নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৩ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে আছে তাঁক লাগানো সব ভবন। এগুলোর নির্মাণশৈলী আর নিদর্শন দেখে রীতিমত অবাক হতে হয়। এগুলোর মধ্যে কয়েকটি ভবন হাজার বছরেরও বেশি সময়ের জন্য তাদের স্থানে দাঁড়িয়ে আছে। আজ আমরা জানব এমন দশটি ভবন সম্পর্কে।
কলোসিয়াম, ইতালি
কলোসিয়াম ইতালির রোম শহরের একটি উপবৃত্তাকার ছাদবিহীন মঞ্চ। রোমান সাম্রাজ্যে নির্মিত এই গ্যালারি বা মঞ্চকে সেসময়ের শাসকরা গ্লাডিয়েটরসদের মধ্যে লড়াইয়ের প্রতিযোগিতার প্রদর্শনী বা জনগণের উদ্দেশ্যে অন্য কোনো প্রদর্শনীর কাজে ব্যবহার করত। এর নির্মাণে ব্যবহার হয় পাথর এবং কংক্রিট। কলোসিয়াম ৬ একর ভূমির উপর নির্মাণ করা হয়েছে। এর দৈর্ঘ্য ১৮৯ মিটার এবং প্রস্থ ১৫৬ মিটার। কলোসিয়ামে ছিল ৮০টি প্রবেশদ্বার। সেখানে ৫০ হাজার দর্শক একসঙ্গে বসে গ্লাডয়েটরদের লড়াই উপভোগ করতে পারত। রোমান সাম্রাজ্যের সকল নাগরিকের এই জায়গায় বিনামূল্যে প্রবেশাধিকার ছিল। ইউনেস্কো কলোসিয়ামকে ১৯৯০ সালে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী অঞ্চলের স্বীকৃতি দেয়। এটি পৃথিবীতে মনুষ্যসৃষ্ট আধুনিক সপ্তাশ্চর্যের একটি বলে নির্বাচিত হয় ২০০৭ সালে।
পিসার লিনিং টাওয়ার, ইতালি
পিসার লিনিং টাওয়ার ইতালির পিসা শহরের ক্যাথিড্রাল সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত একটি হেলানো টাওয়ার। এটি বিশ্বের সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ভবনগুলোর মধ্যে একটি। এই টাওয়ারের নির্মাণ কাজ ১৩৭২ সালে সম্পন্ন করা হয়েছিলো এবং নির্মাণের সময় এই বিখ্যাত টাওয়ারের একপাশ নরম ভিত্তির কারণে ক্রমশ হেলতে থাকে। বর্তমানে এ অবকাঠামোটিকে রক্ষা করতে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করায় এটির হেলে পড়া রোধ এবং ভূপাতিত হওয়া থেকে রক্ষা করতে পেরেছে। এই লিনিং টাওয়ারের সামনে ছবি তোলা পর্যটকদের খুবই প্রিয়।
সেইন্ট বাসিল ক্যাথিড্রাল, রাশিয়া
অনেক সিনেমাতে এই বিখ্যাত ভবনটি দেখা গেছে। এটি সেইন্ট বাসিলের ক্যাথিড্রাল যা রাশিয়ার মস্কোতে রেড স্কোয়ারে অবস্থিত গীর্জা। এই ভবনটি নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৫৬১ সালে, এটি ১৬০০ সালে ইয়ান গ্রেট বেল টাওয়ার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এটি শহরের মধ্যে সবচেয়ে উঁচু ভবন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। কয়েকটি ছোট গীর্জাসহ মূল ভবনটির বৈশিষ্ট্য বিশ্ব বিখ্যাত হয়ে উঠে। এটি চার শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে টিকে আছে।
বুর্জ খলিফা, সংযুক্ত আরব আমিরাত
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অবস্থিত বুর্জ খলিফা বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে উচ্চতম আকাশচুম্বী অট্টালিকা। এই দালানের উচ্চতা প্রায় ৮১৮ মিটার । এই চমৎকার ভবনটির নির্মাণ কাজ ২০০৯ সালে সম্পন্ন হয় এবং ২০১০ সালের ৪ জানুয়ারি উদ্বোধন করা হয়। দুবাই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভের পর এই বুর্জ খলিফা নির্মিত হয় এবং ভবনটির কাজ শেষ হওয়ার পর স্থাপত্যের ক্ষেত্রে মানবজাতির শ্রেষ্ঠত্বের একটি বিশাল অর্জন অর্জিত হয়। এটি নিঃসন্দেহে আরব আমিরাতের সবচেয়ে দর্শনীয় এবং আকর্ষণীয় স্থান। তবে পর্যটকদের কাছে আরো আকর্ষণীয় স্থান হলো এই ভবনের ১২৪ তলার উপরে প্রকৃতি দর্শনের জন্য পর্যবেক্ষণ ডেকটি। এখান থেকে পুরো দুবাই দেখা যায়।
ডান্সিং বিল্ডিং, চেক রিপাবলিক
পৃথিবীর আশ্চর্যজনক নির্মাণগুলির মধ্যে এটি অন্যতম।
লা পেদ্রেরা, স্পেন
স্পেনের এই আশ্চর্য বহুতলটি কাসা মিলা নামে বিশ্বজুরে খ্যাত। এই বিল্ডিংয়ের ইতিহাস বলছে, এক দম্পতির জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল। আকর্ষণীয় এই বাড়ির যত প্রশংসাই করা হোক কম মনে হবে।
পেট্রোনাস টাওয়ার, মালয়েশিয়া
উচ্চতারদিক থেকে বর্তমান বিশ্বে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মালয়েশিয়ার টুইন টাওয়ার বা পেট্রোনাস টাওয়ার। তবে ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত এ টাওয়ারটি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু টাওয়ার ছিল। ৮৮ তলাবিশিষ্ট পেট্রোনাস টুইন টাওয়ারটির অবস্থান মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের কেন্দ্রস্থলে। এ টাওয়ারটি তৈরি করতে সময় লেগেছে একটানা সাত বছর। মালয়েশিয়ার মোবাইল কোম্পানি মাক্সিস ও তেল কোম্পানি পেট্রোনাসের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত হয়েছে এই টাওয়ার।
সিডনি অপেরা হাউস
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে অবস্থিত সিডনি অপেরা হাউস একটি মাল্টি-ভ্যেনু শিল্পকেন্দ্র, এটি বিশ শতকের আধুনিক স্থাপত্যকলার অন্যতম এবং বিখ্যাত ভবনগুলোর মধ্যে একটি। অনেক ধরনের অনুষ্ঠান এখানে অনুষ্ঠিত হয়। এটির আকৃতি নৌকার পালের মতো দেখতে। এই বিস্ময়কর ভবনের নির্মাণ কাজ ১৯৭৩ সালে সম্পন্ন হয় এবং বিট্রেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ একই বছর আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন । এটি অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থানগুলোর মধ্যে এটি একটি এবং বিশ্বের অসংখ্য পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। এটি ২০০৭ সালে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের স্বীকৃতি লাভ করে।
লোটাস মন্দির, দিল্লী
দিল্লীর নেহরম্ন প্রাসাদের বিপরীতে অনেকখানি উন্মুক্ত জায়গায় লোটাস মন্দির স্থাপিত। বাহাই সম্প্রদায়ের এই আরাধনা ঘরটির অত্যাধুনিক নির্মাণশৈলী আকর্ষণীয় এবং মার্বেল পাথরের ব্যবহার চোখে পড়ার মতো। লোটাস মন্দিরের আকৃতি পদ্মফুলের মতো। বাহাইদের এই আরাধনা কেন্দ্রটি এক অপূর্ব ঐতিহ্য। লোটাস মন্দিরের ভেতরের অংশে প্রার্থনা ঘর, অভ্যর্থনা কেন্দ্র, লাইব্রেরি এবং প্রশাসনিক দফতর। সন্ধ্যাবেলা ফ্লাডলাইটের আলোতে লোটাস মন্দিরের সৌন্দর্য অনেক বৃদ্ধি পায়।
কৃত্রিম লেকের মাঝে তৈরি মন্দিরের আকৃতি পদ্মফুলের মতো বলেই এমন নামকরণ ।
ফলিংওয়াটার
পেনসিলভেনিয়ার "ফলিংওয়াটার" বাড়িটির অবস্থান একটি জলপ্রপাতের ওপরে। আমেরিকান স্থপতি ফ্রাংক লয়েড রাইট-এর নকশা করা এই বাড়িটি এখন একটি জাদুঘর। ‘ফলিংওয়াটার’ বাড়িটির যে কোনো শোবার ঘর থেকে জলপ্রপাতের আওয়াজ শোনা যায় আর বসার ঘরে পায়ের নিচে জলপ্রপাতটি দেখাও যায়।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
ইউক্রেন পশ্চিমা এফ-১৬ বিমান ভ্লাদিমির পুতিন
মন্তব্য করুন
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচারে হামলা ও অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। কিন্তু দিন দিন হামলার ধরন নৃশংসতা ছাড়িয়ে যাচ্ছে দখলদার বাহিনীর। ইসরায়েলি নৃশংশতা থেকে রেহাই পাচ্ছে না নিরীহ মানুষ থেকে শুরু করে শিশুরাও।
কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার হাতে এসেছে এক এক্সক্লুসিভ ভিডিও। যেখানে দেখা যাচ্ছে সৈকতে দুই নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি পুরুষকে গুলি করে হত্যা করেছেন ইসরায়েলি সেনারা। পরে সামরিক বুলডোজার দিয়ে মরদেহ দুটি বালুচাপা দেন তারা। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার একটি সৈকতে এই ঘটনা ঘটে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সৈকতে দুই নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি হাঁটছিলেন। একপর্যায়ে তাদের একজনকে বারবার একটি সাদা কাপড় নাড়তে দেখা যায়। কোনো হুমকি সৃষ্টি না করা সত্ত্বেও ওই দু'জনকে গুলি করে হত্যা করেন ইসরায়েলি সেনারা। পরে ইসরায়েলি সামরিক বুলডোজার এনে লাশ দুটি বালুচাপা দেন তারা।
এদিকে দুই নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিকে হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সংগঠনটি বলছে, এই ঘটনা ইসরায়েলি ফ্যাসিবাদ ও অপরাধের মাত্রার আরও প্রমাণ হাজির করে। এটাই জায়নবাদী আচরণকে পরিচালিত করে।
আর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মুসলিম নাগরিক অধিকার গোষ্ঠী কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস (সিএআইআর) বলেছে, গাজার সৈকতে দুই নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি পুরুষকে হত্যা এবং বুলডোজার দিয়ে লাশ দুটি বালুর নিচে চাপা দেয়ার ঘটনার অবশ্যই জাতিসংঘকে তদন্ত করতে হবে।
ফিলিস্তিন হত্যা বুলডোজার ইসরায়েল
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলে বসতি স্থাপনকারীরা গাজার সমুদ্র উপকূলে প্লট কিনছে। তারা অবরুদ্ধ উপত্যাকাটিও গ্রাস করতে চাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে ড্যানিয়েলা ওয়েইসিস (৭৮) নামের ইসরাইলি এক নারী জানিয়েছেন, গাজায় বসতি স্থাপন করতে যাওয়া ৫০০ ব্যক্তির তালিকা তার কাছে আছে।
তিনি জানিয়েছেন, তেল আবিবে বসবাস করা তার অনেক বন্ধুও নাকি গাজার সমুদ্র তীরে প্লট কিনতে আগ্রহী। তার মতে এই উপকূলীয় এলাকা সুন্দর। এর সোনালি বালু মনোমুগ্ধকর। সমুদ্র উপকূলে তাদের প্লট এরইমধ্যে বুক করা হয়ে গেছে। ড্যানিয়েলা ‘নাচালা’ নামের একটি উগ্রপন্থি বসতিস্থাপনকারী সংগঠনের প্রধান। দশকের পর দশক ধরে তিনি পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইহুদি বসতি স্থাপনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।
২০০৫ সালে ইসরায়েল গাজায় একতরফাভাবে বসতি স্থাপনকারীদের সরে যেতে নির্দেশ দেয়। তখন ২১টি বসতি ভেঙে ফেলা হয়েছিল এবং বসতির প্রায় ৯ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নিয়েছিলেন ইসরায়েলের সেনারা। এরপর থেকেই বসতি স্থাপনকারী আন্দোলনের পক্ষের অনেকেই গাজায় ফিরে যাওয়ার স্বপ্ন লালন করে আসছে।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে ৭ অক্টোবরের পর থেকে এখন ৩২ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। আহদের সংখ্যাও লাখ ছোঁয়ার পথে। এদিকে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন অবরুদ্ধ উপত্যাকাটির ২০ লাখের মতো বাসিন্দা।
গাজা সমুদ্র তীর প্লট বুকিং ইসরায়েল
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রের রকফোর্ডের উত্তর ইলিনয়ে ছুরিকাঘাতে ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ৭ জন। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতের পরিচয় জানা না গেলেও পুলিশ জানিয়েছে, তাদের মধ্যে একজন ১৫ বছর বয়সী তরুণী, ৬৩ বছর বয়সী এক নারী, ৪৯ বছর বয়সী এক পুরুষ এবং ২২ বছর বয়সী একজন তরুণ রয়েছেন।
রকফোর্ড পুলিশের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম ইউএসএটুডে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর ইলিনয়ে এক ব্যক্তির ছুরিকাঘাতে ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৭ জন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় ২২ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হামলা উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনো কোনো তথ্য জানা যায়নি।
পুলিশ বলেছে, যে এলাকার বাসিন্দাদের ওপর হামলা হয়েছে, সেখানের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। ওই এলাকা নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
চলতি সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম আবারও বেড়েছে। বিশ্বজুড়ে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলার স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। পাশাপাশি মার্কিন ট্রেজারি ইল্ড নিম্নমুখী হয়েছে। ফলে নিরাপদ আশ্রয় ধাতুটির দাম বেড়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের আরও অর্থনৈতিক তথ্য পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। কারণ, এর ওপরই নির্ভর করে সুদের হার কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। এর আগে ইউএস ট্রেজারি বন্ড ইল্ড নিম্নগামী হয়েছে। ফলে বুলিয়ন বাজার আরও চাঙা হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে শুক্রবার (২৮ মার্চ) স্পট মার্কেটে বৈশ্বিক বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের মূল্য সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি আউন্সের দর স্থির হয়েছে প্রায় ২১৯৫ ডলারে। গত ২২ মার্চ যা ছিল ২১৬৭ ডলার। সেই হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে মূল্যবান ধাতুটির দাম ঊর্ধ্বগামী হয়েছে ২৮ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩০৭৪ টাকা।
বিশ্ববিখ্যাত আর্থিক প্রতিষ্ঠান টেস্টিলাইভের বৈশ্বিক সামষ্টিক অর্থনীতির প্রধান ইলিয়া স্পিভাক বলেন, সুদের হার কমানোর আভাস দিয়েছেন ফেডের নীতি-নির্ধারকরা। তবে বিশ্বব্যাপী এখনও ভূ-রাজনৈতিক উদ্বেগ রয়ে গেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত বিদ্যমান। তাতে স্বর্ণ সমর্থন পাচ্ছে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ ধাতুটির মূল্য বাড়তি রয়েছে।
গত সপ্তাহে ফেড সংকেত দেয়, ২০২৪ সালে তিনবার সুদের হার কমাতে পারে তারা। এরপর থেকেই প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রা ডলার চাপে পড়েছে। একই সঙ্গে স্বর্ণের বিশ্ববাজারে ঔজ্জ্বলতা বেড়েছে।
বিশ্ববাজার স্বর্ণ যুক্তরাষ্ট্র মুদ্রা ডলার
মন্তব্য করুন
তিনি জানিয়েছেন, তেল আবিবে বসবাস করা তার অনেক বন্ধুও নাকি গাজার সমুদ্র তীরে প্লট কিনতে আগ্রহী। তার মতে এই উপকূলীয় এলাকা সুন্দর। এর সোনালি বালু মনোমুগ্ধকর। সমুদ্র উপকূলে তাদের প্লট এরইমধ্যে বুক করা হয়ে গেছে। ড্যানিয়েলা ‘নাচালা’ নামের একটি উগ্রপন্থি বসতিস্থাপনকারী সংগঠনের প্রধান। দশকের পর দশক ধরে তিনি পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইহুদি বসতি স্থাপনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।
চলতি সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম আবারও বেড়েছে। বিশ্বজুড়ে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলার স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। পাশাপাশি মার্কিন ট্রেজারি ইল্ড নিম্নমুখী হয়েছে। ফলে নিরাপদ আশ্রয় ধাতুটির দাম বেড়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।