নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:০২ পিএম, ১৯ জুলাই, ২০১৮
বৈচিত্র্য আর রহস্যে ঘেরা এ পৃথিবীর নানা রহস্যের সন্ধানে ভ্রমনপ্রেমী মানুষদের রয়েছে তীব্র আকর্ষণ। পাহাড় থেকে বনভূমি কোন জায়গায়ই বাদ নেই। তবে সে ভ্রমণ যেন না হয় কারো বিপদের কারণ। তাই, ভ্রমনের আগেই জেনে রাখুন বিশ্বের বিপজ্জনক ১০ টি জায়গা সম্পর্কে:
হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ, যুক্তরাষ্ট্র:
সারা বিশ্বে ভ্রমনপ্রেমীদের কাছে অন্যতম আকর্ষনীয় স্থান এটি। তবে আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের কারণে এ স্থানটি পর্যটকদের কাছে ঝুঁকিপূর্ণ। পৃথিবীর সবচেয়ে সক্রিয় দুটি আগ্নেয়গিরির মধ্যে একটি হাওয়াইয়ে অবস্থিত। তাই, হাওয়াই দ্বীপ ভ্রমণের পরিকল্পনা করার আগে আর একবার ভাবুন।
আকাপুলকো, মেক্সিকো:
প্রশান্ত মহাসাগরে ঘেরা মেক্সিকোর এ শহরটিকে রাজনৈতিক দিক দিয়ে ইরান, সিরিয়া, উত্তর কোরিয়ার মতো ঝুকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শুধু তাই নয়, সাম্প্রতিক সময়ে এ শহরটিকে সহিংসতার রাজধানী বলে উল্লেখ করা হয়। তা সত্ত্বেও এ শহরের অবস্থিত সাদা বালিতে পূর্ণ সমুদ্র সৈকতটি পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়।
ডেথ ভ্যালি, যুক্তরাষ্ট্র:
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত এ মৃত্যু উপত্যকাটি পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণতম অঞ্চলগুলোর একটি। তা সত্ত্বেও প্রতি বছর বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে হাজার হাজার পর্যটক এখানে পাড়ি জমায়। মধ্যপ্রাচ্যের মরু অঞ্চলকেও হার মানায় এখানকার তাপমাত্রা, বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ মাত্র ৫ সেন্টিমিটার।
ডানাকিল মরুভূমি: ইরিত্রিয়া:
কয়েকটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরির অবস্থানের জন্য ডানাকিল মরুভূমি অত্যন্ত বিপদজনক। এ সব আগ্নেয়গিরি থেকে বিভিন্ন রকম বিষাক্ত নির্গত হয়। ভয়ংকর ভূ-প্রকৃতির কারণে এ স্থানটি পর্যটকদের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তাই, এখানে ঘুরতে চাইলে অবশ্যই স্থানীয় গাইডের সহায়তা নিন।
বোর্নিও, মালয়েশিয়া:
মালয় দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত এ দ্বীপটিকে পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম দ্বীপ বলা হয়ে থাকে। বিচিত্র শ্রেনীর বন্য প্রজাতির জীবনযাত্রা পরিদর্শনের জন্য প্রকৃতি প্রেমী পর্যটকদের কাছে এ দ্বীপটি অত্যন্ত আকর্ষনীয়। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবে এ দ্বীপে প্রায়ই পর্যটক হত্যা, অপহরণের মত সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে।
মাউন্ট ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র:
যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত মাউন্ট ওয়াশিংটন পর্বতে বাতাসের গতি প্রচন্ড বেশি। বৈরী আবহাওয়ার কারণে এ পর্বতটিকে পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ানক পর্বতচূড়া বলা হয়। প্রচন্ড তুষারপাতের কারণে পর্যটকদের জন্য এ স্থানটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তবে এ পর্বতের উচ্চতা খুব বেশি নয়, মাত্র ৬২৮৮ ফুট।
মাদাগাস্কার, আফ্রিকা:
আফ্রিকা মহাদেশে যতগুলো রাষ্ট্র রয়েছে তাঁর মধ্যে মাদাগাস্কার অন্যতম শক্তিশালী রাষ্ট্র। এ রাষ্ট্রটিতে রাজনৈতিক সহিংসতা না থাকলেও মহাসড়ক গুলোতে ছিনতাই, চুরি, ডাকাতির মতো ঘটনাগুলো প্রায়শই ঘটে থাকে। এ শহরটিতে মহামারী প্লেগ রোগও রয়েছে সেজন্য পর্যটকদের সতর্ক থাকা খুব জরুরি।
সিনাবাং আগ্নেয়গিরি, ইন্দোনেশিয়া:
রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার জন্য অনেকেই ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে অবস্থিত এ আগ্নেয়গিরিটি পরিদর্শন করে। তবে এ সক্রিয় আগ্নেয়গিরির থেকে অগ্নুৎপাতের কারণে পূর্বে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে হাজার হাজার মানুষ ও ঘরবাড়ি। তাই এখানে ভ্রমণ করতে চাইলে আগে থেকেই প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করুন।
কায়রো, মিশর:
মিশরের রাজধানী কায়রোর ঐতিহাসিক স্থানগুলো পরিদর্শনে প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক ভিড় জমায়। তবে মেয়েদের ভ্রমনের জন্য কায়রোকে বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক নগরী বলা হয়ে থাকে। দেশটির নারী অধিকার কর্মীরা নারী বৈষম্যকেই এর প্রধান কারণ হিসেবে মনে করছেন।
মাদিদি ন্যাশনাল পার্ক, বলিভিয়া:
বলিভিয়ার উত্তর-পশ্চিম দিকে ৪৭ লাখ একর জায়গা জুড়ে এ রেইন ফরেস্টটি বিস্তৃত। নানা ধরনের বিচিত্র প্রানীর বাস ভয়ঙ্কর সুন্দর এ পার্কটিতে, রয়েছে নানা রকম বিষাক্ত ও ভয়ংকর প্রজাতির প্রানীও। তাই এ স্থানটিতে ভ্রমণ করতে চাইলে আগে থেকেই সতর্ক হন। পূর্বে ভ্রমণ অভিজ্ঞতা আছে, এমন কারো থেকে বিস্তারিত জেনে নিন।
বাংলা ইনসাইডার/জেডআই/জেডএ
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে নিহতের সংখ্যা।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের হামলায় নিহত মানুষের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে। শুক্রবার হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে বলছে, ইসরায়েলের হামলায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪২ জন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৬৩ জন।
এ নিয়ে গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৩৪ হাজার ১২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হলেন। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু রয়েছেন। পাশাপাশি গাজায় আহত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৬ হাজার ৮৩৩ জনে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। জবাবে ওই দিনই পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর মধ্যে জেরুজালেমসহ ফিলিস্তিনের কয়েকটি জায়গায় আশ্রয়শিবিরে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ ছাড়া গাজা থেকে পালানোর সময় বেসামরিক লোকজনের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলা চালানোর খবর এসেছে। হামলা হয়েছে গাজার হাসপাতালেও।
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিন গাজা
মন্তব্য করুন
মালয়েশিয়া বাংলাদেশি শ্রমিক জাতিসংঘ
মন্তব্য করুন
ইরান ইসরায়েল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ক্ষেপনাস্ত্র হামলা
মন্তব্য করুন
চলছে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভোট দিতে গিয়ে এক বৃদ্ধা শুনেছেন- তিনি মারা গেছেন, আর ভোট দিতে না পেরে নিরাশ তিনি। কাগজে-কলমে মৃত হওয়ায় বাস্তবে জীবিত এই ভোটারের ভোট দিতে ব্যর্থ হওয়ার এই ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিভি৯ বাংলা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভুক্তভোগী ওই বৃদ্ধার নাম বাসন্তী দাস। তিনি শুক্রবার সকাল সকাল চলে গিয়েছিলেন ভোট দিতে। কিন্তু, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে শুনলেন তিনি নাকি মারা গেছেন। তাই ভোট দিতে দেওয়া হবে না তাকে। কাগজে-কলমে তিনি মৃত। তাই ভোটাধিকার নেই।
পরে অশ্রুসজল চোখ নিয়ে ভোট কেন্দ্র থেকে ফিরে আসেন বাসন্তী দাস নামে ওই বৃদ্ধা। এদিন ভোটের সকালে এই ঘটনা ঘটেছে ধূপগুড়ি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। ধূপগুড়ির বৈরাতীগুড়ি হাই স্কুলে ভোট কেন্দ্র বাসন্তী দেবীদের। এদিন সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ভোট দিতে গিয়েছিলেন তিনি।
ভোটের ডিউটিতে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার জানান, তার কিছু করার নেই, ভোটার তালিকায় ডিলিট রয়েছে তাই ভোট দিতে পারবেন না তিনি, তাই ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই বৃদ্ধাকে।
ভুক্তভোগী ওই বৃদ্ধার ছেলে উজ্জ্বল দাস বলছেন, 'মা একাই ভোট দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওখান থেকে বলেছে- তোমার নাম নেই, তুমি মৃত। মা বাইরে এসে আমাদের জানায়। ফের কথা বললে জানায়- নামের জায়গায় মৃত লেখা আছে। আমরা পরে বুঝে নেব।'
তিনি আরও বলেন, মা প্রায় দেড় ঘণ্টা ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল। তারপরেও ভোট দিতে পারেনি। আমরা তো প্রতিবার তো এখানেই ভোট দিই। এবারে কী হলো জানি না।
অন্যদিকে অশ্রুসজল চোখে বাসন্তী দেবী বলেন, 'আমি তো সাত নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সাড়ে সাতটার সময় ভোট দিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু, দীর্ঘক্ষণ লাইনে থাকার পরেও ভোট দিতে পারিনি। সরকারের খাতায় নাম নেই বলছে। অনেকক্ষণ ওরা কোথায় কোথায় সব ফোন করল। জেলা প্রশাসকের অফিসেও ফোন করেছিলাম। তারপর বলল আপনি এখন যান। এই বছর আর হবে না।'
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের এলাকার লোকজনও অনেক চেষ্টা করল। কিন্তু ভোট দিতে পারলাম না। খুবই খারাপ লাগছে। মনে হচ্ছে- আমি মরে গিয়েছি। আমি তো প্রতিবারই ভোট দিই। কিন্তু, এবার পারলাম না।'
উল্লেখ্য, শুক্রবার থেকে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। প্রথম দফায় দেশটির ২১ রাজ্যের ১০২ আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের তিন আসন- জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র।
মন্তব্য করুন
চলছে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভোট দিতে গিয়ে এক বৃদ্ধা শুনেছেন- তিনি মারা গেছেন, আর ভোট দিতে না পেরে নিরাশ তিনি। কাগজে-কলমে মৃত হওয়ায় বাস্তবে জীবিত এই ভোটারের ভোট দিতে ব্যর্থ হওয়ার এই ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিভি৯ বাংলা।