নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০১ এএম, ১৮ অগাস্ট, ২০১৮
সম্প্রতি লন্ডনের অ্যাডিডাস কোম্পানির ১৬০ জন শ্রমিক দিয়ে ৫ লাখ জোড়া জুতো তৈরি করেছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে যা অন্যান্য কোম্পানির উৎপাদন হারের তুলনায় পাঁচ গুন অধিক। এতো বেশি উৎপাদনের পরও ব্রিটিশ এক হিসাবে থেকে দেখা যাচ্ছে, ওই কোম্পানির খুচরা বিক্রয় আগামী ১০ বছরের মধ্যে ৩ মিলিয়ন থেকে ২.১ মিলিয়নে নেমে আসতে পারে। আনলইনে নতুন কাজের ধরন সৃষ্টি হওয়ার কারণেই এটা ঘটছে বলে ধারণা করতেন তারা। একারণে অধিকাংশ আর্থিক সেবা সংস্থাগুলো আনলাইন তথ্য-পক্রিয়াকরণের কাজকে আলাদা রেখে তাদের বর্তমান অবস্থা বুঝতে চেষ্টা করছে। ফলে উন্নত বিশ্বে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি হার কিছুটা ধীর গতির দিকে এগোচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকেই।
ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের প্রধান অর্থনীতিবিদ অ্যান্ড্রু হলডেন আনলাইন কাজ নিয়ে এক ব্যাখ্যায় বলছেন, যখন কিছু কোম্পানি দ্রুত নতুন সুযোগগুলো উপলব্ধি করে, অন্যরা কেবল ধীরে ধীরে তা করে। তবে এসময় বিষয়টি সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। যা ওই বিষয়টিকে দ্রুত বৃদ্ধি করে দেয়। কিন্তু এই বৃদ্ধিকে ব্যাখ্যা করতে পারে না। তিনি বলেন, বিদ্যমান কাজে প্রযুক্তি যেভাবে প্রয়োগ করা হয় তা ভুল জায়গায় প্রয়োগ করার মতো। কারণ কাজের ক্ষেত্র এমন ভাবে তৈরি করা উচিত যেখানে শ্রমিকদের প্রতিটি পদক্ষেপ দেখতে পাওয়া যায়। তাদেরকে পর্যবেক্ষণ করা যায়। তাছাড়া হুট করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়।
এ বিষয়ে লন্ডন স্কুল অব ইকোনোমিক্সের ডেভিড গ্রেবার যুক্তি দেখিয়ে বলেছেন, পৃথিবীর ৩০ শতাংশ কাজই ‘অর্থহীন কাজ’। এই কাজ সত্যিকারের পণ্য ও সেবা উৎপাদনে একদম অপ্রয়োজনীয়। মূলত প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা ও আয় বৃদ্ধির জন্য এগুলো করা হয়। এ ধরনের কাজের প্রধান সমস্যা হলো, এগুলো কেবল অর্থনৈতিক বণ্টনসংক্রান্ত কাজেই আসে। যা প্রতিযোগিতা তৈরি করে। অন্য কোনো কাজে আসে না।
ডেভিড গ্রেবার বিষয়টিকে আসলে অর্থনীতির দিক থেকে ব্যাখ্যা না করে নৃ-তাত্ত্বিক দিক থেকে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি এই ‘অর্থহীন কাজ’ শব্দটিকে ব্যবহার করে শ্রমিকদের উপর ফোকাস করতে চেয়েছেন। তিনি একটি উদাহরণ দিয়ে বলেছেন, ধরুন, আপনি একটা দানশালা (চ্যারিটি) খুললেন। সেখানে সবাই ভালো ভাবে কাজ করছিল। আপনার দানশালা সঠিক লক্ষ্যের দিকে এগোচ্ছিল। হঠাৎ আপনি অন্য একটি দানশালা থেকেও উপার্জনের পথ খুঁজতে শুরু করলেন, তাদের মতো করে উপার্জন শুরু করতে চাইলেন। যে দানশালাটিও আপনার দানশালার মতো নিজের কাজে সমান পারদর্শী। আর এমন হলেই সমস্যা সৃষ্টি হতে শুরু করে।
ডেভিড আরও বলেন, মূল কথা হচ্ছে একটি সমষ্টিগত কাজের ক্ষেত্র সৃষ্টি করা। এর মাধ্যমে কর্ম দক্ষতা ও প্রাযুক্তিক দক্ষতা বৃদ্ধি করা। অন্য কারোর সঙ্গে একই পন্থায় প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করা নয়।
এই প্রতিযোগিতা সৃষ্টির কারণেই অনেক কাজের ক্ষেত্র হ্রাস পায়। যেমন, সাইবাই ক্রাইম ঠেকাতে একজন সাইবার বিশেষজ্ঞ নিয়োগ, ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য অন্য কোনো কোম্পানিকে নিযোগ করা, প্রতিষ্ঠানের জন্য চিন্তাবিদ রাখা ইত্যাদি। যা শুধু প্রতিষ্ঠানের খরচই বৃদ্ধি করে, তুলনামুলক লাভ কম হয়। এটি ঠিক একজন শিক্ষকের বিবেচনা ছাড়া ভালো গ্রেড দেওয়ার মতো কাজ করে, উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়ার মতো নয়। তবে অনেক সৃজনশীল কাজও আছে, যেগুলো প্রতিষ্ঠানের জন্য করা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
জন মায়নার্ড কেইনেস বলছেন, আমাদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য ও সেবা তৈরি করার মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমস্যা সামাধান করতে হবে। কিন্তু অহেতুক প্রতিযোগিতা তৈরি করে করে নয়। সঠিক উপায়ে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং প্রযুক্তিকে ব্যবহার করতে হবে। এটা না করতে পারলে ‘শূন্য অর্থনীতি’ অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব নয়।
লেখক: যুক্তরাজ্য সরকারের ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস অথরিটির সাবেক চেয়ারম্যান ও ফাইন্যান্সিয়াল পলিসি কমিটির সাবেক সদস্য
বাংলা ইনসাইডার/বিপি
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিন গাজা
মন্তব্য করুন
মালয়েশিয়া বাংলাদেশি শ্রমিক জাতিসংঘ
মন্তব্য করুন
ইরান ইসরায়েল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ক্ষেপনাস্ত্র হামলা
মন্তব্য করুন
চলছে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভোট দিতে গিয়ে এক বৃদ্ধা শুনেছেন- তিনি মারা গেছেন, আর ভোট দিতে না পেরে নিরাশ তিনি। কাগজে-কলমে মৃত হওয়ায় বাস্তবে জীবিত এই ভোটারের ভোট দিতে ব্যর্থ হওয়ার এই ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিভি৯ বাংলা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভুক্তভোগী ওই বৃদ্ধার নাম বাসন্তী দাস। তিনি শুক্রবার সকাল সকাল চলে গিয়েছিলেন ভোট দিতে। কিন্তু, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে শুনলেন তিনি নাকি মারা গেছেন। তাই ভোট দিতে দেওয়া হবে না তাকে। কাগজে-কলমে তিনি মৃত। তাই ভোটাধিকার নেই।
পরে অশ্রুসজল চোখ নিয়ে ভোট কেন্দ্র থেকে ফিরে আসেন বাসন্তী দাস নামে ওই বৃদ্ধা। এদিন ভোটের সকালে এই ঘটনা ঘটেছে ধূপগুড়ি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। ধূপগুড়ির বৈরাতীগুড়ি হাই স্কুলে ভোট কেন্দ্র বাসন্তী দেবীদের। এদিন সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ভোট দিতে গিয়েছিলেন তিনি।
ভোটের ডিউটিতে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার জানান, তার কিছু করার নেই, ভোটার তালিকায় ডিলিট রয়েছে তাই ভোট দিতে পারবেন না তিনি, তাই ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই বৃদ্ধাকে।
ভুক্তভোগী ওই বৃদ্ধার ছেলে উজ্জ্বল দাস বলছেন, 'মা একাই ভোট দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওখান থেকে বলেছে- তোমার নাম নেই, তুমি মৃত। মা বাইরে এসে আমাদের জানায়। ফের কথা বললে জানায়- নামের জায়গায় মৃত লেখা আছে। আমরা পরে বুঝে নেব।'
তিনি আরও বলেন, মা প্রায় দেড় ঘণ্টা ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল। তারপরেও ভোট দিতে পারেনি। আমরা তো প্রতিবার তো এখানেই ভোট দিই। এবারে কী হলো জানি না।
অন্যদিকে অশ্রুসজল চোখে বাসন্তী দেবী বলেন, 'আমি তো সাত নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সাড়ে সাতটার সময় ভোট দিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু, দীর্ঘক্ষণ লাইনে থাকার পরেও ভোট দিতে পারিনি। সরকারের খাতায় নাম নেই বলছে। অনেকক্ষণ ওরা কোথায় কোথায় সব ফোন করল। জেলা প্রশাসকের অফিসেও ফোন করেছিলাম। তারপর বলল আপনি এখন যান। এই বছর আর হবে না।'
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের এলাকার লোকজনও অনেক চেষ্টা করল। কিন্তু ভোট দিতে পারলাম না। খুবই খারাপ লাগছে। মনে হচ্ছে- আমি মরে গিয়েছি। আমি তো প্রতিবারই ভোট দিই। কিন্তু, এবার পারলাম না।'
উল্লেখ্য, শুক্রবার থেকে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। প্রথম দফায় দেশটির ২১ রাজ্যের ১০২ আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের তিন আসন- জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র।
মন্তব্য করুন
চলছে ভারতে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। আজ শুক্রবার সকাল সাতটায় শুরু হয় এ ভোট গ্রহণ। শেষ হবে সন্ধ্যা ছয়টায়। নির্বাচন হচ্ছে সাত দফায়।
আজ শুরু হয়েছে প্রথম দফার ভোট। লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ১০২টি আসনে ভোট হচ্ছে আজ। এর মধ্যে রয়েছে পূর্ব ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে ৩ আসনও।
ভোট শুরু হয়েছে দেশের ২৮টি রাজ্য ও আটটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে ১৭টি রাজ্য ও ৪টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। আজ নির্বাচন হচ্ছে অরুণাচল প্রদেশ রাজ্য বিধানসভার ৬০টি ও সিকিমের ৩২টি বিধানসভা আসনে।
পশ্চিমবঙ্গের যে তিন আসনে ভোট শুরু হয়েছে, সেগুলো হলো কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার। কোচবিহারে তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া, বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক, কংগ্রেসের পিয়া রায় চৌধুরী ও বামফ্রন্টের শরিক ফরোয়ার্ড ব্লকের নীতীশ চন্দ্র রায়।
জলপাইগুড়ি আসনে লড়ছেন তৃণমূলের নির্মল চন্দ্র রায়, বিজেপির জয়ন্ত কুমার রায়, বাম ফ্রন্টের সিপিএম প্রার্থী দেবরাজ বর্মণ।
আলিপুরদুয়ারে লড়ছেন তৃণমূলের প্রকাশ চিক বরাইক, বিজেপির মনোজ টিগ্গা, বাম ফ্রন্টের মিলি ওঁরাও।
প্রথম পর্বের ভোটের দিন আজ নির্ধারিত হবে ভারতের আট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ভাগ্যও। সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রমাণিকের। নিশীথ দাঁড়িয়েছেন কোচবিহার আসনে। এ আসনেরই সংসদ সদস্য তিনি।
এবার পশ্চিমবঙ্গে ভোট দেবেন ৭ কোটি ৬৯ লাখ ভোটার। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩ কোটি ৮৫ লাখ ৩০ হাজারের বেশি। নারী ৩ কোটি ৭৩ লাখ ৪ হাজারের বেশি। রাজ্যে আরও রয়েছেন ট্রান্সজেন্ডার ১ হাজার ৮৩৭ ভোটারও।
আজ পশ্চিমবঙ্গের তিন আসনে ভোট দিচ্ছেন ৫৬ লাখ ২৬ হাজার ১০৮ ভোটার। মোট ভোটকেন্দ্র করা হয়েছে ৫ হাজার ৮১৪টি। এর মধ্যে স্পর্শকাতর কেন্দ্র ৮৩৭টি।
এবারের ভোটকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে ভোটকেন্দ্রগুলো। নিয়োগ করা হয়েছে ২৬৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্য। প্রতিটি কেন্দ্রেই থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আরও থাকছেন ১২ হাজার ৩১০ রাজ্য পুলিশ সদস্য। নির্বাচন কমিশন স্পর্শকাতর কেন্দ্রে সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।
প্রথম পর্বের ভোটের দিন আজ নির্ধারিত হবে ভারতের আট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ভাগ্যও। সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রমাণিকের। নিশীথ দাঁড়িয়েছেন কোচবিহার আসনে। এ আসনেরই সংসদ সদস্য তিনি।
অন্য আট কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হলেন নীতিন গড়করি, কিরেন রিজিজু, ভূপেন্দ্র যাদব, সর্বানন্দ সেনেওয়াল, জিতেন্দ্র সিং, অর্জুন রাম মেঘওয়াল, সঞ্জীব বালিওয়ান এবং এল মুরুগান।
লোকসভা নির্বাচন ভোট লোকসভা পশ্চিমবঙ্গ
মন্তব্য করুন
চলছে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভোট দিতে গিয়ে এক বৃদ্ধা শুনেছেন- তিনি মারা গেছেন, আর ভোট দিতে না পেরে নিরাশ তিনি। কাগজে-কলমে মৃত হওয়ায় বাস্তবে জীবিত এই ভোটারের ভোট দিতে ব্যর্থ হওয়ার এই ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিভি৯ বাংলা।