৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন
চুপ্পু বের হলেন একটি সেলুনে গিয়ে চুল কাটাবেন। পরদিন তাঁর পাবনা যাওয়ার কথা। সেখানে
তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন, বিভিন্ন লোকজনের সাথে কথা বলবেন। প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়েই
তিনি পাবনা সদর এলাকায় যাতায়াত শুরু করেছেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেখানে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য
তাঁর চেষ্টা করার কথা। এই লক্ষ্যে তিনি জনসংযোগ বাড়িয়েছেন। সেলুনে গিয়ে পেলেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার ফোন। হোয়াটসঅ্যাপের ফোনে প্রধানমন্ত্রী তাঁর কাছে জানতে চাইলেন তিনি কোথায়।
উত্তরে সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বললেন সেলুনে এসেছেন চুল কাটাতে। প্রধানমন্ত্রী জানতে চাইলেন।
‘চুল কি বড়ো হয়ে গেছে’? জবাবে সাহাবুদ্দিন
বললেন, ‘হ্যাঁ কিছুটা তো হয়েছে।’ চুপ্পু জানালেন আগামীকাল তিনি পাবনায় যাবেন।
প্রধানমন্ত্রী জানতে চাইলেন ‘কেন’? চুপ্পু বললেন, সেখানে তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও লোকজনদের সাথে কথা-বার্তা বলবেন। প্রধানমন্ত্রী তাকে বারণ করলেন। বললেন ‘পাবনা যাওয়ার দরকার নেই’। এরপর যে কথাগুলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বললেন সেগুলো সাহবুদ্দিন চুপ্পুর জন্য ছিলো এক রকমের চমক। তিনি বললেন, ‘তোমার কি সিবিআই সব ঠিক আছে’? একজন ব্যক্তি ব্যাংকে ঋণ খেলাপি কি না তা জানা যায় সিবিআই রিপোর্টের মাধ্যমে। মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন জানালেন তাঁর সিবিআই ঠিক আছে। শেখ হাসিনা জানতে চাইলেন কোনো ব্যাংক থেকে কোনো ঋণ গ্রহণ করেছেন কিনা বা ঋণ খেলাপি কিনা। উত্তরে সাহাবুদ্দিন বললেন, ‘না তাঁর কোনো ব্যাংক ঋণ নেই এবং তিনি ঋণ খেলাপিও নন। এরপর প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের ক্রেডিট কার্ডের তথ্য জানতে চাইলেন। সাহাবুদ্দিন বললেন, তাঁর ক্রেডিট কার্ড আছে বটে তবে কোনো বিল বকেয়া নেই। কারণ তাঁর ক্রেডিট কার্ডের বিল তাঁর ব্যাংক একাউন্ট থেকে আপনা আপনি কর্তন করা হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী বললেন, ‘তোমার পাবনা যাওয়ার দরকার নেই, তুমি ঢাকায় থাকো।’
ফোনটা রাখার পর সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বেশ কিছুক্ষণ ভাবলেন। এখন কোনো নির্বাচন নেই। নির্বাচন বলতে শুধু আছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে জল্পনা-কল্পনা। তিনি ঘুণাক্ষরেও আঁচ পারেননি যে রাষ্ট্রপতি হিসেবে তাকে বিবেচনা করা হবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যে প্রশ্নগুলো করলেন তাতে দীর্ঘদিন বিচারক হিসেবে থাকা ও দূর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার থাকা মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের বুঝতে অসুবিধা হলোনা নির্বাচন সংক্রান্ত মনোনয়নের জন্যই এই তথ্যগুলো তিনি জানতে চেয়েছেন। তাহলে কি রাষ্ট্রপতি হিসেবে তাকে বিবেচনা করা হচ্ছে? এই ভাবনা তাকে পেয়ে বসলো। কিন্তু ঘুণাক্ষরেও কারো সঙ্গেই তিনি এই বিষয়টি নিয়ে আলাপ-আলোচনা করলেন না। চুপচাপ নিজের মধ্যেই রাখলেন। কিন্তু ভেতরে ভেতরে অনুভব করতে থাকলেন একধরণের উত্তেজনা।
এরপরের ঘটনা সকলেই জানে। ১০ ফেব্রুয়ারি
সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী ডেকে পাঠান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং এক নম্বর
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদকে। দুইজনকে মনোনয়ন ফরম দিয়ে ওবায়দুল কাদেরকে
বলেন তিনি যেনো প্রস্তাবকের ঘরে স্বাক্ষর করেন। অন্যদিকে ড. হাছান মাহমুদকে বলা হয়
তিনি যেনো সমর্থকের ঘরে স্বাক্ষর করেন। তখনও তাঁরা জানেন না কার নাম থাকছে রাষ্ট্রপতি
হিসেবে। প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে বলেন, আগামীকাল সকাল ৯টায় গণভবনে আসতে। নতুন রাষ্ট্রপতি
নিয়ে এটাই ছিলো সবচেয়ে বড় চমক। মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ও প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ
সূত্রেগুলো থেকে এইসব তথ্য পাওয়া গেছে।
সাহাবুদ্দিন চুপ্পু শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি
মন্তব্য করুন
তৃতীয় লিঙ্গ এলডিডিপি প্রকল্প সিরাজগঞ্জ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর
মন্তব্য করুন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শর্মিলা রহমান সিঁথি বিএনপি খালেদা জিয়া তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
খায়রুন তৃতীয় লিঙ্গ জনগোষ্ঠীর একজন। তবে সে আর দশজনের মতো রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে না, মানুষের কাছে চাঁদা চায় না কিংবা কারো কারো মতো অশ্লীল আচরণ করে মানুষকে বিব্রতও করে না। সময় করে একটু ঘাস কাটে, বাচ্চাকে সময় দেয়। তার পরিবারের সদস্যের যত্ন করতেই তার বেশির ভাগ সময় যায়। এভাবেই ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত হয় তার। যত স্বপ্ন পুরো পরিবার নিয়েই। সেই স্বপ্ন পূরণে সে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ধাপে ধাপে। আর স্বপ্ন পূরণে সহযাত্রী হয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি)।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাজনীতি ছেড়ে দিচ্ছেন—এমন বার্তা তিনি দিয়েছেন দলের একাধিক শীর্ষ নেতাকে। লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াকেও তার অভিপ্রায়ের কথা জানিয়েছেন বলে একটি সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছে। তবে তারেক জিয়া তাকে এখনই রাজনীতি না ছাড়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন বলেও সেই সূত্রটি বাংলা ইনসাইডারকে জানিয়েছে।
আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুবার্ষিকী যখন পালিত হচ্ছে, ঠিক সেই সময় জিয়া পরিবারের সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিয়ে চলছে তুমুল গণ্ডগোল। বিশেষ করে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর সব সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছেন লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। এই অভিযোগে সিঁথি তার আইনজীবীর মাধ্যমে একটি আইনগত নোটিশ পাঠিয়েছেন তারেক জিয়ার কাছে।