নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫৯ পিএম, ২৪ অগাস্ট, ২০১৮
প্রতিবছরের মতো এবছরও বিশ্বখ্যাত ফরচুন সাময়িকী বিশ্বের শীর্ষ ৪০ জন তরুণ প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর তালিকা প্রকাশ করেছে। এই তরুণরা চল্লিশ পেরোনোর আগেই তাঁদের উদ্ভাবনীশক্তি দিয়ে বিশ্ববাণিজ্যে প্রভাববিস্তারে সক্ষম হয়েছেন।
ফরচুনের এ বছরের তালিকার ৪০ জনের মধ্যে ৩৪ জনই নতুন মুখ। পাশাপাশি পুরনো বেশ কয়েকজন তরুণ ব্যবসায়ীও যথারীতি তাদের অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় সর্বাধিক সংখ্যক নারী ব্যবসায়ীর নাম এবারের তালিকায় উঠে এসেছে।
১. মার্ক জুকারবার্গ
ক্যারিয়ারে টানাপোড়েন সত্ত্বেও ফেসবুকের সিইও মার্ক জুকারবার্গ ঠিকই এগিয়ে যাচ্ছেন। চলতি বছর নানা সমালোচনা ও ব্যবসায়িক ক্ষতির সম্মুখীন হলেও ফরচুনের তালিকার শীর্ষস্থানে রয়েছেন তিনি। প্রাইভেসি স্ক্যান্ডালের কারণে ৩৪ বছর বয়সী মার্ককে অনেক আইনি লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। অসংখ্য বিতর্কের মুখোমুখি হতে হয়েছে যা নিমিষেই যেকোনো সিইওকে ধরাশায়ী করার জন্য যথেষ্ট ছিল। কিন্তু এত বিপত্তি সত্ত্বেও ফেসবুকে বিজ্ঞাপন থেকে আয় বেড়েই চলেছে।
কেভিন সিস্টোর্ম
তরুণ প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের তালিকায় যৌথভাবে শীর্ষে রয়েছেন কেভিন সিস্টোর্ম। ফটোশেয়ারিং অ্যাপ ইন্সটাগ্রামের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও সিস্টোর্ম। ২০১১ সালে প্রথম এ তালিকায় স্থান পান তিনি।
২. লোগান গ্রিন ও জন জিমার সহপ্রতিষ্ঠাতা, লিফট
ফরচুনের তালিকার দুইয়ে যৌথভাবে রয়েছেন লোগান গ্রিন ও জন জিমার। তাঁরা দুজনই রাইড শেয়ারিং সার্ভিস লিফট এর প্রতিষ্ঠাতা। ২০১৪ সালে প্রথম এ তালিকায় স্থান পান তাঁরা।
৩. ওয়াং জিং
৩৯ বছর বয়সী ওয়াং জিং কে ফরচুন রেখেছে তালিকার তিনে। জিং মিচুয়ান ডিয়ানপিং কোম্পানির সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও তিনি। ফরচুনের তালিকার নতুন মুখ জিং।
৪. দিভিয়া সুরিয়াদেভারা
তরুণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন দিভিয়া সুরিয়াদেভারা। তিনি জিএম’র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সিএফও। ২০১৫ সালে প্রথম এ তালিকায় উঠে আসেন তিনি। ৩৯ বছর বয়সী দিভিয়া শীর্ষ দশে থাকা একমাত্র ভারতীয়।
৫. ব্রায়ান চেস্কি
এয়ারবিএনবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও প্রথমবারেরও মতো এ তালিকায় স্থান পেয়েছেন। ৩৬ বছর বয়সী ব্রায়ান ২০১২ সালে প্রথম প্রভাবশালী তরুণ ব্যবসায়ীদের তালিকায় স্থান পান।
৬. অ্যাডাম নিউম্যান
উইওয়ার্ক এর সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও অ্যাডাম নিউম্যান ২০১৫ সালে প্রথম এ তালিকায় উঠে এসেছিলেন। ৩৯ বছর বয়সী অ্যাডামের প্রতিষ্ঠান বর্তমানে বিশ্বের ৭০টি দেশে তাদের কার্য পরিচালনা করছে।
৭. জু লি
ফরচুনের শীর্ষ ৪০ প্রভাবশালী তরুণের মধ্যে সপ্তম স্থানে থাকা দুজনই চীনের নাগরিক। সেন্স টাইম এর সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও জু লি প্রথমবারের মতো তালিকায় স্থান পেয়েছেন। তাঁর বয়স ৩৬।
ঝ্যাং ইমিং
যৌথভাবে সপ্তম স্থানে থাকা ঝ্যাং ইমিং বাইট ড্যান্স এর সিইও। ৩৫ বছর বয়সী ঝ্যাংও এ তালিকার নতুন মুখ।
৮. ড্রিউ হিউস্টন
৩৫ বছর বয়সী ড্রিউ হিউস্টন প্রথমবারের মতো তালিকায় স্থান পেয়েছেন। তিনি ড্রপবক্স এর সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও।
ড্যানিয়েল ইক
স্পটিফাই এর সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও ড্যানিয়েল ইকও আগে কখনো এ তালিকায় ছিলেন না। ড্যানিয়েলের বয়স ৩৫ বছর।
ক্যাট্রিনা ল্যাক
ফরচুনের তালিকার অষ্টম স্থানে থাকা তৃতীয় ব্যক্তি হলেন ক্যাট্রিনা ল্যাক। তিনি স্টিচ ফিক্স এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও।
৯. হিউটনি উলফ হার্ড
ড্যাটিং অ্যাপ বামবলের এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও হিউটনি উলফ হার্ড প্রথমবারের মতো স্থান স্থান করে নিয়েছেন ফরচুনের তালিকায়। বর্তমানে বামবলের প্রায় ৩৪ মিলিয়ন নিবন্ধিত ব্যবহারকারী রয়েছে। মাত্র ২৯ বছর বয়সেই এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন হিউটনি। শীর্ষ দশের অন্যদের তুলনায় সবচেয়ে কম বয়সী তিনি।
১০. কিথ কোজা
আইকান এন্টারপ্রাইজের প্রেসিডেন্ট ও সিইও কিথ কোজার বয়স মাত্র ৩৯। তিনি প্রথমবারের মতো স্থান পেয়েছেন এ তালিকায়। ১০ বছর আগে একজন নিয়ন্ত্রক হিসেবে তিনি আইকান এন্টারপ্রাইজে যোগদান করেন।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিন গাজা
মন্তব্য করুন
মালয়েশিয়া বাংলাদেশি শ্রমিক জাতিসংঘ
মন্তব্য করুন
ইরান ইসরায়েল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ক্ষেপনাস্ত্র হামলা
মন্তব্য করুন
চলছে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভোট দিতে গিয়ে এক বৃদ্ধা শুনেছেন- তিনি মারা গেছেন, আর ভোট দিতে না পেরে নিরাশ তিনি। কাগজে-কলমে মৃত হওয়ায় বাস্তবে জীবিত এই ভোটারের ভোট দিতে ব্যর্থ হওয়ার এই ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিভি৯ বাংলা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভুক্তভোগী ওই বৃদ্ধার নাম বাসন্তী দাস। তিনি শুক্রবার সকাল সকাল চলে গিয়েছিলেন ভোট দিতে। কিন্তু, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে শুনলেন তিনি নাকি মারা গেছেন। তাই ভোট দিতে দেওয়া হবে না তাকে। কাগজে-কলমে তিনি মৃত। তাই ভোটাধিকার নেই।
পরে অশ্রুসজল চোখ নিয়ে ভোট কেন্দ্র থেকে ফিরে আসেন বাসন্তী দাস নামে ওই বৃদ্ধা। এদিন ভোটের সকালে এই ঘটনা ঘটেছে ধূপগুড়ি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। ধূপগুড়ির বৈরাতীগুড়ি হাই স্কুলে ভোট কেন্দ্র বাসন্তী দেবীদের। এদিন সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ভোট দিতে গিয়েছিলেন তিনি।
ভোটের ডিউটিতে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার জানান, তার কিছু করার নেই, ভোটার তালিকায় ডিলিট রয়েছে তাই ভোট দিতে পারবেন না তিনি, তাই ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই বৃদ্ধাকে।
ভুক্তভোগী ওই বৃদ্ধার ছেলে উজ্জ্বল দাস বলছেন, 'মা একাই ভোট দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওখান থেকে বলেছে- তোমার নাম নেই, তুমি মৃত। মা বাইরে এসে আমাদের জানায়। ফের কথা বললে জানায়- নামের জায়গায় মৃত লেখা আছে। আমরা পরে বুঝে নেব।'
তিনি আরও বলেন, মা প্রায় দেড় ঘণ্টা ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল। তারপরেও ভোট দিতে পারেনি। আমরা তো প্রতিবার তো এখানেই ভোট দিই। এবারে কী হলো জানি না।
অন্যদিকে অশ্রুসজল চোখে বাসন্তী দেবী বলেন, 'আমি তো সাত নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সাড়ে সাতটার সময় ভোট দিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু, দীর্ঘক্ষণ লাইনে থাকার পরেও ভোট দিতে পারিনি। সরকারের খাতায় নাম নেই বলছে। অনেকক্ষণ ওরা কোথায় কোথায় সব ফোন করল। জেলা প্রশাসকের অফিসেও ফোন করেছিলাম। তারপর বলল আপনি এখন যান। এই বছর আর হবে না।'
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের এলাকার লোকজনও অনেক চেষ্টা করল। কিন্তু ভোট দিতে পারলাম না। খুবই খারাপ লাগছে। মনে হচ্ছে- আমি মরে গিয়েছি। আমি তো প্রতিবারই ভোট দিই। কিন্তু, এবার পারলাম না।'
উল্লেখ্য, শুক্রবার থেকে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। প্রথম দফায় দেশটির ২১ রাজ্যের ১০২ আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের তিন আসন- জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র।
মন্তব্য করুন
চলছে ভারতে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। আজ শুক্রবার সকাল সাতটায় শুরু হয় এ ভোট গ্রহণ। শেষ হবে সন্ধ্যা ছয়টায়। নির্বাচন হচ্ছে সাত দফায়।
আজ শুরু হয়েছে প্রথম দফার ভোট। লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ১০২টি আসনে ভোট হচ্ছে আজ। এর মধ্যে রয়েছে পূর্ব ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে ৩ আসনও।
ভোট শুরু হয়েছে দেশের ২৮টি রাজ্য ও আটটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে ১৭টি রাজ্য ও ৪টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। আজ নির্বাচন হচ্ছে অরুণাচল প্রদেশ রাজ্য বিধানসভার ৬০টি ও সিকিমের ৩২টি বিধানসভা আসনে।
পশ্চিমবঙ্গের যে তিন আসনে ভোট শুরু হয়েছে, সেগুলো হলো কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার। কোচবিহারে তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া, বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক, কংগ্রেসের পিয়া রায় চৌধুরী ও বামফ্রন্টের শরিক ফরোয়ার্ড ব্লকের নীতীশ চন্দ্র রায়।
জলপাইগুড়ি আসনে লড়ছেন তৃণমূলের নির্মল চন্দ্র রায়, বিজেপির জয়ন্ত কুমার রায়, বাম ফ্রন্টের সিপিএম প্রার্থী দেবরাজ বর্মণ।
আলিপুরদুয়ারে লড়ছেন তৃণমূলের প্রকাশ চিক বরাইক, বিজেপির মনোজ টিগ্গা, বাম ফ্রন্টের মিলি ওঁরাও।
প্রথম পর্বের ভোটের দিন আজ নির্ধারিত হবে ভারতের আট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ভাগ্যও। সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রমাণিকের। নিশীথ দাঁড়িয়েছেন কোচবিহার আসনে। এ আসনেরই সংসদ সদস্য তিনি।
এবার পশ্চিমবঙ্গে ভোট দেবেন ৭ কোটি ৬৯ লাখ ভোটার। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩ কোটি ৮৫ লাখ ৩০ হাজারের বেশি। নারী ৩ কোটি ৭৩ লাখ ৪ হাজারের বেশি। রাজ্যে আরও রয়েছেন ট্রান্সজেন্ডার ১ হাজার ৮৩৭ ভোটারও।
আজ পশ্চিমবঙ্গের তিন আসনে ভোট দিচ্ছেন ৫৬ লাখ ২৬ হাজার ১০৮ ভোটার। মোট ভোটকেন্দ্র করা হয়েছে ৫ হাজার ৮১৪টি। এর মধ্যে স্পর্শকাতর কেন্দ্র ৮৩৭টি।
এবারের ভোটকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে ভোটকেন্দ্রগুলো। নিয়োগ করা হয়েছে ২৬৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্য। প্রতিটি কেন্দ্রেই থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আরও থাকছেন ১২ হাজার ৩১০ রাজ্য পুলিশ সদস্য। নির্বাচন কমিশন স্পর্শকাতর কেন্দ্রে সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।
প্রথম পর্বের ভোটের দিন আজ নির্ধারিত হবে ভারতের আট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ভাগ্যও। সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রমাণিকের। নিশীথ দাঁড়িয়েছেন কোচবিহার আসনে। এ আসনেরই সংসদ সদস্য তিনি।
অন্য আট কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হলেন নীতিন গড়করি, কিরেন রিজিজু, ভূপেন্দ্র যাদব, সর্বানন্দ সেনেওয়াল, জিতেন্দ্র সিং, অর্জুন রাম মেঘওয়াল, সঞ্জীব বালিওয়ান এবং এল মুরুগান।
লোকসভা নির্বাচন ভোট লোকসভা পশ্চিমবঙ্গ
মন্তব্য করুন
চলছে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভোট দিতে গিয়ে এক বৃদ্ধা শুনেছেন- তিনি মারা গেছেন, আর ভোট দিতে না পেরে নিরাশ তিনি। কাগজে-কলমে মৃত হওয়ায় বাস্তবে জীবিত এই ভোটারের ভোট দিতে ব্যর্থ হওয়ার এই ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিভি৯ বাংলা।