ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের তথ্য ব্যবস্থার ত্রুটি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২:৪৪ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০১৮


Thumbnail

ভারতের দুষ্প্রাপ্য খনিজ সম্পদ নেই, তবে কিছু তেল আর অপ্রতুল পানিসম্পদ রয়েছে। ভারতের আসলে যা আছে তা হলও ১৩০ কোটি মানব সম্পদ, এবং তা ক্রমশ বাড়ছে। আর তথ্যকে যখন ‘নতুন তেল’ বলা হচ্ছে তখন এই মানব সম্পদের কারণেই ভারত অত্যন্ত ধনী। কিন্তু প্রশ্ন হলো এই সম্পদ থেকে কারা লাভবান হচ্ছে? আর কেই বা এর ঝুঁকি নেবে?

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই তথ্য সংগ্রহ করতে পছন্দ করেন। এতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর তিনি ডিজিটাল শাসন ব্যবস্থা সম্প্রসারণে উৎসাহমূলক প্রচুর ক্যাম্পেইন চালিয়েছেন তিনি। দেশের অবস্থার পরিবর্তনে এর ক্ষমতা ও কার্যকারিতার প্রশংসা বার বার করা হয়েছে।

ভারতে এখন বায়োমেট্রিক ডিভাইস ব্যবহার করে স্কুলের ছাত্র ও শিক্ষকদের এবং অফিসের কর্মকর্তাদের উপস্থিতি গণনা করা হয়।   নগদ অর্থায়ন প্রকল্পকে নিরুৎসাহী করে তিনি ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর লেনদেনকে ডিজিটাল প্লাটফর্মে নিয়ে যেতে উৎসাহিত করেছেন।

মোদি সরকার এই বিষয়ে সব সময়ই উচ্চাকাঙ্ক্ষী ছিলেন। তারা প্রত্যেক নাগরিকদের জন্য স্বতন্ত্র শনাক্তকারী নাম্বারের ব্যবস্থা করেছে। এটিই আধার কার্ড, যা বায়োমেট্রিকের সঙ্গে সংযুক্ত। ২০০৯ সালে কংগ্রেস সরকার নানা অপরাধ ও দুর্নীতি রোধে এই প্রকল্প নিয়েছিল।

ওই সময়ে গুজরাটে ভারতীয় মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির সমর্থক। এবং যথারীতি কংগ্রেসের এই পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। যাই হোক প্রধানমন্ত্রীর পদে বসার পর মোদই এই প্রোগ্রামকে বরণ করে নিলেন।  ভারতে এখন যে কোনো কাজেই জন্য স্বতন্ত্র শনাক্তকারী নাম্বারটি প্রয়োজন। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, স্কুলে ভর্তি, মোবাইল ফোনের যোগাযোগে, ভ্রমণের রেকর্ড, হাসপাতালে ভর্তি এমনকি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াতেও আধার কার্ড প্রয়োজন। যদিও মোদই সুপ্রিম কোর্টকে আশ্বস্ত করেছিলেন এই প্রোগ্রামটি বাধ্যতামূলক করা হবে না।

মোদির উদ্দেশ্যের সম্প্রসারণ তাঁর দক্ষতাকেও পেছনে ফেলেছে। তিনি কাজে কর্মে বুঝিয়ে দিয়েছেন তথ্যই ‘বাস্তব সম্পদ’। এটি যারা নিয়ন্ত্রণ তাঁর। এর মাধ্যমে কর্তৃত্ব অর্জন করা যায়। আর রাজনৈতিক কর্তৃত্বই মোদির লক্ষ্য। তিনি গত চার বছর ধরে ক্ষমতাকে কেন্দ্রীভূত ও দৃঢ় করেছেন। আর এভাবেই বিজেপি ২৯টি স্টেটের মধ্যে ২৭টি স্টেটেই নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। 

তবে ভারতের মত বড় দেশের জন্য বড় তথ্য সংগ্রহের ব্যবস্থা বাস্তবায়ন বার বারই অপ্রত্যাশিত বাধায় পড়েছে। আধারের গ্রাহকদের শনাক্ত করতে ভারতের প্রযুক্তি বার বার ব্যর্থ হয়েছে। ভারতের বিদ্যুৎ সংকট আর অপ্রতুল ইন্টারনেট সংযোগ ছিল এর প্রধান বাঁধা। এতে গরীবদের সেবার দেওয়ার জন্য যে আধার কার্ড করা হলো তা মানুষের অধিকার লঙ্ঘন করতে শুরু করল। মানুষ তাঁদের নিত্য দিনে ব্যবহার্য ক্রয় ও সংগ্রহে বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল।

এই অবস্থাকে আরও খারাপ করে দিয়ে আধার কার্ডের তথ্য ফাঁসও হলো। ভারতের ট্রিবিউনের সাংবাদিকেরা মাত্র ৫০০ রুপির বিনিময়ে আধার কার্ডের তথ্য কেনা যায় বলে কিনে দেখিয়ে দিলেন। ভারতের সরকারি তেল ও গ্যাস কোম্পানির একটি ওয়েব সাইট থেকে প্রযুক্তি জ্ঞান সমৃদ্ধ যে কেউ পাঁচ কোটি গ্রাহকের তথ্য দেখতে পারতো। এই তথ্যের মধ্যে, ব্যাংক বিবরণী ও আধার নম্বরও ছিল। সেই সঙ্গে এক কোটি ৬০ লাখ আধার কার্ড ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য ভুল করে ফাঁস হয়ে যায়। একই সঙ্গে ভারতের দক্ষিণের অন্ধ্র প্রদেশে দুই কোটি শ্রমিকদের তথ্যও ফাঁস হয়ে যায়।

আধার কার্ডের অংশগ্রহণকারীরা ফেসবুকের ৮ কোটি ৭০ লাখ ব্যবহারকারীর তথ্য চুরির ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের চেয়ে বেশি আপোষমূলক আচরণ করেছে। আর এর পরিপ্রেক্ষিতে মোদির সরকার শুধু সব কিছু অস্বীকারই করেছে। আর সব কিছু যতটা সম্ভব গোপন ও অস্পষ্ট করেছে।


লেখক: শশী থারুর, ভারতীয় রাজনীতিবিদ ও লোকসভা সদস্য

বাংলা ইনসাইডার/ডিজি



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলের দুই সংস্থা ও চার ব্যক্তির ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ: ০৭:১৩ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গ্লোবাল হিউম্যান রাইটসের আওতায় ইসরায়েলের চার ব্যক্তি ও দুটি সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইইউর তালিকাভুক্ত এসব ইসরায়েলি ব্যক্তি ও সংস্থা ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্যাতন ও অমানবিক আচরণের মতো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী।

ইউরোপীয় ইউনিয়েনের তালিকাভুক্ত সংস্থাগুলো হলো, উগ্র ডানপন্থি ইহুদি আধিপত্যবাদী গোষ্ঠী লেহাভা এবং পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংস কর্মকাণ্ডের জন্য গঠিত উগ্র যুব দল হিলটপ ইয়ুথ। এমনকি হিলটপ ইয়ুথের দুই নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব মেইর এটিংগার এবং এলিশা ইয়ারেডও ইইউর নিষেধাজ্ঞায় আওতাভুক্ত ।

এ ছাড়া পশ্চিম তীরের ওয়াদি সিক এবং দেইর জারিরে ২০২১ সাল থেকে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা করার অভিযোগে অভিযুক্ত নেরিয়া বেন পাজি এবং ফিলিস্তিনি গ্রামের বিরুদ্ধে একাধিক সহিংস কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণকারী ইয়িনন লেভিকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে ইইউ।

এসব ব্যক্তিরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো সদস্য রাষ্ট্র ভ্রমণ এবং এসব অঞ্চলে কোনো প্রকার আর্থিক লেনদেন করতে পারবে না। এমনকি ইউরোপে থাকা তাদের সম্পদও জব্দ করা হতে পারে।

এ ছাড়া ইউরোপীয় কাউন্সিল ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরায়েলিদের দ্বারা জবরদখলের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তারা বলেছে, অপরাধীদের অবশ্যই জবাবদিহির আওতায় আসতে হবে।

নিষেধাজ্ঞার ওই বিবৃতিতেই বলা হয়, অধিকৃত পশ্চিম তীরে নতুন করে অবৈধ বসতি আরও সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সরকারের এমন সিদ্ধান্তের নিন্দা করছে কাউন্সিল এবং অবিলম্বে ইসরায়েলকে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার আহ্বান জানানো হয়।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত মানুষের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ১২ জনে পৌঁছেছে। এ ছাড়া এ পর্যন্ত আহত হয়েছে ৭৬ হাজার ৮৩৩ জন।


ইসরায়েল   ইইউ   নিষেধাজ্ঞা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পূর্বনির্ধারিত ভারত সফর স্থগিত করলেন ইলন মাস্ক

প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পূর্বনির্ধারিত ভারত সফর স্থগিত করেছেন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার মালিক ইলন মাস্ক। টেসলার বিভিন্ন কাজ নিয়ে ব্যস্ততা থাকায় সফর স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক বার্তায় সফর স্থগিত করা কথা জানিয়েছেন মাস্ক।

জানা গেছে, ২১ ও ২২ এপ্রিল দু’দিনের ভারত সফরে আসার কথা ছিল মাস্কের। এই সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলেন তিনি। ইলন মাস্ক নিজেই সে কথা জানিয়েছিলেন। এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে মাস্ক লিখেছিলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করার জন্য মুখিয়ে রয়েছি।’ তারপর থেকেই মাস্কের সফর নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।

এ সফরের একদিন আগে শনিবার (২০ এপ্রিল) ইলন মাস্ক জানালেন তিনি এই মুহূর্তে ভারত সফরে আসছেন না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে শীর্ষ এই ধবকুবের লিখেছেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত টেসলায় প্রচুর কাজ জমে থাকায় ভারত সফর  পিছিয়ে দিতে হচ্ছে। কিন্তু চলতি বছরের শেষেই ভারতে যাওয়ার ইচ্ছা আছে।’

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রধানত ভারতে নতুন একটি ফ্যাক্টরি চালু করার কথা ছিল টেসলার এবং তার জন্য নয়া দিল্লিতে মাস্কের ২ বিলিয়ন থেকে ৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দেওয়ার কথা ছিল। কোম্পানিগুলো স্থানীয় উৎপাদনে বিনিয়োগ করলে আমদানি করা গাড়ির ওপর উচ্চ শুল্ক কমানো হবে- ভারত সরকার এমন নীতির ঘোষণা দেয়ার পরেই এ বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল টেসলা।


ভারত   সফর   স্থগিত   ইলন মাস্ক  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানের প্রেসিডেন্টকে বরণ করতে প্রস্তুত পাকিস্তান

প্রকাশ: ০৩:১৭ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি তিন দিনের সরকারি সফরে ইসলামাবাদে যাচ্ছেন। দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট এবং প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত পাকিস্তানের সরকার। 

পাল্টাপাল্টি হামলা ঘিরে মাত্র কয়েক মাস আগেও ইরান এবং পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছিল। তবে তখন সামরিক জবাব এড়িয়ে কূটনীতির মাধ্যমে সম্পর্ক জোড়া লাগায় মুসলিম বিশ্বের শক্তিধর এই দুই দেশ।

ইরানি প্রেসিডেন্টের সফর নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলন করেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। তখন তিনি বলেন, তিনি (ইব্রাহিম রাইসি) আসছেন। আমরা তাকে স্বাগত জানাব। তিনি আগামী ২২-২৪ এপ্রিল পাকিস্তান সফর করবেন। এ সফর নিয়ে আমরা পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করছি।

ইব্রাহিম রাইসি এমন এক সময়ে পাকিস্তান সফর করবেন যখন পাল্টাপাল্টি হামলা ঘিরে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে বর্তমানে উত্তেজনা চরম পর্যায়ে রয়েছে। এমনকি ইসরায়েলের সঙ্গে উত্তেজনা ঘিরে রাইসির সফর স্থগিত করা হতে পারে, এমন কথাও গণমাধ্যমে চাউর হতে শুরু করেছিল। তবে এই ধরনের সম্ভাবনার কথা একেবারে উড়িয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে এসব ঘটনার বহু আগে এই সফরের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

পাকিস্তান ও ইরানের মধ্যে ৯০০ কিলোমিটারের সীমান্ত রয়েছে। প্রায় সময় একে-অন্যের বিরুদ্ধে নিজ নিজ দেশের মাটিতে জঙ্গিদের আশ্রয় এবং আন্তঃসীমান্ত জঙ্গি হামলা ঠেকাতে পর্যাপ্ত সহায়তা না করার অভিযোগ তুলে দেশ দুটি।


ইরান   প্রেসিডেন্ট   পাকিস্তান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত

প্রকাশ: ১২:১৭ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আন্তর্জাতিক ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পৃথক দু’টি হামলায় সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর ২৮ জন সেনা নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এ ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয় সময় আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) দেশটির মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবসারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি।

এক প্রতিবেদনে গণমাধ্যমটি বলছে, শুক্রবার সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ হোমসে সেনাসদস্যদের বহনকারী একটি বাসকে লক্ষ্য করে বন্দুক হামলা চালায় আইএসের বন্দুকধারীরা। এতে ওই বাসের মোট ২২ জন যাত্রীর সবাই নিহত হন।

নিহত এই সেনাসদস্যদের সবাই সিরীয় সশস্ত্র বাহিনীর কুদস ব্রিগেডের সদস্য। এই ব্রিগেডটির যোদ্ধারা সবাই জাতিগতভাবে ফিলিস্তিনি। একই দিন সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর আলবু কামালের একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে ৬ সিরীয় সেনাকে হত্যা করেছে আইএস বন্দুকধারীরা। তবে সিরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যমে দুই ঘটনার কোনোটিই প্রকাশ করা হয়নি।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে আইএসের উত্থান ঘটে সিরিয়া এবং ইরাকে। দুই দেশের বিশাল ভূখণ্ড দখল করে নিজেদের পৃথক রাষ্ট্র ঘোষণা করেছিল আন্তর্জাতিক এই ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠী।

তবে ২০১৫ সালে রুশ বিমানবাহিনী আইএস অধিকৃত অঞ্চলগুলোতে অভিযান শুরুর পর থেকে এই গোষ্ঠীটির দৌরাত্ম্য কমতে থাকে। ২০১৪ সালে যে পরিমাণ ভূখণ্ড দখলে নিয়েছিল আইএস, বর্তমানে তার মাত্র এক পঞ্চমাংশ কোনো রকমে টিকিয়ে রাখতে পেরেছে এই গোষ্ঠীটি।


সিরিয়া   আইএস   হামলা   সেনা   নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মার্কিন কংগ্রেসে ইউক্রেনের জন্য সহায়তা বিলে ভোট আজ

প্রকাশ: ১২:০৯ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

কয়েক মাস বিলম্বের পর ইউক্রেনের বহুল প্রতীক্ষিত সহায়তা বিল নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে চূড়ান্ত পর্যায়ের ভোট হতে যাচ্ছে। 

শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে এই ভোট হবে। এদিন ইউক্রেন এবং ইসরায়েলের জন্য কয়েক কোটি ডলারের মার্কিন সামরিক সহায়তা চূড়ান্ত করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই খবর জানিয়েছে।

এদিন ইউক্রেন এবং ইসরায়েলের জন্য কয়েক কোটি ডলারের মার্কিন সামরিক সহায়তা চূড়ান্ত করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে কয়েক বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা দিয়েছে। দেশটি কিয়েভের সবচেয়ে বড় দাতা। তবে বর্তমানে সহায়তা কমে গেছে। হাউসে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মিত্ররা নতুন সহায়তা থামিয়ে দিচ্ছে। 

কংগ্রেসে বিলটি পাস হওয়া নিয়ে এখনও আশঙ্কা রয়ে গেছে। এ বিষয়ে হাউসের স্পিকার মাইক জনসন বলেছেন, বিষয়টিকে ভোটে আনতে বদ্ধপরিকর তিনি। এমনকি এতে যদি তার ক্ষমতা হুমকির মুখে পড়ে তবুও।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সহায়তা প্যাকেজটিতে ভোট দিতে প্রস্তুত কংগ্রেস। একইসঙ্গে প্যাকেজটি অনুমোদনের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে সিনেটও। বিলটি সিনেটে পাস হলে এটিকে আইনে স্বাক্ষর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

ইউক্রেনের এই সহায়তা প্রস্তাবের ভোট কিয়েভে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। কেননা, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধক্ষেত্রে লড়তে মিত্রদের কাছ থেকে নতুন এই সহায়তা ইউক্রেনের জন্য জরুরি হয়ে পড়েছে।


মার্কিন কংগ্রেস   ইউক্রেন   বিল   ভোট   ডোনাল্ড ট্রাম্প  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন