাদের জন্য সম্ভব নাও হতে পারে। কারণ এরকম দাবি আদায় করার জন্য যে পরিমাণ সময় দরকার সে পরিমাণ সময় এখন বিএনপি'র হাতে নেই। তারা কেন্দ্রীয় নেতাদের ভূমিকারও প্রশংসা করেছেন।

নোয়াখালী থেকে একজন উপজেলা পর্যায়ের নেতা তারেক জিয়াকে অভিযোগ করেছেন যে, যে সমস্ত বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতারা সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা সূচক কথাবার্তা বলছেন, তারাই আসলে গোপনে সরকারের সাথে আতাত করে এবং এদের কারণেই কোনদিন আন্দোলন সফল হবে না। তারা এই সরকারকে হঠানোর জন্য আগে নেতৃত্বের পরিবর্তনের কথা বলেছেন।

তবে শেষ পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে যাবে কি যাবে না সেই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে তারেক জিয়ার উপর নির্ভর করছে। বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, নির্বাচন হলেই বড় ধরনের মনোনয়ন বাণিজ্য হবে এবং নানারকম দরকষাকষি হবে। এই সুযোগটি তারেক কাজে লাগাতে চায়। আর এ কারণেই তিনি নির্বাচনের লক্ষ্যে তৃণমূলের সাথে সংলাপের নাটক করছেন। দেখার বিষয় এই নাটকের ফলাফল শেষ পর্যন্ত কি হয়।



মন্তব্য করুন


ইনসাইডার এক্সক্লুসিভ

পিতার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়েছিলেন সাদিক আব্দুল্লাহ!

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail

আওয়ামী লীগের টিকিটে গতবার বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন সাদিক আব্দুল্লাহ। কিন্তু এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা সাদিক আব্দুল্লাহকে আবার মেয়র পদের জন্য মনোনয়ন দেয়নি। তার বদলে তার চাচা খোকন সেরনিয়াবাতকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এটি পুরনো খবর। কিন্তু মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে কি হয়েছিল? শেখ হাসিনা কেন তাকে মনোনয়ন দেননি? এ সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে বাংলা ইনসাইডারের কাছে। বাংলা ইনসাইডার ওই মনোনয়ন বোর্ডের সভার বিস্তারিত বিবরণ জানতে পেরেছে। বিভিন্ন অনুসন্ধানে মনোনয়ন বোর্ডের বিভিন্ন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই বৈঠকে সাদিক আব্দুল্লাহর ব্যাপারে হাসনাত আবদুল্লাহ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু এ কথাবার্তার পরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাদিক আবদুল্লাহকে মনোনয়ন না দেয়ার ব্যাপারে অনড় অবস্থানে ছিলেন। 

জানা গেছে, বরিশাল বিভাগের বিষয়টি আসার সঙ্গে সঙ্গেই আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি বলেন, বরিশাল থেকে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি খোকন সেরনিয়াবাতকে মনোনয়ন দেওয়ার। এই সিদ্ধান্তের পর মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ কথা বলার জন্য অনুমতি প্রার্থনা করেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি তাকে সেই অনুমতি দেন। এর পরপরই হাতজোড় করে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ বলেন, বরিশালে আমার রাজনীতি শেষ করবেন না প্লিজ। আমার ছেলেটাকে একবার মনোনয়ন দেন। প্রধানমন্ত্রী তখন বলেন, অসম্ভব। আমি তাকে মনোনয়ন দেবো না। সে কি করেছে আপনি জানেন। হাসনাত আব্দুল্লাহ এতেও বিরত হননি। তিনি বলেন, মা মরা ছেলে। আপনি প্লিজ একটু দয়া করুন। প্রধানমন্ত্রী তখন বলেন যে, মা মরা ছেলে? যে ছেলে তার মা’কে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিল, সেই মা মরা ছেলে নিয়ে কথা বলছেন আপনি? হাসনাত আবদুল্লাহ আবার বলেন যে, আমাকে একটু দয়া করুন। আমাকে রাজনীতিটা করতে দিন। সাদিক মনোনয়ন না পেলে আমার রাজনীতি শেষ হয়ে যাবে। 

প্রধানমন্ত্রী এ পর্যায়ে বলেন যে, এ রকম রাজনীতি করেন, সাদিক মনোনয়ন না পেলেই আপনার রাজনীতির শেষ হয়ে যাবে? এ সময় হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, অনুগ্রহ করে তাকে আরেকবার সুযোগ দিন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনি কি ভুলে গেলেন কার জন্য তদবির করছেন? এই ছেলে আপনার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়েছিল না? তার জন্য আপনি এখন তদবির করছেন? আমি তাকে মনোনয়ন দেবো না।

এ সময় আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, খোকন ক্যান্সারের রোগী। সে তো যেকোনো সময় মারা যাবে। আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর এই কথার পর প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, হায়াত মউত আল্লাহর হাতে। আমি জানি সে ক্যান্সারের রোগী। কিন্তু তারপরও আমি তাকে মনোনয়ন দেব। এ সময় হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমি অসুস্থবোধ করছি। আমি বৈঠক থেকে চলে যাই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, না, আপনি যাবেন কেন? এ সময় চিকিৎসক ডাকা হয়। চিকিৎসক এসে আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর প্রেসার মাপলে দেখা যায় তার প্রেসার ঠিক আছে। 

প্রধানমন্ত্রী তখন ব্লাড সুগার পরীক্ষা করার জন্য নির্দেশ দেন এবং দেখা যায় ব্লাড সুগারও নরমাল রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তখন তাকে জুস দিতে বলেন, কিন্তু হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন যে, আমি আর রাজনীতি করবো না। আমি চলে যেতে চাই। আমি মারা গেলে আমার কবরটা আমার মা-বাবার কবরের কাছে দিয়েন। 

সে সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ই আগস্টে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের কবরে সঙ্গে কারও কবর দেওয়া হবে না এমনকি আমার নিজেরটাও নয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী এবং মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি ওবায়দুল কাদেরকে পরের বিষয় যেতে বলেন।



মন্তব্য করুন


ইনসাইডার এক্সক্লুসিভ

স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি গঠনে শতকোটি টাকার বাণিজ্য

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail

অবশেষে গতকাল স্বেচ্ছাসেবক দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দেয়ার পর এই কমিটির ঘোষণা করা হয়। তবে কয়েকজনের টাকা তারেক জিয়ার কাছে না পৌঁছানোর কারণে ২৫১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির মধ্যে ২১৩ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এক মাসেরও বেশি আগে স্বেচ্ছাসেবক লীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। সে সময় এসএম জিলানিকে সভাপতি এবং রাজিব আহসানকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠন করা হয়। এরপরেই শুরু হয় কমিটি বাণিজ্য। 

লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিভিন্ন পদের জন্য অর্থ ঘোষণা করেন এবং অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ২৫১ সদসস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির ২১৩ জন সদস্য হয়েছে একশ কোটি টাকারও বেশি চাঁদা দিয়ে। এই চাঁদা বিভিন্ন মাধ্যমে তারেক জিয়ার কাছে পৌঁছেছে এবং তারেক জিয়া টাকা পৌঁছানোর পরপরই কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন। মজার ব্যাপার হলো, এই কমিটি গঠনে বিএনপির গঠনতন্ত্র বা স্বেচ্ছাসেবক দলের গঠনতন্ত্র অনুসরণ করা হয়নি। স্বেচ্ছাসেবক দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার কথা ১০১ সদস্যের। কিন্তু গঠনতন্ত্রের সংশোধন ছাড়াই ২৫১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করার কথা বলা হয়েছে।

স্বেচ্ছাসেবক দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ১০ থেকে ১১ জন সহ-সভাপতি থাকার কথা। সেখানে অর্থ আদায়ের সুবিধার জন্য ২০ জনকে সহ-সভাপতি করা হয়েছে। প্রতি সহ-সভাপতি ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত দিয়ে এই পদ পেয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদও ১১জন। সেখানে ২৮ জনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। প্রতি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত দিয়ে কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। এছাড়াও যারা বিভিন্ন সম্পাদকীয় পদে রয়েছেন, তারাও ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে এই কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন। 

অন্যদিকে সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে নূন্যতম ১ থেকে ২ লক্ষ টাকা দিয়ে তাদেরকে কমিটির সদস্য হতে হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ১০ কোটি টাকার বিনিময়ে এই পদ পেয়েছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। সাধারণ সম্পাদকও ১০ কোটি টাকার বিনিময়ে এই পদ পেয়েছেন বলে একাধিক সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছে। গত কিছুদিন ধরেই বিএনপিতে কমিটি বাণিজ্য হচ্ছে প্রকাশ্যে। যে কোনো কমিটি গঠনের আগে তারেক জিয়াকে একটি বড় অঙ্কের টাকা দিতে হয়। তারেক জিয়া এই টাকা পাওয়ার পর কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এরপর সভাপতি ও সাধারণ সম্পদকের পদ দু’টি নিলামে ওঠে। যিনি সবচেয়ে বেশি টাকা দিতে সম্মত হন, তিনি এই পদ দু’টি পান। তবে শর্ত থাকে যে লন্ডনে টাকা না পৌঁছানো পর্যন্ত এই কমিটি ঘোষণা না করা। আংশিক কমিটি ঘোষণার পর টাকা সংগ্রহ অভিযান শুরু হয় বিএনপির মধ্যে। বিভিন্ন পদের জন্য কে কে আগ্রহী, কে কত টাকা দিতে পারবে ইত্যাদি মাসব্যাপী চলে এই অর্থ সংগ্রহ বা চাঁদা সংগ্রহ অভিযান। 

কমিটি বাণিজ্য সম্পন্ন হওয়ার পর যখন টাকার ভাগ লন্ডনে তারেক জিয়া পেয়ে যান, তখন তিনি কমিটিগুলো অনুমোদন করেন। তবে বিএনপির একাধিক সূত্র বলছে, শুধু তারেক জিয়া একা না, অনেকেই এই টাকার ভাগ পান। সম্প্রতি ভয়েজ অব আমেরিকার বাংলা বিভাগের প্রধান শতরূপা বড়ুয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন যে, জনগণের টাকায় লন্ডনে তারেক জিয়া চলেন। আর জনগণের টাকা যে এই কমিটি বাণিজ্যের টাকা, সেটি স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে আরেকবার প্রমাণিত হলো।

রাজনীতির খবর   স্বেচ্ছাসেবক দল   কমিটি বাণিজ্য   তারেক জিয়া   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন