ইনসাইডার এক্সক্লুসিভ

ব্যবসায়ীদের ইউটার্ন, তারেক বিপাকে

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৭ জানুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail তারেক রহমান। ফাইল ছ

গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকেই ব্যবসায়ীরা তারেকের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছিলেন। বিশেষ করে যখন বিদ্যুতের লোডশেডিং এবং অর্থনৈতিক সংকট শুরু হয় তখন অনেক বড় বড় ব্যবসায়ী, যারা বিভিন্নভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এবং আওয়ামী লীগের আমলে ফুলে-ফেঁপে ওঠে ছিলেন তারা গোপনে তারেক জিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরকম অন্তত পাঁচজন ব্যবসায়ী গ্রুপকে বিভিন্ন সংস্থা চিহ্নিত করেছে। যার আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কিন্তু গোপনে তারেক জিয়াকে অর্থায়ন করে। এ সমস্ত ব্যবসায়ীরা মনে করেছিল, সরকার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে না, বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার মতো হয়ে যাবে। কাজেই এখন বিএনপির সাথে একটি গোপন সম্পর্ক রাখা ভালো। যাতে তাদের ভবিষ্যতে কোনো বিপদে পড়তে না হয়। আর এই অর্থ বিএনপির আন্দোলনে প্রলুব্ধ করা ছিল। বিভিন্ন বিভাগীয় শহরগুলোতে বিএনপির ব্যাপক সমাবেশ এবং ব্যাপক অর্থ ব্যয় থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে, বিএনপির কাছে প্রচুর অর্থ আসছে। 

আওয়ামী লীগ আমলে টেলিভিশন, সংবাদপত্র পাওয়া একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী তারেক জিয়ার কাছে অর্থ পাঠিয়েছেন এমন বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন ছিল। সাবেক হাওয়া ভবনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী আবার আওয়ামী লীগ আমলেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ রেখে ব্যবসার প্রসার বৃদ্ধি করা। একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি একটি ইংরেজী পত্রিকায় সরকারের বিভিন্ন অর্থনৈতিক নীতির ব্যাপক সমালোচনা করছে। সেরকম একটি ব্যবসায়িক গ্রুপও তারকের সঙ্গে নতুন করে তাদের সম্পর্ক ঝালিয়ে নিয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। 


বাংলাদেশের আর্থিক খাতে একটি প্রভাবশালী ব্যবসায়ী গ্রুপের সঙ্গেও তারেকের যোগাযোগ হয়েছিল এবং তারা তারেককে আর্থিক সহায়তা দিয়েছিল এমন অভিযোগও কোনো কোনো মহল থেকে উঠে এসেছিল। এই সমস্ত ব্যবসায়ী গ্রুপদের আর্থিক সহায়তার কারণে বিএনপির আন্দোলনে গতি পেয়েছিল এবং তারা সরকার পতনের দিবা স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু সময় যত এগোতে থাকে ততই এই ব্যবসায়ীরা বুঝতে শুরু করে যে, সরকারের পতন এতো সহজ নয়। সরকার আইএমএফের থেকে ঋণ সহায়তা পাচ্ছে, অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে সামাল দিতে সক্ষম হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক মহল থেকে বলা হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো অবস্থায় রয়েছে। পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন মহল যখন জানতে পারে যে, এরকম ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো তারেকের সঙ্গে যোগাযোগ করছে, তখন সরকারও নজরদারি বাড়ায়। এর ফলে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। কথিত ব্যবসায়িক গ্রুপগুলো ইউটার্ন নেয়। তারা বিএনপিকে এবং তারেক জিয়াকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া থেকে বিরত থাকতে শুরু করে। সব ধরনের সহায়তা বন্ধ করে দেয়, বন্ধ করে দেয় যোগাযোগ। ফলে বিএনপির আন্দোলনে যে জোয়ার এসেছিল সেই জোয়ারে ভাটার টান আসে। আর অন্যদিকে লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়া এখন এ ধরনের কয়েকজন ব্যবসায়ী সঙ্গে যোগাযোগ করেও পাত্তা পাচ্ছেন না।

ব্যবসায়ীরা একটা বিষয় বুঝে গেছে, আওয়ামী লীগের দোষ ক্রটি আছে, তবে শেখ হাসিনার বিকল্প এখন নেই। ফলে তারা আবার তারেক বিমুখ হয়ে পড়েছেন। ফলে বিএনপির আন্দোলনে শক্তি হচ্ছেনা। কর্মসূচি দেওয়ার অর্থ জোগাড় করার জন্য বিএনপি নেতারা লন্ডনের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। কিন্তু লন্ডন তাদেরকে আর্থিক সহায়তা দিতে পারছে না। ফলে বিএনপির আন্দোলন যেমন গতি হারাচ্ছে তেমনি বিপাকে পড়েছেন তারেক জিয়াও। 

ব্যবসায়ী   তারেক জিয়া   বিএনপি   সরকার   আইএমএফ   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইডার এক্সক্লুসিভ

বেগম জিয়া বিদেশ গেলেই ‘প্রবাসী সরকার’ গঠন করত বিএনপি

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০১ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার আবেদন নাকচ করে দিয়েছে সরকার। যদিও সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীর বক্তব্যে এটা প্রতীয়মান হচ্ছিল যে সরকার হয়তো শেষ পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়াকে বিভিন্ন শর্তে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অনুমতি দেওয়া হয়নি। গতকাল প্রধানমন্ত্রী ভয়েস অব আমেরিকার সাক্ষাৎকারে বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে সুস্পষ্ট বক্তব্য রেখেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে যদি বিদেশ পাঠাতে হয় তাহলে আগে তাকে আবার কারাগারে যেতে হবে, সেখান থেকে নতুন করে আবেদন করতে হবে। বিষয়টি সরকারের নির্বাহী আদেশের বিষয় নয় বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছিলেন। 

তিনি বলেছিলেন, বেগম খালেদা জিয়া যেহেতু দণ্ডিত সেই জন্য আদালতের মাধ্যমেই তাকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি নিতে হবে। যদিও বিএনপির নেতারা এই বক্তব্যের প্রতিবাদ করেছিলেন। কিন্তু আইনমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যই অনুরণ করেছেন। কিন্তু দুদিন আগেও আইনমন্ত্রীর বক্তব্যে অন্য সুর ছিল। 

তথ্যানুসন্ধান করে জানা গেছে, সরকার একটা পর্যায়ে বেগম খালেদা জিয়ার ব্যাপারে নমনীয় হওয়ার চিন্তাভাবনা করেছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সরকারের কাছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আসে এবং এই তথ্যগুলো যাচাই বাছাই করে তার সত্যতা পাওয়ার প্রেক্ষিতে সরকারের মধ্য থেকে নমনীয় ভাব চলে গেছে এবং সরকার তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, বর্তমানে সরকারের পতনের লক্ষ্যে বিএনপি এক দফা আন্দোলন করছে এবং এই এক দফা আন্দোলনের অন্যতম শর্ত হলো নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি প্রতিষ্ঠা করা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মৃত ইস্যু। এটি সংবিধানের নাই। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। এরকম একটি পরিস্থিতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ের লক্ষে বিএনপি আন্দোলন করছে। কিন্তু সেই আন্দোলন এখন পর্যন্ত জমিয়ে তুলতে পারেনি বিএনপি। সাধারণ মানুষ এই আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়নি। এই আন্দোলন জমিয়ে তোলার একটা ভিন্ন কৌশল নিয়ছিল বিএনপি। সেই কৌশল গ্রহণের ক্ষেত্রে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন প্রধান বাধা। কারণ বেগম খালেদা জিয়া যেহেতু অসুস্থ, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং সরকারের বিশেষ বিবেচনায় বন্দি এই জন্যই তারা এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারছিল না। সেই সিদ্ধান্ত ছিল যে, প্রবাসে থাকা বিভিন্ন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে প্রবাসী তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা এবং বর্তমান সরকারের ব্যাপারে অনাস্থা আদায় করা। এটা যদি বিএনপি করতে পারতো তাহলে পরে অনেক দেশই এই প্রবাসী সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার চিন্তাভাবনা করতো এবং স্বীকৃতি দিতো। সেই স্বীকৃতি আদায়ের জন্য ইতিমধ্যে বিভিন্ন লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছিল বিএনপি। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত দুটি লবিস্ট ফার্ম ঠিক করা হয়েছিল। যাদেরকে বলা হয়েছিল যে মুহূর্তে প্রবাসী সরকার গঠিত হবে সেই মুহূর্তে তারা বিভিন্ন সিনেটর এবং কংগ্রেসম্যানদের কাছে দেন দরবার করবেন এবং প্রবাসী সরকারের স্বীকৃতি আদায়ের জন্য চেষ্টা করবেন। প্রবাসী সরকারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন এরকম কিছু ব্যক্তি এবং অন্যান্য দেশে বসবাস করেন এরকম কিছু সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের রাখার পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছিল। এ নিয়ে সুশীল সমাজের সাথে একাধিক দেন দরবার হয়েছিল বিএনপির।

সূত্র মতে, এই প্রবাসী সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে এবং সেই নির্বাচন যদি করা যায় তাহলে পরে এটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে। তখন বিভিন্ন দেশ, বিভিন্ন সংস্থা এবং বিভিন্ন দেশের জনপ্রতিনিধিরা এরকম বিবৃতি দেবেন যে, এই প্রবাসী সরকারের অধীনেই নির্বাচন হোক। অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে এই প্রবাসী তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হোক এরকম একটি আবহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তৈরি করা হবে। তখন সরকারের গ্রহণযোগ্যতা এবং আস্থার সংকট সৃষ্টি হবে। 

এরকম একটি  পরিকল্পনার থেকেই বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার কথা বারবার বলা হচ্ছিল। আর সে কারণেই বিএনপির আন্দোলন থমকে গিয়েছিল। এরকম একটি প্রবাসী সরকার গঠন হলে নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে পড়তো এবং সরকারের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ সৃষ্টি। এটি সরকার চায় নি। আর এই কারণেই বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার ব্যাপারে সরকার শেষ মুহূর্তে সরে দাঁড়িয়েছে যেখানে আইনগত ইস্যুটিকে সরকার সামনে নিয়ে এসেছে এবং আইনগত ইস্যুতে একজন দণ্ডিত ব্যক্তির বিদেশ যাওয়ার উপায় নাই। এটিও স্বতঃসিদ্ধ সত্য একটি বক্তব্য। যার ফলে সরকার তার অবস্থানে যেমন অনড় থেকেছে, তেমনি বিএনপির যে পরিকল্পনা সেই পরিকল্পনাও ভেস্তে গেছে।

খালেদা জিয়া   প্রবাসী সরকার পরিকল্পনা   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইডার এক্সক্লুসিভ

এবার তারেককে নিয়ে বিএনপির ওপর মার্কিন চাপ

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। সেই ভিসা নীতি আওতায় কয়েকজনের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে। গত ২২ সেপ্টেম্বর এ ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারির পর বিএনপির মধ্যে এক ধরনের উল্লাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তারা মনে করছে যে, আওয়ামী লীগ চাপে পড়ে গেছে। আগামী নির্বাচন আওয়ামী লীগ করবে না। কিন্তু এর মধ্যেই বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো একটি ঘটনা বিএনপির মধ্যে তোলপাড় তৈরি করেছে। 

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার ব্যাপারেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তীব্র অনীহা এবং অনাস্থা জানিয়েছে এবং তারেক জিয়াকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র চাপ তৈরি করেছে। উল্লেখ্য যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় ২০০৭ সাল থেকেই আছেন তারেক জিয়া। তার ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয় এবং তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত তারেক জিয়াকে একজন ভয়ঙ্কর দুর্বৃত্ত এবং এবং সন্ত্রাসী হিসেবে অভিহিত করেন। 

উল্লেখ্য যে, ২০০৭ সালে এক-এগারোর সময় যখন তারেক জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয় তারপর তৎকালীন সরকারের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করেন বেগম খালেদা জিয়া। যে কোনো মূল্যে তিনি তার পুত্রকে দেশের বাইরে পাঠানোর জন্য অনুনয়-বিনয় করেন। এই সময় বেগম খালেদা জিয়া ড. ফখরুদ্দীন আহমদ এবং মইন ইউ আহমেদ এর সরকারকে বলেছিলেন যে, তারেক জিয়া ভবিষ্যতে আর রাজনীতি করবে না এবং সবকিছু থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেবে। এই শর্তে ২০০৭ সালের শেষ দিকে তারেক জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর জন্য নীতিগতভাবে সম্মতি দেয় তৎকালীন সেনা সমর্থিত সরকার। এই সম্মতি পাওয়ার পর তারেক জিয়া প্রথম পছন্দ ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করবেন। আর এ কারণেই তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ভিসা আবেদন করেছিলেন। কিন্তু উইকিলিকস এর ফাঁসকরা তথ্যে দেখা যায় যে, তারেক জিয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশস্থ মার্কিন দূতাবাস নেতিবাচক মন্তব্য করে এবং তারা বলে যে তারেক জিয়া দুর্বৃত্ত, সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত এবং তিনি দুর্নীতিবাজ। এ কারণেই তাকে ভিসা না দেওয়ার সুপারিশ করে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস। তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য তারেককে বিপদজনক হিসেবেও চিহ্নিত করেন।

ঢাকাস্থ দূতাবাসের প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর তারেক জিয়াকে ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং এর ফলে তারেক জিয়ার আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া হয়নি। তার বদলে তিনি বিকল্প হিসাবে যুক্তরাজ্যে (লন্ডন) যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং সপরিবারে সেখানেই যান। এখনো তিনি সেখানে অবস্থান করছেন। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তখন যে তারেক জিয়ার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল সেই ভিসা নিষেধাজ্ঞাটি এখনো বহাল রয়েছে। এখন বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে তৎপরতা দেখাচ্ছে, ভিসা নিষেধাজ্ঞাসহ নানা রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করছে তখন বিএনপির অনেকে আশাবাদী হলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি বিএনপিকে জানিয়ে দিয়েছে যে, তাদের গ্রহণযোগ্যতা তৈরির জন্য তারেকের মতো ‘দুর্বৃত্তকে’ রাজনীতি থেকে বাদ দিতে হবে। বরং পরিবারতন্ত্র মুক্ত গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত নেতৃত্বের অধীনে বিএনপিকে আন্দোলন করতে হবে এবং নির্বাচন করতে হবে। তারেক জিয়ার নেতৃত্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পছন্দ করে না। 

অনেকেই মনে করছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের যে আগামী নির্বাচন এবং বাংলাদেশ নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা চলছে সেই সমঝোতার চেষ্টার একটি অংশ হিসেবেই তারেক জিয়াকে মাইনাস করতে চাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কারণ তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদ লালন, সন্ত্রাস এবং দুর্নীতি সহ একাধিক অভিযোগ আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে যখন ভারত আলোচনা করেছে তখন তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে তারেক জিয়ার ব্যাপারে তাদের আপত্তির কথা এবং এই ব্যাপারে কোনোরকম সমঝোতার সম্ভাবনা নেই বলেও ভারতের পক্ষ থেকে কঠোর ভাষায় জানানো হয়েছে। আর এই কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন তারেক জিয়ার ব্যাপারে নেতিবাচক অবস্থান গ্রহণ করেছে। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করে বাংলাদেশে যে একটি পরিছন্ন রাজনীতির ধারা যদি তৈরি করতে হয়, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হয় তাহলে তারেক জিয়ার মতো দণ্ডিত, দুর্বৃত্তদেরকে বাদ দেওয়াই শ্রেয়। আর এই বার্তাটি বিএনপির অন্তত দুইজন নেতাকে দেওয়া হয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এখন দেখার বিষয় যে, তারেক জিয়া দলের নেতৃত্বে থেকে সরিয়ে দেওয়া মার্কিন প্রস্তাব বিএনপি কিভাবে গ্রহণ করে।

তারেক জিয়া   বিএনপি   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   ভিসা নিষেধাজ্ঞা   ভিসা নীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইডার এক্সক্লুসিভ

প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন: হাবিবুর রহমানই হচ্ছেন পরবর্তি ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২ অক্টোবর। নানা কারণে বর্তমান ডিএমপি কমিশনারের চুক্তির মেয়াদ আর বাড়াতে চাচ্ছে না সরকার। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন, নির্বাচনের আগে ও পরে রাজধানীর আইনশৃঙ্খলাসহ নানা কারণে এই পদটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ডিএমপি কমিশনার হওয়ার দৌড়ের তালিকায় সবচেয়ে বেশি আলোচিত নামটি হচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রধান (অতিরিক্ত আইজিপি) হাবিবুর রহমান। তার পুলিশ কমিশনার হিসেবে পদায়নের সিদ্ধান্তটি প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন করেছেন বলে সরকারের একটি দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।

আগামী দুই-একদিনের মধ্যেই হাবিবকে ডিএমপি কমিশনার করে গেজেট জারি করা হতে পারে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, হাবিবুর রহমান পুলিশ বিভাগে ধারাবাহিক সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ এ পর্যন্ত তিনবার বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) ও দুইবার রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) পেয়েছেন।

একজন কর্মঠ ও নিবেদিত উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তার বাইরে তিনি সফল ক্রীড়া সংগঠক, লেখক, গবেষক, সমাজ সংস্কারক, সমাজ সেবক এবং বাংলাদেশ পুলিশ প্রকাশিত মাসিক পত্রিকা ‘ডিটেকটিভ’ এর সম্পাদকও।

১৯৬৭ সালে গোপালগঞ্জের চন্দ্র দিঘলিয়া গ্রামে জন্ম নেওয়া হাবিবুর রহমান ১৭তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে যোগ দেন সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে। বরাবরই চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত এই পুলিশ কর্মকর্তা বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সফলভাবে পালন করেছেন।



মন্তব্য করুন


ইনসাইডার এক্সক্লুসিভ

৯৭ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিশ্চিত যাদের

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail ৯৭ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিশ্চিত যাদের।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি আওয়ামী লীগ শুরু করেছে বহু আগে থেকেই। ৩০০ আসনেই চালানো হয়েছে একাধিক জরিপ। সবগুলো জরিপেই ৩০০ আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপিদের মধ্যে ৯৭ জন সংসদ সদস্যের নিরঙ্কুশ জনপ্রিয়তা পাওয়া গেছে। যেকোন পরিস্থিতিতে নির্বাচন হলেও এই ৯৭ জনের মনোনয়ন নিশ্চিত। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই সব সংসদ সদস্যরা আবার দলীয় মনোনয়ন পাবেন। এই সব প্রার্থীদের ইতিমধ্যে সবুজ সংকেত দেয়া হয়েছে। কোন বড় রকমের নাটকীয়তা না হলে, ২০২৪ এর সংসদ নির্বাচনে তারা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন। বিভিন্ন জরিপের তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষন করে বাংলা ইনসাইডার এই ৯৭ জনের তালিকা তৈরী করেছে। 

এই তালিকায় যাদের নাম আছে তাদের নাম এবং আসন এখানে উল্লেখ করা হলো: