নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩০ পিএম, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
সাহিত্যানুরাগী হিসেবে সুনাম ছিল তাঁর। বেশ কিছু উপন্যাস আর কবিতাও লিখেছিলেন তিনি। তবে সব কিছু ছাপিয়ে যে পরিচয়টি বড় হয়ে উঠেছিল তা হলো, উদ্ভট ও নিষ্ঠুর এক স্বৈরশাসক। যিনি নিজ দেশেই রাসায়নিক গ্যাস ও বোমা বর্ষণ করে নির্দ্বিধায় লাখো সাধারণ মানুষ হত্যা করেছিলেন। বলা হচ্ছে, সাদ্দাম হোসেনের কথা। ইরাকের সমৃদ্ধির নায়ক বলা হয় তাঁকে, একই সঙ্গে ধ্বংসেরও।
নিজের ছেলেদের প্রতি অস্বাভাবিক স্নেহশীল ছিলেন সাদ্দাম হোসেন। ছোট ছেলে উদয় হোসেন এক বিয়ের অনুষ্ঠানে আনন্দ উদযাপন করতে গিয়ে গুলিবর্ষণ করেছিলেন। ওই ঘটনায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছিল। এই অপরাধের জন্য সাদ্দাম তাঁর পুত্রকে হাস্যকর এক শাস্তি দিয়েছিলেন। উদয়ের রোলস রয়েস, ফেরারিসহ দামি কয়েকটি গাড়ি পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।
১৯৭৯ সালের ১৬ জুলাই ইরাকের পঞ্চম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আসেন সাদ্দাম হোসেন। পুরো নাম ছিলো সাদ্দাম হোসেন আব্দুল মজিদ আল তিকরিতি। তাঁর শাসনামলে দেশটি অর্থনৈতিক দিক থেকে সমৃদ্ধশালী হয়ে ওঠে। সাধারণ মানুষের জীবনমানের উন্নতি ঘটে। তাঁর এক বড় সংস্কার ছিলো ইরাকের তেল সম্পদের জাতীয়করণ। যার ফলে দেশটির বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় হয়েছিল এবং ব্যাপক সমৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হয়েছিল।
দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সাদ্দাম বিরোধীদের ওপরও দমন পীড়ন শুরু করেন। ক্ষমতাগ্রহণের পরপরই তিনি নতুন একটি বাহিনী গঠন করেছিলেন। এর কাজ ছিলো সরকারের জন্য হুমকিস্বরুপ বিভিন্ন ক্ষুদ্র গোষ্ঠী ও বাহিনীকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা। তাঁর নির্দেশেই ১৯৭৪ সালে দেশটির দাওয়া পার্টির নেতাদের হত্যা করা হয়। এরপর ’৮০ সালে হাজার খানেক কুর্দি হত্যা এবং ’৮৮ তে রাসায়নিক হামলা চালিয়ে আনুমানিক পঞ্চাশ হাজার থেকে এক লাখ মানুষ হত্যা করেন তিনি। ১৯৯০ সালে এই স্বৈরশাসকের নির্দেশে একটি নদীর গতিপথ পরিবর্তন করা হয়। যার ফলে ‘মার্শ আরব’ নামক আদিবাসীগোষ্ঠীর বসতভিটা পানির নিচে তলিয়ে যায়।
১৯৮০ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত সাদ্দামের নেতৃত্বে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালিত হয়। প্রায় নয় বছর দীর্ঘস্থায়ী এ যুদ্ধে ইরাকের অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। যুদ্ধের মূল কারণ হিসেবে সাদ্দামের উচ্চাভিলাষ ও আগ্রাসী মনোভাবকেই দায়ী করা হয়। বলা হয়ে থাকে, তাঁর স্বপ্ন ছিল পারস্য উপসাগরের ওপর নিজের একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা। ১৯৯০ সালে কুয়েতে হামলা চালায় ইরাকি বাহিনী। মাত্র ১৩ ঘণ্টার মধ্যে দেশটির ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয় তারা। সাদ্দাম দাবি করে বসেন, ঐতিহাসিকভাবেই এটি ইরাকের অংশ ছিল। কিন্তু ’৯১ এ মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোটের কাছে হার মেনে যুদ্ধ-বিরতিতে সম্মত হন তিনি।
ইরান এবং কুয়েত দু’টি দেশের ওপরেই অন্যায়ভাবে যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিলেন সাদ্দাম হোসেন। বলা হয়ে থাকে, ইতিহাস কাউকেই ক্ষমা করে না। সীমান্ত বিরোধ, ইরাকের অভ্যন্তরে শিয়া জঙ্গিদের মদদ দেওয়া ও ইরাকি পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারিক আজিজের হত্যাচেষ্টাসহ আরও কিছু অবান্তর অভিযোগ দেখিয়ে দেশ দু’টিতে আক্রমণ চালিয়েছিলেন তিনি। ঠিক একইভাবে ইরাক আক্রমণের সময়ও তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ সাদ্দাম প্রশাসনের বিরুদ্ধে গণবিধ্বংসী অস্ত্র নির্মাণের মিথ্যা অভিযোগ তুলেছিলেন।
২০০৩ সালের ২০ মার্চ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইরাকে আগ্রাসন শুরু হলে আত্মগোপনে চলে যান লৌহমানব খ্যাত সাদ্দাম। সেপ্টেম্বরে জন্মস্থান তিকরিতের একটি খামারবাড়ি সংলগ্ন ভূগর্ভস্থ গর্ত থেকে তাকে আটক করা হয়।
বলা হয়ে থাকে, নিরাপত্তার জন্য সাদ্দাম তাঁর মতো চেহারার বেশ কয়েকজনকে তৈরি করেছিলেন। মার্কিন বাহিনী তাঁকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজন বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দিয়েছিল। এই বিশেষজ্ঞের প্রথম কাজ ছিল আটক ব্যক্তিই প্রকৃত সাদ্দাম কি না তা নিশ্চিত করা। জন নিক্সন নামের ওই বিশেষজ্ঞ ১৯৯৮ সালে সিআইএতে যোগদানের পর থেকেই সাদ্দামকে নিয়ে অধ্যয়ন শুরু করেছিলেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর নিক্সন জানিয়েছিলেন, আমার দেখা মানুষদের মধ্যে সাদ্দামই সবচেয়ে সন্দেহপ্রবণ ব্যক্তি। তাঁকে করা প্রতিটি প্রশ্নের জবাবে তিনি আমাকে পাল্টা প্রশ্ন করতেন।
বন্দী অবস্থায় জীবনের শেষ সময়ে সাদ্দাম মার্কিন গায়িকা মেরি জে ব্লাইজার গান শুনতেন নিয়মিত। নিজের এক্সারসাইজ বাইকে চড়তেও পছন্দ করতেন তিনি। মার্কিন রক্ষীরা জানান, জীবনের শেষ দিনগুলোতে সাদ্দাম তাঁদের সঙ্গে খুব ভালো ব্যবহার করতেন। তাঁর ব্যবহার দেখে বোঝাই যেত না যে সাদ্দাম হোসেন কোনো এক সময়ে একজন নিষ্ঠুর শাসক ছিলেন।
কিউবান `কোহিবা` সিগার খাওয়ার খুব নেশা ছিল সাদ্দামের। বন্দি অবস্থায়ও তিনি ওই নেশা ছাড়তে পারেননি। অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে ভেজা ওয়াইপে জড়িয়ে একটা বাক্সে সেগুলো রাখতেন তিনি। কিউবার নেতা ফিদেল কাস্ত্রো তাকে সিগার খাওয়া শিখিয়েছিলেন বলে জানিয়েছিলেন সাদ্দাম।
বার্ডেনওয়ার্পার নামের একজন রক্ষী জানান, সাদ্দাম হোসেন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আশা করতেন যে তাঁর ফাঁসি হবে না। নতুন করে কোনো নারীর সঙ্গে প্রেম করার ইচ্ছা পোষণ করতেন সাদ্দাম। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে আবারও বিয়ে করার ইচ্ছা ছিল তাঁর।
বন্দিশালাতেও নাস্তার ব্যাপারে খুঁতখুঁতে স্বভাব ছিল সাদ্দামের। ডিমের অমলেট টুকরো হয়ে গেলে, সেটা আর খেতেন না তিনি।
২০০৬ সালের ডিসেম্বরে ঈদের দিনে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় সাদ্দামের। কিন্তু ইরাকের বহু মানুষ এখনো বিশ্বাস করে এই লৌহমানব এখনো বেঁচে আছেন। তাদের দাবি, সাদ্দাম মারা যায়নি। যাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে সে সাদ্দামের মতো দেখতে অন্য কেউ।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিন গাজা
মন্তব্য করুন
মালয়েশিয়া বাংলাদেশি শ্রমিক জাতিসংঘ
মন্তব্য করুন
ইরান ইসরায়েল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ক্ষেপনাস্ত্র হামলা
মন্তব্য করুন
চলছে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভোট দিতে গিয়ে এক বৃদ্ধা শুনেছেন- তিনি মারা গেছেন, আর ভোট দিতে না পেরে নিরাশ তিনি। কাগজে-কলমে মৃত হওয়ায় বাস্তবে জীবিত এই ভোটারের ভোট দিতে ব্যর্থ হওয়ার এই ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিভি৯ বাংলা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভুক্তভোগী ওই বৃদ্ধার নাম বাসন্তী দাস। তিনি শুক্রবার সকাল সকাল চলে গিয়েছিলেন ভোট দিতে। কিন্তু, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে শুনলেন তিনি নাকি মারা গেছেন। তাই ভোট দিতে দেওয়া হবে না তাকে। কাগজে-কলমে তিনি মৃত। তাই ভোটাধিকার নেই।
পরে অশ্রুসজল চোখ নিয়ে ভোট কেন্দ্র থেকে ফিরে আসেন বাসন্তী দাস নামে ওই বৃদ্ধা। এদিন ভোটের সকালে এই ঘটনা ঘটেছে ধূপগুড়ি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। ধূপগুড়ির বৈরাতীগুড়ি হাই স্কুলে ভোট কেন্দ্র বাসন্তী দেবীদের। এদিন সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ভোট দিতে গিয়েছিলেন তিনি।
ভোটের ডিউটিতে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার জানান, তার কিছু করার নেই, ভোটার তালিকায় ডিলিট রয়েছে তাই ভোট দিতে পারবেন না তিনি, তাই ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই বৃদ্ধাকে।
ভুক্তভোগী ওই বৃদ্ধার ছেলে উজ্জ্বল দাস বলছেন, 'মা একাই ভোট দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওখান থেকে বলেছে- তোমার নাম নেই, তুমি মৃত। মা বাইরে এসে আমাদের জানায়। ফের কথা বললে জানায়- নামের জায়গায় মৃত লেখা আছে। আমরা পরে বুঝে নেব।'
তিনি আরও বলেন, মা প্রায় দেড় ঘণ্টা ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল। তারপরেও ভোট দিতে পারেনি। আমরা তো প্রতিবার তো এখানেই ভোট দিই। এবারে কী হলো জানি না।
অন্যদিকে অশ্রুসজল চোখে বাসন্তী দেবী বলেন, 'আমি তো সাত নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সাড়ে সাতটার সময় ভোট দিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু, দীর্ঘক্ষণ লাইনে থাকার পরেও ভোট দিতে পারিনি। সরকারের খাতায় নাম নেই বলছে। অনেকক্ষণ ওরা কোথায় কোথায় সব ফোন করল। জেলা প্রশাসকের অফিসেও ফোন করেছিলাম। তারপর বলল আপনি এখন যান। এই বছর আর হবে না।'
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের এলাকার লোকজনও অনেক চেষ্টা করল। কিন্তু ভোট দিতে পারলাম না। খুবই খারাপ লাগছে। মনে হচ্ছে- আমি মরে গিয়েছি। আমি তো প্রতিবারই ভোট দিই। কিন্তু, এবার পারলাম না।'
উল্লেখ্য, শুক্রবার থেকে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। প্রথম দফায় দেশটির ২১ রাজ্যের ১০২ আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের তিন আসন- জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র।
মন্তব্য করুন
চলছে ভারতে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। আজ শুক্রবার সকাল সাতটায় শুরু হয় এ ভোট গ্রহণ। শেষ হবে সন্ধ্যা ছয়টায়। নির্বাচন হচ্ছে সাত দফায়।
আজ শুরু হয়েছে প্রথম দফার ভোট। লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ১০২টি আসনে ভোট হচ্ছে আজ। এর মধ্যে রয়েছে পূর্ব ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে ৩ আসনও।
ভোট শুরু হয়েছে দেশের ২৮টি রাজ্য ও আটটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে ১৭টি রাজ্য ও ৪টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। আজ নির্বাচন হচ্ছে অরুণাচল প্রদেশ রাজ্য বিধানসভার ৬০টি ও সিকিমের ৩২টি বিধানসভা আসনে।
পশ্চিমবঙ্গের যে তিন আসনে ভোট শুরু হয়েছে, সেগুলো হলো কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার। কোচবিহারে তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া, বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক, কংগ্রেসের পিয়া রায় চৌধুরী ও বামফ্রন্টের শরিক ফরোয়ার্ড ব্লকের নীতীশ চন্দ্র রায়।
জলপাইগুড়ি আসনে লড়ছেন তৃণমূলের নির্মল চন্দ্র রায়, বিজেপির জয়ন্ত কুমার রায়, বাম ফ্রন্টের সিপিএম প্রার্থী দেবরাজ বর্মণ।
আলিপুরদুয়ারে লড়ছেন তৃণমূলের প্রকাশ চিক বরাইক, বিজেপির মনোজ টিগ্গা, বাম ফ্রন্টের মিলি ওঁরাও।
প্রথম পর্বের ভোটের দিন আজ নির্ধারিত হবে ভারতের আট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ভাগ্যও। সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রমাণিকের। নিশীথ দাঁড়িয়েছেন কোচবিহার আসনে। এ আসনেরই সংসদ সদস্য তিনি।
এবার পশ্চিমবঙ্গে ভোট দেবেন ৭ কোটি ৬৯ লাখ ভোটার। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩ কোটি ৮৫ লাখ ৩০ হাজারের বেশি। নারী ৩ কোটি ৭৩ লাখ ৪ হাজারের বেশি। রাজ্যে আরও রয়েছেন ট্রান্সজেন্ডার ১ হাজার ৮৩৭ ভোটারও।
আজ পশ্চিমবঙ্গের তিন আসনে ভোট দিচ্ছেন ৫৬ লাখ ২৬ হাজার ১০৮ ভোটার। মোট ভোটকেন্দ্র করা হয়েছে ৫ হাজার ৮১৪টি। এর মধ্যে স্পর্শকাতর কেন্দ্র ৮৩৭টি।
এবারের ভোটকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে ভোটকেন্দ্রগুলো। নিয়োগ করা হয়েছে ২৬৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্য। প্রতিটি কেন্দ্রেই থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আরও থাকছেন ১২ হাজার ৩১০ রাজ্য পুলিশ সদস্য। নির্বাচন কমিশন স্পর্শকাতর কেন্দ্রে সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।
প্রথম পর্বের ভোটের দিন আজ নির্ধারিত হবে ভারতের আট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ভাগ্যও। সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রমাণিকের। নিশীথ দাঁড়িয়েছেন কোচবিহার আসনে। এ আসনেরই সংসদ সদস্য তিনি।
অন্য আট কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হলেন নীতিন গড়করি, কিরেন রিজিজু, ভূপেন্দ্র যাদব, সর্বানন্দ সেনেওয়াল, জিতেন্দ্র সিং, অর্জুন রাম মেঘওয়াল, সঞ্জীব বালিওয়ান এবং এল মুরুগান।
লোকসভা নির্বাচন ভোট লোকসভা পশ্চিমবঙ্গ
মন্তব্য করুন
চলছে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভোট দিতে গিয়ে এক বৃদ্ধা শুনেছেন- তিনি মারা গেছেন, আর ভোট দিতে না পেরে নিরাশ তিনি। কাগজে-কলমে মৃত হওয়ায় বাস্তবে জীবিত এই ভোটারের ভোট দিতে ব্যর্থ হওয়ার এই ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিভি৯ বাংলা।