ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিশ্বের ঝুঁকিপূর্ণ ১০ সড়ক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:২২ পিএম, ১৮ জুন, ২০১৮


Thumbnail

নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে প্রতিনিয়ত আমাদের কোনো না কোন পথ চলতে হয়। অনেক সময় আগে জানা থাকা সত্ত্বেও বিপদজনক পথটিকেই অনুসরণ করি আমরা। অনেক দ্বিধা সংশয়ের মধ্যেই পথ চলতে থাকি। কেননা জীবনের তাগিদ আমাদেরকে বিপদজনক পথ চলতে বাধ্য করে। তবে চলুন আজ এমনই দশটি ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা সম্পর্কে জেনে নেই। হরহামেশাই এখানে ঘটে দুর্ঘটনা। তবুও মানুষ এই পথেই বার বার যাত্রা করে।

১. খারদুঙ্গ লা, ভারত

বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু গিরি পথের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত রাস্তা হলো ‘খারদুঙ্গ লা’। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এবং গিনেস বিশ্ব রেকর্ড অনুযায়ী এই রাস্তাটি ভয়ঙ্কর ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা হিসেবে বিবেচিত। রাস্তাটি ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যে অবস্থিত। এর উচ্চতা পাঁচ হাজার ৩৫৯ মিটার। এটি ভারতের উচ্চতম গিরিপথ। ১৯৮৮ সালে এটিকে যান চলাচলের জন্য মুক্ত করে দেওয়া হয়। পৃথিবীর উচ্চতম যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত ‘সিয়াচেন’ হিমবাহের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য এর গুরুত্ব অপরিসীম।

২. গউলিয়াং টানেল, চীন

‘গউলিয়াং টানেল’ চীনের হেনান প্রদেশে অবস্থিত। এক হাজার ২০০ মিটার লম্বা এই সুড়ঙ্গটি পার্বত্য অঞ্চলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এই সুড়ঙ্গ পথের মাধ্যমে চীন হেনান প্রদেশের গউলিয়াং গ্রামের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করে।

৩. ডালটন হাইওয়ে, আলাস্কা

‘ডালটন হাইওয়ে’ আলাস্কাতে অবস্থিত। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে তুষারময় ও সোজা রাস্তা হিসেবে পরিচিত। ৬৬৬কিলেমিটার দৈর্ঘ্যের এই রাস্তাটি ১৯৭৪ সালে ট্রান্স আলাস্কা পাইপ লাইন সিস্টেমের সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য এটি তৈরি করা হয়েছিল। তুষারময় অঞ্চলে এর অবস্থান হওয়ার কারণে এটি খুব ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা হিসেবে বিবেচিত।

৪. ইশিমা ওহাশি ব্রিজ, জাপান

‘রোলার কোস্টার সেতু’ হিসেবে পরিচিত জাপানের এই সেতুটির নাম ইশিমা ওহাশি। এই শক্ত কাঠামোর খাড়া সেতুটি তৈরি করেছে জাপান। এটি ১৯৯৭ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যবর্তী সময়ে তৈরি করা হয়। নীচ দিয়ে খুব সহজে জাহাজ চলাচল করার উদ্দেশ্যে সেতুটির এইরূপ নকশা করা হয়েছে। এটি জাপানের প্রথম এবং পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তর কঠিন কাঠামো দিয়ে তৈরি সেতু। এর দৈর্ঘ্য ১ দশমিক ৭ কিলোমিটার, উচ্চতা ৪৪ দশমিক ৭ মিটার এবং প্রস্থ ১১ দশমিক ৩ মিটার।

৫. আটলান্টিক ওসেন রোড, নরওয়ে

‘আটলান্টিক ওসেন রোড’ নরওয়ে অবস্থিত। এর দৈর্ঘ্য হল ৮ দশমিক ৩ কিলোমিটার। সমুদ্রের মাঝখানে বেশ কয়েকটি দ্বীপের সাথে মোট আটটি সেতু জুড়ে এই রাস্তাটি তৈরি করা হয়েছে। এটি তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয় ১৯৭০ সালে। কাজ শুরু হয় ১লা আগষ্ট ১৯৮৩ সালে এবং শেষ হয় ৭ জুলাই ১৯৮৯ সালে। এটি তৈরি করার সময় ১২টি বৃহৎ সামুদ্রিক ঝড়ের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। ২০০৯ সালে এটিকে ‘নরওয়ে কনস্ট্রাকশন অফ দ্যা সেঞ্চুরি’ পুরষ্কারে ভূষিত করা হয়। বর্তমানে এই স্থানটি পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয় একটি জায়গা।

৬. জোজি লা, ভারত

‘জোজি লা’ পশ্চিম হিমালয় পর্বতশ্রেণীতে শ্রীনগর হতে লেহ যাওয়ার ১ডি নং জাতীয় রাস্তার ওপর অবস্থিত। এই রাস্তাটি তৈরি করা হয়েছে লাদাখ ও কাশ্মীরের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করার জন্য। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৯ কিলোমিটার। এটি প্রায় ৯৫২৮ মিটার উচ্চতায় অবস্থান করছে। এই সড়কটি এতটা সংকীর্ণ যে এখান থেকে যেকোন গাড়ি যেতে সংকোচ বোধ করবে। প্রতি বছর ছয় মাস প্রচন্ড তুষারপাতে জোজি লা’তে বরফ জমে থাকে। লেহ সড়কপথ তখন সমগ্র দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ২০০৮ সালে এখানে প্রায় ১৮ মিটার তুষারপাত হয়। প্রতি বছর বসন্তকালে সীমান্ত সড়ক সংস্থা এই স্থানের বরফ পরিষ্কার করে জুনের শুরু থেকে নভেম্বরের মধ্যভাগ পর্যন্ত ১ডি নং জাতীয় রাস্তাটি খোলার ব্যবস্থা করে।

৭. হানা, হাওয়াই

‘হানা’ হাইওয়েটি হাওয়াই দ্বীপে অবস্থিত। প্রশান্ত মহাসাগরের তীর বরাবর প্রবাহিত এক অপরূপ রাস্তা এটি। এর দৈর্ঘ্য ১০৩ কিলোমিটার।

৮. কলিমা, রাশিয়া

‘কলিমা’ সড়কটি রাশিয়াতে অবস্থিত। এটি ‘মৃত্যু রাস্তা’ নামেও পরিচিত। ১৯৩২ সালে রাস্তাটির কাজ শুরু হয়। তখন রাস্তাটির প্রথম অংশ কারাগারের বন্দিদের দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। এই রাস্তার কাজ শেষ করতে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত সময় লেগেছিল।

৯. লে প্যাসেজ ডি গইস, ফান্স

‘লে প্যাসেজ ডি গইস’ রাস্তাটি ফ্রান্সে অবস্থিত। রাস্তাটি তৈরি সম্পূর্ণ তৈরি হওয়ার পর জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। তবে কিছু ঘন্টা পরই এটিকে আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়। কারণ, সেসময় রাস্তাটি সম্পূর্ণ রূপে নদীর মধ্যে তলিয়ে যায়। জানা যায়, রাস্তাটির দৈর্ঘ্য ছিল ৪.১২৫ কিলোমিটার।

১০. ট্রান্সফার্গাসন, রোমানিয়া

এই রোমাঞ্চিত ও ভয়ংকর রাস্তাটি রোমানিয়ার পাহাড়ি অঞ্চলে অবস্থতি। কয়েক বছর আগে এক জরিপে দেখা যায়, বিশ্বের দর্শনীয় রাস্তা গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। ভয়ংকর হলেও রমণী‘র কার্লি চুলে মতো আঁকাবাঁকা ট্রান্সফার্গাসন রাস্তাটি ভ্রমণ পিপাসুদের মন কাড়ে।


বাংলা ইনসাইডার/ বিপি/জেডএ 



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

‘ইরান কখনোই নিষেধাজ্ঞার কাছে আত্মসমর্পণ করবে না’

প্রকাশ: ১০:৫৪ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ী  বুধবার তেহরানে হাজার হাজার শ্রমিকের সঙ্গে এক বৈঠকে বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের চাপ ও নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য হলো ইরানকে তাদের সামনে নতজানু করা এবং তাদের পুরোপুরি অনুসরণে বাধ্য করা। কিন্তু ইতিহাস-ঐতিহ্যের অধিকারী মহান ইরানি জাতি ও ইসলামি প্রজাতন্ত্র গুণ্ডামি ও বাড়াবাড়ির সামনে নত হবে না। ইরানি জাতি কখনই বৈশ্বিক অহংকার দ্বারা আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কাছে নতি স্বীকার করবে না এবং নিষেধাজ্ঞাকে সুযোগে পরিণত করে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নির্মাণ করবে।

সর্বোচ্চ নেতা বলেন, 'আমরা বহু বছর ধরে আমেরিকা এবং ইউরোপের কঠোর নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন। তাদের নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য কী? তারা পারমাণবিক অস্ত্র এবং মানবাধিকারের কথা বলছে। এটা মিথ্যাচার। এগুলো কিছু নয়। সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করা হচ্ছে এই অভিযোগে ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে। তাদের দৃষ্টিতে সন্ত্রাসবাদী কারা? গাজাবাসীরা সন্ত্রাসী!'

তিনি আরও বলেন, 'আমেরিকা ও ইউরোপের মতে গাজার জনগণ সন্ত্রাসী। একটি বদমাইশ, দখলদার ও অবৈধ সরকার মাত্র ছয় মাসে প্রায় ৪০ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে, এর মধ্যে শিশু রয়েছে কয়েক হাজার। এরপরও তারা সন্ত্রাসী নয়, কিন্তু যারা প্রতিনিয়ত বোমা হামলার মধ্যে রয়েছে তারা সন্ত্রাসী! ইহুদিবাদী ইসরায়েল (ফিলিস্তিনিদের) ক্ষেত-খামার ও ঘর-বাড়ি বুলডোজার দিয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিচ্ছে যাতে উপশহর নির্মাণ করতে পারে। ফিলিস্তিনিরা তাদের কাছ থেকে জোর করে কেড়ে নেওয়া বাড়িটি  রক্ষার চেষ্টা করছে। সে কীভাবে সন্ত্রাসী হতে পারে? তারাই সন্ত্রাসী যারা তাদের ওপর বোমাবর্ষণ করছে।'


ইরান   নিষেধাজ্ঞা   আত্মসমর্পণ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউক্রেনকে গোপনে দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে আমেরিকা

প্রকাশ: ১০:৪০ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইউক্রেনে গোপনে দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে ইউক্রেনীয় বাহিনী রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ওইসব ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারওে শুরু করেছে। মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্ত্রগুলো গত মার্চ মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ৩০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা প্যাকেজের অংশ ছিল, যা চলতি মাসে কিয়েভে পৌঁছেছে।

মার্কিন মিডিয়ার প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, অধিকৃত ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য ইতোমধ্যে অন্তত একবার ওই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।

বুধবার ইউক্রেনের জন্য আরও ৬১ ‍বিলিয়ন ডলারের  নতুন সহায়তা প্যাকেজ স্বাক্ষর করেছেন বাইডেন।

এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম (এটিএসিএমএস) এর মধ্য-পাল্লার সংস্করণ সরবরাহ করেছিল। সে সময় আরও শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা পাঠানো ব্যাপারে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছিল।

তবে গত ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গোপনে ইউক্রেনে দূর-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা- যা ৩০০ কিলোমিটার (১৮৬ মাইল) পর্যন্ত দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম পাঠাতে পারে।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন,  “আমি নিশ্চিত করতে পারি যে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরাসরি নির্দেশে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র প্রদান করা হয়েছে।

ইউক্রেনের অপারেশনাল নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য তাদের অনুরোধে বিষয়টি এটি আগে  ঘোষণা করা হয়নি বলে জানান তিনি।

ইতোমধ্যে কতগুলো ব্যালিস্টি অস্ত্র পাঠানো হয়েছে তা স্পষ্ট নয়, তবে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, “ওয়াশিংটন আরও ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর পরিকল্পনা করছে, যা একটি পার্থক্য তৈরি করবে। কিন্তু আমি যেমন এই মঞ্চে আগেই বলেছি... কোনও রূপালী বুলেট নেই।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, অধিকৃত ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার একটি বিমানঘাঁটিতে আঘাত হানতে গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মঙ্গলবার রাতে অধিকৃত বন্দর শহর বারডিয়ানস্কে রাশিয়ার সেনাদের ওপর হামলায় নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।


ইউক্রেন   ব্যালিস্টিক   ক্ষেপণাস্ত্র   আমেরিকা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নারী চিকিৎসকের সেবা নেওয়া রোগীদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেশি: গবেষণা

প্রকাশ: ০৯:৪০ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নারী চিকিৎসকদের কাছ থেকে চিকিৎসা নিলে রোগীদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা অনেকাংশেই বেড়ে যায়। একইসাথে নারী ডাক্তাদের কাছ থেকে চিকিৎসা গ্রহণ শেষে পুনরায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হবার সম্ভাবনাও অনেকাংশে কম।

চিকিৎসা ক্ষেত্রে নারীদের সুনাম দীর্ঘদিনের। তবে এবার সামনে এসেছে নতুন তথ্য। গবেষণা বলছে, নারী চিকিৎসকের সেবা নেওয়া রোগীদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেশি। বুধবার (২৪ এপ্রিল) এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

চিকিৎসা ও গবেষণাবিষয়ক জার্নাল ‘অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন’ জানিয়েছে, নারী চিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের মৃত্যুহার কম। এমনকি নারীদের কাছে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের পুনরায় হাসপাতালে ভর্তির সম্ভাবনাও কম।

সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ১০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সময়ে এ গবেষণা চালানো হয়েছে। এ সময়ে ৭ লাখ ৭৬ হাজার রোগীর ওপর এ গবেষণা চালানো হয়। এরমধ্যে ৪ লাখ ৫৮ হাজার ১০০ নারী ও তিন লাখ ১৮ হাজার ৮০০ জন পুরুষ ছিলেন।

ওই গবেষণার ফলে বলা হয়েছে, নারী চিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের মৃত্যু ও পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার কম ছিল।

এতে দেখা গেছে, নারী চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেওয়া নারী রোগীদের মধ্যে মৃত্যুর হার ছিল ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ। অন্যদিকে পুরুষ চিকিৎসকের কাছে নারী চিকিৎসা নেওয়া রোগীর মৃত্যুর হার ছিল ৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

অন্যদিকে নারী চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেওয়া পুরুষ রোগীদের মৃত্যুর হার ছিল ১০ দশমিক ১৫ শতাংশ। আর পুরুষ চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেওয়া পুরুষ রোগীদের মৃত্যুর হার ছিল ১০ দশমিক ২৩ শতাংশ।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইয়োসুকে তুগাওয়া নামের এক গবেষক বলেন, নারী চিকিৎসকরা ভালো মানের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। সামাজিক দিক দিয়ে নারী চিকিসৎকদের দিয়ে চিকিৎসা করালে রোগীরা লাভবান হন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোগীদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে নারী চিকিৎসকরা বেশি সময় ব্যয় করেন। তারা রোগীদের রোগ নিয়ে ভালোভাবে খোঁজ নেন। এছাড়া নারী রোগীরা নারী চিকিৎসকদের নিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।

এর আগে ২০২২ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, একজন নারী চিকিৎসক একজন রোগীর পেছনে গড়ে ২৩ মিনিট সময় ব্যয় করেন। অন্যদিকে একজন পুরুষ চিকিৎসক গড়ে একজন রোগীর পেছনে ২১ মিনিট সময় ব্যয় করেন।


নারী   চিকিৎসক  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা চলছেই, নিহত আরও ৭৯

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৭৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৩৪ হাজার হাজার ২৫০ জন।

এছাড়া গত অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৭৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে জানায়, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে এবং গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত আরও ৭৯ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৮৬ জন আহত হয়েছেন বলে বুধবার ওই অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছে না বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের একটি অস্থায়ী রায়কে লঙ্ঘন করে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চালানো বর্বর এই আগ্রাসনে অন্তত ৩৪ হাজার ২৬২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহত এসব বিপুল সংখ্যক ফিলিস্তিনির বেশিরভাগই নারী এবং শিশু। এছাড়া ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৭৭ হাজার ২২৯ জন।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ কোনও ধরনের আশ্রয় ছাড়াই বসবাস করছে এবং প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম ত্রাণবাহী ট্রাক এই অঞ্চলে প্রবেশ করছে।

ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এক অন্তর্বর্তী রায়ে এই আদালত তেল আবিবকে গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদানের নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়।

ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান ফিলিপ লাজারিনির মতে, সাহায্যের ‘অর্থপূর্ণ ও নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের’ মাধ্যমেই শুধুমাত্র উত্তর গাজার দুর্ভিক্ষ এড়ানো যেতে পারে।


গাজা   ইসরায়েল   নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

‘যুক্তরাষ্ট্র সরে এলে বিশ্বের নেতৃত্ব দেবে কে’

প্রকাশ: ০৮:৫২ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি বিশ্বরাজনীতির মঞ্চ থেকে সরে আসে, তাহলে কে বিশ্বের নেতৃত্ব দেবে? এ ধরনের পিছু হটার মনোভাবের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করে দেশের জনগণের কাছে এ প্রশ্ন রেখেছেন তিনি। খবর এনডিটিভির।

আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে লড়তে হবে জো বাইডেনকে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ফ্লোরিডায় এক নির্বাচনী সমাবেশে অংশ নিয়ে বাইডেন বলেন, ‘বিষয়টি এভাবে ভেবে দেখুন—যুক্তরাষ্ট্র যদি বিশ্বরাজনীতির মঞ্চ থেকে সরে আসে, তাহলে কে বিশ্বের নেতৃত্ব দেবে? কে দেবে বিশ্বের নেতৃত্ব?’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, প্রতিটি আন্তর্জাতিক বৈঠকে, সেটা হোক জি-৭ বা জি-২০, যেখানে আমি অন্য রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে উপস্থিত থাকছি। সেখানে এখন একটি বিষয় ঘটছে, সব আন্তর্জাতিক বৈঠক থেকে বের হওয়ার আগে আক্ষরিক অর্থে প্রায় প্রত্যেকে আমার দিকে এগিয়ে আসছেন। তারা আমাকে একপাশে একা পেতে অপেক্ষায় থাকেন এবং হাত ধরে বলেন, আপনাকে জিততে হবে। বাইডেন বলেন, এটা আমার জন্য নয়, বরং আমার বিকল্প যিনি আছেন, সে জন্য।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বিশ্ব নজর রাখছে। এই নির্বাচনে আমরা কীভাবে এগোচ্ছি, সেটা তারা দেখতে চায়। এটা ঠিক এ জন্যই নয় যে আমরা জিতব কি জিতব না, বরং কীভাবে আমরা এগোচ্ছি, সে জন্য।’


যুক্তরাষ্ট্র   বিশ্ব   নেতৃত্ব  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন