গিরগিটি
প্রাণীটির নাম আপনারা অনেকেই
শুনেছেন। পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে এরা খুব
সুন্দর ছদ্মবেশ ধারণ করতে পারে।
বদলে ফেলতে পারে নিজেদের গায়ের
রং। এমনই একজন গিরগিটি
বাংলা একাডেমির বর্তমান মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা। গিরিগিটির মত তিনিও খুব
সুন্দর রং বদলাতে পারেন।
যেকোন ঋতুতেই নিজেকে দারুণ মানিয়ে নিতে পারদর্শী তিনি।
মুহম্মদ
নুরুল হুদা সত্তর দশকের
একজন প্রথিতযশা কবি। ১২ জুলাই
২০২১ সালে তাকে বাংলা
একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এর
আগে তিনি নজরুল ইনস্টিটিউটের
নির্বাহী পরিচালক ছিলেন। এখন তিনি আওয়ামী
লীগ ভক্ত, মুজিব ভক্ত। মূলত আওয়ামী লীগ
ভক্ত পরিচয় দিয়েই তিনি বাংলা একাডেমির
মহাপরিচালক হয়েছেন। তার মহাপরিচালক হওয়ার
পেছনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এক আমলার ভূমিকা
আছে বলেও জানা যায়।
সেই আমলার পৃষ্ঠপোষকতায় তিনি বাংলা একাডেমির
মত স্পর্শকাতর একটি প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক
হয়েছেন।
বঙ্গবন্ধুর
প্রতি তার ভালোবাসা অবিরাম।
সম্প্রতি তিনি ‘মুজিব মৌলিক’ নামে একটি বইও
লিখেছেন। বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানের লেখক অনুভূতি প্রকাশকালে
বঙ্গবন্ধুকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন। তিনি বলেন, বাঙালির
তিন হাজার বছরের ইতিহাসে তাকে বাদ দিলে
কিছু নাই। বঙ্গবন্ধুর মুখ
থেকে আমি প্রথম বাংলাদেশ
শব্দটি শুনেছি। বঙ্গবন্ধু ১৮ মিনিট ভাষণ
তিনি দেন নাই, তিনি
কবিতা লিখেছেন। ভাষণের মধ্যেই সবকিছু তুলে ধরেছেন। বঙ্গবন্ধু
একজন চিরজীবী বাঙালি। তিনি আমাদের একটি
জাতি রাষ্ট্র দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর
প্রতি তার এই ভালোবাসা
সত্যিই কি অমায়িক। তবে
এই হচ্ছে মুহম্মদ নূরুল হুদার বর্তমান।
নূরুল
হুদার বর্তমানের চেয়ে তার অতীত
অনেক বেশি রোমাঞ্চকর। আজকের
মুজিব প্রেমী নূরুল হুদা এক সময়
ছিলেন জিয়া ভক্ত ও
খালেদা জিয়া ভক্ত। শুধু
মুখে ভক্ত নয়, কাব্যতে
পঙক্তিতেও তিনি বেগম জিয়া
ও জিয়াউর রহমানের প্রতি তার ভালোবাসা প্রকাশ
করেছেন। বাংলা ইনসাইডারের কাছে তার ‘ষাট
বছরের কবিতা’ নামে একটি বইয়ের
কপি হাতে এসেছে। আওয়ামী
লীগ ক্ষমতায় আসার পর তিনি
নব্য আওয়ামী লীগার সাজার জন্য এই বইটি
বাজার থেকে তুলে নিয়েছেন।
তবে এই বইয়ের কিছু
কপি এখনও বাজারে পাওয়া
যায়।
‘ষাট বছরের কবিতা’ নামে তিনি যে বইটি লিখেছেন সে বইয়ের তিনিটি কবিতা খুবই আলোচিত এবং বিতর্কিত। কবিতা তিনটি হলো ‘খালেদা’, ‘জিয়া উদ্যান ১৯৯৫’ ও ‘হাসিনা’। তিনটি কবিতাতেই নিচে তারিখ উল্লেখ করা ৯.৮.৯৫। অর্থাৎ খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিলেন কবিতাগুলো সেই সময়ের লেখা।
‘খালেদা’
ও ‘জিয়া উদ্যান ১৯৯৫’
কবিতা দুটিতে নুরুল হুদা খালেদা জিয়া
ও জিয়াউর রহমানের প্রতি তার অগাধ শ্রদ্ধা
ও ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন এবং তাদের প্রশংসায়
পঞ্চমুখ হয়েছেন। অন্যদিকে শেখ হাসিনাকে অপমান
করে ‘হাসিনা’ নামে একটি খুবই
অরুচিকর ও পাঠ অযোগ্য
কবিতাও লিখেছিলেন তিনি। এ ধরণের একজন
লোক এখন বাংলা একাডেমির
মহাপরিচালক বনে গেছেন। গিরগিটির
মত রূপ বদলাতে তার
একটুও সময় লাগেনি। ঋতু
পরিবর্তনের সাথে সাথে কবির
দলও পরিবর্তন হয়ে গেছে।
বাংলা
ইনসাইডার সবসময় বলে আসছে যে
প্রশাসনের এবং বিভিন্ন সরকারি
প্রতিষ্ঠানের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এখন নব্য আওয়ামী
লীগার ও হাইব্রিডদের অনুপ্রবেশ,
তার একটি বড় প্রমাণ
মুহম্মদ নূরুল হুদা। এখন যিনি মুজিব
প্রেমী ১৯৯৫ সালে তিনিই
ছিলেন বেগম জিয়া ও
জিয়াউর রহমান ভক্ত। কিভাবে তিনি এমন স্পর্শকাতর
একটি জায়গা দখল করলেন সেটি
একটি বড় প্রশ্ন। প্রশাসন
এবং সরকারের ভেতর খুজলে এমন
আরও অনেক গিরগিটি গর্ত
থেকে বেরিয়ে আসবে এবং যেকোন
সংকটে এরাই সবার আগে
রং বদলাবে।
মন্তব্য করুন
ঢাকার ৬৫ টি আসনের মনোনয়ন বড় চমক এনেছে আওয়ামী
লীগ। হেভীওয়েট নেতাদের মনোনয়ন দিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি দলের জন্য যারা নিবেদিত
প্রাণ তাদের স্বীকৃতি দিয়েছেন। গতবার মনোনয়ন বঞ্চিত আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ তিন
নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান এবং বাহাউদ্দিন নাছিম এবার নৌকার টিকেট
পাচ্ছেন। ঢাকার মনোনয়নে আওয়ামী লীগের প্রায় অর্ধেক বর্তমান এমপি বাদ পরেছেন। বাংলা
ইনসাইডার ঢাকা বিভাগে যারা মনোনয়ন পেয়েছেন তাদের কয়েকজনের নাম বিভিন্ন সূত্র থেকে
পেয়েছেন। এই তালিকায় যারা আছেন (আংশিক)-
সংসদীয় আসন |
প্রার্থীর নাম |
নির্বাচনী এলাকা |
১৩০ |
আব্দুর রাজ্জাক ভোলা |
টাঙ্গাইল-১ |
১৬৯ |
মমতাজ বেগম |
মানিকগঞ্জ-২ |
১৭০ |
জাহিদ মালেক |
মানিকগঞ্জ-৩ |
১৭৩ |
মৃণাল কান্তি দাস |
মুন্সীগঞ্জ-৩ |
১৭৪ |
সালমান এফ রহমান |
ঢাকা-১ |
১৭৫ |
কামরুল হাসান |
ঢাকা-২ |
১৭৬ |
নসরুল হামিদ |
ঢাকা-৩ |
১৭৯ |
সাঈদ খোকন |
ঢাকা-৬ |
১৮০ |
ইরফান সেলিম |
ঢাকা-৭ |
১৮১ |
বাহাউদ্দিন নাছিম |
ঢাকা-৮ |
১৮২ |
সাবের হোসেন চৌধুরী |
ঢাকা-৯ |
১৮৪ |
এ.কে.এম.রহমতুল্লাহ |
ঢাকা-১১ |
১৮৫ |
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল |
ঢাকা-১২ |
১৮৬ |
জাহাঙ্গীর কবির নানক |
ঢাকা-১৩ |
১৮৮ |
কামাল আহমেদ মজুমদার |
ঢাকা-১৫ |
১৯০ |
মোহাম্মদ আলী আরাফাত |
ঢাকা-১৭ |
১৯২ |
এনামুর রহমান |
ঢাকা-১৯ |
১৯৩ |
বেনজীর আহমদ |
ঢাকা-২০ |
১৯৪ |
আ.ক.ম মোজাম্মেল হক |
গাজীপুর-১ |
১৯৫ |
জাহিদ আহসান রাসেল |
গাজীপুর-২ |
১৯৭ |
সিমিন হোসেন রিমি |
গাজীপুর-৪ |
১৯৮ |
মেহের আফরোজ চুমকি |
গাজীপুর-৫ |
২০২ |
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন |
নরসিংদী-৪ |
২০৪ |
গোলাম দস্তগীর গাজী |
নায়ায়ণগঞ্জ-১ |
২০৫ |
নজরুল ইসলাম বাবু |
নারায়ণগঞ্জ-২ |
২০৭ |
শামীম ওসমান |
নারায়ণগঞ্জ-৪ |
২০৯ |
কাজী কেরামত আলী |
রাজবাড়ী-১ |
২১০ |
জিল্লুর হাকিম |
রাজবাড়ী-২ |
২১১ |
আবদুর রহমান |
ফরিদপুর-১ |
২১৪ |
মজিবুর রহমান চৌধুরী |
ফরিদপুর-৪ |
২১৫ |
ফারুক খান |
গোপালগঞ্জ-১ |
২১৬ |
শেখ ফজলুল করিম সেলিম |
গোপালগঞ্জ-২ |
২১৭ |
শেখ হাসিনা |
গোপালগঞ্জ-৩ |
২১৮ |
নূর-ই-আলম চৌধুরী |
মাদারীপুর-১ |
২১৯ |
শাজাহান খান |
মাদারীপুর-২ |
২২০ |
আবদুস সোবহান গোলাপ |
মাদারীপুর-৩ |
২২২ |
এ কে এম এনামুল হক শামীম |
শরীয়তপুর-২ |
২২৩ |
নাহিম রাজ্জাক |
শরীয়তপুর-৩ |
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সংসদীয়
মনোনয়ন বোর্ড ৩০০ আসনে মনোনয়ন চুড়ান্ত করার কাজ করছে। গতকাল (শুক্রবার) মনোনয়ন বোর্ড
ময়মনসিংহ বিভাগের ৩০টি আসনে মনোনয়ন চুড়ান্ত করেছে। এবার এই বিভাগে যারা মনোনয়ন
পাননি তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন জামালপুর-৪ আসনের এমপি, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী
মুরাদ হাসান। এই বিভাগেও অন্তত ১০ জন এমপি বাদ পরেছেন। বাংলা ইনসাইডার বিভিন্ন
সূত্র থেকে যারা নৌকার টিকেট পেয়েছে তাদের কয়েকজনের নাম নিশ্চিত করতে পেরেছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন তাদের মধ্যে রয়েছে
(আংশিক)-
সংসদীয় আসন |
প্রার্থীর নাম |
নির্বাচনী এলাকা |
১৩৮ |
আবুল
কালাম আজাদ |
জামালপুর-১ |
১৩৯ |
ফরিদুল
হক খান |
জামালপুর-২ |
১৪০ |
মির্জা
আজম |
জামালপুর-৩ |
১৪২ |
আবুল
কালাম আজাদ (সাবেক মূখ্য সচিব) |
জামালপুর-৫ |
১৪৪ |
মতিয়া
চৌধুরী |
শেরপুর-২ |
১৪৬ |
জুয়েল
আরেং |
মংমনসিংহ-১ |
১৪৭ |
শরীফ
আহমেদ |
ময়মনসিংহ-২ |
১৫৭ |
মানু
মজুমদার |
নেত্রকোণা-১ |
১৫৯ |
অসীম
কুমার উকিল |
নেত্রকোণা-৩ |
১৬০ |
সাজ্জাদ
হোসেন |
নেত্রকোণা-৪ |
১৬১ |
ওয়ারেসাত
হোসেন বেলাল |
নেত্রকোণা-৫ |
১৬২ |
জাকিয়া
নূর লিপি |
কিশোরগঞ্জ-১ |
১৬৩ |
নূর
মোহাম্মদ |
কিশোরগঞ্জ-২ |
১৬৫ |
রেজওয়ান
আহাম্মদ তৌফিক |
কিশোরগঞ্জ-৪ |
১৬৭ |
নাজমুল
হাসান পাপন |
কিশোরগঞ্জ-৬ |
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ময়মনসিংহ মনোনয়ন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। আজ সকাল থেকে দলটির মনোনয়ন
বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দিনের বৈঠকে রংপুর ও রাজশাহীর ৬৯ টি আসনের প্রার্থী
চুড়ান্ত করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াবদুল কাদের বলেছেন, বেশ কয়েকজন
বর্তমান সংসদ সদস্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পাননি। আগামী শনিবার (২৫ নভেম্বর)
আওয়ামী লীগ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ
সম্পাদক। বিভিন্ন সূত্র থেকে বাংলা ইনসাইডার ৬৯ টি আসনে বেশ কয়েকজন মনোনয়ন প্রাপ্তের
নাম নিশ্চিত করেছেন। রাজশাহী এবং রংপুরে যারা মনোনয়ন পেয়েছেন, তারা হলেন:
সংসদীয় আসন |
প্রার্থীর নাম |
নির্বাচনী এলাকা |
২ |
নুরুল ইসলাম সুজন |
পঞ্চগড়-২ |
৩ |
রমেশ চন্দ্র সেন |
ঠাকুরগাঁও-১ |
৭ |
খালেদ মাহমুদ চৌধুরী |
দিনাজপুর-২ |
৮ |
ইকবালুর রহিম |
দিনাজপুর-৩ |
৯ |
আবুল হাসান মাহমুদ
আলী |
দিনাজপুর-৪ |
১৩ |
আসাদুজ্জামান নূর |
নীলফামারী-২ |
২২ |
টিপু মুনশি |
রংপুর-৪ |
২৪ |
শিরীন শারমিন চৌধুরী |
রংপুর-৬ |
৩০ |
মাহাবুব আরা বেগম
গিনি |
গাইবান্ধা-২ |
৩১ |
উম্মে কুলসুম স্মৃতি |
গাইবান্ধা-৩ |
৩৫ |
আবু সাঈদ আল মাহমুদ
স্বপন |
জয়পুরহাট-২ |
৫৭ |
শাহরিয়ার আলম |
রাজশাহী-৬ |
৬০ |
জুনাইদ আহমেদ পলক |
নাটোর-৩ |
৬২ |
তানভীর শাকিল জয় |
সিরাজগঞ্জ-১ |
৬৫ |
তানভীর ইমাম |
সিরাজগঞ্জ-৪ |
৬৮ |
শামসুল হক টুকু |
পাবনা-১ |
রাজশাহী রংপুর মনোনয়ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
বিএনপির
বেশ কিছু নেতাকর্মীকে আটক
করা হয়েছে। আটক নেতাকর্মীদের মধ্যে
বিএনপির মিডিয়া ইউংয়ের প্রধানও রয়েছেন। জহির উদ্দিন স্বপন একদা বাম রাজনীতি করতেন।
তিনি দক্ষিণাঞ্চল থেকে উঠে আসা
জহির উদ্দিন স্বপন বাম
রাজনীতি থেকে বিএনপিতে যোগ
দেন। আবার এক-এগারোর সময়
তিনি ছিলেন একজন সংস্কারপন্থী। বেগম
খালেদা জিয়াকে যারা রাজনীতি থেকে মাইনাস করতে
চেয়েছিল তাদের অন্যতম নেতা ছিলেন জহির
উদ্দিন স্বপন। তিনি পরবর্তীতে আবার
বিএনপিতে আসেন। এখন তারেক জিয়ার নির্দেশে
বিএনপির মিডিয়া উইং পরিচালনা করেছেন।
সম্প্রতি
তিনি গ্রেপ্তার হচ্ছেন। গ্রেপ্তারে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা
হচ্ছে। তারেক জিয়ার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত জহির উদ্দিন স্বপন কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা
বলেছেন। তার মধ্যে একটি
হল তিনি আওয়ামী লীগের
বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এর মধ্যে আওয়ামী
লীগের দক্ষিণাঞ্চলের দুই জন হেভিওয়েট
নেতার সঙ্গে তিনি নিয়মিত যোগাযোগ
করতেন। এই হেভিওয়েট নেতাদের সাথে যোগাযোগের সূত্র
ধরে তারেকের সঙ্গেও তাদের যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিলেন। তার এই বক্তব্য
নিয়ে এখন আওয়ামী লীগের মধ্যে
তুলকালাম চলছে।
বিভিন্ন
সূত্র থেকে আওয়ামী লীগের
বিভিন্ন নেতা ওই দুই
নেতার নাম জেনেছেন এবং
জহির উদ্দিন স্বপন রিমান্ডে এই বিষয়ে যে তথ্য প্রকাশ
করেছে, সেটির সম্পর্কে অবহিত হয়েছেন। তবে এ ধরনের
বক্তব্য কতটুকু সত্য সে সম্পর্কে
নিশ্চিত কোন তথ্য পাওয়া
যায়নি। এ ব্যাপারে যারা
স্বপনকে রিমান্ডে এনেছেন, তারাও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বক্তব্য দিতে
চাননি। তবে এ ধরনের
বক্তব্যের ফলে আওয়ামী লীগের
রাজনীতিতে হঠাৎ করে তোলপাড়
শুরু হয়েছে।
যে দুই জন নেতার
সঙ্গে তারেক জিয়ার যোগাযোগ হয়েছে বলে স্বপন দাবি
করেছেন, তাদের দুইজনই সংস্কারপন্থী। জহির উদ্দিন স্বপন এক-এগারোর সময় এই দুই
নেতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রক্ষা করেছিলেন এমন তথ্যও পাওয়া
যায়। সেই সময় আওয়ামী
লীগ বিএনপি উভয় পক্ষের সংস্কারপন্থীরাই
একসাথে কাজ করেছিলেন একটি রাজনৈতিক মেরুকরণের
লক্ষ্যে। এখন প্রশ্ন হল
যে সত্যি সত্যি কী তারেকের সঙ্গে
আওয়ামী লীগের এই দুই নেতা
যোগাযোগ করেছিলেন?
কোন কোন
রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করেন যে,
যোগাযোগ হলেও হতে পারে।
তবে এই যোগাযোগ রাজনৈতিকভাবে
তাৎপর্যহীন। আবার
কোন কোন নেতা মনে
করেন যে বিএনপি এখন আওয়ামী
লীগের মধ্যে নানারকম অবিশ্বাস, বিভক্তি এবং কোন্দল সৃষ্টি করার জন্য এই
ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে। এটি অসম্ভব
ব্যাপার। কারণ এ রকম
যোগাযোগ করলে সেটি আওয়ামী
লীগের হাইকমান্ড বা আওয়ামী লীগ সভাপতি জানবেন না এমনটি মনে
করার কোন কারণ নেই।
ওই দুই নেতা এখন
এমনিতেই কোণঠাসা
অবস্থায় আছেন। তারা এ রকম
ঝুঁকি নেবেন না।
আবার
অনেকে মনে করছেন যে
বিএনপির বিরুদ্ধে যেমন আওয়ামী লীগ
নানারকম অপপ্রচার করছে, বিশেষ করে বিএনপি ভাঙছে,
বিএনপিতে নানারকম ভাঙন প্রক্রিয়া, সেই
হিসেবে কাউন্টার প্রোপাগান্ডা হিসেবে এই ধরনের অপপ্রচার
গুলো করা হচ্ছে। আওয়ামী
লীগকে দুর্বল করে তোলা। আওয়ামী
লীগের নেতা কর্মীদের মনোবল
নষ্ট করার জন্য এটা করা
হচ্ছে।
২৮ অক্টোবর বিএনপির আত্মঘাতী তৎপরতার পর এমনিতেই বিএনপির অবস্থা অনেকটা শোচনীয়। তারা খাদের কিনারে চলে যাচ্ছে। দলের মধ্যে অবিশ্বাস সন্দেহ তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল মেজর হাফিজ এর বক্তব্য বিএনপির মধ্যে এক ধরনের নতুন বিতর্ক তৈরি করেছে। এই পরিস্থিতিতে কৌশলগত কারণে যদি তারা আওয়ামী লীগকেও বিতর্কিত করতে পারে বা আওয়ামী লীগের মধ্যেও বিভক্তি দেখাতে পারে তাহলে তাদের লাভ। সেই কৌশলের অংশ হিসেবেই এটা করা হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন।
তবে এটি
সত্য বা মিথ্যা সেটি
অন্য বিষয়। তবে যদি উদ্দেশ্যপূর্ণভাবেও এই গুজব
ছড়ানো হয়, সেটি এখন
আওয়ামী লীগের মধ্যে
বেশ ভালো প্রতিক্রিয়া হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ফোরামে এ নিয়ে বেশ
আলোচনা হচ্ছে এবং আওয়ামী লীগের
অনেকেই এই বিষয়টি নিয়ে
ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগ তারেক জিয়া বৈঠক জহির উদ্দিন স্বপন
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিকে পরামর্শ দিয়েছিল বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচনে জেতে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আশ্বাস দিয়েছিল যে ভিসা নীতি সহ বিভিন্ন কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারকে বাধ্য করবে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য। আর সেই নির্বাচনে যদি কোন রকম কারচুপি বা অনিয়ম হয়, তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেবে না, আরোপ করবে অর্থনৈতিক অবরোধসহ নানা রকম অবরোধ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে রাজি হয়নি বিএনপির। একাধিক সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছে, বিএনপির শীর্ষ নেতারা এ ব্যাপারে একমত হয়েছিলেন। কিন্তু লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার অনাগ্রহ এবং অনীহার কারণেই এই এব্যাপারে কোন ঐকমত্য হয়নি।