ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গণতন্ত্র ও প্রযুক্তির বিরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:১৮ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০১৮


Thumbnail

ফেসবুক ও কেমব্রিজ এনালিটিকা কেলেঙ্কারিতে অবাক হয়েছে বিশ্ব। প্রশ্ন উঠেছে ইন্টারনেটে তথ্য আসলেই কতটা নিরাপদ। অনেক বিশেষজ্ঞ একে গণতন্ত্র ও আধুনিক প্রযুক্তির মধ্যকার সুদূরপ্রসারী সংকটের আলামত বলে মনে করেন।

সাংবাদিক ও টেক ব্লগার জেমি বার্টলেট বলেন, ‘ফ্লোরিডার স্কুলে গুলি চালানোর প্রতিবাদের সময় বোঝা যায় প্রযুক্তি গণতন্ত্রকে কতভাবে সহায়তা করতে পারে। এটি মানুষের তথ্য প্রাপ্তির ও একত্রিত করার ক্ষেত্রে যেমন সাহায্য করতে পারে তেমনি রাজনৈতিক মতপ্রকাশের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’

প্রযুক্তির দৃশ্যমান উপকারিতা রয়েছে। কিন্তু এর সুদূরপ্রসারী ক্ষতিগুলো সম্পর্কে আমরা কতটা সচেতন? জেমি বার্টলেট মনে করেন, আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে গণতন্ত্রের উপাদানগুলোর আধুনিকায়ন না হওয়াতেই এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এটি সামঞ্জস্যের অভাব। গণতন্ত্র পুরোনো পদ্ধতিতে কাজ করে। গণতন্ত্র কার্যকর হওয়ার জন্য সুষ্ঠ নির্বাচন, নিরপেক্ষ গণমাধ্যম ও শিক্ষিত নাগরিকের মত উপাদান জরুরি।’

‘কিন্তু আমাদের এখন সম্পূর্ণ নতুন একটি উপাদান নিয়ে চিন্তা করতে হবে। আর সেটি হলো ডিজিটাল প্রযুক্তি। প্রযুক্তি সম্পূর্ণ ভিন্ন নিয়মে পরিচালিত হয়। ডিজিটাল প্রযুক্তি এককেন্দ্রিক নয়। তাই এটি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। এটি তথ্যনির্ভর ও অত্যন্ত দ্রুতগতিতে এর উন্নয়ন হয়।‘

ডিজিটাল প্রযুক্তির উন্নয়নে মানুষকে তথ্য জানানোর পদ্ধতির অধিকাংশই পরিবর্তিত হয়েছে। সব নাগরিক যেন একই ধরনের তথ্য পেয়ে থাকেন এবং রাজনীতিবিদদের বক্তব্য একইভাবে যেন সবার কাছে উপস্থাপিত হয় সেটি নিশ্চিত করা বর্তমান গণতান্ত্রিক নির্বাচন পদ্ধতি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার অন্যতম চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে। অতিরিক্ত তথ্যের আদান-প্রদান এখন মানুষকে অনেক বেশী ভাবায়। আর নানা মতামত প্রচারের কারণে মানুষের মধ্যে একতাও দিনদিন কমছে। বার্টলেট মনে করেন মানুষের এই বিভ্রান্তি ও মতানৈক্যের সুযোগ নিয়ে তাদের প্রভাবিত করার সুযোগ পাচ্ছে  রাজনীতিবিদরা।

ধারণা করা হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তির আগ্রাসনে বর্তমান সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার পতন হবে অথবা রাজনীতিবিদরা তাদের ক্ষমতার ব্যবহার করে ডিজিটাল প্রযুক্তির বিপ্লব থামিয়ে দেবেন। এক্ষেত্রে বার্টলেট মনে করেন, এখন পর্যন্ত প্রযুক্তিই এগিয়ে রয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে ডিজিটাল প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে বিলুপ্ত হয়ে যাবে গণতন্ত্র।

বাংলা ইনসাইডার/ডিজি



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানের প্রেসিডেন্টকে বরণ করতে প্রস্তুত পাকিস্তান

প্রকাশ: ০৩:১৭ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি তিন দিনের সরকারি সফরে ইসলামাবাদে যাচ্ছেন। দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট এবং প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত পাকিস্তানের সরকার। 

পাল্টাপাল্টি হামলা ঘিরে মাত্র কয়েক মাস আগেও ইরান এবং পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছিল। তবে তখন সামরিক জবাব এড়িয়ে কূটনীতির মাধ্যমে সম্পর্ক জোড়া লাগায় মুসলিম বিশ্বের শক্তিধর এই দুই দেশ।

ইরানি প্রেসিডেন্টের সফর নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলন করেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। তখন তিনি বলেন, তিনি (ইব্রাহিম রাইসি) আসছেন। আমরা তাকে স্বাগত জানাব। তিনি আগামী ২২-২৪ এপ্রিল পাকিস্তান সফর করবেন। এ সফর নিয়ে আমরা পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করছি।

ইব্রাহিম রাইসি এমন এক সময়ে পাকিস্তান সফর করবেন যখন পাল্টাপাল্টি হামলা ঘিরে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে বর্তমানে উত্তেজনা চরম পর্যায়ে রয়েছে। এমনকি ইসরায়েলের সঙ্গে উত্তেজনা ঘিরে রাইসির সফর স্থগিত করা হতে পারে, এমন কথাও গণমাধ্যমে চাউর হতে শুরু করেছিল। তবে এই ধরনের সম্ভাবনার কথা একেবারে উড়িয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে এসব ঘটনার বহু আগে এই সফরের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

পাকিস্তান ও ইরানের মধ্যে ৯০০ কিলোমিটারের সীমান্ত রয়েছে। প্রায় সময় একে-অন্যের বিরুদ্ধে নিজ নিজ দেশের মাটিতে জঙ্গিদের আশ্রয় এবং আন্তঃসীমান্ত জঙ্গি হামলা ঠেকাতে পর্যাপ্ত সহায়তা না করার অভিযোগ তুলে দেশ দুটি।


ইরান   প্রেসিডেন্ট   পাকিস্তান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত

প্রকাশ: ১২:১৭ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আন্তর্জাতিক ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পৃথক দু’টি হামলায় সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর ২৮ জন সেনা নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এ ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয় সময় আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) দেশটির মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবসারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি।

এক প্রতিবেদনে গণমাধ্যমটি বলছে, শুক্রবার সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ হোমসে সেনাসদস্যদের বহনকারী একটি বাসকে লক্ষ্য করে বন্দুক হামলা চালায় আইএসের বন্দুকধারীরা। এতে ওই বাসের মোট ২২ জন যাত্রীর সবাই নিহত হন।

নিহত এই সেনাসদস্যদের সবাই সিরীয় সশস্ত্র বাহিনীর কুদস ব্রিগেডের সদস্য। এই ব্রিগেডটির যোদ্ধারা সবাই জাতিগতভাবে ফিলিস্তিনি। একই দিন সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর আলবু কামালের একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে ৬ সিরীয় সেনাকে হত্যা করেছে আইএস বন্দুকধারীরা। তবে সিরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যমে দুই ঘটনার কোনোটিই প্রকাশ করা হয়নি।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে আইএসের উত্থান ঘটে সিরিয়া এবং ইরাকে। দুই দেশের বিশাল ভূখণ্ড দখল করে নিজেদের পৃথক রাষ্ট্র ঘোষণা করেছিল আন্তর্জাতিক এই ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠী।

তবে ২০১৫ সালে রুশ বিমানবাহিনী আইএস অধিকৃত অঞ্চলগুলোতে অভিযান শুরুর পর থেকে এই গোষ্ঠীটির দৌরাত্ম্য কমতে থাকে। ২০১৪ সালে যে পরিমাণ ভূখণ্ড দখলে নিয়েছিল আইএস, বর্তমানে তার মাত্র এক পঞ্চমাংশ কোনো রকমে টিকিয়ে রাখতে পেরেছে এই গোষ্ঠীটি।


সিরিয়া   আইএস   হামলা   সেনা   নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মার্কিন কংগ্রেসে ইউক্রেনের জন্য সহায়তা বিলে ভোট আজ

প্রকাশ: ১২:০৯ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

কয়েক মাস বিলম্বের পর ইউক্রেনের বহুল প্রতীক্ষিত সহায়তা বিল নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে চূড়ান্ত পর্যায়ের ভোট হতে যাচ্ছে। 

শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে এই ভোট হবে। এদিন ইউক্রেন এবং ইসরায়েলের জন্য কয়েক কোটি ডলারের মার্কিন সামরিক সহায়তা চূড়ান্ত করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই খবর জানিয়েছে।

এদিন ইউক্রেন এবং ইসরায়েলের জন্য কয়েক কোটি ডলারের মার্কিন সামরিক সহায়তা চূড়ান্ত করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে কয়েক বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা দিয়েছে। দেশটি কিয়েভের সবচেয়ে বড় দাতা। তবে বর্তমানে সহায়তা কমে গেছে। হাউসে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মিত্ররা নতুন সহায়তা থামিয়ে দিচ্ছে। 

কংগ্রেসে বিলটি পাস হওয়া নিয়ে এখনও আশঙ্কা রয়ে গেছে। এ বিষয়ে হাউসের স্পিকার মাইক জনসন বলেছেন, বিষয়টিকে ভোটে আনতে বদ্ধপরিকর তিনি। এমনকি এতে যদি তার ক্ষমতা হুমকির মুখে পড়ে তবুও।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সহায়তা প্যাকেজটিতে ভোট দিতে প্রস্তুত কংগ্রেস। একইসঙ্গে প্যাকেজটি অনুমোদনের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে সিনেটও। বিলটি সিনেটে পাস হলে এটিকে আইনে স্বাক্ষর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

ইউক্রেনের এই সহায়তা প্রস্তাবের ভোট কিয়েভে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। কেননা, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধক্ষেত্রে লড়তে মিত্রদের কাছ থেকে নতুন এই সহায়তা ইউক্রেনের জন্য জরুরি হয়ে পড়েছে।


মার্কিন কংগ্রেস   ইউক্রেন   বিল   ভোট   ডোনাল্ড ট্রাম্প  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত

প্রকাশ: ১১:৩৩ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও তার নেতৃত্বাধীন যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য এবং ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর বেশ কয়েকজন জেষ্ঠ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত।

বিশেষ এক সূত্রের বরাতে খবরটি নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল। গ্রেপ্তারি পরোয়ানার শঙ্কায় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নিজ কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক করেছেন বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইসিসির এই পদক্ষেপ ঠেকাতে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে নিজ কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন নেতানিয়াহু। তার যুদ্ধকালীন বিশেষ মন্ত্রিসভার বিচারমন্ত্রী ইয়ারিভ লেভিন, স্ট্র্যাটেজিক অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক মন্ত্রী রন ডারমার, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ ও সরকারপন্থী বেশ কয়েকজন আইনজীবী ও আইন বিশেষজ্ঞ ওই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) জেরুজালেম সফরে গিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালিনা বেয়ারবক। তাদের সঙ্গে বৈঠকের সময়ও আইসিসির সম্ভাব্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে কথা বলেছেন নেতানিয়াহু। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এই পদক্ষেপ ঠেকাতে ব্রিটিশ ও জার্মান সরকারের সহযোগিতাও চেয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে হামাস ও ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মধ্যে ব্যাপক সংঘাত হয়েছিল। সেই যুদ্ধে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধগুলো নিয়ে ২০১৯ সালে তদন্ত শুরুর ঘোষণা দেয় আইসিসি। পরে করোনা মহামারির কারণে প্রায় দেড় বছর তদন্তের কাজ স্থগিত থাকে। তবে ২০২১ সালের ২৩ মার্চ ফের তদন্ত শুরু করে আইসিসি।

সেই তদন্তের অংশ হিসেবে গত বছরের ডিসেম্বরে ইসরায়েল সফর করেছিলেন আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান। কিন্তু ইসরায়েলি প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর আপত্তির কারণে গাজা সফরে যেতে ব্যর্থ হন তিনি। সেই সফর শেষে ফিরে যাওয়ার আগে করিম খান বলেছিলেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলা ও তার জবাবে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয়।

তিনি আরও বলেন, গাজায় যেসব সহিংসতা আগে হয়েছে, তা এখনো হচ্ছে। এসব সহিংসতা হামাস ও আইডিএফের পূর্বপরিকল্পিত বলে মনে করেন করিম খান। এমনকি এ সংক্রান্ত কিছু সাক্ষ্যপ্রমাণও তার হাতে রয়েছে বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি।


নেতানিয়াহু   গ্রেপ্তার   আইডিএফ   ইসরায়েল   আইসিসি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আইএমএফের নতুন ঋণের আশায় পাকিস্তান

প্রকাশ: ১১:১৬ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামী মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নতুন ঋণের রূপরেখা নিয়ে একমত হওয়ার আশা করছে পাকিস্তান। ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক ঋণ বাজারে ফিরে আসার জন্য রেটিং এজেন্সিগুলোর সঙ্গে আলোচনাও শুরু করেছে দেশটি। পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব বলেন, আইএমএফের সঙ্গে পাকিস্তানের বর্তমান তিন বিলিয়ন ডলার চুক্তির মেয়াদ এপ্রিলের শেষ নাগাদ সম্পন্ন হয়েছে। সরকার এখন সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার স্থায়িত্ব আনতে একটি অবস্থান চাইছে, যাতে অতি প্রয়োজনীয় কাঠামোগত সংস্কার সম্পাদন করা যায়।

বুধবার আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠকে আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আওরঙ্গজেব। এ সময় তিনি বলেন, আমরা আশা করছি মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে আইএমএফ মিশন ইসলামাবাদে পৌঁছাবে এবং তখনই এর কিছু রূপরেখা তৈরি হতে শুরু করবে।

পাকিস্তান কমপক্ষে ৬০০ কোটি ডলার চাইবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সরকার কোন ধরনের কর্মসূচি আশা করছে তার রূপরেখা দিতে অস্বীকৃতি জানান অর্থমন্ত্রী।

 


পাকিস্তান   আইএমএফ   ঋণ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন