ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মোদি নায়ক নাকি খলনায়ক?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২:২৫ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮


Thumbnail

সেদিনের চা বিক্রেতা আজ পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গণতন্ত্রের দেশের প্রধানমন্ত্রী। এই দুর্গম দীর্ঘ পথ পারি দিতে অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়েছেন ভারতের বর্তমানে এই সরকারপ্রধান। বলছি নরেন্দ্র মোদির কথা। তিনি ক্ষমতায় আসার মাত্র তিন বছরের মধ্যেই ভারতের রাজনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন, বলেছে ওয়াশিংটন ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ সেন্টার। তবে একই সঙ্গে তাঁর বিভিন্ন নীতি ও তাঁর দলের নেতৃবৃন্দের বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে সমর্থনের জন্য সমালোচনাও কম হয়নি।

ভারতের জনগণ মনে করে দেশে উন্নয়ন হচ্ছে। দেশ অর্থনৈতিক ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এমনকি ভারতীয় যুব সমাজের কাছেও নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা বর্তমান যে কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের থেকে বেশি। মোদির এই জনপ্রিয়তার রহস্য কী?

নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকার তাদের উন্নয়ন পরিকল্পনাতে সহজেই দৃশ্যমান এমন পরিবর্তনগুলোকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। এতে উন্নয়নের কাজ এবং উন্নয়নগুলো সাধারণ মানুষের উপর প্রভাব ফেলেছে। শুধু তাই নয় মোদি উন্নয়ন কাজগুলোতে সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করতে পেরেছন। যেমন তিনি মন্ত্রিপরিষদ ছোট রেখে ১২৫ কোটি রুপি সাশ্রয় করেছেন। এই উদ্যোগে তার মন্ত্রিপরিষদের প্রতি সাধারণ মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি হয়েছে।

মোদির সেতু ভারত কর্মসূচির আওতায় ২০১৯ সাল নাগাদ ভারতের হাইওয়েগুলোতে কোনো রেলওয়ে ক্রসিং থাকবে না। এই উন্নয়নটি মানুষ সরাসরি ভোগ করতে পারে। এবং এটি সব সময়ই দৃশ্যমান।

২০১৮ সালের মধ্যে ভারতের ১৮ হাজার ৪৫২ টি গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মোদি সরকার। মানুষ এর সুবিধা পেতেও শুরু করেছে।

স্বচ্ছ ভারত অভিযান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া, প্রধানমন্ত্রী জন-ধন যোজনা, জীবন জ্যোতি বীমা যোজনা, স্মার্ট সিটি যোজনা, অতল পেনসন যোজনা, সুরক্ষা বীমা যোজনার মত মোদি সরকারের অনেক উন্নয়ন কর্মকান্ডে মানুষকে সরাসরি সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এবং এই কর্মকাণ্ড গুলোকে মানুষ সব সময়ই দেখতে পারছে।

দেশের অর্থনীতিকে কালো টাকা মুক্ত করতে মোদি সরকার ২০১৬ সালে ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট বাতিল ঘোষণা করে। এমন পদক্ষেপে তিনি বিশ্ব গণমাধ্যমের আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসেন। আর ভারতের দেশপ্রেমিক জনগণও শত দুর্দশার মধ্যেও বিষয়টিকে সমর্থন দেয়।

নরেন্দ্র মোদির কথাবলার ঢং, উচ্চারণ সব কিছুই সধারণ ভারতীয়দের মতোই। তাঁর চেহারাতে আভিজাত্যের ছোঁয়া নেই। খুবই সাধারণ পোশাক পরেন। তিনি বক্তৃতাতে প্রথমে কোনো সঙ্কট ও এতে জনগণ কী রূপে প্রভাবিত হবে তা বর্ণনা করেন। তারপর দেশের ধনীক শ্রেণি এই অবস্থায় কীভাবে লাভবান হবে তা বোঝান। এরপর সংকট থেকে উত্তরনে তিনি ও তার সরকার কি করেছেন তা বলেন। এর পর জনগনকে নিজ স্বার্থে কী করতে হবে তা কৌশলে আরোপ করেন। তাঁর বক্তৃতার ঢং হলো, ‘প্রথম প্রথম আপনাদের কষ্ট হবে। কিন্তু দেশের স্বার্থে আপনাদের সহ্যও করতে হবে।‘ এবং এর মঝেই তিনি জনগণের নীপিড়ন ও দুঃখের ঘটনাগুলো মানুষের মনোযোগ ও আবেগকে প্রভাবিত করেন। তিনি যে বাকপটু আর ১০ জন বিখ্যাত নেতার মতোই মানুষকে প্রভাবিত করতে পেরেছেন তা সবাই মেনে নেবে।

নরেন্দ্র মোদির রাজনৈতিক ইতিহাস যতটা না রোমাঞ্চকর তার থেকে বেশি সরকার বিরোধী। ১৯৭১ সালের শেষে মোদি আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘে যোগ দেন। ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ঘোষণা করেন। তখন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। নরেন্দ্র মোদি গ্রেপ্তারি এড়ানোর জন্য বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করেন। গোপনে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে পুস্তিকা বিতরণ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করতেন। তিনি জয়প্রকাশ নারায়ণের নেতৃত্বে জরুরিকালীন অবস্থা আন্দোলনে সামিল হন। এই সময় তিনি গুজরাট লোকসংঘর্ষ সমিতি নামক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তখন তিনি গুজরাটে বিভিন্ন আন্দোলনকারীদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতেন। এই সময় তিনি গুজরাটি ভাষায় ‘সংঘর্ষ্ মা গুজরাট’ (গুজরাটের সংঘর্ষ) নামে একটি বই লেখেন যেখানে তিনি এই সময়ে ঘটিত বিভিন্ন ঘটনার নিরিখে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। ১৯৮৫সালে নরেন্দ্র মোদিকে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেন।

ভারতীয় জনতা পার্টি একটি কট্টরপন্থী হিন্দুত্ত্ববাদী রাজনৈতিক দল। ২০০১ সালে নরেন্দ্র মোদি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর পদ পান। ২০০২ তে হিন্দু তীর্থ যাত্রী বহনকারী একটি ট্রেনে আগুন লেগে ৬০ জন নিহত হয়য়। এই ঘটনায় গুজরাটে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা শুরু হয়। এতে প্রায় দুই হাজার মানুষ মারা যায়। গোধরা অগ্নিকান্ডে মৃত করসেবকদের দেহ আমেদাবাদ নিয়ে যাওয়ার মোদির নির্দেশকে দাঙ্গায় উস্কানি দেয় মোদি সরকার। পরে শহরে কার্ফু জারী করা হয়য় এবং সেনাবাহিনী মোতায়েন করে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ধর্মীয় সহিংসতায় মোদি সরকারকে বারবারই পক্ষপাতিত্ত্বমুলক আচরণ করতে দেখা যায়।

হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতে নরেন্দ্র মোদির সরকার গোড়া হিন্দুত্ববাদকে প্রশ্রয় দিয়েছে। গোঁড়া হিন্দুত্ত্ববাদী সংগঠন গুলোও মাথা চারা দিয়ে উঠেছে। এতে ভারতে বসবাসকারী মুসলমান অধিবাসীরা নিপীড়নের শিকার হয়েছে বার বার। দেশটির একাধিক স্টেটে গরু সহ বিভিন্ন গবাদি পশু কোরবানি নিষিদ্ধ করা হয়। কোরবানি ঈদে দেশটির মুসলমান অধিবাসিদের পশু কোরবানির মাধ্যমে তাদের ধর্ম পালনে বাঁধা দেওয়া হয়। কোরবানিকে কেন্দ্রকরে মুসল্লিদের উপর হামালাও চালনো হয়েছে।

আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও মোদির অবস্থান স্পষ্ট নয়। এক মাস আগেই ভারত সফরে এসেছিলেন ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট বেনিয়ামিন নেতানিয়ানহু। এই সফরে মোদির ও নেতানিয়ানহুর বন্ধুত্ত্বই বিশ্ববাসী দেখল। আবার ফিলিস্তিন সফরকালে মোদি বললেন ভারত ফিলিস্তিনকে দ্রুত স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়। পাকিস্তান ইস্যুতে ভারতকে জিরো টলারেন্স নীতিতে অবতীর্ণ হতে দেখা গিয়েছে। ভারত পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনাকে দেশ দুটির এখন নিত্য নৈমিত্তিক ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের সাথেও ভারত যে সুপ্রতিবেশির মত আচরণ করছে তা নয়। ট্রাঞ্জিট সহ বিভিন্ন সুবিধা তারা নিচ্ছে। কিন্তু এখনো তিস্তার পানি দিতে তারা রাজি নয়। ভারতে মোদি সরকার বিশ্ব রাজনীতিতে বার বার মন্তব্য করে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করেছে।


বাংলা ইনসাইডার/ডিজি/জেডএ



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নারী চিকিৎসকের সেবা নেওয়া রোগীদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেশি: গবেষণা

প্রকাশ: ০৯:৪০ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নারী চিকিৎসকদের কাছ থেকে চিকিৎসা নিলে রোগীদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা অনেকাংশেই বেড়ে যায়। একইসাথে নারী ডাক্তাদের কাছ থেকে চিকিৎসা গ্রহণ শেষে পুনরায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হবার সম্ভাবনাও অনেকাংশে কম।

চিকিৎসা ক্ষেত্রে নারীদের সুনাম দীর্ঘদিনের। তবে এবার সামনে এসেছে নতুন তথ্য। গবেষণা বলছে, নারী চিকিৎসকের সেবা নেওয়া রোগীদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেশি। বুধবার (২৪ এপ্রিল) এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

চিকিৎসা ও গবেষণাবিষয়ক জার্নাল ‘অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন’ জানিয়েছে, নারী চিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের মৃত্যুহার কম। এমনকি নারীদের কাছে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের পুনরায় হাসপাতালে ভর্তির সম্ভাবনাও কম।

সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ১০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সময়ে এ গবেষণা চালানো হয়েছে। এ সময়ে ৭ লাখ ৭৬ হাজার রোগীর ওপর এ গবেষণা চালানো হয়। এরমধ্যে ৪ লাখ ৫৮ হাজার ১০০ নারী ও তিন লাখ ১৮ হাজার ৮০০ জন পুরুষ ছিলেন।

ওই গবেষণার ফলে বলা হয়েছে, নারী চিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের মৃত্যু ও পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার কম ছিল।

এতে দেখা গেছে, নারী চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেওয়া নারী রোগীদের মধ্যে মৃত্যুর হার ছিল ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ। অন্যদিকে পুরুষ চিকিৎসকের কাছে নারী চিকিৎসা নেওয়া রোগীর মৃত্যুর হার ছিল ৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

অন্যদিকে নারী চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেওয়া পুরুষ রোগীদের মৃত্যুর হার ছিল ১০ দশমিক ১৫ শতাংশ। আর পুরুষ চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেওয়া পুরুষ রোগীদের মৃত্যুর হার ছিল ১০ দশমিক ২৩ শতাংশ।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইয়োসুকে তুগাওয়া নামের এক গবেষক বলেন, নারী চিকিৎসকরা ভালো মানের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। সামাজিক দিক দিয়ে নারী চিকিসৎকদের দিয়ে চিকিৎসা করালে রোগীরা লাভবান হন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোগীদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে নারী চিকিৎসকরা বেশি সময় ব্যয় করেন। তারা রোগীদের রোগ নিয়ে ভালোভাবে খোঁজ নেন। এছাড়া নারী রোগীরা নারী চিকিৎসকদের নিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।

এর আগে ২০২২ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, একজন নারী চিকিৎসক একজন রোগীর পেছনে গড়ে ২৩ মিনিট সময় ব্যয় করেন। অন্যদিকে একজন পুরুষ চিকিৎসক গড়ে একজন রোগীর পেছনে ২১ মিনিট সময় ব্যয় করেন।


নারী   চিকিৎসক  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা চলছেই, নিহত আরও ৭৯

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৭৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৩৪ হাজার হাজার ২৫০ জন।

এছাড়া গত অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৭৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে জানায়, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে এবং গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত আরও ৭৯ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৮৬ জন আহত হয়েছেন বলে বুধবার ওই অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছে না বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের একটি অস্থায়ী রায়কে লঙ্ঘন করে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চালানো বর্বর এই আগ্রাসনে অন্তত ৩৪ হাজার ২৬২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহত এসব বিপুল সংখ্যক ফিলিস্তিনির বেশিরভাগই নারী এবং শিশু। এছাড়া ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৭৭ হাজার ২২৯ জন।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ কোনও ধরনের আশ্রয় ছাড়াই বসবাস করছে এবং প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম ত্রাণবাহী ট্রাক এই অঞ্চলে প্রবেশ করছে।

ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এক অন্তর্বর্তী রায়ে এই আদালত তেল আবিবকে গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদানের নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়।

ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান ফিলিপ লাজারিনির মতে, সাহায্যের ‘অর্থপূর্ণ ও নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের’ মাধ্যমেই শুধুমাত্র উত্তর গাজার দুর্ভিক্ষ এড়ানো যেতে পারে।


গাজা   ইসরায়েল   নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

‘যুক্তরাষ্ট্র সরে এলে বিশ্বের নেতৃত্ব দেবে কে’

প্রকাশ: ০৮:৫২ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি বিশ্বরাজনীতির মঞ্চ থেকে সরে আসে, তাহলে কে বিশ্বের নেতৃত্ব দেবে? এ ধরনের পিছু হটার মনোভাবের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করে দেশের জনগণের কাছে এ প্রশ্ন রেখেছেন তিনি। খবর এনডিটিভির।

আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে লড়তে হবে জো বাইডেনকে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ফ্লোরিডায় এক নির্বাচনী সমাবেশে অংশ নিয়ে বাইডেন বলেন, ‘বিষয়টি এভাবে ভেবে দেখুন—যুক্তরাষ্ট্র যদি বিশ্বরাজনীতির মঞ্চ থেকে সরে আসে, তাহলে কে বিশ্বের নেতৃত্ব দেবে? কে দেবে বিশ্বের নেতৃত্ব?’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, প্রতিটি আন্তর্জাতিক বৈঠকে, সেটা হোক জি-৭ বা জি-২০, যেখানে আমি অন্য রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে উপস্থিত থাকছি। সেখানে এখন একটি বিষয় ঘটছে, সব আন্তর্জাতিক বৈঠক থেকে বের হওয়ার আগে আক্ষরিক অর্থে প্রায় প্রত্যেকে আমার দিকে এগিয়ে আসছেন। তারা আমাকে একপাশে একা পেতে অপেক্ষায় থাকেন এবং হাত ধরে বলেন, আপনাকে জিততে হবে। বাইডেন বলেন, এটা আমার জন্য নয়, বরং আমার বিকল্প যিনি আছেন, সে জন্য।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বিশ্ব নজর রাখছে। এই নির্বাচনে আমরা কীভাবে এগোচ্ছি, সেটা তারা দেখতে চায়। এটা ঠিক এ জন্যই নয় যে আমরা জিতব কি জিতব না, বরং কীভাবে আমরা এগোচ্ছি, সে জন্য।’


যুক্তরাষ্ট্র   বিশ্ব   নেতৃত্ব  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জিম্মি ইসরায়েলি-আমেরিকানের ভিডিও প্রকাশ করল হামাস

প্রকাশ: ০৮:২৫ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জিম্মি থাকা ইসরায়েলি-আমেরিকান তরুণ হার্শ গোল্ডবার্গ-পোলিনের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাস। গতকাল বুধবার ( ২৪ এপ্রিল ) হামাসের একটি টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে ওই ভিডিওটি প্রকাশিত হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। তবে ওই ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি বার্তা সংস্থাটি।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৭ অক্টোবর ২৩ বছর বয়সী গোল্ডবার্গ-পোলিনকে নোভা সংগীত উৎসব থেকে ধরে এনেছিলেন হামাস যোদ্ধারা। ওই দিন ইসরায়েলে ঢুকে ১২ শর বেশি মানুষকে হত্যা এবং দুই শতাধিক মানুষকে ধরে এনে জিম্মি করেছিল হামাস।

ওই ভিডিওতে গোল্ডবার্গকে বলতে শোনা যায়, আমি আমার বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে গিয়েছিলাম। তবে এর পরিবর্তে আমি আমার সারা শরীরে গুরুতর আঘাত দেখেছি। সেইসঙ্গে জীবনের সাথে লড়াই করতে দেখেছি
 
ইসরায়েল বলছে, গত অক্টোবরে হামাসের হাতে অপহৃত ২৫০ জনের মধ্যে এখনও ১২৯ জন গাজায় রয়ে গেছে। এদের মধ্যে ৩৪ জন মারা গেছে বলে ধারণা করছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।


ইসরায়েল   আমেরিকা   জিম্মি   ভিডিও   প্রকাশ   হামাস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মোদির বিরুদ্ধে ইসিতে ২০ হাজার নাগরিকের চিঠি

প্রকাশ: ০৬:৫৪ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের নির্বাচনী প্রচারণায় কংগ্রেস ও মুসলমানদের সরাসরি আক্রমণ করে বক্তব্য দেয়ার প্রতিবাদে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখেছেন প্রায় ২০ হাজার নাগরিক, যে চিঠিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।  

তারা বলছে, নির্বাচনি জনসভায় মোদি যা বলেছেন, তা ভয়ংকর। কমিশন ব্যবস্থা না নিলে নির্বাচনি সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা ও স্বশাসনের চরিত্রকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাবে।

ভারতের নির্বাচনে এবারও ধর্মীয় সংখ্যালঘু বিশেষ করে মুসলিম সম্প্রদায়কে নিশানা করে প্রচারণা চালাচ্ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একইসঙ্গে আক্রমণ করছেন প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসকেও।

সম্প্রতি রাজস্থান ও উত্তর প্রদেশে পরপর দুটি নির্বাচনি জনসভায় কংগ্রেসকে লক্ষ্য করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ক্ষমতায় এলে তারা সাধারণ মানুষের ধন-সম্পত্তি দখল করে মুসলমানদের মধ্যে বিলি-বাটোয়ারা করে দেবে। এ কথা তারা তাদের দলের নির্বাচনি ইশতেহারেও জানিয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংসহ তার সরকারের নীতিনির্ধারকরা এ ধরনের অভিপ্রায়ের কথা বলেছিলেন। এই কংগ্রেসকে জনগণ ভোট দেবে কিনা?

‘তারা কি চান, তাদের কষ্টার্জিত সম্পত্তি, যারা শুধু কাঁড়ি কাঁড়ি বাচ্চার জন্ম দেয়, তাদের মধ্যে বাঁটোয়ারা হোক? তাদের সম্পদের মালিক হোক অনুপ্রবেশকারীরা?’ মুসলমানদের বিদ্রূপ করে প্রশ্ন ছোড়েন মোদি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর দেশটির সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মুসলিমদের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে। এসব উসকানিমূলক বক্তব্য ঠেকাতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে সাধারণ মানুষ।

তবে দুইদিন পেরিয়ে গেলেও ভারতের নির্বাচন কমিশন নিরুত্তর। কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ তো দূরের কথা, মন্তব্য পর্যন্তও করেনি তারা। আর এ অবস্থার মধ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে শুক্রবার।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী   নরেন্দ্র মোদি   লোকসভা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন