ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

অল্পের জন্য জীবন রক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩:১৯ পিএম, ১৩ মার্চ, ২০১৮


Thumbnail

বলা হয়ে থাকে বিমান দুর্ঘটনার ৮০ শতাংশই ঘটে পাইলটের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে। কথাটির সত্যতা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। বিভিন্ন কারণেই বিমান দুর্ঘটনাতে পরতে পারে। এমন অনেক নজির রয়েছে যখন শুধুমাত্র পাইলটের পারদর্শিতার কারণেই বিমান দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফিরেছেন শত শত যাত্রী।

১৯৮২ সালের ২৪ জুন। ব্রিটিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট হিথ্রো থেকে অকল্যান্ড যাচ্ছিল। তখন মাউন্ট গালুংগং এর সক্রিয় আগ্নেয়গিরি তার অবস্থান জানান দিচ্ছিল। বিমানটি জাকার্তার কাছে এসে আগ্নেয়গিরির ছাইয়ের কুণ্ডলীর কবলে পড়ে। বিমানের চারটি ইঞ্জিনই বিকল হয়ে যায়! বিমানের ক্যাপটেন এরিক মুডি মাইক্রোফোনে বললেন, ‘ ভদ্র মহিলা ও মহোদয়গণ আমি আপনাদের ক্যাপটেন বলছি। আমাদের একটি ছোট সমস্যা হয়েছে। চারটি ইঞ্জিনই বিকল হয়ে পড়েছে। আমরা এগুলোকে চালু করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’

তখন যাত্রীরা তাদের প্রিয়জনদের উদ্দেশ্যে বার্তা লিখতে শুরু করলেন। আর ক্যাপটেন মুডি হিসেব করে দেখলেন তাঁরা ৯১ মাইল পর্যন্ত খাড়া ভাবে নামতে পারবেন। ১৩ হাজার ৫০০ ফিট খাড়াভাবে নামার পড় ইঞ্জিনগুলো আবার কাজ করতে শুরু করে। এ যাত্রায় অল্পের জন্য রক্ষা পেল   জুন। ব্রিটিশ এয়ারলাইন্সের ওই বিমানে থাকা সকল যাত্রী।

১৯৯০ সালের ১০জুন ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের ফ্লাইট ৫৩৯০ মালাগার উদ্দেশ্যে ৮১জন যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করল। পাইলটরা তখনো জানতো না বিমানের সামনের উইন্ডস্ক্রিন প্যানেলটি ত্রুটিপূর্ণ। ১৭ হাজার ফিট উপড়ে উড়ন্ত বিমানেই খুলে এলো উইন্ডস্ক্রিন। পাইলট উইন্ডস্ক্রিন দিয়ে অর্ধেক বেরিয়ে এলেন। আর তাঁর বাকি অর্ধেক ভেতরে। কেবিন ক্রুরা তাকে প্রাণপণে টেনে ধরেছেন। এসময় ৩০০ মাইল প্রতি ঘণ্টা বেগে বিমানে বাতাস ধুকতে শুরু করে। কোপাইলট আটকিসন বাতাসের শব্দে কন্ট্রোল রুমের নির্দেশনা শুনতে পারছিলেন না। নিজ পারদর্শিতায় বিমান রানওয়েতে সাউথহ্যাম্পটনে অবতরণ করলেন। পাইলট ততক্ষণে বাতাসের শীতল স্পর্শে অনেকটাই জমে গেছেন আর একটি হাত ভেঙ্গেছে।

সাম্প্রতিক সময়ে বিমানের হাডসন নদীতে অবতরণের ঘটনাটি বেশ পরিচিত। ২০০৯ সালের ১৫ই জানুয়ারি। ইউএস এয়ারওয়েসের ১৫৪৯ ফ্লাইটটিতে এক ঝাঁক কানাডার হাঁস উড়ে এসে আছড়ে পরে। এতেই বিকল হয়ে যায় বিমান। বিমানটিতে তখন ১৫৫ জন যাত্রী ছিল। ওই বিমানের পাইলট সুলেনবারজার বলেছিলেন পানিতে কীভাবে অবতরণ করতে হয় শুধু শ্রেণীকক্ষেই পাঠ্য পুস্তকে পরেছিলেন। হাডসন নদীতে সফল ভাবে বিমানটি অবতরণ করতে সক্ষম হন পাইলট সুলেনবারজার। তিনি সকল যাত্রীকে প্লেন থেকে নিরাপদে বের করে নিজে উদ্ধারকারী জাহাজে উঠে আসেন।

১৯৭২ সালের ১২ জুন। মার্কিন এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৯৬ লস এঞ্জেলস থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করে। ডেট্রয়েটে বিরতির পর আবার উড্ডয়ন করলে আকাশেই এই ফ্লাইটের কার্গোর সামনের দরজা উড়ন্ত অবস্থায় ভেঙ্গে পড়ে। বিমনাটি এসময় মাত্র ১৪ হাজার ফিট লিমিটের নিচে নেমে আসে। এতে একটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এসময় বিমানের ক্যাপটেইন ব্রাইস ম্যাককোমমিক ঘটনার ভয়াবহতা বুঝতে পেরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। ঘোষণার পর বিমানের যাত্রীরা সিটবেল্ট বেঁধে অক্সিজেন মাস্ক পড়েন। এর পর তিনি ডেট্রয়েটে অবতরণ করতে সফল হন।

১৯৮৩ সালের ২৩ জুলাই কানাডার ফ্লাইট ১৪৩ গিমিলি গ্লাইডার এর ফুয়েল শেষ হয়ে যায়। পাইলট এত জোরেই ল্যান্ড করেন যে বিমানের টায়র দুটি একরকম উড়ে যায়। তাঁর পরও শুধু মাত্র বৈমানিকের দক্ষতায় সেবার গ্লাইডারের আরোহীরা সবাই বেঁচে যান।

এছাড়া আলোহা ফ্লাইট ২৪৩, ক্যাটপ্যাসিফিক ফ্লাইট ৭৮০ও শুধুমাত্র বৈমানিকের পারদর্শিতা ও সঠিক সিদ্ধান্তে সফল অবতরণ করে। ২০১২ সালের ৪ নভেম্বর সুপারজাম্বো কুন্তাস ফ্লাইট ৪৬৯ জন যাত্রী নিয়ে উড্ডয়ন করে। এসময় ফ্লাইটে দুটো ইঞ্জিনে বিস্ফোরণ হয়। এসময় বিমানের একটি পাখা ক্ষতিগ্রস্ত হলে জ্বালানির ট্যাংকে আগুন ধরে যায়। এই অবস্থায় জাম্বোজেট এ-৩৮০ সঙ্গে ৪৬৯ জন যাত্রী নিয়ে সফল অবতরণ করেন বৈমানিক রিচার্ড চ্যাম্পিয়ন ডে ক্রিস্পেগনি। অবতরণের সময় বিমানের চারটি চাকাই উড়ে গিয়েছিল।

বাংলা ইনসাইডার/ডিজি/জেডএ    

 

 

  

 

 

 



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলকে সহায়তা প্রসঙ্গে অবস্থান স্পষ্ট করলো সৌদি

প্রকাশ: ০৮:১৬ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে ইসরায়েলকে রক্ষায় সৌদি আরব কাজ করেছে। এমনটাই দাবি করেছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম কেএএন নিউজ। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছে সৌদি আরবের একাধিক সূত্র।

সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সৌদি আরবের সরকারি একটি ওয়েবসাইটের বরাত দিয়ে একদিন আগে ওই খবর প্রকাশ করে ইসরায়েলের সংবাদ মাধ্যম। খবরে বলা হয়, ইরানের আক্রমণ থেকে ইসরায়েলকে রক্ষার জন্য প্রতিরক্ষা জোটে অংশ নিয়েছে সৌদি আরব। তবে এই তথ্য অস্বীকার করেছে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সূত্রগুলো।

কেএএন নিউজ জানায়, সৌদি আরব মনে করে, গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকে ইরান এই সংঘাতে ফায়দা তোলার পরিকল্পনা করছে এবং সম্প্রতি যে হামলা তেহরান পরিচালনা করেছে, তা সেই পরিকল্পনার অংশ।

আর সৌদির একাধিক সূত্র জানায়, ইরানের হামলা ঠেকাতে সৌদির অংশগ্রহণ সম্পর্কে যে ওয়েবসাইটের বরাত দিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে, আসলে সৌদি আরবের এমন কোনো সরকারি ওয়েবসাইটই নেই।

উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে আইআরজিসির দুই শীর্ষ কর্মকর্তাসহ প্রাণ হারান ইরানের সাতজন সামরিক কর্মকর্তা। সেই হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।

ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কয়েক ডজন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। ‘ট্রু প্রোমিজ’ নামে অভিযানের আওতায় এসব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। ইসরায়েলের অপরাধের শাস্তি দিতেই এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে আইআরজিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

আর ইসরায়েলের দাবি, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র গুলো ইসরাইলের আকাশসীমায় পৌঁছানোর আগেই ভূপাতিত করা হয়েছে। ৯৯ শতাংশ হামলাই প্রতিহত করা হয়েছে। তবে ইরান বলছে,হামলায় ইসরায়েলের একটি গোয়েন্দা কেন্দ্র ও একটি বিমান ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে।

ইরান এই হামলার পর আপাতত ইসরায়েলে আর আক্রমণ চালাবে না বলে বিশ্ব নেতাদের জানিয়ে দিয়েছে। একইসঙ্গে ইরানের স্বার্থের ওপর নতুন করে কোনো ধরনের আগ্রাসন চালানো হলে তাৎক্ষণিকভাবে তার কঠোর জবাব দেওয়া হবে বলে হুঙ্কার দিয়েছে তেহরান।

ইসরায়েল   সৌদি আরব   ইরান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইন্দোনেশিয়ার ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮

প্রকাশ: ০৭:২৭ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ জন হয়েছে। নিখোঁজ এখনও বেশ কয়েকজন। জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

স্থানীয় সময় শনিবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দক্ষিণ সুলাওয়েসি প্রদেশের তানা তোরাজায় এ ভূমিধসের ঘটনা হয়। ভারী বৃষ্টির কারণে সৃষ্টি হয় এই ভূমিধস। এতে দুটি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাদামাটিতে তলিয়ে গেছে কয়েকটি এলাকা।

এখনও ধ্বংস্তুপের নিচে চাপা পড়ে আছেন অনেকেই। তাদের উদ্ধারে অভিযান চলছে। গাছ উপড়ে পড়ায় কঠিন হয়ে পড়েছে উদ্ধারকাজ।

প্রসঙ্গত, ইন্দোনেশিয়ার তানা তোরাজার পার্বত্য অঞ্চল প্রাদেশিক রাজধানী মাকাসার থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে সুলাওয়েসি দ্বীপের অবস্থান।

মার্চে বন্যা ও ভূমিধসে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়। প্রবল বৃষ্টিতে শত শত বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে ও হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।


ইন্দোনেশিয়া   ভূমিধস   নিহত ১৮  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিশ্বের ব্যস্ততম ১০ বিমানবন্দর

প্রকাশ: ০৭:০৪ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি বিশ্বের ব্যস্ততম ১০ বিমানবন্দরের তালিকা প্রকাশ করেছে এয়ারপোর্টস কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনাল (এসিআই)। তালিকায় স্থান পেয়েছে প্রতিবেশি দেশ ভারতের একটি বিমানবন্দর।

এসিআই এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে প্রায় ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন যাত্রী উড়োজাহাজে ভ্রমণ করেছেন যা ২০২২ সালের তুলনায় ২৭ দশমিক ২ শতাংশ বেশি। জানিয়েছে এনডিটিভি।

i.    হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন আটলান্টা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর- যুক্তরাষ্ট্র: ২০২৩ সালে ১০৪ দশমিক ৬৫ মিলিয়ন যাত্রী এই বিমানবন্দরে অবতরণ করেছেন বা এখান থেকে যাত্রা শুরু করেছেন যা ২০২২ সালের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি।

ii.    দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর : তালিকার ২ নাম্বারে থাকা দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রী সংখ্যা ছিল ৮৬ মিলিয়ন।

iii.    ডালাস-ফোর্ট ওয়ার্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর- যুক্তরাষ্ট্র: এই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি ২০২৩ সালে ৮১ দশমিক ৭৫ মিলিয়ন যাত্রী নিয়ে তালিকার তৃতীয় নাম্বারে উঠে এসেছে।

iv.    হিথ্রো বিমানবন্দর- যুক্তরাজ্য: লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরটি ২০২৩ সালে ৭৯ দশমিক ২ মিলিয়ন যাত্রীকে সেবা দিতে সক্ষম হয়েছে।

v.    টোকিও হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর- জাপান: ৭৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন যাত্রী নিয়ে তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছে এশিয়ার দেশ জাপানের টোকিও হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এটি ২০২৩ সালে সবচেয়ে উন্নত বিমানবন্দরের পুরস্কারও অর্জন করে নিয়েছে। এর যাত্রী সংখ্যা ২০২২ এর তুলনায় বেড়েছে ৫৫ শতাংশ।

vi.    ডেনভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর- যুক্তরাষ্ট্র: ডেনভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর গত বছর ৭৭ দশমিক ৮ মিলিয়ন যাত্রীকে স্বাগত জানিয়েছে।

vii.    ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর- তুরস্ক: ৭৬ মিলিয়ন যাত্রীকে স্বাগত জানিয়ে তালিকার সপ্তম স্থানে রয়েছে তুরস্কের ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর।

viii.    লস এঞ্জেলেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর- যুক্তরাষ্ট্র: ২০২৩ সালে এই বিমানবন্দরটিতে যাত্রী সংখ্যা ছিল ৭৫ মিলিয়ন।

ix.    ও’হারে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর- যুক্তরাষ্ট্র: শিকাগোর ও’হারে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর গত বছর ৭৪ মিলিয়ন যাত্রীকে স্বাগত জানিয়েছে যা বিমানবন্দরটিকে তালিকার নবম স্থানে নিয়ে এসেছে।

x.    ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর- ভারত: তালিকার দশম স্থানে আছে প্রতিবেশি দেশ ভারতের ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ২০২৩ সালে এই বিমানবন্দর ব্যবহার করেছে বিশ্বের ৭২ দশমিক ২ মিলিয়ন যাত্রী।


বিশ্ব   ব্যস্ততম   বিমানবন্দর  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার দাবি ইসরায়েলের

প্রকাশ: ০৬:৪১ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের মূল ভূখণ্ড লক্ষ্য করে শনিবার ( ১৩ এপ্রিল ) রাতে প্রায় পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী নজিরবিহীন আক্রমণের জেরে এবার ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। অন্তত ৩২ দেশকে চিঠি পাঠিয়েছেন। সামাজিকমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেয়া এক পোস্টে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খবর বিবিসি।

এক্স পোস্টে ইসরায়েল কাৎজ বলেছেন, ‘আজ সকালে আমি ৩২টি দেশকে চিঠি পাঠিয়েছি এবং ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবিতে বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছি।’

ইরানকে প্রতিহত এবং দুর্বল করে দিতে দেশটির ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীকে (আইআরজিসি) সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করার জন্যও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ইসরায়েল কাৎজ বলেন, আর দেরি নয়। ইরানকে এখনই থামাতে হবে।

এদিকে, এই হামলাটি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের জন্য ভীষন প্রয়োজন ছিল। আমি বিশ্বাস করি, ইসরায়েল এবং ইরান পরস্পর ভাইয়ের মতো, যাদের অভিভাবক হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের ঝগড়া-বিবাদের ওপর নজর রাখছে ওয়াশিংটন। কেবল তখনই হস্তক্ষেপ করবে যখন তারা একে অন্যের অস্তিত্বের প্রতি হুমকি হয়ে উঠবে।

গত কয়েক মাস ধরে, গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতি অন্ধ সমর্থনের কারণে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র সমালোচনার শিকার হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এটি সহ্য করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। ইসরায়েলের মতো দখলদার রাষ্ট্রের প্রতি সমর্থন এবং এর যুদ্ধাপরাধের প্রতি ন্যায্যতা অব্যাহত রাখতে একটি নতুন অজুহাত খুঁজে ফিরছিল যুক্তরাষ্ট্র।

গাজায় চলমান গণহত্যার মতো অপরাধ লুকাতে এবং বিশ্ববাসীর মনোযোগ ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে ইরানের হামলা পরোক্ষভাবে উপকারে এসেছে তেল আবিবের। সেই সঙ্গে আরব দেশগুলোকে মনে করিয়ে দিয়েছে যে ইসরায়েলই নয় তাদের প্রচ্ছন্ন শত্রু হচ্ছে ইরান। তেহরানের বড় ধরনের সামরিক শক্তি যেকোন আরব রাষ্ট্রকেও অস্তিত্ব সংকটে ফেলে দিতে পারে।

এ প্রসঙ্গে, ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিকভাবে আক্রমণের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। তার সরকার ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলার জবাবে সামরিক প্রতিক্রিয়ার কথা বিবেচনা করছে।
ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রথমবারের মতো ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনায় ‘সীমিত’ প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে ইসরায়েল। ইরানের বাইরে ইরান-সমর্থিত শক্তিগুলোর ওপর হামলা চালাতে পারে ইসরায়েলি বাহিনী। যুক্তরাষ্ট্রের চার কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ। গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান।

সম্প্রতি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে ১৩ জনকে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তেহরান। দামেস্কে গত ১ এপ্রিলের ওই হামলার পরপরই কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল তারা।


ইরান   নিষেধাজ্ঞা   ইসরায়েলের  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানের হামলা, ইসরায়েলকে সহায়তা করায় জর্ডানে বিক্ষোভ

প্রকাশ: ০৫:২৯ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গত শনিবার ( ১৩ এপ্রিল ) ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে ইরান। এ হামলায় ইসরায়েলকে রক্ষায় সহায়তা করে জর্ডান। এ কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করেছে দেশটির নাগরিকরা।

হুসেইন নামে দেশটির একজন রাজনৈতিক অ্যাক্টিভিস্ট বলেন, ‘জর্ডান যেভাবে ইসরায়েলকে রক্ষা করেছে তাতে আমি খুবই বিরক্ত। বিপদের আশঙ্কা থাকায় তিনি তার পুরো নাম উল্লেখ করতে চাননি৷

তিনি আরও বলেন, গাজায় এখন যা ঘটছে তার পেছনে ইরানের বড় ভূমিকা আছে বলে মনে করি। এজন্য ইরানকে আমরা সমর্থন করি না। তবে গাজায় ইসরায়েলের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করে এমন যে-কোনো পদক্ষেপের সঙ্গে আমরা আছি।

মারিয়াম নামে আম্মানের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বলেন, জর্ডানে ইরানের জনপ্রিয়তা নেই৷ কিন্তু আমি ইরানের নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র জর্ডানের বাধা দেওয়া ও অনিচ্ছাকৃতভাবে এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া প্রত্যাখ্যান করি৷

আম্মানের সামরিক বিশ্লেষক মাহমুদ রিদাসাদ বলেন, জর্ডান যা করেছে তা ইসরায়েলকে রক্ষার জন্য নয় বরং জর্ডানের সার্বভৌমত্ব এবং আকাশসীমা রক্ষার জন্য করা হয়েছে। কারণ ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র কোথায় পড়বে তা জানা যায় না বলে মন্তব্য করেন তিনি৷

এদিকে জর্ডান সহায়তা করেছে বলে ইসরায়েলের গণমাধ্যমে খুশির খবর প্রকাশ সম্পর্কে রিদাসাদ বলেন, এটা ইসরায়েলের প্রোপাগান্ডা ছাড়া কিছু নয়৷


ইরান   হামলা   ইসরায়েল   সহায়তা   জর্ডান   বিক্ষোভ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন