নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২৮ পিএম, ১৮ অগাস্ট, ২০১৮
ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম বছরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সম্পর্ক তুলনামূলক উষ্ণ ছিল। ট্রাম্পের ঐতিহাসিক বেইজিং সফরে দু’দেশের প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত হৃদ্যতা বিশ্ব গণমাধ্যমসহ সারা বিশ্বের নজর কেড়েছিল। এমনকি, ট্রাম্প শি জিনপিংকে ‘বন্ধু’ বলেও সম্বোধন করেছিলেন। তবে বছর ঘুরতে না ঘুরতেই তাঁদের বন্ধুত্বের রং ফিকে হয়ে এসেছে। ট্রাম্পের মেয়াদের দ্বিতীয় বছরেই দুই দেশের অর্থনীতি বাণিজ্যযুদ্ধে জড়িয়েছে। পরস্পরের পণ্যের ওপর দ্বিতীয়বারের মতো পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ করেছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র।
চলমান বাণিজ্যযুদ্ধে চীনের সঙ্গে বিদ্যমান বাণিজ্য ঘাটতি দূর করাই হচ্ছে ট্রাম্পের মূল লক্ষ্য। একই সঙ্গে ২০১৯-২০ সালে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রফতানিকারক দেশগুলোর তালিকায় কাতারের পর দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন।
অপরদিকে, চীন মাত্রাতিরিক্ত পরিবেশ দূষণ মোকাবেলা ও জলবায়ু পরিবর্তনের হার কমিয়ে আনতে তুলনামূলক পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ব্যবহারে করছে। যার ফলপ্রসূতে চীনে এলএনজির ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। চলতি বছরের মধ্যেই এলএনজি আমদানিকারক দেশগুলোর বৈশ্বিক তালিকায় দক্ষিণ কোরিয়াকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসবে চীন। জ্বালানি পণ্যটির আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল দেশটি। বাণিজ্যযুদ্ধের মধ্যেও বেইজিং যুক্তরাষ্ট্র থেকে সাত হাজার কোটি ডলারের পণ্য আমদানির কথা জানিয়েছে। এর মধ্যে বড় একটি অংশ এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হবে।
বাণিজ্যযুদ্ধের অংশ হিসেবে চীন সয়াবিনসহ একাধিক মার্কিন পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপ করলেও ব্যতিক্রম ছিল এলএনজি। তবে বাড়তি শুল্কযুক্ত মার্কিন পণ্যের তালিকায় এলএনজির নাম বিবেচনায় রয়েছে। এ কারণেই এলএনজিকে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধে সবচেয়ে বড় চীনা অস্ত্র হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
আবার, মার্কিন এলএনজিতে বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে বাড়তি শুল্ক আরোপ করা হলে স্বল্পমেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি রপ্তানি খাতে প্রভাব পড়বে। জ্বালানি পণ্যটির রপ্তানি কমে মজুদ বাড়তে শুরু করবে। যার ফলে, আন্তর্জাতিক বাজারে এলএনজির দামে বড় ধরনের উত্থান-পতনের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, চীনে রপ্তানি কমে এলে যুক্তরাষ্ট্র এলএনজি রপ্তানির নতুন বাজার খুঁজতে শুরু করবে। এক্ষেত্রে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশসহ আমদানিকারক দেশগুলোর সামনে ছাড়কৃত মূল্যে এলএনজি আমদানির সুযোগ তৈরি হতে পারে। অন্যদিকে বাড়তি শুল্কের কারণে মার্কিন এলএনজির দাম বেড়ে গেলে চীনা আমদানিকারকরা এলএনজি আমদানির নতুন উেসর সন্ধান করবে। এতে কাতার, অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ জ্বালানি পণ্যটির রপ্তানিকারক দেশগুলোর সামনে নতুন বাজার বিস্তারের সম্ভাবনা রয়েছে।
মার্কিন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ নিল অ্যাটকিনসন এ বিষয়ে বলেছেন, মার্কিন এলএনজিতে বাড়তি শুল্ক আরোপের চীনা পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি খাতের জন্য বড় একটি আঘাত হিসেবে দেখা দেবে। এ পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হলে বেইজিং-ওয়াশিংটন দুই পক্ষের জন্যই আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। অপরদিকে, এলএনজির অন্যান্য রপ্তানিকারক ও আমদানিকারক দেশগুলোর লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/বিকে
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিন গাজা
মন্তব্য করুন
মালয়েশিয়া বাংলাদেশি শ্রমিক জাতিসংঘ
মন্তব্য করুন
ইরান ইসরায়েল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ক্ষেপনাস্ত্র হামলা
মন্তব্য করুন
চলছে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভোট দিতে গিয়ে এক বৃদ্ধা শুনেছেন- তিনি মারা গেছেন, আর ভোট দিতে না পেরে নিরাশ তিনি। কাগজে-কলমে মৃত হওয়ায় বাস্তবে জীবিত এই ভোটারের ভোট দিতে ব্যর্থ হওয়ার এই ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিভি৯ বাংলা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভুক্তভোগী ওই বৃদ্ধার নাম বাসন্তী দাস। তিনি শুক্রবার সকাল সকাল চলে গিয়েছিলেন ভোট দিতে। কিন্তু, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে শুনলেন তিনি নাকি মারা গেছেন। তাই ভোট দিতে দেওয়া হবে না তাকে। কাগজে-কলমে তিনি মৃত। তাই ভোটাধিকার নেই।
পরে অশ্রুসজল চোখ নিয়ে ভোট কেন্দ্র থেকে ফিরে আসেন বাসন্তী দাস নামে ওই বৃদ্ধা। এদিন ভোটের সকালে এই ঘটনা ঘটেছে ধূপগুড়ি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। ধূপগুড়ির বৈরাতীগুড়ি হাই স্কুলে ভোট কেন্দ্র বাসন্তী দেবীদের। এদিন সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ভোট দিতে গিয়েছিলেন তিনি।
ভোটের ডিউটিতে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার জানান, তার কিছু করার নেই, ভোটার তালিকায় ডিলিট রয়েছে তাই ভোট দিতে পারবেন না তিনি, তাই ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই বৃদ্ধাকে।
ভুক্তভোগী ওই বৃদ্ধার ছেলে উজ্জ্বল দাস বলছেন, 'মা একাই ভোট দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওখান থেকে বলেছে- তোমার নাম নেই, তুমি মৃত। মা বাইরে এসে আমাদের জানায়। ফের কথা বললে জানায়- নামের জায়গায় মৃত লেখা আছে। আমরা পরে বুঝে নেব।'
তিনি আরও বলেন, মা প্রায় দেড় ঘণ্টা ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল। তারপরেও ভোট দিতে পারেনি। আমরা তো প্রতিবার তো এখানেই ভোট দিই। এবারে কী হলো জানি না।
অন্যদিকে অশ্রুসজল চোখে বাসন্তী দেবী বলেন, 'আমি তো সাত নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সাড়ে সাতটার সময় ভোট দিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু, দীর্ঘক্ষণ লাইনে থাকার পরেও ভোট দিতে পারিনি। সরকারের খাতায় নাম নেই বলছে। অনেকক্ষণ ওরা কোথায় কোথায় সব ফোন করল। জেলা প্রশাসকের অফিসেও ফোন করেছিলাম। তারপর বলল আপনি এখন যান। এই বছর আর হবে না।'
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের এলাকার লোকজনও অনেক চেষ্টা করল। কিন্তু ভোট দিতে পারলাম না। খুবই খারাপ লাগছে। মনে হচ্ছে- আমি মরে গিয়েছি। আমি তো প্রতিবারই ভোট দিই। কিন্তু, এবার পারলাম না।'
উল্লেখ্য, শুক্রবার থেকে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। প্রথম দফায় দেশটির ২১ রাজ্যের ১০২ আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের তিন আসন- জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র।
মন্তব্য করুন
চলছে ভারতে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। আজ শুক্রবার সকাল সাতটায় শুরু হয় এ ভোট গ্রহণ। শেষ হবে সন্ধ্যা ছয়টায়। নির্বাচন হচ্ছে সাত দফায়।
আজ শুরু হয়েছে প্রথম দফার ভোট। লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ১০২টি আসনে ভোট হচ্ছে আজ। এর মধ্যে রয়েছে পূর্ব ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে ৩ আসনও।
ভোট শুরু হয়েছে দেশের ২৮টি রাজ্য ও আটটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে ১৭টি রাজ্য ও ৪টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। আজ নির্বাচন হচ্ছে অরুণাচল প্রদেশ রাজ্য বিধানসভার ৬০টি ও সিকিমের ৩২টি বিধানসভা আসনে।
পশ্চিমবঙ্গের যে তিন আসনে ভোট শুরু হয়েছে, সেগুলো হলো কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার। কোচবিহারে তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া, বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক, কংগ্রেসের পিয়া রায় চৌধুরী ও বামফ্রন্টের শরিক ফরোয়ার্ড ব্লকের নীতীশ চন্দ্র রায়।
জলপাইগুড়ি আসনে লড়ছেন তৃণমূলের নির্মল চন্দ্র রায়, বিজেপির জয়ন্ত কুমার রায়, বাম ফ্রন্টের সিপিএম প্রার্থী দেবরাজ বর্মণ।
আলিপুরদুয়ারে লড়ছেন তৃণমূলের প্রকাশ চিক বরাইক, বিজেপির মনোজ টিগ্গা, বাম ফ্রন্টের মিলি ওঁরাও।
প্রথম পর্বের ভোটের দিন আজ নির্ধারিত হবে ভারতের আট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ভাগ্যও। সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রমাণিকের। নিশীথ দাঁড়িয়েছেন কোচবিহার আসনে। এ আসনেরই সংসদ সদস্য তিনি।
এবার পশ্চিমবঙ্গে ভোট দেবেন ৭ কোটি ৬৯ লাখ ভোটার। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩ কোটি ৮৫ লাখ ৩০ হাজারের বেশি। নারী ৩ কোটি ৭৩ লাখ ৪ হাজারের বেশি। রাজ্যে আরও রয়েছেন ট্রান্সজেন্ডার ১ হাজার ৮৩৭ ভোটারও।
আজ পশ্চিমবঙ্গের তিন আসনে ভোট দিচ্ছেন ৫৬ লাখ ২৬ হাজার ১০৮ ভোটার। মোট ভোটকেন্দ্র করা হয়েছে ৫ হাজার ৮১৪টি। এর মধ্যে স্পর্শকাতর কেন্দ্র ৮৩৭টি।
এবারের ভোটকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে ভোটকেন্দ্রগুলো। নিয়োগ করা হয়েছে ২৬৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্য। প্রতিটি কেন্দ্রেই থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আরও থাকছেন ১২ হাজার ৩১০ রাজ্য পুলিশ সদস্য। নির্বাচন কমিশন স্পর্শকাতর কেন্দ্রে সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।
প্রথম পর্বের ভোটের দিন আজ নির্ধারিত হবে ভারতের আট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ভাগ্যও। সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রমাণিকের। নিশীথ দাঁড়িয়েছেন কোচবিহার আসনে। এ আসনেরই সংসদ সদস্য তিনি।
অন্য আট কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হলেন নীতিন গড়করি, কিরেন রিজিজু, ভূপেন্দ্র যাদব, সর্বানন্দ সেনেওয়াল, জিতেন্দ্র সিং, অর্জুন রাম মেঘওয়াল, সঞ্জীব বালিওয়ান এবং এল মুরুগান।
লোকসভা নির্বাচন ভোট লোকসভা পশ্চিমবঙ্গ
মন্তব্য করুন
চলছে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভোট দিতে গিয়ে এক বৃদ্ধা শুনেছেন- তিনি মারা গেছেন, আর ভোট দিতে না পেরে নিরাশ তিনি। কাগজে-কলমে মৃত হওয়ায় বাস্তবে জীবিত এই ভোটারের ভোট দিতে ব্যর্থ হওয়ার এই ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিভি৯ বাংলা।