নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:০২ পিএম, ০৭ নভেম্বর, ২০১৮
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে কংগ্রেসে জয় পেয়েছে ডেমোক্রেটিক পার্টি। অন্যদিকে সিনেটে নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে রিপাবলিকানরা। দেশটির সংসদের দু’টি কক্ষেই রিপাবলিকানদের আধিপত্য ছিল। ফলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বিঘ্নে তাঁর সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন করতে পারছিলেন। তবে এবারের নির্বাচনের ফলাফল এই অবস্থার ইতি টানবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট দ্বায়িত্বগ্রহণের দুই বছর পর মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ কারণে এই নির্বাচনকে প্রেসিডেন্টের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের নির্বাচনও বলা হয়। এবারের নির্বাচনও এর ব্যতিক্রম নয়। একে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য অগ্নিপরীক্ষাও বলা হচ্ছিল।
এবারের নির্বাচনে কংগ্রেসে ডেমোক্রেটদের জয়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতার ভারসাম্য ফিরে এসেছে। কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ পাওয়ায় ডেমোক্রেটরা যেকোনো বিল আটকে দিতে পারবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নতুন করে তদন্তও শুরু করতে পারবে তারা। এমনকি তারা প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনেরও মুখোমুখি করতে পারবে।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তিনি অনেকটা স্বেচ্ছাচারিতার পরিচয় দিয়ে আসছিলেন। দেশের একটি বড় অংশের বিরোধীতা সত্ত্বেও তিনি একের পর এক বিতর্কিত নীতি গ্রহণ করছিলেন। তাঁর হঠকারী নীতির কারণেই চীনের সঙ্গে দেশটি বাণিজ্য যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে। ইরানের ওপরও অন্যায্যভাবে পুরোনো সব নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেছেন। তাঁর এসব সিদ্ধন্তের ফলে শুধু প্রতিপক্ষ দেশগুলোই নয় যুক্তরাষ্ট্রও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শুধুমাত্র বৈরী দেশই নয়, ট্রাম্পের নীতির ফলে কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো দীর্ঘদিনের মিত্রদের সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। বহির্বিশ্বে ক্রমেই বন্ধুহীন হয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির সংসদের উভয় কক্ষে রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় একের পর এক বিতর্কিত বিল পাস করাতে পেরেছেন ট্রাম্প। ক্ষমতার ভারসাম্য না থাকায় তিনি অনেকটা নিজের ইচ্ছানুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা করছিলেন। কিন্তু এবারের নির্বাচন এ অবস্থার অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতার ভারসাম্য ফিরিয়ে এনেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনের ফলাফল শুধু ডেমোক্রেটদের জয়ই এনে দেয়নি, একইসঙ্গে মার্কিন ক্ষমতায় ভারসাম্যও ফিরিয়ে এনেছে। এর ফলে ট্রাম্প নিজের ইচ্ছামতো কোনো আইন পাস করাতে পারবেন না। ডেমোক্রেটরা চাইলেই তা আটকে দিতে পারবেন। একেই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য বলছেন বিশ্লেষকরা।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ
মন্তব্য করুন
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লোকসভা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে, ঋণ শোধ করতে না পেরে আত্মহত্যা করা কৃষকদের মাথার খুলি ও হাড় নিয়ে বিক্ষোভ করেছে ভারতের তামিলনাড়ুরর কৃষকরা।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নয়াদিল্লির জন্তর মন্তরে অভিনব এই কায়দায় বিক্ষোভ করেন তামিলনাড়ুর দুইশর জনের মতো কৃষক। জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।
এসময় প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও বাড়ানো হয়নি ফসলের দাম। দাবি জানানো হয় ঋণ মওকুফের। তারা বলেন, ঋণের বোঝা বইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন হাজার হাজার চাষী।
তারা বলেন, কোনো দলের হয়ে নয় বরং সাধারণ কৃষক হয়েই সাহায্য চান তারা। দাবি না মানলে মোদির বিরুদ্ধে লোকসভা নির্বাচনে লড়ারও হুমকি দেন বিক্ষোভকারীরা। একই দাবিতে এই স্থানে এর আগেও বিক্ষোভ করেন ঋণগ্রস্ত কৃষকরা।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় শস্যের দাম দ্বিগুণ করার ঘোষণা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তখন তিনি ঘোষণা করেছিলেন, শস্যের দাম দ্বিগুণ করা হবে এবং নদীগুলোকে আন্তঃসংযুক্ত করা হবে।
ভারত তামিলনাড়ুর কৃষক মাথার খুলি হাড় বিক্ষোভ
মন্তব্য করুন
মুম্বাই থেকে ব্যাংকক যাওয়ার পথে এক ভারতীয় পর্যটকের স্যুটকেসের ভেতরে রাখা নুডলসের প্যাকেট থেকে উদ্ধার করা হয় বিপুল অঙ্কের সোনা ও হীরা। ভারতের মুম্বাই বিমানবন্দরে সোমবার ( ২২ এপ্রিল ) রাতে ৬ কোটি ৪৬ লাখ রুপি মূল্যের হীরা ও স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। খবর এনডিটিভির।
সোমবার রাতে একটি যাত্রীর ব্যাগ থেকে ৪ কোটি ৪৪ লাখ রুপি মূল্যের ৬ দশমিক ৮ কেজি সোনা ও ২ কোটি ২০ লাখ রুপির হীরা উদ্ধার হয়েছে। এ সময় ওই যাত্রীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে বিমানবন্দর কর্মকর্তারা। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মুম্বাইয়ের শুল্ক দপ্তরের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানা গেছে।
এছাড়াও, কলোম্বো থেকে মুম্বাই আসা বিদেশী পর্যটকের অন্তর্বাসের ভিতরে লুকানো অবস্থায় পাওয়া যায় ৩২১ গ্রাম ওজনের সোনার বার উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এতো বিপুল পরিমাণ সোনা ও হীরা কোথায় পাচার করছিলো অভিযুক্তরা, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে।
ভারতীয় পর্যটক স্যুটকেস নুডলস প্যাকেট হীরা পাচার
মন্তব্য করুন
ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই এবার ঘন কুয়াশার কবলে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির রাজধানী আবুধাবি ও ওমান সীমান্তবর্তী শহর আল আইনে বসবাসরতদের গাড়ি চালানোর সময় অতিরিক্ত সতর্কতা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে খালিজ টাইমস এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ন্যাশনাল সেন্টার অফ মেটিওরোলজি (এনসিএম) আজ বুধবার পর্যন্ত বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ধূলিঝড়ের জন্য সতর্কতা জারি করেছে। এছাড়াও প্রবল বাতাসের কারণে অনুভূমিক দৃষ্টিসীমা ২ হাজার মিটারের থেকেও কম।
এনসিএম পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ধুলো ও ময়লা বহনকারী উত্তর-পশ্চিমী বাতাস ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এমন অবস্থায় ঘন কুয়াশার কারণে ‘ইয়েলো অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৭৫ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে।
মন্তব্য করুন
তিনদিনের পাকিস্তান সফর শেষে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে করাচি ছেড়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কলম্বোর উদ্দেশে বিমানে চড়েন তিনি। এ সময় তাকে পাকিস্তানের গণপূর্তমন্ত্রী রিয়াজ হোসেন পিরজাদা ও সিন্ধু প্রদেশের গভর্নর বিদায় জানান। খবর ইরনার
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের আমন্ত্রণে একদিনের সফরে দেশটির রাজধানী কলম্বো যাচ্ছেন রাইসি। এই সফরে রনিল বিক্রমাসিংহে ইরানের প্রেসিডেন্টকে সঙ্গে নিয়ে দুটি বাঁধ ও একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। প্রায় ৫৩ কোটি ডলারের প্রকল্পটি ইরানি বিশেষজ্ঞরা নির্মাণ করেছেন।
এর আগে গত সোমবার (২২ এপ্রিল) পাকিস্তানে আসেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। গত ৮ এপ্রিল সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর প্রথম বিদেশি সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে তিনি ইসলামাবাদ সফর করেন। ২২ থেকে ২৪ এপ্রিল দেশটিতে অবস্থান করেন ইব্রাহিম রাইসি। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর দেশটির প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক নথিতে স্বাক্ষর করেন রাইসি।
প্রসঙ্গত, মাত্র কয়েক মাস আগে পাল্টাপাল্টি হামলায় ইরান-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। তবে কূটনীতির মাধ্যমে সম্পর্ক জোড়া লাগায় মুসলিম বিশ্বের শক্তিধর এই দুই দেশ। পাকিস্তানের নতুন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর ইব্রাহিম রাইসির এই সফর দুই দেশের সম্পর্ক আরও উন্নত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
পাকিস্তান সফর শ্রীলঙ্কা ইরান প্রেসিডেন্ট
মন্তব্য করুন
তিনদিনের পাকিস্তান সফর শেষে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে করাচি ছেড়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। বুধবার (২৪ এপ্রিল) করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কলম্বোর উদ্দেশে বিমানে চড়েন তিনি। এ সময় তাকে পাকিস্তানের গণপূর্তমন্ত্রী রিয়াজ হোসেন পিরজাদা ও সিন্ধু প্রদেশের গভর্নর বিদায় জানান। খবর ইরনার শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের আমন্ত্রণে একদিনের সফরে দেশটির রাজধানী কলম্বো যাচ্ছেন রাইসি। এই সফরে রনিল বিক্রমাসিংহে ইরানের প্রেসিডেন্টকে সঙ্গে নিয়ে দুটি বাঁধ ও একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। প্রায় ৫৩ কোটি ডলারের প্রকল্পটি ইরানি বিশেষজ্ঞরা নির্মাণ করেছেন।