নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩০ পিএম, ০৮ নভেম্বর, ২০১৮
মার্কিন মধ্যবর্তী নির্বাচনে কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ পেয়েছে ডেমোক্রেটরা। তবে সিনেটে আধিপত্য ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে রিপাবলিকান পার্টি। ট্রাম্পের শাসনের প্রথম দুই বছর কংগ্রেস ও সিনেট দু’টিই ছিল রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে। ফলে প্রেসিডেন্ট নির্বিঘ্নে তাঁর সিদ্ধান্তগুলো পাস করাতে পারছিলেন। তবে এবারের নির্বাচনে কংগ্রেসে ডেমোক্রেটরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় তারা যেকোনো বিল আটকে দিতে পারবেন। এমনকি তারা প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের মুখোমুখিও করাতে পারবেন। ফলে প্রেসিডেন্টের স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ হবে বলেই মনে করছেন অনেকে। তবে ট্রাম্প ভিন্ন ইঙ্গিতই দিয়েছেন।
মধ্যবর্তী নির্বাচনের ২৪ ঘন্টা না পেরোতেই ট্রাম্প মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেলকে বরখাস্ত করেছেন। নির্বাচন পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, তিনি ডেমোক্রেট কংগ্রেসম্যানদের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। তবে তারা প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিলে সেটা তিনি প্রতিহত করারও ইঙ্গিত দিয়েছেন।
ডেমোক্রেটরা কংগ্রেসের দখল পেলেও সিনেট এখনও রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে। ফলে ডেমোক্রেটদের প্রস্তাবগুলো রিপাবলিকান সিনেটররা আটকে দিতে পারবেন। অন্যদিকে ডেমোক্রেটরাও যেকোনো বিল আইনে পরিণত হওয়া প্রতিহত করতে পারবেন। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর নির্বাহী ক্ষমতাবলে কংগ্রেসকে এড়িয়েও নীতিগত সিদ্ধান্ত জারি করতে পারবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত জারি করতে পারেন প্রেসিডেন্ট। ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর এরকম বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন।
বারাক ওবামা দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থাকাকালে কংগ্রেস ও সিনেট দু’টিই ছিল রিপাবলিকানদের দখলে। সেসময় তিনি কংগ্রেসের অনুমোদন না নিয়েই অভিবাসন নীতিতে পরিবর্তন এনেছিলেন। তাঁর ওই নির্বাহী আদেশের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে বেআইনিভাবে অবস্থানরত প্রায় ৫০ লাখ মানুষকে বের করে দেয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ হয়েছিল। কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই ওবামা ওই পদক্ষেপ নেওয়ায় তীব্র সমালোচনা করেছিলেন রিপাবলিকানরা।
স্বেচ্ছাচারী ট্রাম্প কংগ্রেসের অনুমোদনের তোয়াক্কা না করে তাঁর নির্বাহী ক্ষমতার প্রয়োগ করবেন, এটা অনুমান করাই যাচ্ছে। তবে পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর পার্থক্য হলো, ওবামা মানবিকতার স্বার্থে নির্বাহী ক্ষমতার প্রয়োগ করেছিলেন। কিন্তু ট্রাম্প যে ওবামার পুরোপুরি বিপরীত সেটা তিনি বারবার প্রমাণ করেছেন।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
এপ্রিল মাসের পূর্ণিমার চাঁদকে ‘পিঙ্ক মুন’ বা ‘গোলাপি চাঁদ’ নামে ডাকা হয়। মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) রাতের আকাশে এই চাঁদের দেখা মিলবে। এছাড়া আগামী বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এই চাঁদ দেখা যাবে।
এপ্রিলের পূর্ণিমার চাঁদের আরও নাম রয়েছে। যেমন- ‘ফিশ মুন’ (মাছ চাঁদ), ‘গ্রাস মুন’ (ঘাস চাঁদ) ও ‘এগ মুন’ (ডিম চাঁদ)।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বলছে, দেশটির স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ৪৯ মিনিটে পূর্ণ গোলাপি চাঁদের দেখা মিলবে। অন্যদিকে ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায় এই গোলাপি চাঁদ পূর্ণরূপে দেখার সুযোগ পাওয়া যাবে আগামীকাল বুধবার।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবী যখন সূর্য ও চাঁদের মাঝবরাবর অবস্থান করে, তখনই পূর্ণ চাঁদ দেখা যায়। তবে নাম গোলাপি হলেও এপ্রিলের এই পূর্ণ চাঁদের রং কিন্তু পুরোপুরি গোলাপি নয়। কোথাও কোথাও কমলা রঙেও চাঁদটি দেখা যেতে পারে। রাত বাড়ার একপর্যায়ে চাঁদটি উজ্জ্বল সাদা রং ধারণ করবে। এছাড়া ধোঁয়াসহ আবহাওয়াগত নানা কারণে এই চাঁদ চোখে গোলাপি রঙে দেখা দেবে না। সাধারণত সোনালি রঙেই তা দেখা যাবে।
বিশ্বজুড়ে পূর্ণিমার চাঁদের বিভিন্ন নাম রয়েছে। আর এসব নাম এসেছে বিভিন্ন ঋতু, ঐতিহাসিক ফসল, এমনকি কোনো প্রাণীর বিচিত্র আচরণ থেকে। গোলাপি চাঁদ নাম এসেছে আমেরিকা অঞ্চলে বসন্তের শুরুতে ফোটা একটি বুনো ফুল থেকে।
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার নির্বাচন শেষ হয়েছে। সাত দফার এই নির্বাচন শেষ হবে আগামী ১ জুন। ভোট গণনা ৪ জুন।
এমপি হিসেবে নির্বাচিত হলেন দলের সুরাত কেন্দ্রের প্রার্থী মুকেশ কুমার চন্দ্রকান্ত দালাল। নির্বাচনী ময়দান থেকে তার প্রতিপক্ষরা সরে দাঁড়ানোয় ওয়াক ওভার পেয়েছেন ৬২ বছর বয়সী দালাল। সোমবারই তাকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জয়ের সনদও তুলে দেয়া হয়।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মুকেশের এই জয়ের পরই গুজরাট রাজ্যের বিজেপি সভাপতি সি.আর পাতিল তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
রবিবার এই কেন্দ্রে মুকেশের প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেস প্রার্থী নীলেশ কুম্ভানির মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেয় রিটার্নিং অফিসার সৌরভ পারধি। কারণ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় তিন প্রস্তাবকের কেউই নির্বাচনী কর্মকর্তার সামনে উপস্থিত ছিলেন না ফলে প্রার্থীর সমর্থনে মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষরও করতে পারেননি। পরবর্তীতে সুরাত কেন্দ্রে নীলেশের পরিবর্তিত প্রার্থী হিসেবে সুরেশ পাডশালাকে মনোনয়ন দেয় কংগ্রেস। কিন্তু তার মনোনয়নপত্রও অবৈধ বলে গণ্য হয়। স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনী লড়াইয়ের ময়দান থেকে বেরিয়ে যায় কংগ্রেস।
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার নির্বাচন শেষ হয়েছে। সাত দফার এই নির্বাচন শেষ হবে আগামী ১ জুন। ভোট গণনা ৪ জুন। এমপি হিসেবে নির্বাচিত হলেন দলের সুরাত কেন্দ্রের প্রার্থী মুকেশ কুমার চন্দ্রকান্ত দালাল। নির্বাচনী ময়দান থেকে তার প্রতিপক্ষরা সরে দাঁড়ানোয় ওয়াক ওভার পেয়েছেন ৬২ বছর বয়সী দালাল। সোমবারই তাকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জয়ের সনদও তুলে দেয়া হয়।