ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাণিজ্যযুদ্ধের বড় অস্ত্র এলএনজি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১:২৮ পিএম, ১৮ অগাস্ট, ২০১৮


Thumbnail

ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম বছরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সম্পর্ক তুলনামূলক উষ্ণ ছিল। ট্রাম্পের ঐতিহাসিক বেইজিং সফরে দু’দেশের প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত হৃদ্যতা বিশ্ব গণমাধ্যমসহ সারা বিশ্বের নজর কেড়েছিল। এমনকি, ট্রাম্প শি জিনপিংকে ‘বন্ধু’ বলেও সম্বোধন করেছিলেন। তবে বছর ঘুরতে না ঘুরতেই তাঁদের বন্ধুত্বের রং ফিকে হয়ে এসেছে। ট্রাম্পের মেয়াদের দ্বিতীয় বছরেই দুই দেশের অর্থনীতি বাণিজ্যযুদ্ধে জড়িয়েছে। পরস্পরের পণ্যের ওপর দ্বিতীয়বারের মতো পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ করেছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র।

চলমান বাণিজ্যযুদ্ধে চীনের সঙ্গে বিদ্যমান বাণিজ্য ঘাটতি দূর করাই হচ্ছে ট্রাম্পের মূল লক্ষ্য। একই সঙ্গে ২০১৯-২০ সালে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রফতানিকারক দেশগুলোর তালিকায় কাতারের পর দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন।

অপরদিকে, চীন মাত্রাতিরিক্ত পরিবেশ দূষণ মোকাবেলা ও জলবায়ু পরিবর্তনের হার কমিয়ে আনতে তুলনামূলক পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ব্যবহারে করছে। যার ফলপ্রসূতে চীনে এলএনজির ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। চলতি বছরের মধ্যেই এলএনজি আমদানিকারক দেশগুলোর বৈশ্বিক তালিকায় দক্ষিণ কোরিয়াকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসবে চীন। জ্বালানি পণ্যটির আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল দেশটি। বাণিজ্যযুদ্ধের মধ্যেও বেইজিং যুক্তরাষ্ট্র থেকে সাত হাজার কোটি ডলারের পণ্য আমদানির কথা জানিয়েছে। এর মধ্যে বড় একটি অংশ এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হবে।

বাণিজ্যযুদ্ধের অংশ হিসেবে চীন সয়াবিনসহ একাধিক মার্কিন পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপ করলেও ব্যতিক্রম ছিল এলএনজি। তবে বাড়তি শুল্কযুক্ত মার্কিন পণ্যের তালিকায় এলএনজির নাম বিবেচনায় রয়েছে। এ কারণেই এলএনজিকে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধে সবচেয়ে বড় চীনা অস্ত্র হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

আবার, মার্কিন এলএনজিতে বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে বাড়তি শুল্ক আরোপ করা হলে স্বল্পমেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি রপ্তানি খাতে প্রভাব পড়বে। জ্বালানি পণ্যটির রপ্তানি কমে মজুদ বাড়তে শুরু করবে। যার ফলে, আন্তর্জাতিক বাজারে এলএনজির দামে বড় ধরনের উত্থান-পতনের সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে, চীনে রপ্তানি কমে এলে যুক্তরাষ্ট্র এলএনজি রপ্তানির নতুন বাজার খুঁজতে শুরু করবে। এক্ষেত্রে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশসহ আমদানিকারক দেশগুলোর সামনে ছাড়কৃত মূল্যে এলএনজি আমদানির সুযোগ তৈরি হতে পারে। অন্যদিকে বাড়তি শুল্কের কারণে মার্কিন এলএনজির দাম বেড়ে গেলে চীনা আমদানিকারকরা এলএনজি আমদানির নতুন উেসর সন্ধান করবে। এতে কাতার, অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ জ্বালানি পণ্যটির রপ্তানিকারক দেশগুলোর সামনে নতুন বাজার বিস্তারের সম্ভাবনা রয়েছে।

মার্কিন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ নিল অ্যাটকিনসন এ বিষয়ে বলেছেন, মার্কিন এলএনজিতে বাড়তি শুল্ক আরোপের চীনা পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি খাতের জন্য বড় একটি আঘাত হিসেবে দেখা দেবে। এ পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হলে বেইজিং-ওয়াশিংটন দুই পক্ষের জন্যই আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। অপরদিকে, এলএনজির অন্যান্য রপ্তানিকারক ও আমদানিকারক দেশগুলোর লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


বাংলা ইনসাইডার/বিকে 



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের বিভিন্ন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নিবিড় পর্যবেক্ষণ

প্রকাশ: ০৩:৪০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারসহ ভারতের বিভিন্ন ইস্যু যুক্তরাষ্ট্র নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।  

নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেস পার্টির কিছু ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করার অভিযোগ সম্পর্কেও অবহিত যুক্তরাষ্ট্র। 

সাংবাদিক তার কাছে জানতে চান- দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিককে তলব করেছে ভারত। এর প্রেক্ষিতে আপনার প্রতিক্রিয়া কী এবং বিরোধী দলের ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করাসহ ভারতের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্তাল পরিস্থিতিকে কীভাবে দেখেন? অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সেখানকার পরিস্থিতিকে 'জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দলের ওপর দমনপীড়ন একটি সঙ্কটজনক পয়েন্টে এসে পৌঁছেছে' বলে অভিহিত করেছে।

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আপনার দ্বিতীয় প্রশ্নের জবাবে বলছি- দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারসহ এসব বিষয়ে আমরা অব্যাহতভাবে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। কংগ্রেস পার্টির কিছু ব্যাংক একাউন্ট আয়কর বিষয়ক কর্তৃপক্ষ জব্দ করেছে বলে অভিযোগের বিষয়েও আমরা অবহিত। এটা করার ফলে আসন্ন নির্বাচনে কার্যকর প্রচারণা চালানো তাদের পক্ষে চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠবে। এর প্রতিটি ইস্যুতে সময়মতো অবাধ, স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করি আমরা। আর প্রথম প্রশ্নের জবাবে বলতে হয়, কূটনৈতিক কোনও প্রাইভেট আলোচনা নিয়ে আমি কথা বলব না। তবে অবশ্যই প্রকাশ্যে আমি যেটা বলব তা হল, আমরা সুষ্ঠু, স্বচ্ছ এবং সময়মতো আইনি প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করি। আশা করি এতে কারও কোনও আপত্তি থাকা উচিত নয়। একই বিষয় আমরা প্রাইভেটলিও ক্লিয়ার করব।


ভারত   ইস্যু   যুক্তরাষ্ট্র   ম্যাথিউ মিলার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো অর্থ নেই ভারতীয় অর্থমন্ত্রীর

প্রকাশ: ০২:১০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

নিজের পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় লোকসভা নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন ভারতীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। দেশটির ক্ষমতাসীন দল বিজেপি তাকে অন্ধ্রপ্রদেশ অথবা তামিলনাড়ু থেকে লোকসভা নির্বাচনের টিকিট দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে, এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি।  

বুধবার(২৭, মার্চ) এক সম্মেলনে ভারতীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, এক সপ্তাহ বা ১০ দিন ভাবার পর তিনি ফিরে গিয়ে জানান 'খুব সম্ভবত না'। নির্বাচন করার মতো পর্যাপ্ত অর্থ তার নেই।    এছাড়া অন্ধ্রপ্রদেশ নাকি তামিলনাড়ু; এটি নিয়েও তার সমস্যা আছে। নির্বাচনে জয় পাওয়ার যে কয়েকটি নির্ণায়ক রয়েছে, সেগুলো নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে...আপনি কি এই গোত্রের অথবা এই ধর্মের? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, না, তিনি মনে করেন না তিনি এটা করতে পারবেন।  

এছাড়াও, নির্মলা বলেন, 'তিনি খুবই খুশি, কারণ, বিজেপি তার যুক্তিটি গ্রহণ করেছে। অর্থাৎ, তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না।'

সম্মেলনে তাকে জিজ্ঞেস করা হয় অর্থমন্ত্রীর কেন নির্বাচন করার মতো পর্যাপ্ত অর্থ নেই। জবাবে তিনি জানান, ভারতের অর্থসম্পদ তার নয়। তিনি বলেন, আমার বেতন, আমার আয় এবং আমার সঞ্চয় আমার এবং এগুলো ভারতের সম্পদ নয়।

নির্মলা সীতারামণ ভারতের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সদস্য। মূলত এমএলএ-রা রাজ্যসভার সদস্যদের নির্বাচন করে থাকেন। এ বছর রাজ্যসভার বেশ কয়েকজন সদস্যকে লোকসভা নির্বাচনের টিকিট দিয়েছে বিজেপি। আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে লোকসভা নির্বাচন শুরু হবে, যা সাত ধাপে ২ জুন পর্যন্ত চলবে। নিজে নির্বাচন না করলেও বিজেপির অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বিদের নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নেবেন নির্মলা।


নির্বাচন   লোকসভা নির্বাচন   রাজ্যসভা   ভারত   অর্থমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

‘গাজায় দেখা দিচ্ছে দুর্ভিক্ষ’

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

অনাহার ও অসুস্থতা গাজার অধিবাসীদের ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাৎক্ষণিক ও সমন্বিত পদক্ষেপ এখনই নিতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক তেদরোস আধানম গ্রেব্রেয়াসুস বলেছেন, ‘ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত বোমাবর্ষণে গাজায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিচ্ছে। ’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় তিনি এই দুর্ভিক্ষ এড়াতে খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ তরান্বিত করাসহ গাজায় স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান ব্যবস্থাকে রক্ষার আবেদন জানিয়েছেন।

গাজা উপত্যকার উত্তর অংশে গাজা সিটি এবং শাতি ও জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। হামলায় আবাসিক ভবনগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এ ছাড়া গাজা শহরের আল শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সের আশপাশের এলাকাগুলোতে কামানের গোলাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে।   

অন্যদিকে, কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার হাতে আসা একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজার উত্তরে দুজন নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিকে গুলি করে এবং পরে তাদের মরদেহ বুলডোজার দিয়ে মাটি চাপা দেয়। উপকূল ধরে হেঁটে যাবার সময় একজন ফিলিস্তিনিকে সাদা কাপড় নাড়তেও দেখা যায় ভিডিওটিতে।

গাজায় আকাশ থেকে ফেলা সাহায্য সামগ্রী সংগ্রহ করতে গিয়ে ১৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া সাগর থেকে আরও ছয়টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে, দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৯ জন নিহত হয়েছে। ৮ অক্টোবরের পর হেজবুল্লাহ ও ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘর্ষে এটিই সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির সংখ্যা।   

অন্যদিকে, গাজায় দক্ষিণাঞ্চরের রাফাহ শহরে স্থল অভিযান শুরুর পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার জন্য ইসরায়েল মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে নতুন সূচি নির্ধারণের অনুরোধ জানিয়েছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আলোচনা বাতিল করে দেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে এই নতুন প্রস্তাবটি পাওয়া গেল।

গতকাল বুধবার রাতে চতুর্থ দিনের মতো গাজায় ইসরায়েলের চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধের প্রতিবাদে জর্ডানের রাজধানী আম্মানে শত শত বিক্ষোভকারী অবস্থান বজায় রেখেছে। বিক্ষোভকারীরা এ সময় গাজার অধিবাসীদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে ফিলিস্তিনি পতাকা উড়ায়। বিক্ষোভকারীরা প্রতিবাদের অংশ হিসেবে জর্ডানকে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি বাতিলেরও আহ্বান জানায়।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা   ডব্লিউএইচও   গাজা   দুর্ভিক্ষ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরে সেতু ধস: ২ জনের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ১১:০৪ এএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের বাল্টিমোরে সেতু ধসে নিখোঁজ ছয় জনের মধ্যে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার ( ২৭ মার্চ) তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাঁরা হলেন আলেজান্দ্রো হার্নান্দেজ ফুয়েন্তেস (৩৫) এবং ডোরিয়ান রনিয়াল ক্যাস্টিলো ক্যাব্রেরা (২৬)। এই দুই ব্যক্তিই নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন। কার্গো জাহাজের ধাক্কায় সেতুটি ধসে পড়ার সময় তারা একটি ট্রাকের মধ্যে ছিলেন।  মেরিল্যান্ড পুলিশের পক্ষ থেকে মরদেহগুলো উদ্ধারের খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে, কিছু যানবাহন সেতুর ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকে আছে। এগুলো সরানো হলে ডুবুরিরা নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে আবারও অভিযান শুরু করবে।   

এদিকে আমেরিকার মেরিল্যান্ডের বাল্টিমোরে সেতু ধসের ঘটনায় ধাক্কা খাওয়া পণ্যবাহী জাহাজ থেকে ডেটা রেকর্ডার উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। তাদের আশা, কী কারণে জাহাজটি সেতুর সঙ্গে ধাক্কা খেয়েছে, তার কারণ জানা যাবে রেকর্ডার থেকে।

মার্কিন নিরাপত্তা সংস্থার প্রাথমিক ধারণা, বাল্টিমোরের হারবার ছেড়ে যাওয়ার সময় জাহাজটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে থাকতে পারে। এখন পর্যন্ত যা জানা গেছে, তা হলো সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী কার্গো জাহাজ ডালি সেতুতে ধাক্কা দেওয়ার আগে সেটির বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল। এমনকি ইঞ্জিনেও কোনো শক্তি ছিল না।

সমস্যা সমাধানে বারবার অ্যালার্ম বাজানো হয়। ক্রুরা মরিয়া হয়ে জাহাজটিতে বিদ্যুৎ ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চালায়। কিন্তু তাদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। যদিও ডালির একটি জরুরি জেনারেটর ছিল। কিন্তু ইঞ্জিনগুলোর শক্তি ফিরিয়ে আনতে পারেনি সেই জেনারেটর।

গত মঙ্গলবার ( ২৬ মার্চ) রাতে আমেরিকার অন্যতম বন্দর বাল্টিমোর থেকে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে যাওয়ার সময় সেতুটির সঙ্গে ধাক্কা লাগে সিঙ্গাপুরের পণ্যবাহী জাহাজ ডালির। এতে সেতুটির একাংশ ধসে পড়ে। পরের দিন দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।


যুক্তরাষ্ট্র   বাল্টিমোর   সেতু   ধস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাংলাদেশ সফরে আসছেন কাতারের আমির

প্রকাশ: ১০:৩০ এএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

এপ্রিলের শেষ দিকে বাংলাদেশ সফরে আসবেন কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল-থানি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কাতারে বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূ্ত্রে জানা যায়, আমিরের সফরের প্রস্তুতি নিয়ে ইতোমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সূত্র জানায়, এই সফরে জ্বালানি নিরাপত্তা, শ্রমবাজার, বৈদেশিক বিনিয়োগসহ দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে।

এর আগে গতবছর দোহায় কাতার এনার্জির সদরদপ্তরে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) এবং কাতার এনার্জির এলএনজি ট্রেডিং শাখার মধ্যে কাতার থেকে বছরে ১ দশমিক ৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন (এমএমটি) করে ১৫ বছর পর্যন্ত তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সই হয়।

চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ প্রতি বছর অতিরিক্ত ১ দশমিক ৮ এমএমটি এলএনজি পাবে, যা ২০২৬ সালে শুরু হবে।

বাংলাদেশের জ্বালানি চাহিদার বড় অংশই পূরণ করছে কাতার৷ আমিরের বাংলাদেশ সফরের ফলে এলএনজি আমদানির দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি বাস্তবায়নের সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

জীবীকার তাগিদে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে বসবাস করছেন প্রায় চার লাখ বাংলাদেশী। আমিরের সফরের খবরে প্রাবসীদের মধ্যেও এক ধরনের স্বস্তি কাজ করছে। প্রবাসীরা মনে করছেন এই সফরের মাধ্যমে দেশটিতে নতুন করে বাংলাদেশী শ্রমবাজারের সম্ভাবনা আরও বাড়বে।

এই বিষয়ে কয়েকজন প্রবাসীর সঙ্গে কথা হয় কালবেলার। তারা বলেন, আমির যেহেতু বাংলাদেশে যাবেন সেখানে অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে, কথা হবে। আমরা চাই আমাদের যেসব চাহিদা রয়েছে, দৈনন্দিন সমস্যা রয়েছে সেগুলো নিয়ে আলেচনা হোক।


কাতার   আমির তামিম বিন হামাদ আল-থানি   বাংলাদেশ   সফর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন