ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মধ্যবর্তী নির্বাচন টলিয়ে দেবে ট্রাম্পের আসন?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩:৩৬ পিএম, ০৫ অক্টোবর, ২০১৮


Thumbnail

ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার দুই বছর পর মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশটিতে। আগামী ৬ নভেম্বর মার্কিনীরা কংগ্রেস সদস্যদের নির্বাচিত করতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। বলা হচ্ছে, এই নির্বাচন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আসন টলিয়ে দিতে ভূমিকা রাখতে পারে।

কারা নির্বাচিত হচ্ছেন?

যুক্তরাষ্ট্রের সংসদের দুইটি স্তর। একটি হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস বা প্রতিনিধি পরিষদ এবং অন্যটি সিনেট। এই দুইটি স্তরকে একসঙ্গে বলে হয় কংগ্রেস। ৬ নভেম্বরের নির্বাচনে প্রতিনিধি পরিষদের ৪৩৫টি আসনের সবগুলোতেই ভোট অনুষ্ঠিত হবে। আর সিনেটে ১০০টি আসনের মধ্যে ভোট অনুষ্ঠিত হবে ৩৫ টি আসনে। এছাড়া দেশটির ৫০টি রাজ্যের মধ্যে ৩৬ রাজ্যের গভর্নরদেরও আগামী মাসের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে।

কারা জয়ী হতে যাচ্ছেন?

বর্তমানে কংগ্রেসে রিপাবলিকান পার্টির নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে, যা ট্রাম্পকে ক্ষমতায় টিকে থাকতে সাহায্য করছে। ডেমোক্রেটরা মনে করছে, এবারের নির্বাচনে তারা প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। যার ফলে ট্রাম্পের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত তারা আটকে দিতে কিংবা বিলম্বিত করাতে পারবেন।

প্রতিনিধি পরিষদে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে অন্তত ২১৮টি আসনে জয় পেতে হয়। নির্বাচন বিশ্লেষকরা বলছেন, ডেমোক্রেটরা ১৮২টি নিশ্চিতভাবে জয় পেতে যাচ্ছে। আরও ১০টি আসনে তাদের জয়ের ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে রিপাবলিকানরা ১৪৭টি আসনে নিশ্চিতভাবে জয়লাভ করতে যাচ্ছে বলে মনে করে বিশ্লেষকরা। আরও ৫১ টি আসনে তাদের জয়ের ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। ৪২ টি আসন তাঁরা হারাতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বাকী আসনগুলোতে দুই দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি প্রতিদন্দ্বীতা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রিপাবলিকান সদস্য এবার প্রতিনিধি পরিষদে জায়গা হারাবেন বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ডেমক্রেটরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছে বলেই পুর্বাভাস দিয়েছেন তাঁরা।

সিনেটে মাত্র ৩৫ আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ায় ডেমক্রেটরা এখানে নিয়ন্ত্রন নিতে পারছে না, এটা মোটামুটি নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, তবে ৩৫টি আসনের মধ্যে তাঁরা অধিকাংশ আসন পাবে বলে বিভিন্ন জরিপে উঠে এসেছে।

ট্রাম্প ক্ষমতাগ্রহণের পর থেকে তাঁর একের পর এক কুকীর্তি প্রকাশ পেয়েই চলেছে। তবুও এবারের নির্বাচনে রিপাবলিকানরা ভালো ফল করতে পারে। কারণ মার্কিন অর্থনীতি ভালো অবস্থানে রয়েছে।

সর্বোচ্চ সংখ্যক নারী প্রার্থী

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংখ্যক নারী প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন এবারের নির্বাচনে। এটি এবারের নির্বাচনের একটি লক্ষনীয় দিক। নারী প্রার্থী বৃদ্ধির বহু কারণ রয়েছে। বেশ কয়েকজন প্রার্থী জানিয়েছেন, ২০১৬ সালের নির্বাচনে হিলারি ক্লিন্টনের হেরে যাওয়ার অপূর্ণতা পূরণ করাই তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বড় কারণ। তবে ট্রাম্পের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বাড়তে থাকা ক্ষোভকেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছেন অধিকাংশ প্রার্থী।

নির্বাচন ট্রাম্পের ওপর কী প্রভাব ফেলবে?

ডেমোক্রেট নেতৃবৃন্দ ট্রাম্পের অপসারণ বা পদত্যাগ করতে বাধ্য করার বিষয়ে প্রকাশ্যে কথা বলা এড়িয়ে চলছে। কিন্তু প্রতিনিধি পরিষদে দলটির নিয়ন্ত্রন চলে আসলে তাঁরা ঘুষ, অসদাচরণ, মিথ্যা তথ্য দেওয়াসহ বিভিন্ন অপরাধে তাঁর অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিতে পারে। সেক্ষেত্রে কী ঘটবে?

প্রতিনিধি পরিষদ প্রেসিডেন্টের অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিলে তা সিনেটে তোলা হবে। সিনেটরদের দুই-তৃতীয়াংশ যদি তাকে দোষী বলে মত দেয়, তবে ট্রাম্পকে তাঁর পদ হারাতে হবে। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হবেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স।

কিন্তু এই প্রক্রিয়ার এখনো কোন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিদায় নেননি। সিনেটে ডেমক্রেটদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার সম্ভাবনা কম থাকায় ট্রাম্পেরও অভিশংসনের সম্ভাবনা খব একটা নেই। তবে মধ্যবর্তী নির্বাচনে ডেমক্রেটদের জয় নিশ্চিতভাবেই তাকে বিপদে ফেলবে। ট্রাম্পের বিভিন্ন পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে পারবে তাঁরা।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ

 



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ

প্রকাশ: ১২:২৪ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে থেকে শুরু হয়েছে লোকসভা নির্বাচন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১০২টি আসনে সাত ধাপে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনের প্রথম ধাপ শুরু হয়। এদিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা পর্যন্ত সবগুলো আসন মিলিয়ে ভোট পড়েছে ৫৯ দশমিক ৭ শতাংশ। এর মধ্যে তামিলনাড়ুতে ভোট পড়েছে ৬৩.২ শতাংশ, রাজস্থানে ৫০.৩ শতাংশ, উত্তর প্রদেশে ৫৭.৫ শতাংশ এবং মধ্যপ্রদেশে ৬৩.৩ শতাংশ। সাধারণ নির্বাচনের পাশাপাশি রাজ্য নির্বাচনের জন্য, সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশে যথাক্রমে ৬৭.৫ ও ৬৪.৭ শতাংশ ভোট পড়েছে।

শুক্রবার তামিলনাড়ুর ৩৯, রাজস্থানের ১২, উত্তর প্রদেশের ৮, মধ্যপ্রদেশের ৬, উত্তরাখণ্ডের ৫, অরুণাচল প্রদেশের ২, মেঘালয়ের ২, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ১, মিজোরামের ১, নাগাল্যান্ডের১, পুদুচেরির ১, সিকিমের ১ ও লাক্ষাদ্বীপের ১ আসনে প্রথম দফার ভোট হয়েছে। আবার আসাম ও মহারাষ্ট্রে পাঁচটি করে, বিহারে চারটি, পশ্চিমবঙ্গে তিনটি, মণিপুরে দুটি, ত্রিপুরা, জম্মু-কাশ্মীর ও ছত্তিশগড়ে একটি করে আসন প্রথম ধাপে অন্তর্ভুক্ত।

এদিকে অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশে লোকসভা নির্বাচনের পাশাপাশি নতুন বিধানসভা নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে অরুণাচল প্রদেশ (৬০ আসন) ও সিকিম (৩২) প্রথম স্থানে রয়েছে।

প্রথম ধাপের নির্বাচনে বেশকিছু জায়গায় সহিংসতা-বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এখানে উভয় দলের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় জড়িয়ে পড়া, ভোটারদের ভয় দেখানো ও পোল এজেন্টদের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে স্থানীয় পুলিশের দাবি, কোনো সহিংসতা ঘটেনি।

এদিকে, মণিপুরের বিষ্ণুপুর ভোটকেন্দ্রে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। তাছাড়া ইম্ফল জেলায় একটি ভোটকেন্দ্র ভাঙচুর করা হয়েছে। তামিলনাড়ুর সালেম জেলার ভোটকেন্দ্রে দুজন বয়স্ক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলেও জানা গেছে।


ভারতে লোকসভা নির্বাচন   ভোট   ৬০ শতাংশ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত

প্রকাশ: ১২:১৭ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আন্তর্জাতিক ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পৃথক দু’টি হামলায় সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর ২৮ জন সেনা নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এ ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয় সময় আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) দেশটির মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবসারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি।

এক প্রতিবেদনে গণমাধ্যমটি বলছে, শুক্রবার সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ হোমসে সেনাসদস্যদের বহনকারী একটি বাসকে লক্ষ্য করে বন্দুক হামলা চালায় আইএসের বন্দুকধারীরা। এতে ওই বাসের মোট ২২ জন যাত্রীর সবাই নিহত হন।

নিহত এই সেনাসদস্যদের সবাই সিরীয় সশস্ত্র বাহিনীর কুদস ব্রিগেডের সদস্য। এই ব্রিগেডটির যোদ্ধারা সবাই জাতিগতভাবে ফিলিস্তিনি। একই দিন সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর আলবু কামালের একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে ৬ সিরীয় সেনাকে হত্যা করেছে আইএস বন্দুকধারীরা। তবে সিরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যমে দুই ঘটনার কোনোটিই প্রকাশ করা হয়নি।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে আইএসের উত্থান ঘটে সিরিয়া এবং ইরাকে। দুই দেশের বিশাল ভূখণ্ড দখল করে নিজেদের পৃথক রাষ্ট্র ঘোষণা করেছিল আন্তর্জাতিক এই ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠী।

তবে ২০১৫ সালে রুশ বিমানবাহিনী আইএস অধিকৃত অঞ্চলগুলোতে অভিযান শুরুর পর থেকে এই গোষ্ঠীটির দৌরাত্ম্য কমতে থাকে। ২০১৪ সালে যে পরিমাণ ভূখণ্ড দখলে নিয়েছিল আইএস, বর্তমানে তার মাত্র এক পঞ্চমাংশ কোনো রকমে টিকিয়ে রাখতে পেরেছে এই গোষ্ঠীটি।


সিরিয়া   আইএস   হামলা   সেনা   নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মার্কিন কংগ্রেসে ইউক্রেনের জন্য সহায়তা বিলে ভোট আজ

প্রকাশ: ১২:০৯ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

কয়েক মাস বিলম্বের পর ইউক্রেনের বহুল প্রতীক্ষিত সহায়তা বিল নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে চূড়ান্ত পর্যায়ের ভোট হতে যাচ্ছে। 

শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে এই ভোট হবে। এদিন ইউক্রেন এবং ইসরায়েলের জন্য কয়েক কোটি ডলারের মার্কিন সামরিক সহায়তা চূড়ান্ত করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই খবর জানিয়েছে।

এদিন ইউক্রেন এবং ইসরায়েলের জন্য কয়েক কোটি ডলারের মার্কিন সামরিক সহায়তা চূড়ান্ত করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে কয়েক বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা দিয়েছে। দেশটি কিয়েভের সবচেয়ে বড় দাতা। তবে বর্তমানে সহায়তা কমে গেছে। হাউসে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মিত্ররা নতুন সহায়তা থামিয়ে দিচ্ছে। 

কংগ্রেসে বিলটি পাস হওয়া নিয়ে এখনও আশঙ্কা রয়ে গেছে। এ বিষয়ে হাউসের স্পিকার মাইক জনসন বলেছেন, বিষয়টিকে ভোটে আনতে বদ্ধপরিকর তিনি। এমনকি এতে যদি তার ক্ষমতা হুমকির মুখে পড়ে তবুও।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সহায়তা প্যাকেজটিতে ভোট দিতে প্রস্তুত কংগ্রেস। একইসঙ্গে প্যাকেজটি অনুমোদনের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে সিনেটও। বিলটি সিনেটে পাস হলে এটিকে আইনে স্বাক্ষর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

ইউক্রেনের এই সহায়তা প্রস্তাবের ভোট কিয়েভে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। কেননা, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধক্ষেত্রে লড়তে মিত্রদের কাছ থেকে নতুন এই সহায়তা ইউক্রেনের জন্য জরুরি হয়ে পড়েছে।


মার্কিন কংগ্রেস   ইউক্রেন   বিল   ভোট   ডোনাল্ড ট্রাম্প  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত

প্রকাশ: ১১:৩৩ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও তার নেতৃত্বাধীন যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য এবং ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর বেশ কয়েকজন জেষ্ঠ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত।

বিশেষ এক সূত্রের বরাতে খবরটি নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল। গ্রেপ্তারি পরোয়ানার শঙ্কায় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নিজ কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক করেছেন বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইসিসির এই পদক্ষেপ ঠেকাতে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে নিজ কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন নেতানিয়াহু। তার যুদ্ধকালীন বিশেষ মন্ত্রিসভার বিচারমন্ত্রী ইয়ারিভ লেভিন, স্ট্র্যাটেজিক অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক মন্ত্রী রন ডারমার, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ ও সরকারপন্থী বেশ কয়েকজন আইনজীবী ও আইন বিশেষজ্ঞ ওই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) জেরুজালেম সফরে গিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালিনা বেয়ারবক। তাদের সঙ্গে বৈঠকের সময়ও আইসিসির সম্ভাব্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে কথা বলেছেন নেতানিয়াহু। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এই পদক্ষেপ ঠেকাতে ব্রিটিশ ও জার্মান সরকারের সহযোগিতাও চেয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে হামাস ও ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মধ্যে ব্যাপক সংঘাত হয়েছিল। সেই যুদ্ধে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধগুলো নিয়ে ২০১৯ সালে তদন্ত শুরুর ঘোষণা দেয় আইসিসি। পরে করোনা মহামারির কারণে প্রায় দেড় বছর তদন্তের কাজ স্থগিত থাকে। তবে ২০২১ সালের ২৩ মার্চ ফের তদন্ত শুরু করে আইসিসি।

সেই তদন্তের অংশ হিসেবে গত বছরের ডিসেম্বরে ইসরায়েল সফর করেছিলেন আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান। কিন্তু ইসরায়েলি প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর আপত্তির কারণে গাজা সফরে যেতে ব্যর্থ হন তিনি। সেই সফর শেষে ফিরে যাওয়ার আগে করিম খান বলেছিলেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলা ও তার জবাবে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয়।

তিনি আরও বলেন, গাজায় যেসব সহিংসতা আগে হয়েছে, তা এখনো হচ্ছে। এসব সহিংসতা হামাস ও আইডিএফের পূর্বপরিকল্পিত বলে মনে করেন করিম খান। এমনকি এ সংক্রান্ত কিছু সাক্ষ্যপ্রমাণও তার হাতে রয়েছে বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি।


নেতানিয়াহু   গ্রেপ্তার   আইডিএফ   ইসরায়েল   আইসিসি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আইএমএফের নতুন ঋণের আশায় পাকিস্তান

প্রকাশ: ১১:১৬ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামী মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নতুন ঋণের রূপরেখা নিয়ে একমত হওয়ার আশা করছে পাকিস্তান। ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক ঋণ বাজারে ফিরে আসার জন্য রেটিং এজেন্সিগুলোর সঙ্গে আলোচনাও শুরু করেছে দেশটি। পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব বলেন, আইএমএফের সঙ্গে পাকিস্তানের বর্তমান তিন বিলিয়ন ডলার চুক্তির মেয়াদ এপ্রিলের শেষ নাগাদ সম্পন্ন হয়েছে। সরকার এখন সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার স্থায়িত্ব আনতে একটি অবস্থান চাইছে, যাতে অতি প্রয়োজনীয় কাঠামোগত সংস্কার সম্পাদন করা যায়।

বুধবার আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠকে আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আওরঙ্গজেব। এ সময় তিনি বলেন, আমরা আশা করছি মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে আইএমএফ মিশন ইসলামাবাদে পৌঁছাবে এবং তখনই এর কিছু রূপরেখা তৈরি হতে শুরু করবে।

পাকিস্তান কমপক্ষে ৬০০ কোটি ডলার চাইবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সরকার কোন ধরনের কর্মসূচি আশা করছে তার রূপরেখা দিতে অস্বীকৃতি জানান অর্থমন্ত্রী।

 


পাকিস্তান   আইএমএফ   ঋণ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন