নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:২৯ পিএম, ২৪ অগাস্ট, ২০১৮
কারাবন্দীর সংখ্যার দিক থেকে ব্রাজিলের অবস্থান বিশ্বে চতুর্থ। দেশটির কারাগারগুলোতে সন্ত্রাসীদের আধিপত্য, দাঙ্গা হাঙ্গামার ঘটনা প্রায়ই আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোর শিরোনামে আসে। পাশাপাশি ধারণ ক্ষমতার তুলনায় কয়েকগুণ বেশি বন্দী রাখা এবং কারাগারের ভেতরের শোচনীয় অবস্থার কারণেও দেশটির দুর্নাম রয়েছে। কিন্তু এর ঠিক বিপরীত চিত্রও আছে।
অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য প্রোটেকশন অ্যান্ড অ্যসিসটেন্স টু কনভিক্টস (এপ্যাক) নামে একটি সংস্থা ব্রাজিলে কতগুলো কারাগার পরিচালনা করে। পৃথিবীর অন্য যেকোনো দেশের বন্দীশালা থেকে একেবারেই ভিন্ন ওই কারাগারগুলো। সেখানে নেই কোনো কারারক্ষী, নেই কোনো অস্ত্র।
ব্রাজিলে এপ্যাক পরিচালিত ৪৯টি কারাগার রয়েছে। ১৯৭২ সালে একদল ক্যাথলিক খ্রিস্টান প্রথম এ ধরনের কারাগার প্রতিষ্ঠা করেন। এভিএসআই ফাউন্ডেশন নামে ইতালির একটি এনজিও এবং ব্রাজিলের সাবেক কারাবাসীদের একটি প্রতিষ্ঠান এর অর্থায়ন করে থাকে।
গত মার্চে ব্রাজিলের উত্তরাঞ্চলের রনডোনিয়া এলাকায় এপ্যাক এর নতুন একটি কারাগার উদ্বোধন করা হয়। সেখানকার বন্দীরা নিজেদের পোষাকই ব্যবহার করতে পারেন। প্রচলিত কারাগারগুলোর মতো আসামিদের জন্য নির্দিষ্ট পোশাক পড়তে হয় না তাদের। এছাড়াও কারাগারের সেলগুলোতে আয়না ও মেকআপ সরঞ্জামেরও ব্যবস্থা রয়েছে।
ব্রাজিলের পটভূমিতে এপ্যাক পরিচালিত কারাগারগুলো অনেক বেশি নিরাপদ, সস্তা, এবং মানবিক বলেই স্বীকৃতি পাচ্ছে। এই কারাগারগুলোতে যে বন্দীদের আনা হয় তাদের বেশিরভাগই আসে প্রচলিত জেলখানাগুলো থেকে। বন্দীরা তাদের অপরাধের জন্য অনুতপ্ত কিনা, সেটাই দেখা হয় এই কারাগারগুলোতে। নিয়মিত শ্রম দেওয়া এবং শিক্ষা গ্রহণের ব্যাপারে কঠোর নিয়মকানুন রয়েছে সেখানে। মাঝে মাঝে স্থানীয় অধিবাসীদের সঙ্গে কাজ করতেও দেওয়া হয় তাদের। সেখানকার বন্দীদের `রিকুপারেন্দোস` নামে ডাকা হয়। এর অর্থ যাদের আরোগ্য লাভের প্রক্রিয়া চলছে। এভিএসআই ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি জ্যাকোপো সাবাতিয়েলো জানান, এই কারাগারগুলোর মূল নীতি হচ্ছে কঠোর পরিশ্রম করা এবং অন্যকে ভালবাসা।
এপ্যাক এর কারাগার থেকে কোনো বন্দী পালানোর চেষ্টা করলে তাকে ব্রাজিলের প্রচলিত কোন কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে পাত্রিসিয়া নামের একজন বন্দী বলেন, ‘আমি কখনই সেখানে ফিরে যেতে চাই না। সেখানে ছোট একটা ঘরে ২০ জন বন্দীকে থাকতে হতো। ঘুমাতে হতো নোংরা তোষকের ওপর। আর যে খাবার দেওয়া হতো তা ছিল জঘন্য।’
বাংলা ইনসাইডার/ এএইচসি/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ইসরায়েল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা লেবানন
মন্তব্য করুন
ছায়াপথের বৃহত্তম কৃষ্ণগহ্বর খুঁজে পাওয়ার দাবি করেছেন ফ্রান্সের গবেষকেরা। সূর্যের চেয়ে ৩৩ গুণ ভারী এটি। বুধবার (১৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন আবিষ্কৃত কৃষ্ণগহ্বরটির নাম গাইয়া বিএইচ৩। মূলত, ইউরোপের মহাকাশ সংস্থার গাইয়া মিশনের সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করতে গিয়ে এটির খোঁজ পাওয়া যায়।
গাইয়ার টেলিস্কোপ মূলত আকাশে কোনো নক্ষত্রের নিখুঁত অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর তথ্য থেকে জ্যোতির্বিদেরা নক্ষত্রের ভর, কক্ষপথ ও তাদের অদৃশ্য সঙ্গীকে খুঁজে বের করতে পারেন। গাইয়া মিশনটি পৃথিবী থেকে ২
হাজার আলোকবর্ষ দূরে আকুইলা গ্রহাণুপুঞ্জে বিএইচ৩ নামের কৃষ্ণগহ্বরটিকে শনাক্ত করেছে।
মন্তব্য করুন
উন্নয়নের নতুন এক অধ্যায়ে পা রাখল পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা। এবার যুক্ত হলো চালকবিহীন মেট্রোরেল।
সোমবার (১৬ এপ্রিল) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে এই চালকবিহীন মেট্রো। এদিন ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর শিয়ালদহ থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ রুটে যাত্রার মধ্য দিয়ে এই পরিষেবার উদ্বোধন করা হয়।
পরিষেবাটি চালু হওয়ার ফলে অটোমেটিক ট্রেন অপারেশনে সময়ের ব্যবধান দুই থেকে তিন মিনিটের মতো কমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে শিয়ালদহ থেকে সেক্টর ফাইভের মধ্যে মেট্রো পরিষেবার ব্যবধান ২০ মিনিটের বদলে ১৭ মিনিট হবে। অন্যদিকে সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদহ পৌঁছাতে ২০ মিনিটের জায়গায় লাগবে ১৮ মিনিট। তবে দিনের প্রথম এবং শেষ মেট্রো পরিষেবার সময়সূচি একই থাকবে বলে জানা গেছে।
অবশ্য নতুন ব্যবস্থায় ট্রেনগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলতে সক্ষম হলেও চালকের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে সেগুলোতে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, কলকাতা শহরে মেট্রোরেলের এ পরিষেবাটি একেবারেই নতুন। তাই শুরুর দিকে মেট্রোতে চালকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হচ্ছে। তবে মেট্রোতে চালক থাকলেও এটি পরিচালনায় তাদের তেমন কোনো ভূমিকাই থাকছে না।
কলকাতা মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার পি উদয়কুমার রেড্ডি বলেছেন, কলকাতার যাত্রীদের কাছে এটি একেবারেই নতুন বিষয়। তাই চালকবিহীন মেট্রো রেক নিয়ে যাত্রীদের মনে অনেকটা উদ্বেগ বা উৎকণ্ঠা তৈরি হওয়া স্বাভাবিক বিষয়। তাই স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেট্রো রেক চালানো গেলেও শুরুর দিকে যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে কেবিনে চালক উপস্থিত থাকবেন।
কেবিনে চালকদের ভূমিকার বিষয়ে উদয় কুমার রেড্ডি জানান, বাস্তবিকভাবে সেখানে তাদের কোনও প্রকার ভূমিকাই থাকবে না। যাত্রীরা এই ব্যবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া শুরু করলেই পরবর্তীতে এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তিত হতে পারে।
চালকবিহীনে এই মেট্রো পরিচালনার বিষয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো লাইনে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এতে করে কন্ট্রোল রুম থেকেই মেট্রোর যাবতীয় গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। ফলে যাত্রীবোঝাই মেট্রোটি চালকবিহীনভাবেই যাতায়াত করতে পারবে।
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলের ওপর ইরানের নজিরবিহীন সরাসরি হামলার দুই দিন পর উত্তেজনা বিরাজ করছে তেহরানে। শনিবার রাতে ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডস কর্পস-এর ৩শ’ টির বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার পর পাল্টা আক্রমণের হুঁশিয়ার দিয়েছে তেল আবিব। খবর বিবিসি।
তবে এরইমধ্যে ইরানের হামলার সমর্থন দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশের জনগণ। ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইরানের প্রশংসাও করছে অনেকে।
এদিকে, ইরানের শহরগুলোর দেয়ালে কিছু গ্রাফিতি দেখা গিয়েছে যেখানে লিখা, “ইসরায়েল, আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির বাড়িতে আঘাত কর।”
অন্যদিকে, ইরান সরকারের নিজস্ব বিলবোর্ড রয়েছে যাতে লেখা রয়েছে, ” তেল আবিব আমাদের রণক্ষেত্র, তেহরান নয়।”
ঘটনা যেন এখানেই শেষ নয়! আইআরজিসি হামলার পরপরই, ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের সমর্থকরা উদযাপন করেছে এবং তেহরানের একটি বিল্ডিং থেকে ব্যানার ঝুলানো হয়েছিল যাতে লিখা রয়েছে, “পরবর্তী থাপ্পড় আরও ভয়ানক হবে।”
আইআরজিসি হামলার পরপরই মার্কিন ডলারের বিপরীতে ইরানি রিয়ালের মূল্য কমে গেছে। ঠিক যেমনটি সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে ইসরায়েলের হামলার পর ইতিমধ্যেই হয়েছিল।
মন্তব্য করুন