নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩৭ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
হিন্দুদের পারলৌকিক ক্রিয়া সাধারণত সম্পন্ন হয় ১০ বা ১৩ দিনে। ইসলাম ধর্মমতে ৪০ দিন পরে সম্পন্ন হয় পারলৌকিক কাজ। খ্রিস্ট ধর্ম অনুযায়ী কবরস্থ হওয়ার প্রাক্কালে সম্পন্ন হয় সমবেত প্রার্থনা। সেখানে শোক পালনের সময়কালটি একান্ত ভাবেই ব্যক্তিগত। প্রায় প্রতিটি ধর্মেই রয়েছে মৃতের আত্মার উদ্দেশে স্মরণ-ভোজ বা ফিউনেরাল ফিস্ট। এটা মৃতকে অসম্মান করার জন্য নয়, তাঁর আত্মাকে তৃপ্ত করার প্রতীক হিসেবেই আয়োজিত হয়।
কেন এই শোকপালন? জীবিত নিকটজন শোক পালন করলেই কি আত্মা মায়ামুক্ত হয়? এর কোনো উত্তর আমাদের কাছে নেই। তবু অনুমান করা যায়, শোক পালনের এই সময়কালটি নির্দিষ্ট হয় আত্মাকে এটুকু বোঝানোর উদ্দেশ্যে যে, সে বিগত। পরলোক বিশেষজ্ঞরা জানান, সেই বিদেহী আত্মাই তার নিকটজনের কাছে ঘোরাফেরা করে, যারা নিজের মৃত্যুকে টের পায়নি। বিশ্বাস করতে পারেনি, সে ইহলোক ত্যাগ করেছে। পরলোক বিশেষজ্ঞরা বিবিধ অ্যাস্ট্রাল প্লেনের কথা বলেন। আত্মা সেই সব স্তর পরিভ্রমণ করে বলেও তাঁরা জানান। তাঁদের এই সিদ্ধান্ত দাঁড়িয়ে রয়েছে প্ল্যানচেট বা সিয়াঁস-সংক্রান্ত অভিজ্ঞতার উপরে। মজার ব্যাপার, বিভিন্ন সময় ও কালের বিভিন্ন প্যারানর্মালবিদ একই বর্ণনা দিয়ে গিয়েছেন, দিয়ে চলেছেন।
কিন্তু এতেও বোঝা সম্ভব নয়, ঠিক কতদিন বিদেহী আত্মা প্রেতাবস্থায় বিচরণ করে। হিন্দু ধর্মে বিধান রয়েছে নিকটজনের মৃত্যুর বাৎসরিক শ্রাদ্ধের । তা হলে কি এক বছর সময় লাগে মায়ার বাঁধন কাটতে? না, তেমন কোনও নির্ধারিত সময়ের কথাও তো কেউ বলেননি! প্যারনর্মালবাদীদের একাংশ জানান, মৃতেরা জীবিতদের কোনও দিনই ছেড়ে যান না। তাঁরা ‘সাথে সাথে’-ই ঘোরেন। তবে তাঁদের অবস্থান ঘটে অন্য টাইম অ্যান্ড স্পেস-এ। এই যুক্তিকেই ব্যবহার করেছেন জে কে রাওলিং তাঁর ‘হ্যারি পটার’ সিরিজে। হ্যারির প্রয়াত মা-বাবা, তার গডফাদার সিরিয়াস ব্ল্যাক— সকলেই হ্যারির সঙ্গেই থাকে। কেবল একটা আবছা পর্দা বিরাজ করে তাদের মাঝখানে।
এই কারণেই কি বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় দেখা দেন বেশ কিছু নামকরা মানুষের প্রেতাত্মা? ‘নেয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্স’ বিষয়ে দীর্ঘ গবেষণা করেছেন মার্কিন দেশের রেমন্ড মুডি। তাঁর কথায় ১৯৭৭ সালে প্রয়াত সঙ্গীত তারকা এলভিস প্রিসলির প্রেতাত্মাকে নাকি আজও দেখা যায় মেমফিস অঞ্চলে। ফরাসি বিপ্লবে নিহত রাণি মারি আঁতানোয়েৎকেও নাকি অনেকেই দেখেছেন প্যরিসের কোনো কোনো জায়গায়। এঁরা কি অনুভব করেননি এঁদের মৃত্যুকে? নাকি উত্তর দেওয়ার জন্যে এঁরা কেউ ফিরে আসেননি।
৫০০০ বছর আগে প্রয়াত মিশরীয় লেখক আমেনহোটেপের আত্মার কথাও এই প্রসঙ্গে উঠে আসে। তিনিই বিখ্যাত ‘বুক অফ ডেড’-এর রচয়িতা। তাঁর প্রেতকে প্রত্যক্ষ করেছেন, এমন দাবি করা মানুষের সংখ্যাও কম নয়। অথচ প্রাচীন মিশরীয়রাই বিশ্বাস করতেন, ৪০ দিন বিদেহী আত্মা তার নিকটজনের কাছে ঘোরাফেরা করে।
হিন্দুরা মৃতের দেহাবশেষ নদীতে বিসর্জন দেয়। খ্রিষ্টানরা তাদের মৃতদেহ কবরস্থ করে। মুসলমানরাও মৃতদেহ কবরস্থ করে। দেহাস্থি বিসর্জনের অর্থ, দেহ সংক্রান্ত সংস্কার থেকে মৃতের আত্মাকে মুক্তি দেওয়া। কিন্তু তার পরেও প্রেতরা ফিরে আসে।
কেন ফিরে আসে প্রেত? মায়া ছাড়াও আর একটি বিষয়ের কথা বলেন অতিপ্রাকৃতবাদীরা। অনেক সময়েই নিজের অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে প্রেতরা ফিরে আসে— এমন মতকেও ফেলে দেওয়া যায় না।
মায়া ছাড়াও, ঈর্ষা, প্রতিশোধস্পৃহা ইত্যাদিও প্রেতকে আটকে রাখে জীবিতের জগতে। ‘মুক্তি’-র বিষয়টা নির্ভর করে তার হাতেই। এমন কথা অনেকেই মনে করেন। কিন্তু যদি পরলোক ইহলোকের সঙ্গে সঙ্গে থাকা এক সমান্তরাল জগৎ হয়ে থাকে, যদি প্রয়াতরা জীবিতের পাশাপাশিই থেকে যান, তা হলে ক্ষতি কোথায়? বরং এমন কনসেপ্ট তো জীবিতকেই আশ্বাস জোগায় তার চরম নিঃসঙ্গতার মুহূর্তে, তার সংকটের কালে। এ থেকেই জীবিত আর মৃতদের নিয়ে গড়া যায় এক সামগ্রিক জগতের কল্পনা। যা হয়তো অনেক অবসাদ থেকে রক্ষা করে জীবিতদের। হয়তো প্রয়াতদেরও। সে খবর আমরা পাবো না।
সূত্রঃ এবেলা
বাংলা ইনসাইডার/এএফ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ইসরায়েল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা লেবানন
মন্তব্য করুন
ছায়াপথের বৃহত্তম কৃষ্ণগহ্বর খুঁজে পাওয়ার দাবি করেছেন ফ্রান্সের গবেষকেরা। সূর্যের চেয়ে ৩৩ গুণ ভারী এটি। বুধবার (১৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন আবিষ্কৃত কৃষ্ণগহ্বরটির নাম গাইয়া বিএইচ৩। মূলত, ইউরোপের মহাকাশ সংস্থার গাইয়া মিশনের সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করতে গিয়ে এটির খোঁজ পাওয়া যায়।
গাইয়ার টেলিস্কোপ মূলত আকাশে কোনো নক্ষত্রের নিখুঁত অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর তথ্য থেকে জ্যোতির্বিদেরা নক্ষত্রের ভর, কক্ষপথ ও তাদের অদৃশ্য সঙ্গীকে খুঁজে বের করতে পারেন। গাইয়া মিশনটি পৃথিবী থেকে ২
হাজার আলোকবর্ষ দূরে আকুইলা গ্রহাণুপুঞ্জে বিএইচ৩ নামের কৃষ্ণগহ্বরটিকে শনাক্ত করেছে।
মন্তব্য করুন
উন্নয়নের নতুন এক অধ্যায়ে পা রাখল পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা। এবার যুক্ত হলো চালকবিহীন মেট্রোরেল।
সোমবার (১৬ এপ্রিল) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে এই চালকবিহীন মেট্রো। এদিন ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর শিয়ালদহ থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ রুটে যাত্রার মধ্য দিয়ে এই পরিষেবার উদ্বোধন করা হয়।
পরিষেবাটি চালু হওয়ার ফলে অটোমেটিক ট্রেন অপারেশনে সময়ের ব্যবধান দুই থেকে তিন মিনিটের মতো কমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে শিয়ালদহ থেকে সেক্টর ফাইভের মধ্যে মেট্রো পরিষেবার ব্যবধান ২০ মিনিটের বদলে ১৭ মিনিট হবে। অন্যদিকে সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদহ পৌঁছাতে ২০ মিনিটের জায়গায় লাগবে ১৮ মিনিট। তবে দিনের প্রথম এবং শেষ মেট্রো পরিষেবার সময়সূচি একই থাকবে বলে জানা গেছে।
অবশ্য নতুন ব্যবস্থায় ট্রেনগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলতে সক্ষম হলেও চালকের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে সেগুলোতে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, কলকাতা শহরে মেট্রোরেলের এ পরিষেবাটি একেবারেই নতুন। তাই শুরুর দিকে মেট্রোতে চালকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হচ্ছে। তবে মেট্রোতে চালক থাকলেও এটি পরিচালনায় তাদের তেমন কোনো ভূমিকাই থাকছে না।
কলকাতা মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার পি উদয়কুমার রেড্ডি বলেছেন, কলকাতার যাত্রীদের কাছে এটি একেবারেই নতুন বিষয়। তাই চালকবিহীন মেট্রো রেক নিয়ে যাত্রীদের মনে অনেকটা উদ্বেগ বা উৎকণ্ঠা তৈরি হওয়া স্বাভাবিক বিষয়। তাই স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেট্রো রেক চালানো গেলেও শুরুর দিকে যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে কেবিনে চালক উপস্থিত থাকবেন।
কেবিনে চালকদের ভূমিকার বিষয়ে উদয় কুমার রেড্ডি জানান, বাস্তবিকভাবে সেখানে তাদের কোনও প্রকার ভূমিকাই থাকবে না। যাত্রীরা এই ব্যবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া শুরু করলেই পরবর্তীতে এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তিত হতে পারে।
চালকবিহীনে এই মেট্রো পরিচালনার বিষয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো লাইনে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এতে করে কন্ট্রোল রুম থেকেই মেট্রোর যাবতীয় গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। ফলে যাত্রীবোঝাই মেট্রোটি চালকবিহীনভাবেই যাতায়াত করতে পারবে।
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলের ওপর ইরানের নজিরবিহীন সরাসরি হামলার দুই দিন পর উত্তেজনা বিরাজ করছে তেহরানে। শনিবার রাতে ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডস কর্পস-এর ৩শ’ টির বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার পর পাল্টা আক্রমণের হুঁশিয়ার দিয়েছে তেল আবিব। খবর বিবিসি।
তবে এরইমধ্যে ইরানের হামলার সমর্থন দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশের জনগণ। ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইরানের প্রশংসাও করছে অনেকে।
এদিকে, ইরানের শহরগুলোর দেয়ালে কিছু গ্রাফিতি দেখা গিয়েছে যেখানে লিখা, “ইসরায়েল, আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির বাড়িতে আঘাত কর।”
অন্যদিকে, ইরান সরকারের নিজস্ব বিলবোর্ড রয়েছে যাতে লেখা রয়েছে, ” তেল আবিব আমাদের রণক্ষেত্র, তেহরান নয়।”
ঘটনা যেন এখানেই শেষ নয়! আইআরজিসি হামলার পরপরই, ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের সমর্থকরা উদযাপন করেছে এবং তেহরানের একটি বিল্ডিং থেকে ব্যানার ঝুলানো হয়েছিল যাতে লিখা রয়েছে, “পরবর্তী থাপ্পড় আরও ভয়ানক হবে।”
আইআরজিসি হামলার পরপরই মার্কিন ডলারের বিপরীতে ইরানি রিয়ালের মূল্য কমে গেছে। ঠিক যেমনটি সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে ইসরায়েলের হামলার পর ইতিমধ্যেই হয়েছিল।
মন্তব্য করুন