নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩৭ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০১৮
ফ্রান্সের দার্শনিক ভলতেয়ার হাজার বছরের পুরনো পবিত্র রোমান সাম্রাজ্য সম্পর্কে বলেছিলেন, এটি পবিত্র নয়, নয় কোন রোমান অথবা কোন সাম্রাজ্য। একই ভাবে আড়াইশ বছর পর ম্লান হয়ে পড়া লিবারেল ওয়ার্ল্ড অর্ডার সম্পর্কে বলতে হয় এতে কোন উদারতা নেই, এটি বৈশ্বিক নয়, আর এতে শৃঙ্খলাও নেই।
যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাজ্যের সঙ্গে মিলে তৈরি করেছিল লিবারেল ওয়ার্ল্ড অর্ডার। এর উদ্দেশ্য ছিল ৩০ বছরের মধ্যে সঙ্ঘটিত দুই বারের বিশ্বযুদ্ধের পুনরাবৃত্তি যেন আর না ঘটে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গণতান্ত্রিক দেশগুলো এক উদার আন্তর্জাতিক পদ্ধতি তৈরি করতে চাইলো। যেখানে আইনের শাসন থাকবে। দেশগুলোর সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করা হবে। মানবাধিকার রক্ষা করা হবে। এবং পুরো গ্রহে এই ব্যবস্থা প্রয়োগ করা হবে। তাই এখানে সকলের অংশগ্রহণ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। শান্তি প্রতিষ্ঠা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অনেক প্রতিষ্ঠানও তৈরি করা হলো।
আর এসব কিছুকেই সমর্থন দিচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, এশিয়ার অর্থনৈতিক ও পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো। আর এভাবেই প্রতিষ্ঠিত হলো লিবারেল ওয়ার্ল্ড অর্ডার। শুধু গণতন্ত্রের আদর্শের উপরই এটি নির্ভরশীল ছিল না।এর পেছনে ছিল কঠিন ক্ষমতা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন হয়। আর তখনই লিবারেল ওয়ার্ল্ড অর্ডার শক্তিশালী হয়ে ওঠে। কিন্তু ২৫ বছর পর আজ এর ভবিষ্যৎ সন্দিহান। এর তিনটি স্তম্ভ হলো উদারনীতি, সার্বজনীনতা, এবং সংরক্ষণ। আর এই স্তম্ভগুলোই আজ হুমকির মুখে।
এখন বিশ্বকে এক সঙ্গে কল্পনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। পৃথিবী আঞ্চলিক ভাবে পৃথক হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য সংকটে এই বৈশিষ্ট্য স্পষ্ট।
একই সময়ে শক্তিশালী দেশগুলোর মধ্যে ক্ষমতার প্রতিযোগিতা ফিরে আসছে। রাশিয়া সীমান্তে সেনা পাঠিয়ে প্রতিবেশী দেশে আক্রমণ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ২০১৬ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করে মৌলিক শান্তিরক্ষার নিয়ম ভেঙ্গেছে। উত্তর কোরিয়া আন্তর্জাতিক পারমাণবিক অস্ত্রের শক্তিশালী আন্তর্জাতিক ঐক্যমত্য ভঙ্গ করেছে। সিরিয়া ও ইয়েমেন মানবিক দুঃস্বপ্নের দেশে পরিণত হয়েছে। সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ তেমন কিছুই করতে পারেনি। ভেনিজুয়েলা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে। আজ পৃথিবীতে প্রতি একশ জনে এক জন হয় উদ্বাস্তু বা অভ্যন্তরীণ ভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
আলাদা করে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করা আমার উদ্দেশ্য নয়। আজ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ভারত, চীন ও জাপানের মতো শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো তাদের কাজের জন্য কিংবা যে সব ক্ষেত্রে তারা নীরব থেকেছে সেই কারণে সমালোচনা হতে পারে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণ কোন রাষ্ট্র নয়। তাঁদের উদ্যোগেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল লিবারেল ওয়ার্ল্ড অর্ডার। তারাই একে সমর্থন দিয়েছে। আর তারাই এই ব্যবস্থা থেকে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে।
লেখক রিচার্ড এন. হ্যাসঃ সভাপতি, পররাষ্ট্র সম্পর্ক পরিষদ, যুক্তরাষ্ট্র
বাংলা ইনসাইডার/ডিজি
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিন গাজা
মন্তব্য করুন
মালয়েশিয়া বাংলাদেশি শ্রমিক জাতিসংঘ
মন্তব্য করুন
ইরান ইসরায়েল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ক্ষেপনাস্ত্র হামলা
মন্তব্য করুন
চলছে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভোট দিতে গিয়ে এক বৃদ্ধা শুনেছেন- তিনি মারা গেছেন, আর ভোট দিতে না পেরে নিরাশ তিনি। কাগজে-কলমে মৃত হওয়ায় বাস্তবে জীবিত এই ভোটারের ভোট দিতে ব্যর্থ হওয়ার এই ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিভি৯ বাংলা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভুক্তভোগী ওই বৃদ্ধার নাম বাসন্তী দাস। তিনি শুক্রবার সকাল সকাল চলে গিয়েছিলেন ভোট দিতে। কিন্তু, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে শুনলেন তিনি নাকি মারা গেছেন। তাই ভোট দিতে দেওয়া হবে না তাকে। কাগজে-কলমে তিনি মৃত। তাই ভোটাধিকার নেই।
পরে অশ্রুসজল চোখ নিয়ে ভোট কেন্দ্র থেকে ফিরে আসেন বাসন্তী দাস নামে ওই বৃদ্ধা। এদিন ভোটের সকালে এই ঘটনা ঘটেছে ধূপগুড়ি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। ধূপগুড়ির বৈরাতীগুড়ি হাই স্কুলে ভোট কেন্দ্র বাসন্তী দেবীদের। এদিন সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ভোট দিতে গিয়েছিলেন তিনি।
ভোটের ডিউটিতে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার জানান, তার কিছু করার নেই, ভোটার তালিকায় ডিলিট রয়েছে তাই ভোট দিতে পারবেন না তিনি, তাই ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই বৃদ্ধাকে।
ভুক্তভোগী ওই বৃদ্ধার ছেলে উজ্জ্বল দাস বলছেন, 'মা একাই ভোট দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওখান থেকে বলেছে- তোমার নাম নেই, তুমি মৃত। মা বাইরে এসে আমাদের জানায়। ফের কথা বললে জানায়- নামের জায়গায় মৃত লেখা আছে। আমরা পরে বুঝে নেব।'
তিনি আরও বলেন, মা প্রায় দেড় ঘণ্টা ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল। তারপরেও ভোট দিতে পারেনি। আমরা তো প্রতিবার তো এখানেই ভোট দিই। এবারে কী হলো জানি না।
অন্যদিকে অশ্রুসজল চোখে বাসন্তী দেবী বলেন, 'আমি তো সাত নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সাড়ে সাতটার সময় ভোট দিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু, দীর্ঘক্ষণ লাইনে থাকার পরেও ভোট দিতে পারিনি। সরকারের খাতায় নাম নেই বলছে। অনেকক্ষণ ওরা কোথায় কোথায় সব ফোন করল। জেলা প্রশাসকের অফিসেও ফোন করেছিলাম। তারপর বলল আপনি এখন যান। এই বছর আর হবে না।'
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের এলাকার লোকজনও অনেক চেষ্টা করল। কিন্তু ভোট দিতে পারলাম না। খুবই খারাপ লাগছে। মনে হচ্ছে- আমি মরে গিয়েছি। আমি তো প্রতিবারই ভোট দিই। কিন্তু, এবার পারলাম না।'
উল্লেখ্য, শুক্রবার থেকে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। প্রথম দফায় দেশটির ২১ রাজ্যের ১০২ আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের তিন আসন- জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র।
মন্তব্য করুন
চলছে ভারতে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। আজ শুক্রবার সকাল সাতটায় শুরু হয় এ ভোট গ্রহণ। শেষ হবে সন্ধ্যা ছয়টায়। নির্বাচন হচ্ছে সাত দফায়।
আজ শুরু হয়েছে প্রথম দফার ভোট। লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ১০২টি আসনে ভোট হচ্ছে আজ। এর মধ্যে রয়েছে পূর্ব ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে ৩ আসনও।
ভোট শুরু হয়েছে দেশের ২৮টি রাজ্য ও আটটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে ১৭টি রাজ্য ও ৪টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। আজ নির্বাচন হচ্ছে অরুণাচল প্রদেশ রাজ্য বিধানসভার ৬০টি ও সিকিমের ৩২টি বিধানসভা আসনে।
পশ্চিমবঙ্গের যে তিন আসনে ভোট শুরু হয়েছে, সেগুলো হলো কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার। কোচবিহারে তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া, বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক, কংগ্রেসের পিয়া রায় চৌধুরী ও বামফ্রন্টের শরিক ফরোয়ার্ড ব্লকের নীতীশ চন্দ্র রায়।
জলপাইগুড়ি আসনে লড়ছেন তৃণমূলের নির্মল চন্দ্র রায়, বিজেপির জয়ন্ত কুমার রায়, বাম ফ্রন্টের সিপিএম প্রার্থী দেবরাজ বর্মণ।
আলিপুরদুয়ারে লড়ছেন তৃণমূলের প্রকাশ চিক বরাইক, বিজেপির মনোজ টিগ্গা, বাম ফ্রন্টের মিলি ওঁরাও।
প্রথম পর্বের ভোটের দিন আজ নির্ধারিত হবে ভারতের আট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ভাগ্যও। সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রমাণিকের। নিশীথ দাঁড়িয়েছেন কোচবিহার আসনে। এ আসনেরই সংসদ সদস্য তিনি।
এবার পশ্চিমবঙ্গে ভোট দেবেন ৭ কোটি ৬৯ লাখ ভোটার। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩ কোটি ৮৫ লাখ ৩০ হাজারের বেশি। নারী ৩ কোটি ৭৩ লাখ ৪ হাজারের বেশি। রাজ্যে আরও রয়েছেন ট্রান্সজেন্ডার ১ হাজার ৮৩৭ ভোটারও।
আজ পশ্চিমবঙ্গের তিন আসনে ভোট দিচ্ছেন ৫৬ লাখ ২৬ হাজার ১০৮ ভোটার। মোট ভোটকেন্দ্র করা হয়েছে ৫ হাজার ৮১৪টি। এর মধ্যে স্পর্শকাতর কেন্দ্র ৮৩৭টি।
এবারের ভোটকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে ভোটকেন্দ্রগুলো। নিয়োগ করা হয়েছে ২৬৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্য। প্রতিটি কেন্দ্রেই থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আরও থাকছেন ১২ হাজার ৩১০ রাজ্য পুলিশ সদস্য। নির্বাচন কমিশন স্পর্শকাতর কেন্দ্রে সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।
প্রথম পর্বের ভোটের দিন আজ নির্ধারিত হবে ভারতের আট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ভাগ্যও। সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রমাণিকের। নিশীথ দাঁড়িয়েছেন কোচবিহার আসনে। এ আসনেরই সংসদ সদস্য তিনি।
অন্য আট কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হলেন নীতিন গড়করি, কিরেন রিজিজু, ভূপেন্দ্র যাদব, সর্বানন্দ সেনেওয়াল, জিতেন্দ্র সিং, অর্জুন রাম মেঘওয়াল, সঞ্জীব বালিওয়ান এবং এল মুরুগান।
লোকসভা নির্বাচন ভোট লোকসভা পশ্চিমবঙ্গ
মন্তব্য করুন
চলছে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভোট দিতে গিয়ে এক বৃদ্ধা শুনেছেন- তিনি মারা গেছেন, আর ভোট দিতে না পেরে নিরাশ তিনি। কাগজে-কলমে মৃত হওয়ায় বাস্তবে জীবিত এই ভোটারের ভোট দিতে ব্যর্থ হওয়ার এই ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিভি৯ বাংলা।