ইনসাইডার এক্সক্লুসিভ

ব্যবসায়ীদের ইউটার্ন, তারেক বিপাকে

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৭ জানুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail তারেক রহমান। ফাইল ছ

গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকেই ব্যবসায়ীরা তারেকের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছিলেন। বিশেষ করে যখন বিদ্যুতের লোডশেডিং এবং অর্থনৈতিক সংকট শুরু হয় তখন অনেক বড় বড় ব্যবসায়ী, যারা বিভিন্নভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এবং আওয়ামী লীগের আমলে ফুলে-ফেঁপে ওঠে ছিলেন তারা গোপনে তারেক জিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরকম অন্তত পাঁচজন ব্যবসায়ী গ্রুপকে বিভিন্ন সংস্থা চিহ্নিত করেছে। যার আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কিন্তু গোপনে তারেক জিয়াকে অর্থায়ন করে। এ সমস্ত ব্যবসায়ীরা মনে করেছিল, সরকার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে না, বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার মতো হয়ে যাবে। কাজেই এখন বিএনপির সাথে একটি গোপন সম্পর্ক রাখা ভালো। যাতে তাদের ভবিষ্যতে কোনো বিপদে পড়তে না হয়। আর এই অর্থ বিএনপির আন্দোলনে প্রলুব্ধ করা ছিল। বিভিন্ন বিভাগীয় শহরগুলোতে বিএনপির ব্যাপক সমাবেশ এবং ব্যাপক অর্থ ব্যয় থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে, বিএনপির কাছে প্রচুর অর্থ আসছে। 

আওয়ামী লীগ আমলে টেলিভিশন, সংবাদপত্র পাওয়া একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী তারেক জিয়ার কাছে অর্থ পাঠিয়েছেন এমন বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন ছিল। সাবেক হাওয়া ভবনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী আবার আওয়ামী লীগ আমলেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ রেখে ব্যবসার প্রসার বৃদ্ধি করা। একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি একটি ইংরেজী পত্রিকায় সরকারের বিভিন্ন অর্থনৈতিক নীতির ব্যাপক সমালোচনা করছে। সেরকম একটি ব্যবসায়িক গ্রুপও তারকের সঙ্গে নতুন করে তাদের সম্পর্ক ঝালিয়ে নিয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। 


বাংলাদেশের আর্থিক খাতে একটি প্রভাবশালী ব্যবসায়ী গ্রুপের সঙ্গেও তারেকের যোগাযোগ হয়েছিল এবং তারা তারেককে আর্থিক সহায়তা দিয়েছিল এমন অভিযোগও কোনো কোনো মহল থেকে উঠে এসেছিল। এই সমস্ত ব্যবসায়ী গ্রুপদের আর্থিক সহায়তার কারণে বিএনপির আন্দোলনে গতি পেয়েছিল এবং তারা সরকার পতনের দিবা স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু সময় যত এগোতে থাকে ততই এই ব্যবসায়ীরা বুঝতে শুরু করে যে, সরকারের পতন এতো সহজ নয়। সরকার আইএমএফের থেকে ঋণ সহায়তা পাচ্ছে, অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে সামাল দিতে সক্ষম হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক মহল থেকে বলা হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো অবস্থায় রয়েছে। পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন মহল যখন জানতে পারে যে, এরকম ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো তারেকের সঙ্গে যোগাযোগ করছে, তখন সরকারও নজরদারি বাড়ায়। এর ফলে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। কথিত ব্যবসায়িক গ্রুপগুলো ইউটার্ন নেয়। তারা বিএনপিকে এবং তারেক জিয়াকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া থেকে বিরত থাকতে শুরু করে। সব ধরনের সহায়তা বন্ধ করে দেয়, বন্ধ করে দেয় যোগাযোগ। ফলে বিএনপির আন্দোলনে যে জোয়ার এসেছিল সেই জোয়ারে ভাটার টান আসে। আর অন্যদিকে লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়া এখন এ ধরনের কয়েকজন ব্যবসায়ী সঙ্গে যোগাযোগ করেও পাত্তা পাচ্ছেন না।

ব্যবসায়ীরা একটা বিষয় বুঝে গেছে, আওয়ামী লীগের দোষ ক্রটি আছে, তবে শেখ হাসিনার বিকল্প এখন নেই। ফলে তারা আবার তারেক বিমুখ হয়ে পড়েছেন। ফলে বিএনপির আন্দোলনে শক্তি হচ্ছেনা। কর্মসূচি দেওয়ার অর্থ জোগাড় করার জন্য বিএনপি নেতারা লন্ডনের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। কিন্তু লন্ডন তাদেরকে আর্থিক সহায়তা দিতে পারছে না। ফলে বিএনপির আন্দোলন যেমন গতি হারাচ্ছে তেমনি বিপাকে পড়েছেন তারেক জিয়াও। 

ব্যবসায়ী   তারেক জিয়া   বিএনপি   সরকার   আইএমএফ   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইডার এক্সক্লুসিভ

নাটকীয় সিদ্ধান্ত আসতে পারে বিএনপিতে

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১৯ মে, ২০২৩


Thumbnail

নির্বাচন নিয়ে তৃণমূলের সাথে কথা বলছেন তারেক জিয়া। বিএনপি যখন নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে এবং এই দাবি আদায়ের লক্ষ্যে তারা বিভিন্ন রকম কর্মসূচি নতুন করে ঘোষণা করছে, ঠিক সেইসময় নির্বাচন নিয়ে তৃণমূলের মতামত নিচ্ছেন লন্ডনে পলাতক বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া।

একাধিক সূত্র বলছে পালাক্রমে প্রতি রাতে তিনি বিভিন্ন উপজেলার স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে খোলামেলা মতবিনিময় করছেন। আগামী নির্বাচন কিভাবে হওয়া উচিত, নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে বিএনপি'র কি হবে এবং নির্বাচনে যদি অংশগ্রহণ করা হয় তাহলে বিএনপি’র সম্ভাবনা কতটুকু ইত্যাদি বিষয় নিয়েই তিনি কথা বলছেন।

মজার ব্যাপার হল এখন পর্যন্ত তিনি সিলেট, নোয়াখালী, ফেনীর একাধিক উপজেলার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলেছেন, যেখানে বেশিরভাগ তৃণমূলের কর্মীরা আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে অংশগ্রহণ করার কথা বলেছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলেছে যদি বিএনপি শেষ পর্যন্ত আগামী নির্বাচন ঠেকাতে না পারে তাহলে দল অস্তিত্বের সংকটে পড়বে। তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ এটাও বলেছে যে নির্বাচন ঠেকানোর মত যে নেতৃত্ব এবং আন্দোলনের শক্তি দরকার সে নেতৃত্ব এবং আন্দোলনের শক্তি বিএনপির নেই। সুতরাং বিএনপিকে সবার আগে শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তুলতে হবে। আর শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তোলার জন্য বিএনপিকে নির্বাচনে যেতে হবে। তারেক জিয়া অবশ্য এসব কোনো বৈঠকেই কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি শুধু শুনেছেন এবং নোট নিয়েছেন।

এই বৈঠকে সিলেটের একজন স্থানীয় বিএনপি নেতা বলেছেন যে, এটাই আওয়ামী লীগের শেষ নির্বাচন। এর পর শেখ হাসিনা আর নির্বাচন করবেন না। তাদের সামনে সুযোগ রয়েছে। এবার যদি বিএনপি নির্বাচন করে তাহলে আন্তর্জাতিক মহল এই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে এবং অন্যান্যবারের মতো নির্বাচনে কারচুপিও আওয়ামী লীগ করতে পারবে না। কাজেই এই নির্বাচনে একটি নীরব ভোট বিপ্লব হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ওই নেতা এটিও দাবি করেন যে, বিএনপি’র জনপ্রিয়তা আগের চেয়ে বেড়েছে, অন্যদিকে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা কমেছে। কাজেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা উচিত।

ওই উপজেলার একজন নেতা তারেক জিয়াকে বলেছেন যে, আন্দোলন করার বাস্তব পরিস্থিতি এখন আর নেই এরকম আন্দোলন করে সরকারকে ফেলে দেওয়া যাবে না। কাজেই আন্দোলনের চাপ রেখে নির্বাচনে যাওয়াটাই উত্তম।

ফেনীর নেতারাও সরকার বিরোধী আন্দোলনের পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতির কথা বলেছেন। তারা বলেছেন যে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় করা আমাদের জন্য সম্ভব নাও হতে পারে। কারণ এরকম দাবি আদায় করার জন্য যে পরিমাণ সময় দরকার সে পরিমাণ সময় এখন বিএনপি'র হাতে নেই। তারা কেন্দ্রীয় নেতাদের ভূমিকারও প্রশংসা করেছেন।

নোয়াখালী থেকে একজন উপজেলা পর্যায়ের নেতা তারেক জিয়াকে অভিযোগ করেছেন যে, যে সমস্ত বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতারা সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা সূচক কথাবার্তা বলছেন, তারাই আসলে গোপনে সরকারের সাথে আতাত করে এবং এদের কারণেই কোনদিন আন্দোলন সফল হবে না। তারা এই সরকারকে হঠানোর জন্য আগে নেতৃত্বের পরিবর্তনের কথা বলেছেন।

তবে শেষ পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে যাবে কি যাবে না সেই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে তারেক জিয়ার উপর নির্ভর করছে। বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, নির্বাচন হলেই বড় ধরনের মনোনয়ন বাণিজ্য হবে এবং নানারকম দরকষাকষি হবে। এই সুযোগটি তারেক কাজে লাগাতে চায়। আর এ কারণেই তিনি নির্বাচনের লক্ষ্যে তৃণমূলের সাথে সংলাপের নাটক করছেন। দেখার বিষয় এই নাটকের ফলাফল শেষ পর্যন্ত কি হয়।



মন্তব্য করুন


ইনসাইডার এক্সক্লুসিভ

পিতার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়েছিলেন সাদিক আব্দুল্লাহ!

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail

আওয়ামী লীগের টিকিটে গতবার বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন সাদিক আব্দুল্লাহ। কিন্তু এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা সাদিক আব্দুল্লাহকে আবার মেয়র পদের জন্য মনোনয়ন দেয়নি। তার বদলে তার চাচা খোকন সেরনিয়াবাতকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এটি পুরনো খবর। কিন্তু মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে কি হয়েছিল? শেখ হাসিনা কেন তাকে মনোনয়ন দেননি? এ সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে বাংলা ইনসাইডারের কাছে। বাংলা ইনসাইডার ওই মনোনয়ন বোর্ডের সভার বিস্তারিত বিবরণ জানতে পেরেছে। বিভিন্ন অনুসন্ধানে মনোনয়ন বোর্ডের বিভিন্ন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই বৈঠকে সাদিক আব্দুল্লাহর ব্যাপারে হাসনাত আবদুল্লাহ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু এ কথাবার্তার পরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাদিক আবদুল্লাহকে মনোনয়ন না দেয়ার ব্যাপারে অনড় অবস্থানে ছিলেন। 

জানা গেছে, বরিশাল বিভাগের বিষয়টি আসার সঙ্গে সঙ্গেই আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি বলেন, বরিশাল থেকে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি খোকন সেরনিয়াবাতকে মনোনয়ন দেওয়ার। এই সিদ্ধান্তের পর মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ কথা বলার জন্য অনুমতি প্রার্থনা করেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি তাকে সেই অনুমতি দেন। এর পরপরই হাতজোড় করে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ বলেন, বরিশালে আমার রাজনীতি শেষ করবেন না প্লিজ। আমার ছেলেটাকে একবার মনোনয়ন দেন। প্রধানমন্ত্রী তখন বলেন, অসম্ভব। আমি তাকে মনোনয়ন দেবো না। সে কি করেছে আপনি জানেন। হাসনাত আব্দুল্লাহ এতেও বিরত হননি। তিনি বলেন, মা মরা ছেলে। আপনি প্লিজ একটু দয়া করুন। প্রধানমন্ত্রী তখন বলেন যে, মা মরা ছেলে? যে ছেলে তার মা’কে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিল, সেই মা মরা ছেলে নিয়ে কথা বলছেন আপনি? হাসনাত আবদুল্লাহ আবার বলেন যে, আমাকে একটু দয়া করুন। আমাকে রাজনীতিটা করতে দিন। সাদিক মনোনয়ন না পেলে আমার রাজনীতি শেষ হয়ে যাবে। 

প্রধানমন্ত্রী এ পর্যায়ে বলেন যে, এ রকম রাজনীতি করেন, সাদিক মনোনয়ন না পেলেই আপনার রাজনীতির শেষ হয়ে যাবে? এ সময় হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, অনুগ্রহ করে তাকে আরেকবার সুযোগ দিন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনি কি ভুলে গেলেন কার জন্য তদবির করছেন? এই ছেলে আপনার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়েছিল না? তার জন্য আপনি এখন তদবির করছেন? আমি তাকে মনোনয়ন দেবো না।

এ সময় আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, খোকন ক্যান্সারের রোগী। সে তো যেকোনো সময় মারা যাবে। আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর এই কথার পর প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, হায়াত মউত আল্লাহর হাতে। আমি জানি সে ক্যান্সারের রোগী। কিন্তু তারপরও আমি তাকে মনোনয়ন দেব। এ সময় হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমি অসুস্থবোধ করছি। আমি বৈঠক থেকে চলে যাই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, না, আপনি যাবেন কেন? এ সময় চিকিৎসক ডাকা হয়। চিকিৎসক এসে আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর প্রেসার মাপলে দেখা যায় তার প্রেসার ঠিক আছে। 

প্রধানমন্ত্রী তখন ব্লাড সুগার পরীক্ষা করার জন্য নির্দেশ দেন এবং দেখা যায় ব্লাড সুগারও নরমাল রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তখন তাকে জুস দিতে বলেন, কিন্তু হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন যে, আমি আর রাজনীতি করবো না। আমি চলে যেতে চাই। আমি মারা গেলে আমার কবরটা আমার মা-বাবার কবরের কাছে দিয়েন। 

সে সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ই আগস্টে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের কবরে সঙ্গে কারও কবর দেওয়া হবে না এমনকি আমার নিজেরটাও নয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী এবং মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি ওবায়দুল কাদেরকে পরের বিষয় যেতে বলেন।



মন্তব্য করুন


ইনসাইডার এক্সক্লুসিভ

স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি গঠনে শতকোটি টাকার বাণিজ্য

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail

অবশেষে গতকাল স্বেচ্ছাসেবক দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দেয়ার পর এই কমিটির ঘোষণা করা হয়। তবে কয়েকজনের টাকা তারেক জিয়ার কাছে না পৌঁছানোর কারণে ২৫১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির মধ্যে ২১৩ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এক মাসেরও বেশি আগে স্বেচ্ছাসেবক লীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। সে সময় এসএম জিলানিকে সভাপতি এবং রাজিব আহসানকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠন করা হয়। এরপরেই শুরু হয় কমিটি বাণিজ্য। 

লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিভিন্ন পদের জন্য অর্থ ঘোষণা করেন এবং অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ২৫১ সদসস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির ২১৩ জন সদস্য হয়েছে একশ কোটি টাকারও বেশি চাঁদা দিয়ে। এই চাঁদা বিভিন্ন মাধ্যমে তারেক জিয়ার কাছে পৌঁছেছে এবং তারেক জিয়া টাকা পৌঁছানোর পরপরই কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন। মজার ব্যাপার হলো, এই কমিটি গঠনে বিএনপির গঠনতন্ত্র বা স্বেচ্ছাসেবক দলের গঠনতন্ত্র অনুসরণ করা হয়নি। স্বেচ্ছাসেবক দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার কথা ১০১ সদস্যের। কিন্তু গঠনতন্ত্রের সংশোধন ছাড়াই ২৫১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করার কথা বলা হয়েছে।

স্বেচ্ছাসেবক দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ১০ থেকে ১১ জন সহ-সভাপতি থাকার কথা। সেখানে অর্থ আদায়ের সুবিধার জন্য ২০ জনকে সহ-সভাপতি করা হয়েছে। প্রতি সহ-সভাপতি ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত দিয়ে এই পদ পেয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদও ১১জন। সেখানে ২৮ জনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। প্রতি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত দিয়ে কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। এছাড়াও যারা বিভিন্ন সম্পাদকীয় পদে রয়েছেন, তারাও ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে এই কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন। 

অন্যদিকে সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে নূন্যতম ১ থেকে ২ লক্ষ টাকা দিয়ে তাদেরকে কমিটির সদস্য হতে হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ১০ কোটি টাকার বিনিময়ে এই পদ পেয়েছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। সাধারণ সম্পাদকও ১০ কোটি টাকার বিনিময়ে এই পদ পেয়েছেন বলে একাধিক সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছে। গত কিছুদিন ধরেই বিএনপিতে কমিটি বাণিজ্য হচ্ছে প্রকাশ্যে। যে কোনো কমিটি গঠনের আগে তারেক জিয়াকে একটি বড় অঙ্কের টাকা দিতে হয়। তারেক জিয়া এই টাকা পাওয়ার পর কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এরপর সভাপতি ও সাধারণ সম্পদকের পদ দু’টি নিলামে ওঠে। যিনি সবচেয়ে বেশি টাকা দিতে সম্মত হন, তিনি এই পদ দু’টি পান। তবে শর্ত থাকে যে লন্ডনে টাকা না পৌঁছানো পর্যন্ত এই কমিটি ঘোষণা না করা। আংশিক কমিটি ঘোষণার পর টাকা সংগ্রহ অভিযান শুরু হয় বিএনপির মধ্যে। বিভিন্ন পদের জন্য কে কে আগ্রহী, কে কত টাকা দিতে পারবে ইত্যাদি মাসব্যাপী চলে এই অর্থ সংগ্রহ বা চাঁদা সংগ্রহ অভিযান। 

কমিটি বাণিজ্য সম্পন্ন হওয়ার পর যখন টাকার ভাগ লন্ডনে তারেক জিয়া পেয়ে যান, তখন তিনি কমিটিগুলো অনুমোদন করেন। তবে বিএনপির একাধিক সূত্র বলছে, শুধু তারেক জিয়া একা না, অনেকেই এই টাকার ভাগ পান। সম্প্রতি ভয়েজ অব আমেরিকার বাংলা বিভাগের প্রধান শতরূপা বড়ুয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন যে, জনগণের টাকায় লন্ডনে তারেক জিয়া চলেন। আর জনগণের টাকা যে এই কমিটি বাণিজ্যের টাকা, সেটি স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে আরেকবার প্রমাণিত হলো।

রাজনীতির খবর   স্বেচ্ছাসেবক দল   কমিটি বাণিজ্য   তারেক জিয়া   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইডার এক্সক্লুসিভ

২০১৪ তে শেখ হাসিনাকে হঠাতে চেয়ে ছিলেন আওয়ামী লীগের কিছু নেতা?

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail

বিতর্কের সূত্রপাত করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই। মহামান্য বিদায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির ভাষণে বিস্ফোরক মন্তব্যটি তিনি করেন। তবে সেই মন্তব্যের বিস্তারিত তিনি আলোকপাত করেননি। শুধুমাত্র একটা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ওই প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সংকটে রাষ্ট্রপতির ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন। বিশেষ করে ২০১৪ নির্বাচনের সময় অনেক আওয়ামী লীগ নেতাও তাকে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিয়েছিল বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন। কিন্তু সেই সমস্ত পরামর্শে রাষ্ট্রপতি বিভ্রান্ত থাকেননি, তিনি গণতন্ত্রের পক্ষে কাজ করেছেন। এটি নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তেমন কোনো চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়নি। কেন সৃষ্টি হয়নি সেটি একটি বিস্ময় বটে। কারণ প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যটি ছিল যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিতবাহী এবং তাৎপর্যপূর্ণ। 

এ কথা অনস্বীকার্য যে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন সময় বিপদে পড়েছে, ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে এবং সংকটে পড়েছে, দলের অভ্যন্তরীণ গোলযোগের জন্যই। দলের বাইরের কোনো ষড়যন্ত্র বা বাইরের কোনো চাপের কারণে আওয়ামী লীগ কখনোই পরাজিত হয়নি। আর এই বাস্তবতায় আওয়ামী লীগ তখনই সংকটে পড়ে বা বিপদগ্রস্ত হয় যখন দলের ভিতরে ষড়যন্ত্র হয়। ১৯৭৫ সালে আওয়ামী লীগের বাইরে যেমন ষড়যন্ত্র ছিল তেমনি ভিতরে ষড়যন্ত্র ছিল। ভিতরের ষড়যন্ত্রের কারণেই আওয়ামী লীগ বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল। 

একানব্বই সালেও আওয়ামী লীগ ভিতরের ষড়যন্ত্রের মুখে পড়েছিল। বাকশাল গঠনের সময় আওয়ামী লীগ ভিতর থেকেই ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিল। আর এক-এগোর’র ষড়যন্ত্রের কথা তো সকলেই জানেন। কিন্তু প্রশ্ন হল যে ২০০৮ থেকে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ টানা ক্ষমতায়। এই সময় কোন বড় ধরনের ষড়যন্ত্রের কথা বলা হয় না। যদিও অনেকে মনে করেন এ সময় রাজনীতিতে অনেক চড়াই-উৎরাই এর মধ্য শেখ হাসিনাকে সময় পার করতে হয়েছে। কিন্তু ষড়যন্ত্রের প্রকৃতি কি, ধরন কি সে সম্পর্কে অনেকেই অজানা। আবার বিভিন্ন মহল মনে করেন যে এই সময়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতার নিরঙ্কুশ ছিল। কাজে দলের অভ্যন্তরে কেউ ষড়যন্ত্র করার সাহস পায়নি। কিন্তু রাষ্ট্রপতির বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বক্তৃতা দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সূত্র ধরে বাংলা ইনসাইডার এ বিষয়ে অনুসন্ধান চালানো চেষ্টা করে। 

কি হয়েছিল ২০১৪ সালে? 

বাংলা ইনসাইডারের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় বিএনপি। এ সময় কূটনীতিকদের মধ্যস্থতায় একাধিক বৈঠক হয়। যে সমস্ত বৈঠকে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট দুজন নেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টা নিয়োজিত ছিলেন। মূল আলাপ আলোচনা হয়েছে যতটা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপির সঙ্গে তার চেয়ে বেশি হয়েছে কূটনীতিকদের সঙ্গে। এ সময় বিদেশে থেকে সমঝোতার জন্য কূটনীতিকরা এসেছিলেন। তাদের সঙ্গে সমঝোতা প্রস্তাবের এক পর্যায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাঝামাঝি কোন কিছু করা যায় কিনা এমন বিষয়টি উত্থাপিত হয়। বিদেশি কূটনীতিকরা প্রস্তাব দেন যে প্রধানমন্ত্রীকে বাদ দিয়ে রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে এ ধরনের একটি নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা যায় কিনা। এতে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা সম্মতি দিয়েছিল বলেও বাংলা ইনসাইডার নিশ্চিত হয়েছে এবং এই সম্মতির প্রেক্ষিতেই তারা তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং আবদুল হামিদকে বোঝানোর চেষ্টা করে যে প্রধানমন্ত্রীকে যেন তিনি পদত্যাগ করতে পরামর্শ দেন। প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে রাষ্ট্রপতির অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান হতে পারে। সেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে বিএনপি তাতে অংশগ্রহণ করবে। কিন্তু রাষ্ট্রপতি সেই প্রস্তাবে সাড়া দেননি। 

শুধু তাই নয় কূটনীতিকরাও প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন যে রাষ্ট্রপতির অধীনে নির্বাচনের জন্য একটা উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রী যদি পদত্যাগ করেন এবং রাষ্ট্রপতি যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তাহলে পরে সংকটের সমাধান হয়। ওই উপদেষ্টাও এ ব্যাপারে বিদায়ী রাষ্ট্রপতির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু বিদায়ী রাষ্ট্রপতি দুটি প্রস্তাবের একটিও গ্রহণ করেননি। বরং তিনি বলেছেন যে সংবিধান সম্মতভাবেই নির্বাচন হবে। রাষ্ট্রপতি কখনো সরকার প্রধান হতে পারেন না। আর এই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকেও রাষ্ট্রপতি অবহিত করেছিলেন এবং গুরুত্বপূর্ণ ওই দুই নেতা সেই সময় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দুইজন মন্ত্রী ছিলেন। আর তারা এখন মন্ত্রী না থাকলেও ঠিকই প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। 

রাজনীতির খবর   শেখ হাসিনা   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইডার এক্সক্লুসিভ

তত্ত্বাবধায়ক সরকার চান না খালেদা জিয়া?

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail

বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সর্বশেষ বৈঠকে কি কথা হয়েছে তা নিয়ে নানামুখী গুঞ্জন চলছে। যদিও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আনুষ্ঠানিকভাবে এই বৈঠক সম্পর্কে কোনো কথাই বলেননি। তবে বৈঠকে উপস্থিত খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার ওই বৈঠকের অনেক তথ্যই জানেন। যদিও তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। 

একাধিক সূত্র বলছে, এই বৈঠকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বেগম খালেদা জিয়া, শামীম এস্কান্দার ছাড়াও সরকারের অন্তত দুইজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। রাজনৈতিক সমঝোতার অংশ হিসেবে খালেদা জিয়ার মধ্যস্থতায় সরকারের সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল বলে একাধিক সূত্র ইঙ্গিত দিচ্ছে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরনের বৈঠকের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। এমনকি রাজনৈতিক সমঝোতার ব্যাপারে সরকার এখন পর্যন্ত কোনো বক্তব্য রাখেনি। বেগম খালেদা জিয়ার সাথে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বৈঠকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার কাঠামো এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে একাধিক সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছে। তবে বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘমেয়াদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা এক-এগারোর মতো পরিস্থিতি কোন অবস্থাতেই চান না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। বেগম খালেদা জিয়া এটাও বলেছেন যে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসলে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করবে, বিএনপি রাজনীতি করতে পারবে না। বেগম খালেদা জিয়া তাইতো দীর্ঘ মেয়াদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয় বরং মাত্র ৯০ দিনের জন্য একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথা বলেছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার যদি অন্য কোন কাজ করে বিশেষ করে রাজনৈতিক সংস্কার বা অন্যান্য অন্যান্য বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে তাহলে সেটি কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না বলেও বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে। 

উল্লেখ্য যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় বর্তমান সময়ে একটি রাজনৈতিক সমঝোতার চেষ্টা চলছে। সেই সমঝোতার সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠকের কোন সম্পর্ক নেই বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে। বরং বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে যাওয়ার একটি অংশ বলেই সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। উল্লেখ্য যে, বিএনপি ঘোষণা করেছে তারা নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। একইসাথে বিএনপির রাষ্ট্রকাঠামো বির্নিমাণের লক্ষ্যে ২৭ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। 

বিএনপির নেতাদের মধ্যে কেউ কেউ মনে করছেন যে আওয়ামী লীগ সরকারকে পতন ঘটিয়ে একটি নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হবে এবং এইসব নির্দলীয় সরকার দীর্ঘদিন দায়িত্বে থাকবে এবং নির্বাচন ব্যবস্থা পুনর্গঠনসহ  সংবিধানিক কাঠামো পরিবর্তনের সহ বিভিন্ন বিষয়গুলো তদারকি করার পরই একটি নির্বাচন দেবে। সুশীল সমাজের সাথে বিএনপির একাধিক আলোচনায় সুশীল সমাজের অন্তত দুই থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত সময় চেয়েছে যে সময়ে তারা অনির্বাচিতভাবে দেশ পরিচালনা করবে এবং সংবিধান সংশোধন, নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার সহ রাষ্ট্রকাঠামো বিনির্মাণের মৌলিক কার্য সম্পন্ন করবেন। আর এরকম একটি পরিকল্পনার কথাই বেগম জিয়াকে জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দীর্ঘদিন থাকলে বিএনপির আরও ক্ষতি হবে এবং এরকম আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত দিকে যাওয়া যাবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ ৩ মাসের বেশি যেন না হয় সে ব্যাপারে বেগম খালেদা জিয়া স্পষ্ট সতর্ক বার্তা দিয়েছেন। এক-এগারোর অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকেও বিশ্বাস করা যাবেনা।

রাজনীতির খবর   তত্ত্বাবধায়ক সরকার   খালেদা জিয়া  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন