নির্বাচন নিয়ে তৃণমূলের সাথে কথা বলছেন তারেক জিয়া। বিএনপি যখন নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে এবং এই দাবি আদায়ের লক্ষ্যে তারা বিভিন্ন রকম কর্মসূচি নতুন করে ঘোষণা করছে, ঠিক সেইসময় নির্বাচন নিয়ে তৃণমূলের মতামত নিচ্ছেন লন্ডনে পলাতক বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া।
একাধিক
সূত্র বলছে পালাক্রমে প্রতি
রাতে তিনি বিভিন্ন উপজেলার
স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে খোলামেলা মতবিনিময় করছেন। আগামী নির্বাচন কিভাবে হওয়া উচিত, নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে বিএনপি'র কি হবে
এবং নির্বাচনে যদি অংশগ্রহণ করা হয় তাহলে
বিএনপি’র সম্ভাবনা কতটুকু ইত্যাদি বিষয় নিয়েই তিনি কথা বলছেন।
মজার
ব্যাপার হল এখন পর্যন্ত
তিনি সিলেট, নোয়াখালী, ফেনীর একাধিক উপজেলার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলেছেন, যেখানে
বেশিরভাগ তৃণমূলের কর্মীরা আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে অংশগ্রহণ করার কথা বলেছেন।
তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলেছে
যদি বিএনপি শেষ পর্যন্ত আগামী
নির্বাচন ঠেকাতে না পারে তাহলে
দল অস্তিত্বের সংকটে পড়বে। তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ এটাও বলেছে যে
নির্বাচন ঠেকানোর মত যে নেতৃত্ব এবং আন্দোলনের শক্তি
দরকার সে নেতৃত্ব এবং
আন্দোলনের শক্তি বিএনপির নেই। সুতরাং বিএনপিকে সবার আগে শক্তিশালী সংগঠন
গড়ে তুলতে হবে। আর শক্তিশালী
সংগঠন গড়ে তোলার জন্য
বিএনপিকে নির্বাচনে যেতে হবে। তারেক
জিয়া অবশ্য এসব কোনো বৈঠকেই
কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি শুধু শুনেছেন
এবং নোট নিয়েছেন।
এই বৈঠকে সিলেটের একজন স্থানীয় বিএনপি
নেতা বলেছেন যে, এটাই আওয়ামী লীগের শেষ নির্বাচন। এর পর শেখ হাসিনা
আর নির্বাচন করবেন না। তাদের সামনে
সুযোগ রয়েছে। এবার যদি বিএনপি নির্বাচন
করে তাহলে আন্তর্জাতিক মহল এই নির্বাচন
পর্যবেক্ষণ করবে এবং অন্যান্যবারের মতো নির্বাচনে কারচুপিও
আওয়ামী লীগ করতে পারবে
না। কাজেই এই নির্বাচনে একটি
নীরব ভোট বিপ্লব হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ওই নেতা
এটিও দাবি করেন যে,
বিএনপি’র জনপ্রিয়তা আগের
চেয়ে বেড়েছে, অন্যদিকে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা কমেছে। কাজেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা উচিত।
ওই উপজেলার একজন নেতা তারেক
জিয়াকে বলেছেন যে, আন্দোলন করার
বাস্তব পরিস্থিতি এখন আর নেই
এরকম আন্দোলন করে সরকারকে ফেলে
দেওয়া যাবে না। কাজেই
আন্দোলনের চাপ রেখে নির্বাচনে
যাওয়াটাই উত্তম।
ফেনীর নেতারাও
সরকার বিরোধী আন্দোলনের পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতির কথা বলেছেন। তারা
বলেছেন যে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় করা
আমাদের জন্য সম্ভব নাও
হতে পারে। কারণ এরকম দাবি
আদায় করার জন্য যে
পরিমাণ সময় দরকার সে
পরিমাণ সময় এখন বিএনপি'র হাতে নেই।
তারা কেন্দ্রীয় নেতাদের ভূমিকারও প্রশংসা করেছেন।
নোয়াখালী
থেকে একজন উপজেলা পর্যায়ের
নেতা তারেক জিয়াকে অভিযোগ করেছেন যে, যে সমস্ত
বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতারা সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা সূচক কথাবার্তা বলছেন,
তারাই আসলে গোপনে সরকারের
সাথে আতাত করে এবং
এদের কারণেই কোনদিন আন্দোলন সফল হবে না।
তারা এই সরকারকে হঠানোর
জন্য আগে নেতৃত্বের পরিবর্তনের
কথা বলেছেন।
তবে
শেষ পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে যাবে কি যাবে
না সেই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে
তারেক জিয়ার উপর নির্ভর করছে।
বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, নির্বাচন
হলেই বড় ধরনের মনোনয়ন
বাণিজ্য হবে এবং নানারকম
দরকষাকষি হবে। এই সুযোগটি
তারেক কাজে লাগাতে চায়।
আর এ কারণেই তিনি
নির্বাচনের লক্ষ্যে তৃণমূলের সাথে সংলাপের নাটক
করছেন। দেখার বিষয় এই নাটকের ফলাফল
শেষ পর্যন্ত কি হয়।
মন্তব্য করুন
ঢাকা মেট্রোপলিটন
পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২ অক্টোবর। নানা
কারণে বর্তমান ডিএমপি কমিশনারের চুক্তির মেয়াদ আর বাড়াতে চাচ্ছে না সরকার। আগামী জাতীয়
সংসদ নির্বাচন, নির্বাচনের আগে ও পরে রাজধানীর আইনশৃঙ্খলাসহ নানা কারণে এই পদটি অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ।
ডিএমপি কমিশনার
হওয়ার দৌড়ের তালিকায় সবচেয়ে বেশি আলোচিত নামটি হচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রধান (অতিরিক্ত
আইজিপি) হাবিবুর রহমান। তার পুলিশ কমিশনার হিসেবে পদায়নের সিদ্ধান্তটি প্রধানমন্ত্রী
অনুমোদন করেছেন বলে সরকারের একটি দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
আগামী দুই-একদিনের
মধ্যেই হাবিবকে ডিএমপি কমিশনার করে গেজেট জারি করা হতে পারে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে
জানা গেছে।
উল্লেখ্য, হাবিবুর
রহমান পুলিশ বিভাগে ধারাবাহিক সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ এ পর্যন্ত তিনবার বাংলাদেশ পুলিশ
পদক (বিপিএম) ও দুইবার রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) পেয়েছেন।
একজন কর্মঠ
ও নিবেদিত উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তার বাইরে তিনি সফল ক্রীড়া সংগঠক, লেখক, গবেষক,
সমাজ সংস্কারক, সমাজ সেবক এবং বাংলাদেশ পুলিশ প্রকাশিত মাসিক পত্রিকা ‘ডিটেকটিভ’ এর
সম্পাদকও।
১৯৬৭ সালে গোপালগঞ্জের
চন্দ্র দিঘলিয়া গ্রামে জন্ম নেওয়া হাবিবুর রহমান ১৭তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে যোগ দেন
সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে। বরাবরই চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত এই পুলিশ কর্মকর্তা
বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সফলভাবে পালন করেছেন।
মন্তব্য করুন
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি আওয়ামী লীগ শুরু করেছে বহু আগে থেকেই। ৩০০ আসনেই চালানো হয়েছে একাধিক জরিপ। সবগুলো জরিপেই ৩০০ আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপিদের মধ্যে ৯৭ জন সংসদ সদস্যের নিরঙ্কুশ জনপ্রিয়তা পাওয়া গেছে। যেকোন পরিস্থিতিতে নির্বাচন হলেও এই ৯৭ জনের মনোনয়ন নিশ্চিত। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই সব সংসদ সদস্যরা আবার দলীয় মনোনয়ন পাবেন। এই সব প্রার্থীদের ইতিমধ্যে সবুজ সংকেত দেয়া হয়েছে। কোন বড় রকমের নাটকীয়তা না হলে, ২০২৪ এর সংসদ নির্বাচনে তারা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন। বিভিন্ন জরিপের তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষন করে বাংলা ইনসাইডার এই ৯৭ জনের তালিকা তৈরী করেছে।
এই তালিকায় যাদের নাম আছে তাদের নাম এবং আসন এখানে উল্লেখ করা হলো: