ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মোদি নায়ক নাকি খলনায়ক?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২:২৫ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮


Thumbnail

সেদিনের চা বিক্রেতা আজ পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গণতন্ত্রের দেশের প্রধানমন্ত্রী। এই দুর্গম দীর্ঘ পথ পারি দিতে অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়েছেন ভারতের বর্তমানে এই সরকারপ্রধান। বলছি নরেন্দ্র মোদির কথা। তিনি ক্ষমতায় আসার মাত্র তিন বছরের মধ্যেই ভারতের রাজনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন, বলেছে ওয়াশিংটন ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ সেন্টার। তবে একই সঙ্গে তাঁর বিভিন্ন নীতি ও তাঁর দলের নেতৃবৃন্দের বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে সমর্থনের জন্য সমালোচনাও কম হয়নি।

ভারতের জনগণ মনে করে দেশে উন্নয়ন হচ্ছে। দেশ অর্থনৈতিক ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এমনকি ভারতীয় যুব সমাজের কাছেও নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা বর্তমান যে কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের থেকে বেশি। মোদির এই জনপ্রিয়তার রহস্য কী?

নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকার তাদের উন্নয়ন পরিকল্পনাতে সহজেই দৃশ্যমান এমন পরিবর্তনগুলোকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। এতে উন্নয়নের কাজ এবং উন্নয়নগুলো সাধারণ মানুষের উপর প্রভাব ফেলেছে। শুধু তাই নয় মোদি উন্নয়ন কাজগুলোতে সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করতে পেরেছন। যেমন তিনি মন্ত্রিপরিষদ ছোট রেখে ১২৫ কোটি রুপি সাশ্রয় করেছেন। এই উদ্যোগে তার মন্ত্রিপরিষদের প্রতি সাধারণ মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি হয়েছে।

মোদির সেতু ভারত কর্মসূচির আওতায় ২০১৯ সাল নাগাদ ভারতের হাইওয়েগুলোতে কোনো রেলওয়ে ক্রসিং থাকবে না। এই উন্নয়নটি মানুষ সরাসরি ভোগ করতে পারে। এবং এটি সব সময়ই দৃশ্যমান।

২০১৮ সালের মধ্যে ভারতের ১৮ হাজার ৪৫২ টি গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মোদি সরকার। মানুষ এর সুবিধা পেতেও শুরু করেছে।

স্বচ্ছ ভারত অভিযান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া, প্রধানমন্ত্রী জন-ধন যোজনা, জীবন জ্যোতি বীমা যোজনা, স্মার্ট সিটি যোজনা, অতল পেনসন যোজনা, সুরক্ষা বীমা যোজনার মত মোদি সরকারের অনেক উন্নয়ন কর্মকান্ডে মানুষকে সরাসরি সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এবং এই কর্মকাণ্ড গুলোকে মানুষ সব সময়ই দেখতে পারছে।

দেশের অর্থনীতিকে কালো টাকা মুক্ত করতে মোদি সরকার ২০১৬ সালে ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট বাতিল ঘোষণা করে। এমন পদক্ষেপে তিনি বিশ্ব গণমাধ্যমের আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসেন। আর ভারতের দেশপ্রেমিক জনগণও শত দুর্দশার মধ্যেও বিষয়টিকে সমর্থন দেয়।

নরেন্দ্র মোদির কথাবলার ঢং, উচ্চারণ সব কিছুই সধারণ ভারতীয়দের মতোই। তাঁর চেহারাতে আভিজাত্যের ছোঁয়া নেই। খুবই সাধারণ পোশাক পরেন। তিনি বক্তৃতাতে প্রথমে কোনো সঙ্কট ও এতে জনগণ কী রূপে প্রভাবিত হবে তা বর্ণনা করেন। তারপর দেশের ধনীক শ্রেণি এই অবস্থায় কীভাবে লাভবান হবে তা বোঝান। এরপর সংকট থেকে উত্তরনে তিনি ও তার সরকার কি করেছেন তা বলেন। এর পর জনগনকে নিজ স্বার্থে কী করতে হবে তা কৌশলে আরোপ করেন। তাঁর বক্তৃতার ঢং হলো, ‘প্রথম প্রথম আপনাদের কষ্ট হবে। কিন্তু দেশের স্বার্থে আপনাদের সহ্যও করতে হবে।‘ এবং এর মঝেই তিনি জনগণের নীপিড়ন ও দুঃখের ঘটনাগুলো মানুষের মনোযোগ ও আবেগকে প্রভাবিত করেন। তিনি যে বাকপটু আর ১০ জন বিখ্যাত নেতার মতোই মানুষকে প্রভাবিত করতে পেরেছেন তা সবাই মেনে নেবে।

নরেন্দ্র মোদির রাজনৈতিক ইতিহাস যতটা না রোমাঞ্চকর তার থেকে বেশি সরকার বিরোধী। ১৯৭১ সালের শেষে মোদি আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘে যোগ দেন। ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ঘোষণা করেন। তখন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। নরেন্দ্র মোদি গ্রেপ্তারি এড়ানোর জন্য বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করেন। গোপনে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে পুস্তিকা বিতরণ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করতেন। তিনি জয়প্রকাশ নারায়ণের নেতৃত্বে জরুরিকালীন অবস্থা আন্দোলনে সামিল হন। এই সময় তিনি গুজরাট লোকসংঘর্ষ সমিতি নামক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তখন তিনি গুজরাটে বিভিন্ন আন্দোলনকারীদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতেন। এই সময় তিনি গুজরাটি ভাষায় ‘সংঘর্ষ্ মা গুজরাট’ (গুজরাটের সংঘর্ষ) নামে একটি বই লেখেন যেখানে তিনি এই সময়ে ঘটিত বিভিন্ন ঘটনার নিরিখে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। ১৯৮৫সালে নরেন্দ্র মোদিকে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেন।

ভারতীয় জনতা পার্টি একটি কট্টরপন্থী হিন্দুত্ত্ববাদী রাজনৈতিক দল। ২০০১ সালে নরেন্দ্র মোদি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর পদ পান। ২০০২ তে হিন্দু তীর্থ যাত্রী বহনকারী একটি ট্রেনে আগুন লেগে ৬০ জন নিহত হয়য়। এই ঘটনায় গুজরাটে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা শুরু হয়। এতে প্রায় দুই হাজার মানুষ মারা যায়। গোধরা অগ্নিকান্ডে মৃত করসেবকদের দেহ আমেদাবাদ নিয়ে যাওয়ার মোদির নির্দেশকে দাঙ্গায় উস্কানি দেয় মোদি সরকার। পরে শহরে কার্ফু জারী করা হয়য় এবং সেনাবাহিনী মোতায়েন করে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ধর্মীয় সহিংসতায় মোদি সরকারকে বারবারই পক্ষপাতিত্ত্বমুলক আচরণ করতে দেখা যায়।

হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতে নরেন্দ্র মোদির সরকার গোড়া হিন্দুত্ববাদকে প্রশ্রয় দিয়েছে। গোঁড়া হিন্দুত্ত্ববাদী সংগঠন গুলোও মাথা চারা দিয়ে উঠেছে। এতে ভারতে বসবাসকারী মুসলমান অধিবাসীরা নিপীড়নের শিকার হয়েছে বার বার। দেশটির একাধিক স্টেটে গরু সহ বিভিন্ন গবাদি পশু কোরবানি নিষিদ্ধ করা হয়। কোরবানি ঈদে দেশটির মুসলমান অধিবাসিদের পশু কোরবানির মাধ্যমে তাদের ধর্ম পালনে বাঁধা দেওয়া হয়। কোরবানিকে কেন্দ্রকরে মুসল্লিদের উপর হামালাও চালনো হয়েছে।

আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও মোদির অবস্থান স্পষ্ট নয়। এক মাস আগেই ভারত সফরে এসেছিলেন ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট বেনিয়ামিন নেতানিয়ানহু। এই সফরে মোদির ও নেতানিয়ানহুর বন্ধুত্ত্বই বিশ্ববাসী দেখল। আবার ফিলিস্তিন সফরকালে মোদি বললেন ভারত ফিলিস্তিনকে দ্রুত স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়। পাকিস্তান ইস্যুতে ভারতকে জিরো টলারেন্স নীতিতে অবতীর্ণ হতে দেখা গিয়েছে। ভারত পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনাকে দেশ দুটির এখন নিত্য নৈমিত্তিক ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের সাথেও ভারত যে সুপ্রতিবেশির মত আচরণ করছে তা নয়। ট্রাঞ্জিট সহ বিভিন্ন সুবিধা তারা নিচ্ছে। কিন্তু এখনো তিস্তার পানি দিতে তারা রাজি নয়। ভারতে মোদি সরকার বিশ্ব রাজনীতিতে বার বার মন্তব্য করে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করেছে।


বাংলা ইনসাইডার/ডিজি/জেডএ



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মোদির বিরুদ্ধে ইসিতে ২০ হাজার নাগরিকের চিঠি

প্রকাশ: ০৬:৫৪ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের নির্বাচনী প্রচারণায় কংগ্রেস ও মুসলমানদের সরাসরি আক্রমণ করে বক্তব্য দেয়ার প্রতিবাদে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখেছেন প্রায় ২০ হাজার নাগরিক, যে চিঠিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।  

তারা বলছে, নির্বাচনি জনসভায় মোদি যা বলেছেন, তা ভয়ংকর। কমিশন ব্যবস্থা না নিলে নির্বাচনি সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা ও স্বশাসনের চরিত্রকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাবে।

ভারতের নির্বাচনে এবারও ধর্মীয় সংখ্যালঘু বিশেষ করে মুসলিম সম্প্রদায়কে নিশানা করে প্রচারণা চালাচ্ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একইসঙ্গে আক্রমণ করছেন প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসকেও।

সম্প্রতি রাজস্থান ও উত্তর প্রদেশে পরপর দুটি নির্বাচনি জনসভায় কংগ্রেসকে লক্ষ্য করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ক্ষমতায় এলে তারা সাধারণ মানুষের ধন-সম্পত্তি দখল করে মুসলমানদের মধ্যে বিলি-বাটোয়ারা করে দেবে। এ কথা তারা তাদের দলের নির্বাচনি ইশতেহারেও জানিয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংসহ তার সরকারের নীতিনির্ধারকরা এ ধরনের অভিপ্রায়ের কথা বলেছিলেন। এই কংগ্রেসকে জনগণ ভোট দেবে কিনা?

‘তারা কি চান, তাদের কষ্টার্জিত সম্পত্তি, যারা শুধু কাঁড়ি কাঁড়ি বাচ্চার জন্ম দেয়, তাদের মধ্যে বাঁটোয়ারা হোক? তাদের সম্পদের মালিক হোক অনুপ্রবেশকারীরা?’ মুসলমানদের বিদ্রূপ করে প্রশ্ন ছোড়েন মোদি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর দেশটির সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মুসলিমদের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে। এসব উসকানিমূলক বক্তব্য ঠেকাতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে সাধারণ মানুষ।

তবে দুইদিন পেরিয়ে গেলেও ভারতের নির্বাচন কমিশন নিরুত্তর। কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ তো দূরের কথা, মন্তব্য পর্যন্তও করেনি তারা। আর এ অবস্থার মধ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে শুক্রবার।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী   নরেন্দ্র মোদি   লোকসভা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কৃষকদের মাথার খুলি-হাড় নিয়ে বিক্ষোভ

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে, ঋণ শোধ করতে না পেরে আত্মহত্যা করা কৃষকদের মাথার খুলি ও হাড় নিয়ে বিক্ষোভ করেছে ভারতের তামিলনাড়ুরর কৃষকরা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নয়াদিল্লির জন্তর মন্তরে অভিনব এই কায়দায় বিক্ষোভ করেন তামিলনাড়ুর দুইশর জনের মতো কৃষক। জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।

এসময় প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও বাড়ানো হয়নি ফসলের দাম। দাবি জানানো হয় ঋণ মওকুফের। তারা বলেন, ঋণের বোঝা বইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন হাজার হাজার চাষী।

তারা বলেন, কোনো দলের হয়ে নয় বরং সাধারণ কৃষক হয়েই সাহায্য চান তারা। দাবি না মানলে মোদির বিরুদ্ধে লোকসভা নির্বাচনে লড়ারও হুমকি দেন বিক্ষোভকারীরা। একই দাবিতে এই স্থানে এর আগেও বিক্ষোভ করেন ঋণগ্রস্ত কৃষকরা।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় শস্যের দাম দ্বিগুণ করার ঘোষণা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তখন তিনি ঘোষণা করেছিলেন, শস্যের দাম দ্বিগুণ করা হবে এবং নদীগুলোকে আন্তঃসংযুক্ত করা হবে।


ভারত   তামিলনাড়ুর   কৃষক   মাথার খুলি   হাড়   বিক্ষোভ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নুডলসের প্যাকেটে কোটি টাকার হীরা পাচার

প্রকাশ: ০৩:১০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মুম্বাই থেকে ব্যাংকক যাওয়ার পথে এক ভারতীয় পর্যটকের স্যুটকেসের ভেতরে রাখা নুডলসের প্যাকেট থেকে উদ্ধার করা হয় বিপুল অঙ্কের সোনা ও হীরা। ভারতের মুম্বাই বিমানবন্দরে সোমবার ( ২২ এপ্রিল ) রাতে ৬ কোটি ৪৬ লাখ রুপি মূল্যের হীরা ও স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। খবর এনডিটিভির।

সোমবার রাতে একটি যাত্রীর ব্যাগ থেকে ৪ কোটি ৪৪ লাখ রুপি মূল্যের ৬ দশমিক ৮ কেজি সোনা ও ২ কোটি ২০ লাখ রুপির হীরা উদ্ধার হয়েছে। এ সময় ওই যাত্রীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে বিমানবন্দর কর্মকর্তারা। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মুম্বাইয়ের শুল্ক দপ্তরের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানা গেছে।

এছাড়াও, কলোম্বো থেকে মুম্বাই আসা বিদেশী পর্যটকের অন্তর্বাসের ভিতরে লুকানো অবস্থায় পাওয়া যায় ৩২১ গ্রাম ওজনের সোনার বার উদ্ধার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এতো বিপুল পরিমাণ সোনা ও হীরা কোথায় পাচার করছিলো অভিযুক্তরা, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে।


ভারতীয়   পর্যটক   স্যুটকেস   নুডলস   প্যাকেট   হীরা   পাচার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বন্যার পর এবার আরব আমিরাতে ঘন কুয়াশার প্রকোপ

প্রকাশ: ০৩:০১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই এবার ঘন কুয়াশার কবলে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির রাজধানী আবুধাবি ও ওমান সীমান্তবর্তী শহর আল আইনে বসবাসরতদের গাড়ি চালানোর সময় অতিরিক্ত সতর্কতা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে খালিজ টাইমস এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ন্যাশনাল সেন্টার অফ মেটিওরোলজি (এনসিএম) আজ বুধবার পর্যন্ত বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ধূলিঝড়ের জন্য সতর্কতা জারি করেছে। এছাড়াও প্রবল বাতাসের কারণে অনুভূমিক দৃষ্টিসীমা ২ হাজার মিটারের থেকেও কম।

এনসিএম পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ধুলো ও ময়লা বহনকারী উত্তর-পশ্চিমী বাতাস ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এমন অবস্থায় ঘন কুয়াশার কারণে ‘ইয়েলো অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৭৫ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে।


আরব আমিরা   ঘন   কুয়াশার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পাকিস্তান সফর শেষে শ্রীলঙ্কার পথে ইরানের প্রেসিডেন্ট

প্রকাশ: ০২:৫৩ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তিনদিনের পাকিস্তান সফর শেষে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে করাচি ছেড়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কলম্বোর উদ্দেশে বিমানে চড়েন তিনি। এ সময় তাকে পাকিস্তানের গণপূর্তমন্ত্রী রিয়াজ হোসেন পিরজাদা ও সিন্ধু প্রদেশের গভর্নর বিদায় জানান। খবর ইরনার
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের আমন্ত্রণে একদিনের সফরে দেশটির রাজধানী কলম্বো যাচ্ছেন রাইসি। এই সফরে রনিল বিক্রমাসিংহে ইরানের প্রেসিডেন্টকে সঙ্গে নিয়ে দুটি বাঁধ ও একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। প্রায় ৫৩ কোটি ডলারের প্রকল্পটি ইরানি বিশেষজ্ঞরা নির্মাণ করেছেন।

এর আগে গত সোমবার (২২ এপ্রিল) পাকিস্তানে আসেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। গত ৮ এপ্রিল সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর প্রথম বিদেশি সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে তিনি ইসলামাবাদ সফর করেন। ২২ থেকে ২৪ এপ্রিল দেশটিতে অবস্থান করেন ইব্রাহিম রাইসি। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর দেশটির প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক নথিতে স্বাক্ষর করেন রাইসি।

প্রসঙ্গত, মাত্র কয়েক মাস আগে পাল্টাপাল্টি হামলায় ইরান-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। তবে কূটনীতির মাধ্যমে সম্পর্ক জোড়া লাগায় মুসলিম বিশ্বের শক্তিধর এই দুই দেশ। পাকিস্তানের নতুন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর ইব্রাহিম রাইসির এই সফর দুই দেশের সম্পর্ক আরও উন্নত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।


পাকিস্তান   সফর   শ্রীলঙ্কা   ইরান   প্রেসিডেন্ট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন