ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

এবার সুশীল সমাজের হয়ে ব্যাট করতে হবে ইমরানকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২:৩১ পিএম, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দায়িত্বগ্রহণের পরই একটি উচ্চাভিলাষী উন্নয়ন ও সংস্কার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। তিনি অভিজাত শ্রেণীর দুর্নীতি দমন করে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও নারী কল্যাণে বরাদ্দ বৃদ্ধির অঙ্গীকার করেছেন।

ইমরানের ঘোষিত সামাজিক কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য তাঁকে অবশ্যই পাকিস্তানের কোণঠাসা সুশীল সমাজের সমর্থন আদায় করতে হবে। দেশটির সামরিক বাহিনী এবং পূর্ববর্তী সরকারগুলো সেখানকার সুশীল নাগরিকদের ওপর যে দমন-পীড়ন এবং নানা বিধি নিষেধ আরোপ করেছিল, নতুন প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই সেই ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। একইসঙ্গে তারা যেন নির্বিঘ্নে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে নিতে পারে সেজন্য সহায়তাও করতে হবে ইমরানকে।  

রাজনীতিতে প্রবেশের পর বিভিন্ন ইস্যুতে সুস্পষ্টভাবেই ইমরানের অবস্থান ছিল সুশীল সমাজের বিপক্ষে। বৈষম্যমূলক ব্লাসফেমি আইন সমর্থন করেছিলেন তিনি। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তাঁকে উদারপন্থীদের প্রতি আক্রমণাত্মক মন্তব্য করতে দেখা গেছে। অতীতে সংবাদ মাধ্যমেরও তীব্র সমালোচনা করেছেন ইমরান। অন্যদিকে আফগানিস্তানে জঙ্গি সগঠন তালেনবানের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে দখলদারদের বিরুদ্ধে বৈধ জিহাদ হিসেবে বর্ণনা করেছেন তিনি। তবে বর্তমানে ইমরানের সামনে অতীত অবস্থান পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে। একটি নতুন এবং ঐক্যবদ্ধ দেশ ও জাতির জন্য তিনি এই সুযোগটি গ্রহণ করতেই পারেন।

আন্তর্জাতিক মানব উন্নয়ন সূচকের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পাকিস্তানের অবস্থান একেবারেই নীচের দিকে। দেশটিতে শিশু মৃত্যুর হার বেড়েই চলেছে। জাতিসংঘের শিশু তহবিলের তথ্য অনুযায়ী, আইসল্যান্ডে প্রতি এক হাজার জনে মাত্র একটি শিশুর মৃত্যু হয়। সেখানে পাকিস্তানে এ সংখ্যা ২২ জনে একজন। দেশটির ২৩ মিলিয়ন শিশুই স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পায় না।

পাকিস্তান যেসব সহায়তা পেতে পারে তার সবই গ্রহণ করা দরকার দেশটির। পাহাড় সমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ইমরানের অর্থ ও দক্ষতা খুঁজে বের করা প্রয়োজন। চলতি বছর দেশটিতে বড় কয়েকটি আন্তর্জাতিক ঋণ ও আর্থিক সহায়তা বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে ট্যাক্স ও রপ্তানি থেকে রাজস্ব আয়ও হ্রাস পাচ্ছে।

অ্যাকশন এইড, এশিয়া ফাউন্ডেশন, মার্সি কর্পস ও ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের মতো বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থা বহু বছর ধরেই পাকিস্তানে কাজ করছে। সুশীল সমাজের সংগঠনগুলোও বন্যাসহ বিভিন্ন সংকটকালীন সময়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় শিক্ষা বিস্তারেও ভূমিকা রেখেছে তারা। এছাড়া হিন্দু ও খ্রিস্টানসহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সঙ্গেও কাজ করেছে সুশীল সমাজ, রাষ্ট্র যাদের উপেক্ষা করে আসছিল।

কিন্তু স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক এসব এনজিওগুলোকে সহায়তার পরিবর্তে দেশটির সরকার সবসময়ই তাদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ও পদক্ষেপ গ্রহণ করে এসেছে। পূর্ববর্তী সরকার ও সামরিক বাহিনী সংস্থাগুলোর কার্যক্রম সীমিতকরণ এমনকি কয়েকটি আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীকে বের করে দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু করেছিল।

পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন সরকার এবং ডানপন্থী সংবাদমাধ্যমগুলো সবসময়ই আন্তর্জাতিক এনজিওগুলোর গুপ্তচরবৃত্তি এবং রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার খবর প্রচার করে এসেছে।

গত বছর পাক সরকার ২১ টি আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থাকে পুনঃনিবন্ধনের আদেশ দেয়। কিন্তু ডিসেম্বরে পুনঃনিবন্ধনের আবেদন করার পর সরকার তা বাতিল করে। এই সিদ্ধান্তের কোন আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যাও দেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সংস্থাগুলো এখনও তাদের একটি আপিলের রায়ের জন্য অপেক্ষা করছে। চলমান অনিশ্চয়তার কারনে এই সংস্থাগুলো পরিচালিত বিভিন্ন প্রোগ্রাম এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে। এর ফলে কয়েক হাজার পাকিস্তানি বেকার হয়ে পড়েছে। পশ্চিমা দেশগুলোর মতো দাতাগোষ্ঠীরাও দেশটিতে সাহায্যার্থে এগিয়ে আসতে দ্বিধাবোধ করছে।

এটা খুবই দুঃখজনক যে, পাকিস্তান জঙ্গীগোষ্ঠী দমনে কার্যকর ব্যবস্থা না নিয়ে সুশীল সমাজের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। সুশীল সমাজ ও আন্তর্জাতিক সংগঠন যারা উন্নত পাকিস্তানের জন্য কাজ করছে তাদের ওপর চলমান দমন-পীড়নের প্রতিকার করতে ব্যর্থ হলে ইমরানের সংস্কার পরিকল্পনার বাস্তব অগ্রগতি কোনভাবেই সম্ভব নয়। একারনে দেশের উন্নয়নের জন্যই ইমরানের পূর্বের অবস্থান পরিবর্তন করে সুশীল সমাজকে নিয়ে কাজ উচিৎ। 

লেখক: পাকিস্তানের রাজনীতি নিয়ে সম্প্রতি ‘পাকিস্তান অন ব্রিংক: দ্য ফিউচার অব আফগানিস্তান, পাকিস্তান অ্যান্ড দ্য ওয়েস্ট’ নামে বই লিখেছেন। 

সূত্র: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ

 



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ফিলিস্তিনিরা এখনো যুদ্ধ করার ক্ষমতা রাখে

প্রকাশ: ০২:১৭ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসকে নির্মূলের জন্য কয়েক মাস ধরে টানা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। তবে এমন আক্রমণের পরও হামাসের যুদ্ধ করার সক্ষমতা এখনো অটুট রয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব দ্য ওয়ার (আইএসডব্লিউ)। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, গত ১৮ মার্চ থেকে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা আল শিফা হাসপাতালের কাছাকাছি এলাকায় ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে প্রায় ৭০টি হামলা চালিয়েছে। গত বছরে গাজার এ হাসপাতালটিতে তাণ্ডবের পর আবারও চলতি বছরের মার্চে সেখানে ফিরে আসে ইসরায়েলি সেনারা।

ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব দ্য ওয়ার (আইএসডব্লিউ) এবং ক্রিটিকাল থ্রেট প্রজেক্ট (সিটিপি) তাদের সর্বশেষ গাজার যুদ্ধাবস্থার মূল্যায়নে জানিয়েছে, হামলার তীব্রতা এটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের যুদ্ধের সক্ষমতা এখনো অটুট রয়েছে। যদিও গাজায় ইসরায়েলের হামাসকে নির্মূলের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিংক ট্যাংক জানিয়েছে, আল শিফা হাসপাতাল এলাকায় ইসরায়েলি সেনাদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের অন্তত ছয়টি যোদ্ধা দল সক্রিয় রয়েছে।

সবশেষ তথ্যে পর্যবেক্ষক সংস্থাটি জানিয়েছে, গত ৩ মার্চ গাজার জেইতুন এলাকা থেকে হামাসকে পুরোপুরিভাবে নির্মূলের দাবি করে। তবে বুধবার এ এলাকায় আবারও ফিরে এসেছে ইসরায়েলি সেনারা। তাদের ফিরে আসা এটাই প্রমাণ করে যে গাজার অন্যান্য এলাকার মতো সেখানেও নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে হামাসের যোদ্ধারা।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। দেশেটির এ হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩২ হাজার ছাড়িয়েছে। তাদের হামলার কারণে উপত্যকা এখন তাঁবুর বসতির জনপদে পরিণত হয়েছে।

ইসরায়েলের দাবি, গাজা থেকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত তারা এ অভিযান চালিয়ে যাবে। অন্যদিকে অব্যাহত হামলার কারণে উপত্যকার ব্যপক আকারে খাদ্য ও মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে।


ফিলিস্তিন   যুদ্ধ   ইসরায়েল   হামাস   গাজা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কাশ্মীরে গভীর খাদে যাত্রীবাহী ট্যাক্সি, নিহত ১০

প্রকাশ: ০১:৫৫ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি যাত্রীবাহী ট্যাক্সি গভীর খাদে গড়িয়ে পড়ে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ) এবং কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি) উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে। 

দেশটির গণমাধ্যম বলছে, শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে একটি যাত্রীবাহী ট্যাক্সি শ্রীনগরের দিকে যাচ্ছিল। পরে জম্মু ও কাশ্মীরের রমবান এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রী-সহ ট্যাক্সিটি আচমকা রাস্তার পাশে থাকা গভীর খাদের মধ্যে পড়ে যায়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। পাশাপাশি ঘটনাস্থলে আসে বিপর্যয় মোকাবিলা দলও। তাদের সঙ্গে উদ্ধারকাজে স্থানীয় বাসিন্দারাও যোগ দিয়েছেন। সংবাদ সংস্থা এএনআই ঘটনাস্থলের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চলছে। তবে বৃষ্টির কারণে রাস্তা ভেজা থাকায় উদ্ধারকারীদের বেগ পেতে হচ্ছে।


কাশ্মীর   ট্যাক্সি   এসডিআরএফ   নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নির্বাচনের আগেই ‘কূটনৈতিক দ্বন্দ্বে’ ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ১২:৫০ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্যের পর, ভারতে নিযুক্ত মার্কিন শীর্ষ কূটনীতিককে তলব করে নয়াদিল্লি। সেই তলবের প্রতিক্রিয়ায় নয়াদিল্লির আপত্তি অগ্রাহ্য করে আরও একবার মুখ খোলে ওয়াশিংটন। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ফের কড়া জবাব দিয়েছে ভারত। সব মিলিয়ে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা এখন তুঙ্গে।

লোকসভা নির্বাচনের আগে ভারতে বির্তকিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন চালু করে বিজেপি শাসিত দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। এই আইন নিয়ে সমালোচনা করায় ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক মতবিরোধ চলছিল। সেই আগুনে ঘি ঢালে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতার ইস্যু। এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছে দেশ দুটি। 

গ্রেফতার হওয়া আম আদমি পার্টির নেতা কেজরিওয়ালের বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ‘সুষ্ঠু আইনি প্রক্রিয়ায়’ বিচারকাজ সম্পন্ন করতে নয়াদিল্লিকে আহ্বান জানায় মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। কিন্তু বিষয়টিকে মোটেও ভালো চোখে দেখেনি ভারত। যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্যে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে দেশটি। 

এমনকি দিল্লিতে মার্কিন শীর্ষ কূটনীতিককে তলব করে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বুধবার (২৭ মার্চ) ভারতে নিযুক্ত মার্কিন মিশনের ভারপ্রাপ্ত উপপ্রধান গ্লোরিয়া বারবেনাকে তলব করা হয়। ওয়াশিংটনের মন্তব্যের কড়া প্রতিবাদ ও আপত্তি জানিয়ে নয়াদিল্লি বলে, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মন্তব্য কূটনৈতিক শিষ্টাচারের পরিপন্থি।

তবে নয়াদিল্লির এসব আপত্তি অগ্রাহ্য করে, বিষয়টি নিয়ে আরও একবার মুখ খোলে ওয়াশিংটন। মার্কিন কূটনীতিককে তলব এবং ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের ব্যাংক একাউন্ট জব্দের অভিযোগ নিয়ে মন্তব্য করে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। 

মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, কেজরিওয়াল ইস্যুতে ‘নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ’ করছে যুক্তরাষ্ট্র। দিল্লিতে নিযুক্ত মার্কিন ডেপুটি রাষ্ট্রদূতকে তলবের বিষয়টিও তাদের নজরে আছে। এছাড়া কংগ্রেস পার্টির কিছু ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের বিষয়ে মিলার বলেন, 

মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বেশ কিছু ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। এতে আসন্ন নির্বাচনে প্রচারণা চালানো তাদের পক্ষে চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠবে বলে মনে করে ওয়াশিংটন। 

এর প্রতিক্রিয়ায় ওয়াশিংটনের আচরণকে অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। 

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন,  মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের করা মন্তব্যের বিষয়ে দেশটির কূটনীতিকের কাছে আপত্তি ও প্রতিবাদ জানিয়েছি। মন্তব্যগুলো একেবারেই অযৌক্তিক। আমাদের নির্বাচনী এবং আইনি প্রক্রিয়ার ওপর বহিরাগত যেকোনো অভিযোগ সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। ভারতে আইনের শাসনেই সব আইনি প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়। 

এমন ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ভারতীয় রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহলেও। অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে নাক না গলানোর আহ্বান জানিয়েছেন কেউ কেউ।


ভারত   যুক্তরাষ্ট্র   কূটনৈতিক  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাফায় প্রবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে সেনাবাহিনী: নেতানিয়াহু

প্রকাশ: ১২:২৯ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলি অভিযান শুরুর পর লাখ লাখ ফিলিস্তিনি দক্ষিণ গাজার মিশর সীমান্তবর্তী এলাকা রাফায় আশ্রয় নেয়। এরই মধ্যে উত্তর ও মধ্য গাজাকে ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এখন আন্তর্জাতিক সব চাপ উপেক্ষা করে রাফায়ও অভিযান চালাবে ইসরায়েল। সূত্র: আল-জাজিরা

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজায় হামাসের হাতে জিম্মি সেনাদের পরিবারের সদস্যদের বলেছেন, একমাত্র সামরিক চাপের মাধ্যমেই তাদের মুক্ত করা সম্ভব। তাছাড়া রাফায় সেনাবাহিনী অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানান তিনি। এসময় তিনি রাফায় স্থল অভিযানের ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, আমরা এরই মধ্যে উত্তর গাজা ও খান ইউনিস জয় করেছি।

এদিকে গাজায় গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরও দুইটি ইস্যু জারি করেছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত। সেখানে মৌলিক সেবা ও মানবিক সহায়তা প্রবেশের নিশ্চিয়তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবরের পর ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ৩২ হাজার ৫৫২ জন নিহত হয়েছেন। আহাত হয়েছেন ৭৪ হাজার ৯৮০ জন।

ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাস হামলা চালানোর পর থেকে গাজায় যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে, সে বিষয়ে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ (ইউএনএসসি) উভয় পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে।

গত ২৫ মার্চ গৃহীত প্রস্তাবটিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ‘অবিলম্বে’ যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা উচিত এবং ‘একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে রমজান মাসের প্রতি সব পক্ষেরই শ্রদ্ধা দেখানো উচিত’। তবে যুক্তরাষ্ট্র গত ২৫ মার্চ পাস হওয়া ২৭২৮ নম্বর প্রস্তাবটিকে বাধ্যতামূলক নয় বলে বর্ণনা করেছে। তাদের যুক্তি, ওই প্রস্তাবে ‘যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে’ কথাগুলোর পরিবর্তে ‘যুদ্ধবিরতির অনুরোধ করা হয়েছে’ অভিব্যক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারও সাংবাদিকদের বলেছেন, এটি বাধ্যতামূলক প্রস্তাব নয়।


রাফা   সেনাবাহিনী   নেতানিয়াহু   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাশিয়ার ২৬ ড্রোন ধ্বংস; দাবি ইউক্রেনের

প্রকাশ: ১১:১১ এএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

রাশিয়ার ২৮টি অ্যাটাক ড্রোনের মধ্যে ২৬টি ড্রোন আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে গুলি করে ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইউক্রেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, ইরান নির্মিত ড্রোনগুলো ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ধ্বংস করা হয়েছে।

রয়টার্স সূত্র বলছে, জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের গভর্নর টেলিগ্রামে বলেছেন, সেখানকার আঞ্চলিক রাজধানীতে বিধ্বস্ত ড্রোনের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে দুই নারী আহত হয়েছেন।

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ এলাকার প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, বিধ্বস্ত তিনটি ড্রোনের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে একটি রেস্তোরাঁ, একটি স্টোর এবং বেশ কয়েকটি অফিস ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইউক্রেনের বিমান বাহিনী আরও জানিয়েছে, সারারাত ধরে করা হামলায় ড্রোনের পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে রাশিয়ান বাহিনী।



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন