ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

‘হ্যাশট্যাগ মিটু’ ও মার্কিন রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২:০৮ পিএম, ১৯ অক্টোবর, ২০১৮


Thumbnail

‘যে রাজনৈতিক দুঃস্বপ্নের মধ্য দিয়ে আমার সহকর্মী যাচ্ছিলেন, তা শেষ হতে চলেছে।’ ১৯৯৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর এমন মন্তব্যই করেছিলেন মার্কিন রাজনীতিবিদ মার্ক হ্যাটফিল্ড। যে সহকর্মীর বিষয়ে তিনি মন্তব্যটি করেছিলেন তিনি হলেন ওরেগনের সিনেটর বব প্যাকউড। আর হ্যাটফিল্ড যে বিষয়টিকে দুঃস্বপ্নের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন তা হলো, সিনেটের এথিক্স কমিটির একটি তদন্ত প্রক্রিয়া। ১৯৬০ সাল থেকে প্যাকউড তার অধস্তন বেশ কয়েকজন নারীকে যৌন নিপীড়ন  করেছেন বলে ওই তদন্তে উঠে এসেছিল। এর জের ধরে পদত্যাগ করেছিলেন তিনি। তিন বছর ধরে এথিকস কমিটির সঙ্গে লড়াই চালিয়েছিলেন তিনি। অপকর্মের প্রমাণ নষ্টেরও অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। তদন্ত চলাকালীন সময়ে সিনেট কমিটির সামনে তাকে বিভ্রান্ত মনে হতো। স্বেচ্ছায় পদত্যাগের কারণে সিনেটরদের প্রশংসা পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাদের কেউই যৌন হয়রানির শিকার নারীদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেননি।

প্যাকউড পদত্যাগের পর বহু বছর পেরিয়ে গেছে। অন্য সবকিছুর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সামাজিক এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও পরিবর্তন এসেছে। চলচ্চিত্র প্রযোজক হার্ভে ওয়েইনস্টেইনের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের ভয়ঙ্কর অভিযোগের পর ‘হ্যাশট্যাগ মিটু’ ভাইরাল হয়ে গেছে। যৌন হয়রানির জের ধরে কংগ্রেসের নয়জন সদস্য পদত্যাগ করেছেন কিংবা নির্বাচনের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন। স্ত্রীর ওপর নির্যাতনের অভিযোগে হোয়াইট হাউসের দুজন কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। নারী কেলেঙ্কারির জের ধরে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস নির্বাচনের তিনজন প্রার্থীর প্রচারনা বন্ধ হয়ে গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সর্বত্র পরিবর্তন আসলেও দেশটির রাজনীতিতে এর প্রভাব অসমভাবে পড়ছে বলেই দেখা যাচ্ছে। রিপাবলিকানরা এখনো প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুগত, যিনি বেশ কিছু যৌন কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত। অন্তত ১৯ জন নারী তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধ যৌন সম্পর্কের অভিযোগ তুলেছেন। শুধু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পই নন, তাঁর মনোনীত বিচারপতি ব্রেট কাভানার বিরুদ্ধেও রয়েছে যৌন হয়রানির অভিযোগ। সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত এই বিচারপতি অন্তত চারজন নারীকে যৌন নিপীড়ন করেছেন বলে দাবি করা হচ্ছে।

হার্ভে ওয়েইনস্টেইনের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের ভয়ঙ্কর অভিযোগের মাধ্যমে #মিটু আন্দোলন শুরু হয়েছিলো। কিন্তু ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর ওই আন্দোলনের আগুনে পেট্রোল পড়ে বলে মনে করা হয়। গত বছরের ২১ জানুয়ারী ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশে লাখ লাখ মানুষ ‘উইমেন্স মার্চে’ অংশ নিতে রাস্তায় নেমে আসে। ওই পদযাত্রায় অংশ নেওয়া অনেকেই বলেন, নির্বাচনে বড় একটি দলের প্রথম নারী প্রার্থীর পরাজয় দেখাটা অবশ্যই দুঃখজনক ছিল। তবে এমন একজন প্রার্থীর কাছে তাঁর হেরে যাওয়াটা সত্যিই গ্লানিকর যিনি বহুবার বহু নারীকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেছেন।

আশার কথা এটাই যে, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রে রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। এবছর মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের নির্বাচনে ডেমোক্রেটসদের অর্ধেক প্রার্থীই নারী। দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এমনটা ঘটল। এর আগে ২০১৬ সালের নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলের ২৭ শতাংশ প্রার্থী ছিলেন নারী। অন্যদিকে রিপাবলিকানদের এই হার ছিল মাত্র ২০ শতাংশ। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়েও বেশ কয়েকজন নারী অংশ নেবেন এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।

লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, ডেমোক্রেটিক দলে নারীদের ভীড় বাড়লেও রিপাবলিকানদের ক্ষেত্রে ঘটছে উল্টোটা। দলটি থেকে বেশকিছু নারী সদস্যের প্রস্থানের ঘটনা ঘটেছে। এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচন ইতিমধ্যেই রিপাবলিকানদের দুশ্চিন্তায় ফেলেছে। ২০১৬’তে বেশকিছু অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ট্রাম্প জয় পেয়েছিলেন। কিন্তু নভেম্বরের কংগ্রেস নির্বাচন এবং ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পেতে হলে রিপাবলিকানদের অবশ্যই সমর্থক বাড়ানোর দিকে জোর দিতে হবে। যদিও আগামী দুই নির্বাচনে রিপাবলিকানরা নারী ভোটার বিশেষ করে শিক্ষিত ও অশেতাঙ্গ নারীদের ভোট হারাতে যাচ্ছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

বেশ কয়েকটি জরিপে দেখা গেছে, অধিকাংশ ভোটারই মিটু ইস্যু নিয়ে দলগুলোর অবস্থানের বিষয়টি বিবেচনা করে। রিপাবলিকানরা এক্ষেত্রে বেশকিছু সুযোগ হারিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। গতবছর মি টু আন্দোলন জোরদার হওয়ার পরে ডেমোক্রেটরা যৌন হয়রানি ইস্যুতে তাদের দলীয় সিনেটর আল ফ্রাঙ্কেনকে পদত্যাগ করতে চাপ দিয়েছিল। কিন্তু রিপাবলিকানরা ঠিক উল্টো কাজই করেছে। অ্যালবামার সিনেটর প্রার্থী রয় মুরের বিরুদ্ধে কিশোরীদের যৌন নির্যাতনের একাধিক অভিযোগ থাকার পরও দল তাকে সমর্থন দিয়ে গেছে। 

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বরাবরই যৌনতার দায়ে অভিযুক্তদের পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছেন বলে দেখা গেছে। এই তালিকায় রয় মুর ছাড়াও রয়েছে রব পোর্টার এবং বিল ও’রিলি। রব পোর্টারের বিরুদ্ধে স্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে বিল ও’রিলি যৌন হয়রানির অভিযোগে ফক্স নিউজ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। বিল শাইনও বেশকিছু অবৈধ কাজের জের ধরে ফক্স নিউজ ছেড়েছিলেন। পরবর্তীতে ট্রাম্প তাকে হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেন।

বিচারপতি ব্রেট কাভানার বিষয়েও ট্রাম্প তাঁর নীতিতে অটল ছিলেন। কাভানার পক্ষ নেওয়ার পাশাপাশি অভিযোগকারীদের নিয়েও ঠাট্টা- বিদ্রুপ করেছেন তিনি। দুঃখজনকভাবে তাঁর দলও অনেকটা একই নীতি গ্রহণ করে। রিপাবলিকান সিনেটররা কাভানিকে ভোট দিয়ে তাঁর নিয়োগ চুড়ান্ত করে।  

অনেকেই যৌন হয়রানিকে অপরাধ বলে মনে করেননা। নর্থ ডাকোটার সিনেটর পদপ্রার্থী কেভিন ক্রামার একে শুধুমাত্র একটি প্রচেষ্টা হিসেবে অভিহিত করেছেন, যেটা বাস্তবে ঘটেনি। ফ্লোরিডার কংগ্রেস প্রার্থী গিনা সোসা আবার বিষয়টিকে খুবই হালকাভাবে নিচ্ছেন। তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে প্রশ্ন করেছেন, ‘হাই স্কুলের এমন কোন ছেলে আছে যে এসব করেনি?’

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অধীনে রিপাবলিকান রাজনীতি আদর্শচ্যুত হয়ে ক্রমেই ক্ষমতাকেন্দ্রিক হয়ে পড়ছে। তিনি বারবার কেন অভিযুক্তদের পক্ষ নিচ্ছেন এ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করছেন অনেকেই। তারা জানতে চাচ্ছেন, প্রেসিডেন্ট কেন বিচারপতি হিসেবে কাভানার প্রার্থীতা বাতিল করে রক্ষণশীল অ্যামি কনি ব্যারেটকে মনোনয়ন দিলেন না। এর উত্তরও অবশ্য রয়েছে। ট্রাম্প কাভানার প্রার্থীতা বাতিল করলে সেটা একটি আদর্শকে নতুন করে প্রতিষ্ঠিত করত যে, যৌন হয়রানির অভিযোগে কোন প্রার্থীকে নির্বাচনে অযোগ্য করা যেতে পারে। আর এ বিষয়টি বুমেরাং হয়ে ট্রাম্পের দিকেই ফিরে আসত। কেননা অবৈধ যৌনতার বহু অভিযোগ থাকার পরও তিনি এখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। 

সাংবাদিক বব উডওয়ার্ড তাঁর সাম্প্রতিক বইয়ে ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস সম্পর্কে অনেক তথ্যই ফাঁস করেছেন। বইটিতে তিনি প্রেসিডেন্টের একটি বক্তব্য উল্লেখ করেছেন। ট্রাম্প যৌন হয়রানির দায়ে অভিযুক্ত এক বন্ধুকে পরামর্শ দিয়েছেন, ‘অবৈধ যৌনতার অভিযোগ উঠলে সবসময় তা প্রত্যাখ্যান করবে এবং ওই নারীদের আক্রমণ করে যাবে। যদি কখনো অভিযোগ স্বীকার করে নাও, তার মানে হচ্ছে, তুমি শেষ।’ একজন প্রেসিডেন্টের এমন মানসিকতা সত্যিই লজ্জাজনক।  এই মানসিকতার কারণে মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকানদের পরাজয় ঘটলে তা দলটি থেকে ট্রাম্পিজমের বিদায়ের পথও তৈরি করতে পারে। শক্তিধর ট্রাম্প এ বিষয়টি ভুলে যাচ্ছেন বলেই মনে হচ্ছে।

সূত্র: দি ইকোনমিস্ট

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের বিভিন্ন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নিবিড় পর্যবেক্ষণ

প্রকাশ: ০৩:৪০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারসহ ভারতের বিভিন্ন ইস্যু যুক্তরাষ্ট্র নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।  

নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেস পার্টির কিছু ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করার অভিযোগ সম্পর্কেও অবহিত যুক্তরাষ্ট্র। 

সাংবাদিক তার কাছে জানতে চান- দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিককে তলব করেছে ভারত। এর প্রেক্ষিতে আপনার প্রতিক্রিয়া কী এবং বিরোধী দলের ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করাসহ ভারতের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্তাল পরিস্থিতিকে কীভাবে দেখেন? অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সেখানকার পরিস্থিতিকে 'জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দলের ওপর দমনপীড়ন একটি সঙ্কটজনক পয়েন্টে এসে পৌঁছেছে' বলে অভিহিত করেছে।

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আপনার দ্বিতীয় প্রশ্নের জবাবে বলছি- দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারসহ এসব বিষয়ে আমরা অব্যাহতভাবে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। কংগ্রেস পার্টির কিছু ব্যাংক একাউন্ট আয়কর বিষয়ক কর্তৃপক্ষ জব্দ করেছে বলে অভিযোগের বিষয়েও আমরা অবহিত। এটা করার ফলে আসন্ন নির্বাচনে কার্যকর প্রচারণা চালানো তাদের পক্ষে চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠবে। এর প্রতিটি ইস্যুতে সময়মতো অবাধ, স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করি আমরা। আর প্রথম প্রশ্নের জবাবে বলতে হয়, কূটনৈতিক কোনও প্রাইভেট আলোচনা নিয়ে আমি কথা বলব না। তবে অবশ্যই প্রকাশ্যে আমি যেটা বলব তা হল, আমরা সুষ্ঠু, স্বচ্ছ এবং সময়মতো আইনি প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করি। আশা করি এতে কারও কোনও আপত্তি থাকা উচিত নয়। একই বিষয় আমরা প্রাইভেটলিও ক্লিয়ার করব।


ভারত   ইস্যু   যুক্তরাষ্ট্র   ম্যাথিউ মিলার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো অর্থ নেই ভারতীয় অর্থমন্ত্রীর

প্রকাশ: ০২:১০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

নিজের পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় লোকসভা নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন ভারতীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। দেশটির ক্ষমতাসীন দল বিজেপি তাকে অন্ধ্রপ্রদেশ অথবা তামিলনাড়ু থেকে লোকসভা নির্বাচনের টিকিট দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে, এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি।  

বুধবার(২৭, মার্চ) এক সম্মেলনে ভারতীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, এক সপ্তাহ বা ১০ দিন ভাবার পর তিনি ফিরে গিয়ে জানান 'খুব সম্ভবত না'। নির্বাচন করার মতো পর্যাপ্ত অর্থ তার নেই।    এছাড়া অন্ধ্রপ্রদেশ নাকি তামিলনাড়ু; এটি নিয়েও তার সমস্যা আছে। নির্বাচনে জয় পাওয়ার যে কয়েকটি নির্ণায়ক রয়েছে, সেগুলো নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে...আপনি কি এই গোত্রের অথবা এই ধর্মের? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, না, তিনি মনে করেন না তিনি এটা করতে পারবেন।  

এছাড়াও, নির্মলা বলেন, 'তিনি খুবই খুশি, কারণ, বিজেপি তার যুক্তিটি গ্রহণ করেছে। অর্থাৎ, তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না।'

সম্মেলনে তাকে জিজ্ঞেস করা হয় অর্থমন্ত্রীর কেন নির্বাচন করার মতো পর্যাপ্ত অর্থ নেই। জবাবে তিনি জানান, ভারতের অর্থসম্পদ তার নয়। তিনি বলেন, আমার বেতন, আমার আয় এবং আমার সঞ্চয় আমার এবং এগুলো ভারতের সম্পদ নয়।

নির্মলা সীতারামণ ভারতের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সদস্য। মূলত এমএলএ-রা রাজ্যসভার সদস্যদের নির্বাচন করে থাকেন। এ বছর রাজ্যসভার বেশ কয়েকজন সদস্যকে লোকসভা নির্বাচনের টিকিট দিয়েছে বিজেপি। আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে লোকসভা নির্বাচন শুরু হবে, যা সাত ধাপে ২ জুন পর্যন্ত চলবে। নিজে নির্বাচন না করলেও বিজেপির অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বিদের নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নেবেন নির্মলা।


নির্বাচন   লোকসভা নির্বাচন   রাজ্যসভা   ভারত   অর্থমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

‘গাজায় দেখা দিচ্ছে দুর্ভিক্ষ’

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

অনাহার ও অসুস্থতা গাজার অধিবাসীদের ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাৎক্ষণিক ও সমন্বিত পদক্ষেপ এখনই নিতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক তেদরোস আধানম গ্রেব্রেয়াসুস বলেছেন, ‘ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত বোমাবর্ষণে গাজায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিচ্ছে। ’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় তিনি এই দুর্ভিক্ষ এড়াতে খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ তরান্বিত করাসহ গাজায় স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান ব্যবস্থাকে রক্ষার আবেদন জানিয়েছেন।

গাজা উপত্যকার উত্তর অংশে গাজা সিটি এবং শাতি ও জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। হামলায় আবাসিক ভবনগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এ ছাড়া গাজা শহরের আল শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সের আশপাশের এলাকাগুলোতে কামানের গোলাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে।   

অন্যদিকে, কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার হাতে আসা একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজার উত্তরে দুজন নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিকে গুলি করে এবং পরে তাদের মরদেহ বুলডোজার দিয়ে মাটি চাপা দেয়। উপকূল ধরে হেঁটে যাবার সময় একজন ফিলিস্তিনিকে সাদা কাপড় নাড়তেও দেখা যায় ভিডিওটিতে।

গাজায় আকাশ থেকে ফেলা সাহায্য সামগ্রী সংগ্রহ করতে গিয়ে ১৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া সাগর থেকে আরও ছয়টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে, দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৯ জন নিহত হয়েছে। ৮ অক্টোবরের পর হেজবুল্লাহ ও ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘর্ষে এটিই সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির সংখ্যা।   

অন্যদিকে, গাজায় দক্ষিণাঞ্চরের রাফাহ শহরে স্থল অভিযান শুরুর পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার জন্য ইসরায়েল মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে নতুন সূচি নির্ধারণের অনুরোধ জানিয়েছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আলোচনা বাতিল করে দেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে এই নতুন প্রস্তাবটি পাওয়া গেল।

গতকাল বুধবার রাতে চতুর্থ দিনের মতো গাজায় ইসরায়েলের চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধের প্রতিবাদে জর্ডানের রাজধানী আম্মানে শত শত বিক্ষোভকারী অবস্থান বজায় রেখেছে। বিক্ষোভকারীরা এ সময় গাজার অধিবাসীদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে ফিলিস্তিনি পতাকা উড়ায়। বিক্ষোভকারীরা প্রতিবাদের অংশ হিসেবে জর্ডানকে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি বাতিলেরও আহ্বান জানায়।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা   ডব্লিউএইচও   গাজা   দুর্ভিক্ষ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরে সেতু ধস: ২ জনের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ১১:০৪ এএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের বাল্টিমোরে সেতু ধসে নিখোঁজ ছয় জনের মধ্যে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার ( ২৭ মার্চ) তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাঁরা হলেন আলেজান্দ্রো হার্নান্দেজ ফুয়েন্তেস (৩৫) এবং ডোরিয়ান রনিয়াল ক্যাস্টিলো ক্যাব্রেরা (২৬)। এই দুই ব্যক্তিই নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন। কার্গো জাহাজের ধাক্কায় সেতুটি ধসে পড়ার সময় তারা একটি ট্রাকের মধ্যে ছিলেন।  মেরিল্যান্ড পুলিশের পক্ষ থেকে মরদেহগুলো উদ্ধারের খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে, কিছু যানবাহন সেতুর ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকে আছে। এগুলো সরানো হলে ডুবুরিরা নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে আবারও অভিযান শুরু করবে।   

এদিকে আমেরিকার মেরিল্যান্ডের বাল্টিমোরে সেতু ধসের ঘটনায় ধাক্কা খাওয়া পণ্যবাহী জাহাজ থেকে ডেটা রেকর্ডার উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। তাদের আশা, কী কারণে জাহাজটি সেতুর সঙ্গে ধাক্কা খেয়েছে, তার কারণ জানা যাবে রেকর্ডার থেকে।

মার্কিন নিরাপত্তা সংস্থার প্রাথমিক ধারণা, বাল্টিমোরের হারবার ছেড়ে যাওয়ার সময় জাহাজটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে থাকতে পারে। এখন পর্যন্ত যা জানা গেছে, তা হলো সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী কার্গো জাহাজ ডালি সেতুতে ধাক্কা দেওয়ার আগে সেটির বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল। এমনকি ইঞ্জিনেও কোনো শক্তি ছিল না।

সমস্যা সমাধানে বারবার অ্যালার্ম বাজানো হয়। ক্রুরা মরিয়া হয়ে জাহাজটিতে বিদ্যুৎ ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চালায়। কিন্তু তাদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। যদিও ডালির একটি জরুরি জেনারেটর ছিল। কিন্তু ইঞ্জিনগুলোর শক্তি ফিরিয়ে আনতে পারেনি সেই জেনারেটর।

গত মঙ্গলবার ( ২৬ মার্চ) রাতে আমেরিকার অন্যতম বন্দর বাল্টিমোর থেকে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে যাওয়ার সময় সেতুটির সঙ্গে ধাক্কা লাগে সিঙ্গাপুরের পণ্যবাহী জাহাজ ডালির। এতে সেতুটির একাংশ ধসে পড়ে। পরের দিন দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।


যুক্তরাষ্ট্র   বাল্টিমোর   সেতু   ধস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাংলাদেশ সফরে আসছেন কাতারের আমির

প্রকাশ: ১০:৩০ এএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

এপ্রিলের শেষ দিকে বাংলাদেশ সফরে আসবেন কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল-থানি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কাতারে বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূ্ত্রে জানা যায়, আমিরের সফরের প্রস্তুতি নিয়ে ইতোমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সূত্র জানায়, এই সফরে জ্বালানি নিরাপত্তা, শ্রমবাজার, বৈদেশিক বিনিয়োগসহ দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে।

এর আগে গতবছর দোহায় কাতার এনার্জির সদরদপ্তরে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) এবং কাতার এনার্জির এলএনজি ট্রেডিং শাখার মধ্যে কাতার থেকে বছরে ১ দশমিক ৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন (এমএমটি) করে ১৫ বছর পর্যন্ত তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সই হয়।

চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ প্রতি বছর অতিরিক্ত ১ দশমিক ৮ এমএমটি এলএনজি পাবে, যা ২০২৬ সালে শুরু হবে।

বাংলাদেশের জ্বালানি চাহিদার বড় অংশই পূরণ করছে কাতার৷ আমিরের বাংলাদেশ সফরের ফলে এলএনজি আমদানির দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি বাস্তবায়নের সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

জীবীকার তাগিদে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে বসবাস করছেন প্রায় চার লাখ বাংলাদেশী। আমিরের সফরের খবরে প্রাবসীদের মধ্যেও এক ধরনের স্বস্তি কাজ করছে। প্রবাসীরা মনে করছেন এই সফরের মাধ্যমে দেশটিতে নতুন করে বাংলাদেশী শ্রমবাজারের সম্ভাবনা আরও বাড়বে।

এই বিষয়ে কয়েকজন প্রবাসীর সঙ্গে কথা হয় কালবেলার। তারা বলেন, আমির যেহেতু বাংলাদেশে যাবেন সেখানে অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে, কথা হবে। আমরা চাই আমাদের যেসব চাহিদা রয়েছে, দৈনন্দিন সমস্যা রয়েছে সেগুলো নিয়ে আলেচনা হোক।


কাতার   আমির তামিম বিন হামাদ আল-থানি   বাংলাদেশ   সফর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন