আওয়ামী লীগের টিকিটে গতবার বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন সাদিক আব্দুল্লাহ। কিন্তু এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা সাদিক আব্দুল্লাহকে আবার মেয়র পদের জন্য মনোনয়ন দেয়নি। তার বদলে তার চাচা খোকন সেরনিয়াবাতকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এটি পুরনো খবর। কিন্তু মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে কি হয়েছিল? শেখ হাসিনা কেন তাকে মনোনয়ন দেননি? এ সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে বাংলা ইনসাইডারের কাছে। বাংলা ইনসাইডার ওই মনোনয়ন বোর্ডের সভার বিস্তারিত বিবরণ জানতে পেরেছে। বিভিন্ন অনুসন্ধানে মনোনয়ন বোর্ডের বিভিন্ন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই বৈঠকে সাদিক আব্দুল্লাহর ব্যাপারে হাসনাত আবদুল্লাহ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু এ কথাবার্তার পরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাদিক আবদুল্লাহকে মনোনয়ন না দেয়ার ব্যাপারে অনড় অবস্থানে ছিলেন।
জানা গেছে, বরিশাল বিভাগের বিষয়টি আসার সঙ্গে সঙ্গেই আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি বলেন, বরিশাল থেকে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি খোকন সেরনিয়াবাতকে মনোনয়ন দেওয়ার। এই সিদ্ধান্তের পর মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ কথা বলার জন্য অনুমতি প্রার্থনা করেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি তাকে সেই অনুমতি দেন। এর পরপরই হাতজোড় করে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ বলেন, বরিশালে আমার রাজনীতি শেষ করবেন না প্লিজ। আমার ছেলেটাকে একবার মনোনয়ন দেন। প্রধানমন্ত্রী তখন বলেন, অসম্ভব। আমি তাকে মনোনয়ন দেবো না। সে কি করেছে আপনি জানেন। হাসনাত আব্দুল্লাহ এতেও বিরত হননি। তিনি বলেন, মা মরা ছেলে। আপনি প্লিজ একটু দয়া করুন। প্রধানমন্ত্রী তখন বলেন যে, মা মরা ছেলে? যে ছেলে তার মা’কে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিল, সেই মা মরা ছেলে নিয়ে কথা বলছেন আপনি? হাসনাত আবদুল্লাহ আবার বলেন যে, আমাকে একটু দয়া করুন। আমাকে রাজনীতিটা করতে দিন। সাদিক মনোনয়ন না পেলে আমার রাজনীতি শেষ হয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী এ পর্যায়ে বলেন যে, এ রকম রাজনীতি করেন, সাদিক মনোনয়ন না পেলেই আপনার রাজনীতির শেষ হয়ে যাবে? এ সময় হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, অনুগ্রহ করে তাকে আরেকবার সুযোগ দিন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনি কি ভুলে গেলেন কার জন্য তদবির করছেন? এই ছেলে আপনার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়েছিল না? তার জন্য আপনি এখন তদবির করছেন? আমি তাকে মনোনয়ন দেবো না।
এ সময় আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, খোকন ক্যান্সারের রোগী। সে তো যেকোনো সময় মারা যাবে। আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর এই কথার পর প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, হায়াত মউত আল্লাহর হাতে। আমি জানি সে ক্যান্সারের রোগী। কিন্তু তারপরও আমি তাকে মনোনয়ন দেব। এ সময় হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমি অসুস্থবোধ করছি। আমি বৈঠক থেকে চলে যাই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, না, আপনি যাবেন কেন? এ সময় চিকিৎসক ডাকা হয়। চিকিৎসক এসে আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর প্রেসার মাপলে দেখা যায় তার প্রেসার ঠিক আছে।
প্রধানমন্ত্রী তখন ব্লাড সুগার পরীক্ষা করার জন্য নির্দেশ দেন এবং দেখা যায় ব্লাড সুগারও নরমাল রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তখন তাকে জুস দিতে বলেন, কিন্তু হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন যে, আমি আর রাজনীতি করবো না। আমি চলে যেতে চাই। আমি মারা গেলে আমার কবরটা আমার মা-বাবার কবরের কাছে দিয়েন।
সে সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ই আগস্টে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের কবরে সঙ্গে কারও কবর দেওয়া হবে না এমনকি আমার নিজেরটাও নয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী এবং মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি ওবায়দুল কাদেরকে পরের বিষয় যেতে বলেন।
মন্তব্য করুন
তৃতীয় লিঙ্গ এলডিডিপি প্রকল্প সিরাজগঞ্জ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর
মন্তব্য করুন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শর্মিলা রহমান সিঁথি বিএনপি খালেদা জিয়া তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
খায়রুন তৃতীয় লিঙ্গ জনগোষ্ঠীর একজন। তবে সে আর দশজনের মতো রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে না, মানুষের কাছে চাঁদা চায় না কিংবা কারো কারো মতো অশ্লীল আচরণ করে মানুষকে বিব্রতও করে না। সময় করে একটু ঘাস কাটে, বাচ্চাকে সময় দেয়। তার পরিবারের সদস্যের যত্ন করতেই তার বেশির ভাগ সময় যায়। এভাবেই ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত হয় তার। যত স্বপ্ন পুরো পরিবার নিয়েই। সেই স্বপ্ন পূরণে সে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ধাপে ধাপে। আর স্বপ্ন পূরণে সহযাত্রী হয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি)।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাজনীতি ছেড়ে দিচ্ছেন—এমন বার্তা তিনি দিয়েছেন দলের একাধিক শীর্ষ নেতাকে। লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াকেও তার অভিপ্রায়ের কথা জানিয়েছেন বলে একটি সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছে। তবে তারেক জিয়া তাকে এখনই রাজনীতি না ছাড়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন বলেও সেই সূত্রটি বাংলা ইনসাইডারকে জানিয়েছে।
আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুবার্ষিকী যখন পালিত হচ্ছে, ঠিক সেই সময় জিয়া পরিবারের সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিয়ে চলছে তুমুল গণ্ডগোল। বিশেষ করে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর সব সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছেন লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। এই অভিযোগে সিঁথি তার আইনজীবীর মাধ্যমে একটি আইনগত নোটিশ পাঠিয়েছেন তারেক জিয়ার কাছে।