ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কেমন দেশ পর্তুগাল?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:১৬ পিএম, ২০ জুন, ২০১৮


Thumbnail

শুরু হয়ে গেছে ফুটবল বিশ্বকাপ। কে কোন দেশের সাপোর্ট করছে, কোন দলের খেলোয়ার ভালো খেলছে, কোন প্লেয়ার কয়টা গোল করল এইসব নানা বিষয় নিয়ে চলছে তুমুল তর্ক-বির্তক। এই বিতর্ক বাড়ি থেকে বেরিয়ে অফিসে, চায়ের দোকানে কিংবা রাস্তা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। আমরা বিভিন্ন জন বিভিন্ন দল সাপোর্ট করছি। আমরা হয়তো সাপোর্ট করা দলের প্লেয়ার ও তাদের খেলা সম্পর্কে অনেক কিছুই জানি। কিন্তু আমরা কী আসলে আমাদের সাপোর্ট করা দলের দেশটি সম্পর্কে জানি? ফুটবল বিশ্বকাপে আসা এমনই একটি দেশ ‘পর্তুগাল’ সম্পর্কে আজ আপনাদের জানাবো।

পর্তুগাল বলতেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে আসে ক্রিস্টিয়ানা রোনালদো’র নাম। মনে আসে জাহাজে ঘুরে ঘুরে দেশ আবিষ্কার করে বেড়ানো ভাস্কো-দা-গামার কথাও। কিন্তু এই দেশটির আরও একটি পরিচয় আছে, যা খুব কম মানুষই জানে। আর তা হল দেশটির এক বিষাদময় পরিচয়। ‘ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট’ অনুযায়ী, বিশ্বের ১৫৭টি বিষাদময় দেশের তালিকায় পর্তুগালের স্থান ৮৯ হলেও পৃথিবীর আর কোনো দেশকে নিয়ে ‘বিষাদেরেই বাসি ভালো’ এই ধরনের কথা বলা যায় না।

পর্তুগাল দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপের একটি রাষ্ট্র। লিসবন পর্তুগালের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। দেশটির উত্তরের ভূমি পর্বতময় ও সবুজের হাতছানি মাখা। উত্তরের দিকটা শীতল আবহাওয়া এবং প্রচুর বৃষ্টিপাত সম্পন্ন, দক্ষিণের আবহাওয়া আবার একেবারেই ভিন্ন। সেই অঞ্চলটি বেশ উষ্ণ এবং মাইলের পর মাইল জুড়ে রয়েছে বিস্তৃত রৌদ্রোজ্জ্বল বেলাভূমি। তাছাড়া আটলান্টিক মহাসাগরে দেশটির দীর্ঘ উপকূল রয়েছে।

পর্তুগাল খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দীতে রোমান সাম্রাজ্যের অংশে পরিণত হয়। খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতকে রোমান শাসনের অবসানের পর ইউরোপের অভ্যন্তরভাগ থেকে জার্মানীয় জাতির লোকেরা এসে পর্তুগাল শাসন করে। এরপর উত্তর আফ্রিকা থেকে মুসলমানেরা এসে দেশটি দখল করে। এরপর এলাকাটি স্পেনীয় রাজাদের অধীনে আসে। ১২শ শতকে পর্তুগাল একটি স্বাধীন রাজ্যে পরিণত হয়।

১৫শ শতকে পর্তুগাল ইউরোপের প্রধান সমুদ্রাভিযান কেন্দ্রে পরিণত হয়। পরবর্তী প্রায় ১০০ বছর পর্তুগিজ নাবিকেরা বিশ্ব ভ্রমণে বেরিয়ে যান এবং বিশ্বের সমুদ্র বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করেন। এই নাবিকদের সহায়তায় পর্তুগাল ইউরোপের প্রথম রাষ্ট্র হিসেবে একটি বৃহৎ সাম্রাজ্য গড়ে তোলে। ১৬শ শতকের শেষ নাগাদ পর্তুগালের শক্তি ও সম্পদ নিঃশেষ হয়ে যায় এবং দেশটি তার বেশির ভাগ এশীয় উপনিবেশ হারায়। পর্তুগাল তার বৃহত্তম উপনিবেশ ব্রাজিলের উপর ১৯শ শতক পর্যন্ত এবং তার বিশাল আফ্রিকান সাম্রাজ্যের উপর ২০শ শতক পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে। পর্তুগালের অধীনে বিশ্বের এক বিশাল স্থলভাগ থাকলেও এটি ইউরোপের সবচেয়ে অনুন্নত দেশগুলির একটি।

পর্তুগীজরা সামাজিক, বন্ধুসুলভ, সহায়তাকারী এবং উত্তরাধিকারসূত্রে বিষণ্ণ সমাজের ধারা বহন করছে। কেউ পর্তুগাল ভ্রমণে আসলে দেখতে পাবেন শহরজুড়ে ব্যস্ত কফি শপ, রেস্টুরন্টে বসে তরুণদের উদ্দামতা, রাস্তায় বসে গানের আসর, স্থানীয় ও পর্যটকরা এসবে মিলে মিশে একাকার। তাহলে কোথা থেকে আসে এ বিষণ্ণতা? এটি বুঝতে হলে পর্তুগীজদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বুঝতে হবে। পর্তুগীজদের ইতিহাসে যেমন রয়েছে সমুদ্রযাত্রা এবং ফলশ্রুতিতে প্রিয়জনকে নিয়ত বিদায়, তেমনই রয়েছে বহিঃশত্রুর আক্রমণ ও একনায়কতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার প্রভাব, ফলে তাদের জীবনযাত্রার মধ্য দিয়ে ‘ফাদো’ ও ‘সউদেদ’ শব্দ দুটি সংস্কৃতির মধ্যে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে গেছে।

‘ফাদো’ পর্তুগীজ সঙ্গীতের এমন এক ধারা, যেখানে শুধুমাত্র একটি গিটারের সাহায্যে গানের মধ্য দিয়ে ব্যথিত হৃদয়ের আবেগ, হারানোর বেদনা, ভালোবাসা, আশা-আকাঙ্ক্ষার লোকগাঁথা পরিস্ফুটিত হয়। ফাদো মিউজিকের উৎপত্তি বা কীভাবে এ সঙ্গীত পর্তুগীজ সমাজের সাথে মিশে গেল, তার সঠিক ইতিহাস পাওয়া যায়নি। তবে অনুমান করা হয়, দেশ হিসেবে পর্তুগাল প্রতিষ্ঠার অনেক আগে থেকে এই সঙ্গীতের জন্ম। এক গবেষণায় জানা যায়, ১৮২০ সালের দিকে পর্তুগীজ সমাজে এর ব্যবহার শুরু হয়েছে।

‘সউদেদ’ পর্তুগীজ ভাষায় এক অতি সুন্দরতম শব্দ। ইংরেজি কিংবা অন্য কোনো ভাষায় এ শব্দের অন্য কোনো উপযুক্ত অর্থ খুঁজে পাওয়া যায়নি। অক্সফোর্ড শব্দকোষে সউদেদের আভিধানিক অর্থ বলতে মানুষের নস্টালজিক সময় হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। কিন্তু পর্তুগীজদের কাছে এই শব্দটি তার চেয়েও বেশি কিছু। এই শব্দের সাথে জড়িয়ে রয়েছে একটি দেশের মানুষের গভীর ভাবাবেগ।

পর্তুগীজরা তাদের সমাজ জীবনে পরিবার-পরিজন, পরিচিত আত্মীয়, বন্ধুবান্ধবদের মাঝে এই শব্দটি প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে থাকে, তাদের ফেলে আসা স্মৃতিময় অতীতকে বারবার ফিরে পেতে চায় এই শব্দের মাধ্যমে। তারা একজন যখন আরেকজনকে বিদায় বেলায় পর্তুগীজ ভাষায় বলে, ‘ভওউ তার্ সউদেদস্ তোয়স’ তার অর্থ হলো ‘আমি তোমাকে মিস করব’। কারো বিদায় বেলায় এই শব্দ কয়টি তাদের হৃদয়ের তীব্র ব্যঞ্জনাকেই আমাদের সামনে তুলে ধরে।

আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, সে দেশের কেউই একজন অন্যজনকে ‘হ্যাভ আ নাইস ডে’ বলে সম্বোধনই করেন না। ‘কেমন আছেন?’ এমনতর জিজ্ঞাসায় যে সাধারণ উত্তরটি পর্তুগীজবাসীদের কাছ থেকে পাবেন তা হলো, ‘এই তো, চলে যাচ্ছে’। ভূমধ্যসাগরের জল-হাওয়াও নাকি মন ভালো করতে পারে না পর্তুগালের বাসিন্দাদের।

পর্তুগীজদের সংস্কৃতিরই একটি অংশ বিষণ্ণ হয়ে গেছে এমনটি তাদের ধারণা। তাদের কাছে এই বিষাদই যেন আনন্দঘন। এই বিষণ্ণতার প্রতিচ্ছবি পরতে পরতে ছড়িয়ে রয়েছে সে দেশের শিল্প, সাহিত্য, এমনকি  স্থাপত্য-ভাস্কর্য-চিত্রকলায়ও। এর মধ্যে কখনো কখনো উঁকি দেয় অতীতবিলাস। বর্তমানকে সরিয়ে দিয়ে পর্তুগীজরা ছুঁতে চান এক অসম্ভব অতীতকে। সেটি পাওয়া সম্ভব নয় জেনেই তারা বিষণ্ণ হন।

এটা মনে হওয়া খুবই স্বাভাবিক, পর্তুগালের অধিকাংশ মানুষ কীভাবে বিষণ্ণ হন। কিন্তু পর্তুগীজদের সাথে কিছু দিন মেলামেশা করলে দেখা যাবে, ব্যাপারটি আপনার কাছে অন্যরকম মনে হওয়ায় স্বাভাবিক। বিষাদের মধ্য দিয়ে পর্তুগীজরা প্রতিনিয়ত তাদের মনোজগতে এমন কিছুর সন্ধানে ব্যস্ত, যেন প্রকৃতি, মানুষ সব কিছুর ভিতরে এক বিষাদের ধারা আবিষ্কার করে তারা মজে আছে সেই অনাবিল সৌন্দর্যে। পর্তুগীজরা মনে করে, তাদের এই বিষাদ এক সহনীয় বিষাদ। একে ঠিকমতো লালন করতে পারলে মনের গভীর থেকে প্রকৃত সুখ বহমান ধারার মতো তাদের জীবনধারায় বইতে থাকবে।

বাংলা ইনসাইডার/ বিপি



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মোদির বিরুদ্ধে ইসিতে ২০ হাজার নাগরিকের চিঠি

প্রকাশ: ০৬:৫৪ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের নির্বাচনী প্রচারণায় কংগ্রেস ও মুসলমানদের সরাসরি আক্রমণ করে বক্তব্য দেয়ার প্রতিবাদে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখেছেন প্রায় ২০ হাজার নাগরিক, যে চিঠিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।  

তারা বলছে, নির্বাচনি জনসভায় মোদি যা বলেছেন, তা ভয়ংকর। কমিশন ব্যবস্থা না নিলে নির্বাচনি সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা ও স্বশাসনের চরিত্রকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাবে।

ভারতের নির্বাচনে এবারও ধর্মীয় সংখ্যালঘু বিশেষ করে মুসলিম সম্প্রদায়কে নিশানা করে প্রচারণা চালাচ্ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একইসঙ্গে আক্রমণ করছেন প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসকেও।

সম্প্রতি রাজস্থান ও উত্তর প্রদেশে পরপর দুটি নির্বাচনি জনসভায় কংগ্রেসকে লক্ষ্য করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ক্ষমতায় এলে তারা সাধারণ মানুষের ধন-সম্পত্তি দখল করে মুসলমানদের মধ্যে বিলি-বাটোয়ারা করে দেবে। এ কথা তারা তাদের দলের নির্বাচনি ইশতেহারেও জানিয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংসহ তার সরকারের নীতিনির্ধারকরা এ ধরনের অভিপ্রায়ের কথা বলেছিলেন। এই কংগ্রেসকে জনগণ ভোট দেবে কিনা?

‘তারা কি চান, তাদের কষ্টার্জিত সম্পত্তি, যারা শুধু কাঁড়ি কাঁড়ি বাচ্চার জন্ম দেয়, তাদের মধ্যে বাঁটোয়ারা হোক? তাদের সম্পদের মালিক হোক অনুপ্রবেশকারীরা?’ মুসলমানদের বিদ্রূপ করে প্রশ্ন ছোড়েন মোদি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর দেশটির সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মুসলিমদের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে। এসব উসকানিমূলক বক্তব্য ঠেকাতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে সাধারণ মানুষ।

তবে দুইদিন পেরিয়ে গেলেও ভারতের নির্বাচন কমিশন নিরুত্তর। কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ তো দূরের কথা, মন্তব্য পর্যন্তও করেনি তারা। আর এ অবস্থার মধ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে শুক্রবার।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী   নরেন্দ্র মোদি   লোকসভা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কৃষকদের মাথার খুলি-হাড় নিয়ে বিক্ষোভ

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে, ঋণ শোধ করতে না পেরে আত্মহত্যা করা কৃষকদের মাথার খুলি ও হাড় নিয়ে বিক্ষোভ করেছে ভারতের তামিলনাড়ুরর কৃষকরা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নয়াদিল্লির জন্তর মন্তরে অভিনব এই কায়দায় বিক্ষোভ করেন তামিলনাড়ুর দুইশর জনের মতো কৃষক। জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।

এসময় প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও বাড়ানো হয়নি ফসলের দাম। দাবি জানানো হয় ঋণ মওকুফের। তারা বলেন, ঋণের বোঝা বইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন হাজার হাজার চাষী।

তারা বলেন, কোনো দলের হয়ে নয় বরং সাধারণ কৃষক হয়েই সাহায্য চান তারা। দাবি না মানলে মোদির বিরুদ্ধে লোকসভা নির্বাচনে লড়ারও হুমকি দেন বিক্ষোভকারীরা। একই দাবিতে এই স্থানে এর আগেও বিক্ষোভ করেন ঋণগ্রস্ত কৃষকরা।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় শস্যের দাম দ্বিগুণ করার ঘোষণা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তখন তিনি ঘোষণা করেছিলেন, শস্যের দাম দ্বিগুণ করা হবে এবং নদীগুলোকে আন্তঃসংযুক্ত করা হবে।


ভারত   তামিলনাড়ুর   কৃষক   মাথার খুলি   হাড়   বিক্ষোভ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নুডলসের প্যাকেটে কোটি টাকার হীরা পাচার

প্রকাশ: ০৩:১০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মুম্বাই থেকে ব্যাংকক যাওয়ার পথে এক ভারতীয় পর্যটকের স্যুটকেসের ভেতরে রাখা নুডলসের প্যাকেট থেকে উদ্ধার করা হয় বিপুল অঙ্কের সোনা ও হীরা। ভারতের মুম্বাই বিমানবন্দরে সোমবার ( ২২ এপ্রিল ) রাতে ৬ কোটি ৪৬ লাখ রুপি মূল্যের হীরা ও স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। খবর এনডিটিভির।

সোমবার রাতে একটি যাত্রীর ব্যাগ থেকে ৪ কোটি ৪৪ লাখ রুপি মূল্যের ৬ দশমিক ৮ কেজি সোনা ও ২ কোটি ২০ লাখ রুপির হীরা উদ্ধার হয়েছে। এ সময় ওই যাত্রীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে বিমানবন্দর কর্মকর্তারা। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মুম্বাইয়ের শুল্ক দপ্তরের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানা গেছে।

এছাড়াও, কলোম্বো থেকে মুম্বাই আসা বিদেশী পর্যটকের অন্তর্বাসের ভিতরে লুকানো অবস্থায় পাওয়া যায় ৩২১ গ্রাম ওজনের সোনার বার উদ্ধার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এতো বিপুল পরিমাণ সোনা ও হীরা কোথায় পাচার করছিলো অভিযুক্তরা, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে।


ভারতীয়   পর্যটক   স্যুটকেস   নুডলস   প্যাকেট   হীরা   পাচার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বন্যার পর এবার আরব আমিরাতে ঘন কুয়াশার প্রকোপ

প্রকাশ: ০৩:০১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই এবার ঘন কুয়াশার কবলে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির রাজধানী আবুধাবি ও ওমান সীমান্তবর্তী শহর আল আইনে বসবাসরতদের গাড়ি চালানোর সময় অতিরিক্ত সতর্কতা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে খালিজ টাইমস এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ন্যাশনাল সেন্টার অফ মেটিওরোলজি (এনসিএম) আজ বুধবার পর্যন্ত বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ধূলিঝড়ের জন্য সতর্কতা জারি করেছে। এছাড়াও প্রবল বাতাসের কারণে অনুভূমিক দৃষ্টিসীমা ২ হাজার মিটারের থেকেও কম।

এনসিএম পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ধুলো ও ময়লা বহনকারী উত্তর-পশ্চিমী বাতাস ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এমন অবস্থায় ঘন কুয়াশার কারণে ‘ইয়েলো অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৭৫ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে।


আরব আমিরা   ঘন   কুয়াশার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পাকিস্তান সফর শেষে শ্রীলঙ্কার পথে ইরানের প্রেসিডেন্ট

প্রকাশ: ০২:৫৩ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তিনদিনের পাকিস্তান সফর শেষে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে করাচি ছেড়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কলম্বোর উদ্দেশে বিমানে চড়েন তিনি। এ সময় তাকে পাকিস্তানের গণপূর্তমন্ত্রী রিয়াজ হোসেন পিরজাদা ও সিন্ধু প্রদেশের গভর্নর বিদায় জানান। খবর ইরনার
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের আমন্ত্রণে একদিনের সফরে দেশটির রাজধানী কলম্বো যাচ্ছেন রাইসি। এই সফরে রনিল বিক্রমাসিংহে ইরানের প্রেসিডেন্টকে সঙ্গে নিয়ে দুটি বাঁধ ও একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। প্রায় ৫৩ কোটি ডলারের প্রকল্পটি ইরানি বিশেষজ্ঞরা নির্মাণ করেছেন।

এর আগে গত সোমবার (২২ এপ্রিল) পাকিস্তানে আসেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। গত ৮ এপ্রিল সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর প্রথম বিদেশি সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে তিনি ইসলামাবাদ সফর করেন। ২২ থেকে ২৪ এপ্রিল দেশটিতে অবস্থান করেন ইব্রাহিম রাইসি। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর দেশটির প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক নথিতে স্বাক্ষর করেন রাইসি।

প্রসঙ্গত, মাত্র কয়েক মাস আগে পাল্টাপাল্টি হামলায় ইরান-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। তবে কূটনীতির মাধ্যমে সম্পর্ক জোড়া লাগায় মুসলিম বিশ্বের শক্তিধর এই দুই দেশ। পাকিস্তানের নতুন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর ইব্রাহিম রাইসির এই সফর দুই দেশের সম্পর্ক আরও উন্নত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।


পাকিস্তান   সফর   শ্রীলঙ্কা   ইরান   প্রেসিডেন্ট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন