বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার দাবি জানাচ্ছে বিএনপি। এ নিয়ে আট দিনের কর্মসূচি চলছে। কিন্তু এই সমস্ত কর্মসূচির আড়ালে বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের মধ্যে চলছে নানা রকম জল্পনা কল্পনা। বেগম খালেদা জিয়ার বিপুল সম্পদের মালিক কে হবেন এবং কার ভাগে কতটুকু পড়বে এই নিয়ে বিএনপি'র বেগম জিয়ার পরিবারের মধ্যে এখন একধরণের নীরব যুদ্ধ দৃশ্যমান হচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়া কতটুকু অসুস্থ বা তার উন্নত চিকিৎসা কিভাবে হবে, কোথায় হবে ইত্যাদি নিয়ে বেগম জিয়ার পরিবারের কারো মাথাব্যথা নাই। বিএনপি বেগম খালেদা জিয়াকে ব্যবহার করে একটা রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। যে কোনোভাবেই বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকে পুঁজি করে বিএনপি রাজনৈতিক আন্দোলনের গতি বাড়াতে চাইছে। আর অন্যদিকে পরিবারের সদস্যরা বেগম খালেদা জিয়ার চূড়ান্ত পরিণতি হলে তার সম্পদের ভাগ বাটোয়ারা কে কি পাবে তা নিয়ে হিসেব-নিকেশে ব্যস্ত। এর মধ্যে একটি চাঞ্চল্যকর খবর বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যদেরকে উদ্বিগ্ন করেছেন। জানা গেছে একজন আইনজীবী যিনি দুবাইতে অবস্থান করেন সেই আইনজীবীর কাছেই বেগম খালেদা জিয়ার উইল রয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া তার একসময়ের একান্ত সচিব, এবং ব্যক্তিগত কর্মচারী মোসাদ্দেক আলী ফালুর মাধ্যমে এই উইটি সম্পন্ন করেছেন বলে জানা গেছে। এটিই বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত উইল। এটি রাখা হয়েছে একান্ত গোপনীয় ভাবে এবং বিএনপির কোন নেতা তো নয়ই এমনকি বেগম জিয়ার পরিবারের কোনো সদস্যর এই উইল সম্বন্ধে বিস্তারিত কিছু জানা নেই।
সম্প্রতি বেগম খালেদা জিয়ার ছোট পুত্রবধূ সৈয়দা শর্মিলা সিঁথি এই উইলের কথা প্রথম প্রকাশ করেন। তিনি জানান বেগম খালেদা জিয়া যখন বিএসএমএমইউতে ছিলেন তখন তিনি তার সাথে দেখা করতে গেলে বেগম জিয়া তাকে এই উইলের কথা বলেছেন। এছাড়াও বিএনপি'র একজন আইনজীবী যিনি সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নেতাও বটে তিনিও ঐ উইলটি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল রয়েছেন। এই উইলটির প্রধান শর্ত হলো এটি খোলা হবে বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পর এবং এই উইলটির মধ্যেই বেগম খালেদা জিয়ার সম্পত্তি কাকে কিভাবে দিতে চান সে সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করা আছে। কিন্তু তার জ্যেষ্ঠ সন্তান তারেককে উপেক্ষা করে কেন ফালুকে এই উইলটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এ নিয়ে তারেক জিয়া অত্যন্ত ক্ষুব্ধ বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। আর এ কারণেই বেগম জিয়াকে যেকোনো মূল্যে লন্ডনে নিয়ে আসার একটি এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন তারেক জিয়া।
তারেক
জিয়া জানেন যে যদি বেগম খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া যায় তাহলে পরে অসুস্থ
বেগম খালেদা জিয়াকে জোর করে বা যেভাবে হোক এই উইলটি পরিবর্তন করানো সম্ভব বা নতুন
একটি উইল তৈরি করা সম্ভব। মুসলিম আইন অনুযায়ী সর্বশেষ উইলটি কার্যকর হবে। আর সেই ক্ষেত্রে
যদি বেগম খালেদা জিয়া তারেক জিয়ার নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আসেন তাহলে বর্তমান উইলটি অকার্যকর
হয়ে যাবে। আসলে বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা নয় বা তার জীবন বাঁচানো নয়, বেগম
খালেদা জিয়ার সবগুলো সম্পত্তি কুক্ষিগত করার জন্যই হয়তো তারেকের নির্দেশে বিএনপি
বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন।
খালেদা জিয়া বিএনপি তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শর্মিলা রহমান সিঁথি বিএনপি খালেদা জিয়া তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাজনীতি ছেড়ে দিচ্ছেন—এমন বার্তা তিনি দিয়েছেন দলের একাধিক শীর্ষ নেতাকে। লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াকেও তার অভিপ্রায়ের কথা জানিয়েছেন বলে একটি সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছে। তবে তারেক জিয়া তাকে এখনই রাজনীতি না ছাড়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন বলেও সেই সূত্রটি বাংলা ইনসাইডারকে জানিয়েছে।
আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুবার্ষিকী যখন পালিত হচ্ছে, ঠিক সেই সময় জিয়া পরিবারের সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিয়ে চলছে তুমুল গণ্ডগোল। বিশেষ করে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর সব সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছেন লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। এই অভিযোগে সিঁথি তার আইনজীবীর মাধ্যমে একটি আইনগত নোটিশ পাঠিয়েছেন তারেক জিয়ার কাছে।