নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১৭ পিএম, ১৯ অগাস্ট, ২০১৮
স্কুল ছাড়া কি সন্তানদের শিক্ষার কথা ভাবা যায়। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় স্কুল শিশুর বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবেই ধরা হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এই স্কুলের ব্যাপারেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন মার্কিনীরা। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে অনাগ্রহ প্রকাশ করছেন অভিভাবকরা। সপ্তাহে মাত্র দুই দিন স্কুলে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা, বাকি দিনগুলো শিক্ষা নিচ্ছে বাড়িতে বসেই। দিন যত যাচ্ছে, এ সংখ্যাটা আশঙ্কাজনক ভাবেই বাড়ছে।
উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান শীর্ষে, একথা আমরা সবাই জানি। অথচ যুক্তরাষ্ট্রেই শিক্ষার্থীরা সঠিক শিক্ষা পাচ্ছে না বলে মনে করেন অভিভাবকেরা। বিষয়টি অবাক করার মতোই নয় কি!
রক্ষণশীল মার্কিন অভিভাবকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলগুলোতে সঠিকভাবে দেওয়া হচ্ছে না ধর্মীয় শিক্ষা। স্কুলগুলো যেন ধর্মের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। বিশেষ করে, সরকারি স্কুলগুলো ধর্মীয় শিক্ষা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। সরকারি স্কুলগুলোর শিক্ষা ব্যবস্থায় আগ্রাসী উদারপন্থী বিষয়ের সূচনা হচ্ছে বলেও অভিভাবকরা অভিযোগ করছেন। এছাড়া উভয় লিঙ্গ, সমকামী বিবাহ, পরিবারের একাত্মতা প্রভৃতি বিষয়ে পাঠদানেও উদ্বেগ প্রকাশ করছেন তাঁরা।
সঠিক পাঠদানের জন্য অভিভাবকরা সরকারি স্কুলগুলোর চেয়ে বেসরকারি স্কুলগুলোর দিকে ঝুঁকছে বেশি। এতে যুক্তরাষ্ট্রে চার্টার স্কুলের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যানে জানা যায়, ২০১৫ সালে এ ধরনের স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২.৮ মিলিয়ন। এসব স্কুলগুলো সরকারি সহায়তায় চললেও, পাঠদান করছে নিজেদের মতো করে।
অস্টিনের এক সরকারি স্কুলে ২৫ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন এমন এক শিক্ষক জানান, গত প্রায় ১০ বছর ধরে ধর্মের সঠিক শিক্ষা দেওয়া দূরুহ হয়ে পড়ছে।
এ ধরনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ছে টেক্সাস ও ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যে । টেক্সাসের শ্যানন হেলমি নামে এক বাসিন্দা তাঁর চার মেয়েকে ছাড়িয়ে এনেছেন স্কুল থেকে। বাসাতেই তাদের শিক্ষার নেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন গৃহ শিক্ষকের মাধ্যমে। ক্যাথলিক পাঠ্যক্রম অনুসারে তাদের শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। শ্যানন হেলমির সন্তানদের মতো যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের শিক্ষার্থীর সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ৩.৮ মিলিয়ন।
সমালোচকরা বলছেন, এভাবে বাড়িতে পাঠদান করা হলে শিক্ষার গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। নিয়মিত স্কুলে না যাওয়ার ফলে, শিশুরা সমবয়সীদের সাথে বেড়ে ওঠার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যা শিশুদের মানসিক বিকাশে প্রভাব ফেলতে পারে।
সূত্র: বিবিসি
বাংলা ইনসাইডার/জেডআই
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে নিহতের সংখ্যা।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের হামলায় নিহত মানুষের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে। শুক্রবার হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে বলছে, ইসরায়েলের হামলায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪২ জন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৬৩ জন।
এ নিয়ে গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৩৪ হাজার ১২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হলেন। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু রয়েছেন। পাশাপাশি গাজায় আহত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৬ হাজার ৮৩৩ জনে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। জবাবে ওই দিনই পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর মধ্যে জেরুজালেমসহ ফিলিস্তিনের কয়েকটি জায়গায় আশ্রয়শিবিরে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ ছাড়া গাজা থেকে পালানোর সময় বেসামরিক লোকজনের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলা চালানোর খবর এসেছে। হামলা হয়েছে গাজার হাসপাতালেও।
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিন গাজা
মন্তব্য করুন
মালয়েশিয়া বাংলাদেশি শ্রমিক জাতিসংঘ
মন্তব্য করুন
ইরান ইসরায়েল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ক্ষেপনাস্ত্র হামলা
মন্তব্য করুন
চলছে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভোট দিতে গিয়ে এক বৃদ্ধা শুনেছেন- তিনি মারা গেছেন, আর ভোট দিতে না পেরে নিরাশ তিনি। কাগজে-কলমে মৃত হওয়ায় বাস্তবে জীবিত এই ভোটারের ভোট দিতে ব্যর্থ হওয়ার এই ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিভি৯ বাংলা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভুক্তভোগী ওই বৃদ্ধার নাম বাসন্তী দাস। তিনি শুক্রবার সকাল সকাল চলে গিয়েছিলেন ভোট দিতে। কিন্তু, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে শুনলেন তিনি নাকি মারা গেছেন। তাই ভোট দিতে দেওয়া হবে না তাকে। কাগজে-কলমে তিনি মৃত। তাই ভোটাধিকার নেই।
পরে অশ্রুসজল চোখ নিয়ে ভোট কেন্দ্র থেকে ফিরে আসেন বাসন্তী দাস নামে ওই বৃদ্ধা। এদিন ভোটের সকালে এই ঘটনা ঘটেছে ধূপগুড়ি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। ধূপগুড়ির বৈরাতীগুড়ি হাই স্কুলে ভোট কেন্দ্র বাসন্তী দেবীদের। এদিন সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ভোট দিতে গিয়েছিলেন তিনি।
ভোটের ডিউটিতে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার জানান, তার কিছু করার নেই, ভোটার তালিকায় ডিলিট রয়েছে তাই ভোট দিতে পারবেন না তিনি, তাই ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই বৃদ্ধাকে।
ভুক্তভোগী ওই বৃদ্ধার ছেলে উজ্জ্বল দাস বলছেন, 'মা একাই ভোট দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওখান থেকে বলেছে- তোমার নাম নেই, তুমি মৃত। মা বাইরে এসে আমাদের জানায়। ফের কথা বললে জানায়- নামের জায়গায় মৃত লেখা আছে। আমরা পরে বুঝে নেব।'
তিনি আরও বলেন, মা প্রায় দেড় ঘণ্টা ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল। তারপরেও ভোট দিতে পারেনি। আমরা তো প্রতিবার তো এখানেই ভোট দিই। এবারে কী হলো জানি না।
অন্যদিকে অশ্রুসজল চোখে বাসন্তী দেবী বলেন, 'আমি তো সাত নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সাড়ে সাতটার সময় ভোট দিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু, দীর্ঘক্ষণ লাইনে থাকার পরেও ভোট দিতে পারিনি। সরকারের খাতায় নাম নেই বলছে। অনেকক্ষণ ওরা কোথায় কোথায় সব ফোন করল। জেলা প্রশাসকের অফিসেও ফোন করেছিলাম। তারপর বলল আপনি এখন যান। এই বছর আর হবে না।'
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের এলাকার লোকজনও অনেক চেষ্টা করল। কিন্তু ভোট দিতে পারলাম না। খুবই খারাপ লাগছে। মনে হচ্ছে- আমি মরে গিয়েছি। আমি তো প্রতিবারই ভোট দিই। কিন্তু, এবার পারলাম না।'
উল্লেখ্য, শুক্রবার থেকে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। প্রথম দফায় দেশটির ২১ রাজ্যের ১০২ আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের তিন আসন- জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র।
মন্তব্য করুন
চলছে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভোট দিতে গিয়ে এক বৃদ্ধা শুনেছেন- তিনি মারা গেছেন, আর ভোট দিতে না পেরে নিরাশ তিনি। কাগজে-কলমে মৃত হওয়ায় বাস্তবে জীবিত এই ভোটারের ভোট দিতে ব্যর্থ হওয়ার এই ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিভি৯ বাংলা।