ইনসাইডার এক্সক্লুসিভ

সহে না মানবতার অবমাননা

প্রকাশ: ০৮:০৯ এএম, ০১ অক্টোবর, ২০২০


Thumbnail

১ অক্টোবর, ২০০১। একটি নীলনক্সার নির্বাচনের আয়োজন করে বিচারপতি লতিফুর রহমানের নেতৃত্বে তত্বাবধায়ক সরকার। নীলনক্সার ঐ নির্বাচনের পরপরই শুরু হয় সারাদেশে তান্ডব। ২০০১ এর অক্টোবর হলো রক্তঝরা। সেই রক্তাক্ত সময়কে স্বরণ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার এই লেখাটি আজ প্রকাশিত হলো।

১ অক্টোবর ২০০১ নির্বাচন ষড়যন্ত্রের চরম খেলা হলো। কিভাবে নির্বাচনে অতি চালাকির সঙ্গে কারচুপি করা হয়েছিল তা গবেষণায় ভোট জালিয়াতির ১৭টি ভিন্ন ভিন্ন পন্থ চিহ্নিত করা হয়েছে-

১.      টাকার বিনিময়ে ভোট ক্রয়।

২.     নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্দিষ্ট ভোটকেন্দ্র দখল ও ব্যালট বাক্স ভরে ফেলা।

৩.     ডামি প্রার্থী দিয়ে তার এজেন্টকে নিজের পক্ষে ব্যবহার।

৪.     বিশেষ (দলের সমর্থক বা নীরব কর্মী) ব্যক্তিকে পর্যবেক্ষক নিয়োগ, যে ভোটকে প্রভাবিত করবে এবং সুযোগমতো ব্যালট বাক্স ভরবে।

৫.     প্রকৃত ভোটারকে ভোটদানে বিরত রাখা। দুর্বলকে হুমকি দিয়ে অথবা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়ে ভোটদান প্রক্রিয়া ধীর করে দেওয়া।

৬.     আইনরক্ষাকারী বাহিনীকে প্রবাবিত করে প্রতিপক্ষের কর্মী- নেতাদের আটক, অপদস্থ করা এবং প্রতিপক্ষ এলাকায় ঘন ঘন টহল দিয়ে প্রতিপক্ষ ভোটার ও সমর্থকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করা।

৭.     একজন প্রার্থীর হাতে ভুল ভোটার তালিকা ধরিয়ে দিয়ে ভোটকেন্দ্রে অন্য ভোটার তালিকা ব্যবহার করা।

৮.     পোলিং ও প্রিজাইডিং অফিসারদের হাত করে ব্যালট বাক্স ভরা।

৯.     নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে ব্যালট বাক্স আগে থেকে ভর্তি করে রাখা বা ব্যালট বাক্স ঠিকমতো সিলগালা না করা যাতে পরে ব্যালট ভর্তি করা যায়।

১০. সমস্যার দোহাই দিয়ে ভোট গ্রহণ বন্ধ করে অন্য প্রার্থীদের না জানিয়ে আবার ভোট গ্রহণ শুরু, অথবা পিটিয়ে ভোটার বের করে দেওয়ার মতো সংকটময় পরিস্থিতিতেও ভোট গ্রহণ বন্ধ করতে অস্বীকৃতি জানানো।

১১.  অনেকভাবেই ভোট গণনায় কারচুপি করা যায়।

ক. প্রার্থীর ভোট বদল করে দেওয়া।

খ. ব্যালট পেপার বান্ডিল করার সময় বৈষম্যের মাধ্যমে।

গ. ব্যালট বক্স হারিয়ে ফেলে।

ঘ. ট্যালি গড়াপেটার মাধ্যমে।

১২. জেলা সদরে যাওয়ার সময় ভোট বাক্স জালিয়াতি বা গায়েব করা।

১৩.  ভোট গণনা ও ফল ঘোষণার পর কেন্দ্রের নির্বাচন বাতিল ঘোষণা।

১৪.  ভুল ফল ঘোষণা বা পছন্দের দল এগিয়ে থাকা আসনগুলোর ফল ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন কমিশনের জনমতকে প্রভাবিত করা।

১৫. প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছাপানো এবং তা নির্দিষ্ট পার্টির প্রার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া। যাতে করে সুযোগমতো ওই প্রার্থী ব্যালট বাক্স ভরতে পারে। অথবা এমনভাবে ব্যালট পেপার ছাপানো যাতে করে যাকে হারানো হবে তার পক্ষের ভোটগুলো বাতিল হয়ে যায়।

১৬. এমন পরিমাণ জাল ভোট প্রদান যাতে কেন্দ্রে মোট ভোটারের ভোট বেশি হয়ে যায়। প্রতি ঘন্টায় সম্ভাব্যের চেয়ে বেশি ভোট প্রদান অনেক কেন্দ্রেই ঘটে। যেমন: ঘণ্টায় এক বুথে ৮০ ভোটের বেশি ভোট। কিন্তু আমাদের অনেক কেন্দ্রে ভোট প্রদানের হার ঘণ্টায় এক শ/দু শও হয়ে থাকে।

১৭. প্রত্যন্ত অঞ্চলে, যেখানে যাতায়তের সহজ সুবিধা নেই, সেখানে শতকরা ৯০ ভাগের বেশি ভোট গ্রহণ ডাহা জালিয়াতির পর্যায়ে পড়ে।

(গ্রস্থ কারচুপির নির্বাচন: অবৈধ সরকার)

নির্বাচনের কয়েকদিন পূর্ব থেকে এবং নির্বাচনের দিন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর চারদলীয় জোট সন্ত্রাস, সশস্ত্রবাহিনী, পুলিশ, বিডিআর কর্তৃক হয়রানি, গ্রেপ্তার, নির্যাতন, ভোটারদের ভোট দিতে না দেওয়া-এটা কি নিরপেক্ষ সুষ্ঠ নির্বাচন? এতকিছুর পরও আওয়ামী লীগ ৪১% ভোট পেয়েছে। ১৯৯১ সালে ৩৪% ভোট পেয়ে ১০৩ সিট, ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে ৩৮% ভোট পেয়ে ১৪৬টি আসন পেয়েছিল আর এবার ৪১% ভোট পেয়ে ৬২টি আসন পাওয়া কি অস্বাভাবিক নয়? জোট ৪৬% ভোট পেয়ে ২১৫টি আসন পায়। মাত্র ৫% ভোটের ব্যবহানে এত বড় আসনের ব্যবধান কি সম্ভব?

শুধু কারচুপি করেই তো শেষ হয় নি। আওয়ামী লীগকে শেষ করে দিতে হবে। এবারে নির্বাচনের রেজাল্ট দখল করতে ভুল করে নি। রেজাল্ট দখল করেছে তারপর শুরু করেছে রাজনৈতকি প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা। গ্রামের পর গ্রাম আক্রমন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঘরছাড়া করে দেওয়া। শিশু কন্যাও রেহাই পায় নি এদের হাত থেকে। বিএনপি ও জামায়াত শিবির ক্যাডাররা সমগ্র বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে নির্বাচনের পর থেকে। হাত, পা, চোখ তুলে নষ্ট করে দেওয়া, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা, লুটপাট করা। প্রশাসনের কর্মকর্তা, কর্মচারী, সশস্ত্রবাহিনী অর্থাৎ সেনা, নৌ বিমানবাহিনীর অফিসার, পুলিশ কর্মকর্তা, চাকরি হারাচ্ছে। সাংবাদিকরা খবর লিখে নিহত ও আক্রান্ত হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারছে না। প্রতি পদে পদে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। দেশ পরিচালনা না করে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করাটাই যেন এই সরকারের সব থেকে বড় কাজ। প্রায় ৪৫ হাজার সন্ত্রাসীর মামলা তুলে নিয়ে মুক্ত করে দিয়েছে। সন্ত্রাসী সমাজবিরোধীদের আনন্দের সীমা নেই বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসায়। খুলনার কুখ্যাত এক সন্ত্রাসী জামিন পেয়েই প্রথম স্লোগান দিয়েছে খালেদা জিয়া জিন্দাবাদ বলে। তার মন্তব্য খুবই লক্ষণীয় যে, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় না এলে সে জামিন পেত না, তার ফাঁসি হতো। এবার অনেকগুলো নৃশংস হত্যা মামলার আসামি ও ফাঁসির রায় হয়েছে তারপরও সে স্বপ্ল দেখে এবার হয়তো মুক্তি পাবে।

জাতির পিতার হত্যাকারী, শিশু, নারী হত্যাকারী, যারা আত্মস্বীকৃত হত্যাকারী এবং জাতীয় চার নেতা হত্যাকারী তাদেরও রক্ষার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে এ সরকার। ১৫ আগস্ট যাঁরা শাহাদাতবরণকারী হলেন-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, সুলতানা কামাল, পারভীন জামাল, শেখ আবু নাসের, কৃষিমন্ত্রী আবদুর রব, সেরনিয়াবাত, সুকান্ত আবদুল্লাহ বাবু, শহীদ সেরনিয়াবাত, আবদুল নঈম খান রিন্টু। কর্নেল জামিল, কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা, সরকারি কর্মচারী, কাজের লোকজনসহ অনেক মানুষকে হত্যা করেছে। ৩ নভেম্বর নিহত জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমেদ, এম. মনসুর আলী ও কামরুজ্জামানকে হত্যা করেছে।

একের পর এক ঘটনা ঘটছে, হত্যাকা- ঘটছে অথচ হত্যাকারী-অপরাধী সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইডার এক্সক্লুসিভ

ঢাকা বিভাগে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন: নানক-নাছিম-রহমানে বড় চমক

প্রকাশ: ০২:৩৫ পিএম, ২৫ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ঢাকার ৬৫ টি আসনের মনোনয়ন বড় চমক এনেছে আওয়ামী লীগ। হেভীওয়েট নেতাদের মনোনয়ন দিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি দলের জন্য যারা নিবেদিত প্রাণ তাদের স্বীকৃতি দিয়েছেন। গতবার মনোনয়ন বঞ্চিত আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ তিন নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান এবং বাহাউদ্দিন নাছিম এবার নৌকার টিকেট পাচ্ছেন। ঢাকার মনোনয়নে আওয়ামী লীগের প্রায় অর্ধেক বর্তমান এমপি বাদ পরেছেন। বাংলা ইনসাইডার ঢাকা বিভাগে যারা মনোনয়ন পেয়েছেন তাদের কয়েকজনের নাম বিভিন্ন সূত্র থেকে পেয়েছেন। এই তালিকায় যারা আছেন (আংশিক)-

 

সংসদীয় আসন

প্রার্থীর নাম

নির্বাচনী এলাকা

১৩০

আব্দুর রাজ্জাক ভোলা

টাঙ্গাইল-১

১৬৯

মমতাজ বেগম

মানিকগঞ্জ-২

১৭০

জাহিদ মালেক

মানিকগঞ্জ-৩

১৭৩

মৃণাল কান্তি দাস

মুন্সীগঞ্জ-৩

১৭৪

সালমান এফ রহমান

ঢাকা-১

১৭৫

কামরুল হাসান

ঢাকা-২

১৭৬

নসরুল হামিদ

ঢাকা-৩

১৭৯

সাঈদ খোকন

ঢাকা-৬

১৮০

ইরফান সেলিম

ঢাকা-৭

১৮১

বাহাউদ্দিন নাছিম

ঢাকা-৮

১৮২

সাবের হোসেন চৌধুরী

ঢাকা-৯

১৮৪

এ.কে.এম.রহমতুল্লাহ

ঢাকা-১১

১৮৫

আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল

ঢাকা-১২

১৮৬

জাহাঙ্গীর কবির নানক

ঢাকা-১৩

১৮৮

কামাল আহমেদ মজুমদার

ঢাকা-১৫

১৯০

মোহাম্মদ আলী আরাফাত

ঢাকা-১৭

১৯২

এনামুর রহমান

ঢাকা-১৯

১৯৩

বেনজীর আহমদ

ঢাকা-২০

১৯৪

আ.ক.ম মোজাম্মেল হক

গাজীপুর-১

১৯৫

জাহিদ আহসান রাসেল

গাজীপুর-২

১৯৭

সিমিন হোসেন রিমি

গাজীপুর-৪

১৯৮

মেহের আফরোজ চুমকি

গাজীপুর-৫

২০২

নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন

নরসিংদী-৪

২০৪

গোলাম দস্তগীর গাজী

নায়ায়ণগঞ্জ-১

২০৫

নজরুল ইসলাম বাবু

নারায়ণগঞ্জ-২

২০৭

শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ-৪

২০৯

কাজী কেরামত আলী

রাজবাড়ী-১

২১০

জিল্লুর হাকিম

রাজবাড়ী-২

২১১

আবদুর রহমান

ফরিদপুর-১

২১৪

মজিবুর রহমান চৌধুরী

ফরিদপুর-৪

২১৫

ফারুক খান

গোপালগঞ্জ-১

২১৬

শেখ ফজলুল করিম সেলিম

গোপালগঞ্জ-২

২১৭

শেখ হাসিনা

গোপালগঞ্জ-৩

২১৮

নূর-ই-আলম চৌধুরী

মাদারীপুর-১

২১৯

শাজাহান  খান  

মাদারীপুর-২

২২০

আবদুস সোবহান গোলাপ

মাদারীপুর-৩

২২২

এ কে এম এনামুল হক শামীম

শরীয়তপুর-২

২২৩

নাহিম রাজ্জাক

শরীয়তপুর-৩

 

 

 

 


ঢাকা   মনোনয়ন   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইডার এক্সক্লুসিভ

ময়মনসিংহ বিভাগে মনোনয়ন প্রাপ্তদের তালিকা (আংশিক)

প্রকাশ: ০১:২৯ পিএম, ২৫ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড ৩০০ আসনে মনোনয়ন চুড়ান্ত করার কাজ করছে। গতকাল (শুক্রবার) মনোনয়ন বোর্ড ময়মনসিংহ বিভাগের ৩০টি আসনে মনোনয়ন চুড়ান্ত করেছে। এবার এই বিভাগে যারা মনোনয়ন পাননি তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন জামালপুর-৪ আসনের এমপি, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান। এই বিভাগেও অন্তত ১০ জন এমপি বাদ পরেছেন। বাংলা ইনসাইডার বিভিন্ন সূত্র থেকে যারা নৌকার টিকেট পেয়েছে তাদের কয়েকজনের নাম নিশ্চিত করতে পেরেছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন তাদের মধ্যে রয়েছে (আংশিক)-

 

সংসদীয় আসন

প্রার্থীর নাম

নির্বাচনী এলাকা

১৩৮

আবুল কালাম আজাদ

জামালপুর-১

১৩৯

ফরিদুল হক খান

জামালপুর-২

১৪০

মির্জা আজম

জামালপুর-৩

১৪২

আবুল কালাম আজাদ (সাবেক মূখ্য সচিব)

জামালপুর-৫

১৪৪

মতিয়া চৌধুরী

শেরপুর-২

১৪৬

জুয়েল আরেং

মংমনসিংহ-১

১৪৭

শরীফ আহমেদ

ময়মনসিংহ-২

১৫৭

মানু মজুমদার

নেত্রকোণা-১

১৫৯

অসীম কুমার উকিল

নেত্রকোণা-৩

১৬০

সাজ্জাদ হোসেন

নেত্রকোণা-৪

১৬১

ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল

নেত্রকোণা-৫

১৬২

জাকিয়া নূর লিপি

কিশোরগঞ্জ-১

১৬৩

নূর মোহাম্মদ

কিশোরগঞ্জ-২

১৬৫

রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক

কিশোরগঞ্জ-৪

১৬৭

নাজমুল হাসান পাপন

কিশোরগঞ্জ-৬

 


জাতীয় সংসদ   নির্বাচন   ময়মনসিংহ   মনোনয়ন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইডার এক্সক্লুসিভ

রংপুর-রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রাপ্তদের তালিকা (আংশিক)

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৩ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। আজ সকাল থেকে দলটির মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দিনের বৈঠকে রংপুর ও রাজশাহীর ৬৯ টি আসনের প্রার্থী চুড়ান্ত করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াবদুল কাদের বলেছেন, বেশ কয়েকজন বর্তমান সংসদ সদস্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পাননি। আগামী শনিবার (২৫ নভেম্বর) আওয়ামী লীগ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক। বিভিন্ন সূত্র থেকে বাংলা ইনসাইডার ৬৯ টি আসনে বেশ কয়েকজন মনোনয়ন প্রাপ্তের নাম নিশ্চিত করেছেন। রাজশাহী এবং রংপুরে যারা মনোনয়ন পেয়েছেন, তারা হলেন:

 

সংসদীয় আসন

প্রার্থীর নাম

নির্বাচনী এলাকা

নুরুল ইসলাম সুজন

পঞ্চগড়-২

রমেশ চন্দ্র সেন

ঠাকুরগাঁও-১

খালেদ মাহমুদ চৌধুরী

দিনাজপুর-২

ইকবালুর রহিম

দিনাজপুর-৩

আবুল হাসান মাহমুদ আলী

দিনাজপুর-৪

১৩

আসাদুজ্জামান নূর

নীলফামারী-২

২২

টিপু মুনশি

রংপুর-৪

২৪

শিরীন শারমিন চৌধুরী

রংপুর-৬

৩০

মাহাবুব আরা বেগম গিনি

গাইবান্ধা-২

৩১

উম্মে কুলসুম স্মৃতি

গাইবান্ধা-৩

৩৫

আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন

জয়পুরহাট-২

৫৭

শাহরিয়ার আলম

রাজশাহী-৬

৬০

জুনাইদ আহমেদ পলক

নাটোর-৩

৬২

তানভীর শাকিল জয়

সিরাজগঞ্জ-১

৬৫

তানভীর ইমাম

সিরাজগঞ্জ-৪

৬৮

শামসুল হক টুকু

পাবনা-১

 

 

 


রাজশাহী   রংপুর   মনোনয়ন   জাতীয় সংসদ   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইডার এক্সক্লুসিভ

বিএনপি কেন যুক্তরাষ্ট্রের কথা শুনল না

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২২ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিকে পরামর্শ দিয়েছিল বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচনে জেতে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আশ্বাস দিয়েছিল যে ভিসা নীতি সহ বিভিন্ন কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারকে বাধ্য করবে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য। আর সেই নির্বাচনে যদি কোন রকম কারচুপি বা অনিয়ম হয়, তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেবে না, আরোপ করবে অর্থনৈতিক অবরোধসহ নানা রকম অবরোধ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে রাজি হয়নি বিএনপির। একাধিক সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছে, বিএনপির শীর্ষ নেতারা এ ব্যাপারে একমত হয়েছিলেন। কিন্তু লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার অনাগ্রহ এবং অনীহার কারণেই এই এব্যাপারে কোন ঐকমত্য হয়নি। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বিএনপির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তিন দফা বৈঠক করেছিলেন এ সব নিয়ে। তাদেরকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান এবং মনোভাব সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন। তারা বলছেন যে এই মুহূর্তে সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সংবিধানের বাইরে গেলে সেটি প্রশ্নবিদ্ধ হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়েও বিতর্ক উঠবে। এ কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফর্মুলা ছিল যে বিএনপি নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেবে শর্তহীন সংলাপে যোগদানের মাধ্যমে। আর এই নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার সাথে সাথে সরকারকে মার্কিন প্রশাসন থেকে চাপ দেওয়া হবে যেন নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপির সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং নির্বাচনের আগে প্রশাসনে রদবদল, পুলিশে রদবদল সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র চাপ দিত। এ ধরনের চাপের কাছে সরকার শেষ পর্যন্ত একটি সমঝোতার পথে যেত। কিছু কিছু জায়গায় পরিবর্তন করা হতো এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে কিছু কিছু ব্যক্তি নিরপেক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করত। কিন্তু সেই সুযোগ বিএনপি গ্রহণ করেনি। আজ আবার গুলশানের সিক্স সিজন্স হোটেলে মার্কিন দূতাবাসের পলিটিক্যাল চিফ শ্রেয়ান সি ফিজারল্ড ও পলিটিক্যাল সেক্রেটারি ম্যাথিও বের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহআন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। দুপুর ১টা থেকে ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত চলে এ বৈঠক। কিন্তু সেখান থেকেও কোন ইতিবাচক ফল আসেনি।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে সর্বশেষ বৈঠকে ড. মঈন খান এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উভয়ই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে সম্মত হয়েছিলেন। ২৮ অক্টোবরের সমাবেশের বড় বিএনপি একটি আল্টিমেটাম দিতে চেয়েছিল এবং সেই আল্টিমেটামের পরপরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাজনৈতিক দলগুলোকে শর্তহীন সংলাপের আহ্বান জানাত এবং সরকার এই ধরনের শর্তহীন সংলাপে রাজিও ছিল। কিন্তু সেই পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে ২৭ অক্টোবর রাতে, যে দিন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বৈঠকে বসেছিলেন এবং লন্ডন থেকে যুক্ত হয়েছিলেন পলাতক দণ্ডিত ব্যক্তি তারেক জিয়া। যখন বিএনপি নেতারা এই ফর্মুলার কথা বলেন তখন তারেক জিয়া বুঝতে পারেন যে বিএনপির নেতারা সম্ভবত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফাঁদে পা দিয়েছেন। আর একারণেই তারেক জিয়া তার নিজস্ব বাহিনী দিয়ে সহিংস তৎপরতার পথ বেছে নেন। বিশেষ করে ২৮ অক্টোবর বিএনপি বিভিন্ন স্থানে যে তাণ্ডব চালিয়েছে তা ছিল সব তারেক জিয়ার বাহিনীদের পৃষ্ঠপোষকতা এবং মদদে। 

বিএনপি কেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব গ্রহণ করল না? বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে এর পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে। প্রথমত তারা মনে করেছিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব একটি ফাঁদ। যে রকম ফাঁদে তারা ড. কামাল হোসেনের মাধ্যমে পড়েছিল ২০১৮ সালে। একই ফাঁদে বিএনপি পা দিতে চায়নি। দ্বিতীয়ত বিএনপি মনে করেছিল যে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় যে কোনো নির্বাচন হলেই মানসিক ভাবে আওয়ামী লীগ শক্তিশালী থাকবে এবং সেই নির্বাচনে জেতার কোন সম্ভাবনা বিএনপির নেই। তৃতীয়ত, তারেক জিয়া মনে করছেন, যদি বিএনপি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলে দল তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। ৪০/৫০ যে আসনই বিএনপির পাক না কেন? তখন দলের ভিতর গুরুত্বহীন হয়ে পড়বেন তারেক জিয়া। ফলে এই নির্বাচনে গিয়ে তিনি বিএনপির কর্তৃত্ব হারাতে চাননি। আর এই সমস্ত বাস্তবতার কারণেই শেষ পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শ শোনেনি বিএনপি।

বিএনপি   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইডার এক্সক্লুসিভ

আওয়ামী লীগের দুই নেতা যোগাযোগ করেছিলেন তারেকের সঙ্গে

প্রকাশ: ১১:০৬ পিএম, ০৯ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বিএনপির বেশ কিছু নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। আটক নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপির মিডিয়া ইউংয়ের প্রধানও রয়েছেন। জহির উদ্দিন স্বপন একদা বাম রাজনীতি করতেন। তিনি দক্ষিণাঞ্চল থেকে উঠে আসা জহির উদ্দিন স্বপন বাম রাজনীতি থেকে বিএনপিতে যোগ দেন। আবার এক-এগারোর সময় তিনি ছিলেন একজন সংস্কারপন্থী। বেগম খালেদা জিয়াকে যারা রাজনীতি থেকে মাইনাস করতে চেয়েছিল তাদের অন্যতম নেতা ছিলেন জহির উদ্দিন স্বপন। তিনি পরবর্তীতে আবার বিএনপিতে আসেন। এখন তারেক জিয়ার নির্দেশে বিএনপির মিডিয়া উইং পরিচালনা করেছেন।

সম্প্রতি তিনি গ্রেপ্তার হচ্ছেন। গ্রেপ্তারে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তারেক জিয়ার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত জহির উদ্দিন স্বপন কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। তার মধ্যে একটি হল তিনি আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের দক্ষিণাঞ্চলের দুই জন হেভিওয়েট নেতার সঙ্গে তিনি নিয়মিত যোগাযোগ করতেন। এই হেভিওয়েট নেতাদের সাথে যোগাযোগের সূত্র ধরে তারেকের সঙ্গেও তাদের যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিলেন। তার এই বক্তব্য নিয়ে এখন আওয়ামী লীগের মধ্যে তুলকালাম চলছে।

বিভিন্ন সূত্র থেকে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা ওই দুই নেতার নাম জেনেছেন এবং জহির উদ্দিন স্বপন রিমান্ডে এই বিষয়ে যে তথ্য প্রকাশ করেছে, সেটির সম্পর্কে অবহিত হয়েছেন। তবে এ ধরনের বক্তব্য কতটুকু সত্য সে সম্পর্কে নিশ্চিত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে যারা স্বপনকে রিমান্ডে এনেছেন, তারাও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বক্তব্য দিতে চাননি। তবে এ ধরনের বক্তব্যের ফলে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে হঠাৎ করে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

যে দুই জন নেতার সঙ্গে তারেক জিয়ার যোগাযোগ হয়েছে বলে স্বপন দাবি করেছেন, তাদের দুইজনই সংস্কারপন্থী। জহির উদ্দিন স্বপন এক-এগারোর সময় এই দুই নেতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রক্ষা করেছিলেন এমন তথ্যও পাওয়া যায়। সেই সময় আওয়ামী লীগ বিএনপি উভয় পক্ষের সংস্কারপন্থীরাই একসাথে কাজ করেছিলেন একটি রাজনৈতিক মেরুকরণের লক্ষ্যে। এখন প্রশ্ন হল যে সত্যি সত্যি কী তারেকের সঙ্গে আওয়ামী লীগের এই দুই নেতা যোগাযোগ করেছিলেন?

কোন কোন রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করেন যে, যোগাযোগ হলেও হতে পারে। তবে এই যোগাযোগ রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যহীন। আবার কোন কোন নেতা মনে করেন যে বিএনপি এখন আওয়ামী লীগের মধ্যে নানারকম অবিশ্বাস, বিভক্তি এবং কোন্দল সৃষ্টি করার জন্য এই ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে। এটি অসম্ভব ব্যাপার। কারণ এ রকম যোগাযোগ করলে সেটি আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড বা আওয়ামী লীগ সভাপতি জানবেন না এমনটি মনে করার কোন কারণ নেই। ওই দুই নেতা এখন এমনিতেই কোণঠাসা অবস্থায় আছেন। তারা এ রকম ঝুঁকি নেবেন না।

আবার অনেকে মনে করছেন যে বিএনপির বিরুদ্ধে যেমন আওয়ামী লীগ নানারকম অপপ্রচার করছে, বিশেষ করে বিএনপি ভাঙছে, বিএনপিতে নানারকম ভাঙন প্রক্রিয়া, সেই হিসেবে কাউন্টার প্রোপাগান্ডা হিসেবে এই ধরনের অপপ্রচার গুলো করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগকে দুর্বল করে তোলা। আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের মনোবল নষ্ট করার জন্য এটা করা হচ্ছে।

২৮ অক্টোবর বিএনপির আত্মঘাতী তৎপরতার পর এমনিতেই বিএনপির অবস্থা অনেকটা শোচনীয়। তারা খাদের কিনারে চলে যাচ্ছে। দলের মধ্যে অবিশ্বাস সন্দেহ তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল মেজর হাফিজ এর বক্তব্য বিএনপির মধ্যে এক ধরনের নতুন বিতর্ক তৈরি করেছে। এই পরিস্থিতিতে কৌশলগত কারণে যদি তারা আওয়ামী লীগকেও বিতর্কিত করতে পারে বা আওয়ামী লীগের মধ্যেও বিভক্তি দেখাতে পারে তাহলে তাদের লাভ। সেই কৌশলের অংশ হিসেবেই এটা করা হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন।

তবে এটি সত্য বা মিথ্যা সেটি অন্য বিষয়। তবে যদি উদ্দেশ্যপূর্ণভাবেও এই গুজব ছড়ানো হয়, সেটি এখন আওয়ামী লীগের মধ্যে বেশ ভালো প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ফোরামে এ নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে এবং আওয়ামী লীগের অনেকেই এই বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন।


আওয়ামী লীগ   তারেক জিয়া   বৈঠক   জহির উদ্দিন স্বপন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন